You dont have javascript enabled! Please enable it!
উখিয়া থানা দখল বা অপারেশন
প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য
ডিসেম্বরের শুরুতেই মিত্র বাহিনীর যৌথ অভিযানের ফলে দেশের সর্বত্র পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রায় পর্যদস্ত। দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলাে থেকে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা পশ্চাদপসরণ করা শুরু করে। রাজাকার ও পুলিশকে রেখে যায় থানাগুলােয় এবং দিয়ে যায় প্রচুর অস্ত্র । নির্দেশ দেয়, শান্তি কমিটির লােকজনের সহায়তায় এ অস্ত্রগুলাে বাঙালি নিধনে ব্যবহারের জন্য। কক্সবাজারের রামু, উখিয়ায় মিত্র বাহিনীর কোনাে অভিযান তখন পর্যন্ত পরিচালিত হয় নি। তবু রাজাকারদের ভয় ছিল মুক্তিবাহিনীকে নিয়ে। আর মুক্তিবাহিনীর পরিকল্পনা ছিল অস্ত্রগুলাে অন্য কোথাও পাচার হওয়ার আগেই দখল করা এবং রামু ও উখিয়াকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুক্তাঞ্চল ঘােষণা করা।
থানা আক্রমণের প্রস্তুতি
১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হক চৌধুরী ও ছাত্রলীগের কর্মী শাহজাহান চৌধুরী লােক মারফত হাবিলদার সােবহানের মুক্তিযােদ্ধা দলকে খবর পাঠান যে উখিয়া থানার অস্ত্র দু-এক দিনের মাঝেই বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা। এদিকে স্থানীয় রাজাকার ও পুলিশের মনােবলও ভেঙে পড়েছে। এ তথ্য জেনে সময় নষ্ট না করে মুক্তিযােদ্ধারা ১২ ডিসেম্বর সকালেই ক্যাম্প এলাকা থেকে রওনা দেয় উখিয়ার দিকে। পথিমধ্যেই লােকজনের কাছ থেকে টার্গেট এলাকা সম্পর্কে প্রয়ােজনীয় তথ্য তারা জেনে নেন।
দল বিন্যাস
১২ ডিসেম্বর দুপুর ৩টায় উখিয়া ফরেস্ট অফিসে পৌছে দল বিন্যাস চূড়ান্ত করেন হাবিলদার সােবহান। দল বিন্যাসটি ছিল নিমরূপ: ক. কমান্ড গ্রুপ: হাবিলদার সােবহান এবং সাথে ৪জন সিপাহি, অস্ত্র ৪টি। খ. কভারিং পার্টি: হাবিলদার আবদুল জলিল এবং সাথে ৮জন, অস্ত্র ৭টি। গ. অ্যাকশন গ্রুপ-১: নায়েক ফয়েজ আহমদ এবং সাথে ৯জন, অস্ত্র ৯টি। ঘ. অ্যাকশন গ্রুপ-২: নায়েক আবদুল কাদের এবং সাথে ৯জন, অস্ত্র ৯টি। ঙ. কাট অফ পার্টি-১ ও ২; ল্যান্স নায়েক আবদুস সালাম এবং সিপাহি
রেজাউল করিমের নেতৃত্বে ৬জন, অস্ত্র ৬টি।
অপারেশন কার্যক্রম
সকল গ্রুপকেই নির্দেশ দেওয়া হয় বাজার এলাকা বাদ দিয়ে থানার উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম দিক থেকে ২০০ গজ ব্যবধান রেখে থানা এলাকাকে কর্ডন করে ফেলার। জন্য। বাজার এলাকায় বসানাে হয় কাট অফ পার্টি-১কে। দিনটি ছিল হাটবার। তাই নিরীহ জনসাধারণ যাতে গােলাগুলির শিকার না হয়, এ জন্য আক্রমণের চেয়ে Show off ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের প্রতিই বেশি জোর দেওয়া হয়। বিনা প্রয়ােজনে। গুলি বর্ষণের বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরােপ করা হয়।
উখিয়া থানা ঘেরাও করার পর থানার পুলিশকে মুক্তিযােদ্ধারা আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। বেশ কয়েকবার নির্দেশ দেওয়ার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে, আত্মসমর্পণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে অবশেষে বিনা রক্তপাতে কোনাে গােলাগুলি ছাড়াই থানায় অবস্থানকারী রাজাকার ও পুলিশ অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযােদ্ধারা দখল করে নেন উখিয়া থানা। উদ্ধার করেন, ৮৭টি .৩০৩ রাইফেল ও ৪,৭৪০ রাউন্ড অ্যামুনিশন। থানার নিয়ন্ত্রণভার দেওয়া হয় মুক্তিযােদ্ধাদের একটি দলকে। মুক্তিকামী এলাকাবাসীর উষ্ণ অভিনন্দনের মাঝেই উখিয়াকে ঘােষণা করা হয়। মুক্তাঞ্চল হিসেবে। মুক্তিযােদ্ধাদের বাকি দল রত্নাপালং ইউনিয়নের পাহাড়ে অবস্থিত রত্নাপালং উচ্চবিদ্যালয়ে এসে স্থাপন করে অস্থায়ী প্রশাসনিক ক্যাম্প।
বিশ্লেষণ
অপারেশনটি এমন সময়ে পরিচালিত হয়েছিল, যখন শত্রুর মনােবল নিঃশেষিত প্রায়। তাই বাস্তবিক পক্ষে কোনাে যুদ্ধ সংগঠিত হয়নি। মুক্তিযােদ্ধারা রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনী পলায়নের আগেই অস্ত্র দখল করার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং আক্রমণ করার সময় ছিল যথার্থ।
ভাইবােন ছড়ার যুদ্ধ
ভৌগােলিক অবস্থান ও এলাকা পরিচিতি
খাগড়াছড়ি সদর থেকে প্রধান সড়ক ধরে ১৩ কিলােমিটার উত্তর দিকে গেলেই ভাইবােন ছড়া নামক ছিমছাম পাহাড়ি গ্রাম। আঁকাবাঁকা হয়ে ভাইবােন ছড়া বাজারের পশ্চিম পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী চেঙ্গী। আশপাশে রয়েছে। ছােটখাটো পাহাড় আর টিলা। টিলাগুলাের ওপরে রাবার ও সেগুন বাগান। পাহাড়ের খাঁজে খুঁজে পাহাড়িদের জুমচাষ। ১৯৭১ সালে আলুটিলার পরে খাগড়াছড়ি থেকে পানছড়ি হয়ে লােগাং বর্ডার পর্যন্ত ৫-৬ ফুট উঁচু একটি কাঁচা রাস্তা ছিল। রাঙামাটি থেকে মহালছড়ি পর্যন্ত আশপাশের লােকজনের চলাচলের প্রধান উপায় ছিল নৌযান। মহালছড়ি থেকে চান্দের গাড়ি করে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত আসতে হতাে। খাগড়াছড়ি হতে পানছড়ি আসার দুটি পদ্ধতি ছিল। একটি হলাে কাচা রাস্তা ধরে চান্দের গাড়িতে চড়ে এবং অন্যটি হলাে দেশি নৌকায় করে। চেঙ্গী নদীর পানি শুকিয়ে গেলে নৌকায় করে যাওয়া ছিল কষ্টসাধ্য। এটি ছিল রামগড় সাব-ডিভিশনের অধীন। কিন্তু খাগড়াছড়ি হতে রামগড়ে যাওয়ার কোনাে সড়ক ছিল না। ব্যাবসাবাণিজ্য ও অফিসিয়াল প্রয়ােজনে লােকজন পাহাড়ি রাস্তা ধরে হেঁটে রামগড়ে যেত।
প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে রাঙামাটি হয়ে নৌপথে মহালছড়িতে আসে। ফেরিতে করে তারা গাড়ি পার করে। তারপর সড়ক পথে খাগড়াছড়ি হয়ে ভাইবােন ছড়ার ওপর দিয়ে নৌকায় পানছড়ি যেত। পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে মিজো বাহিনীর সদস্যরাও এ এলাকায় আসে তাদের সহযােগী হিসেবে। খাগড়াছড়ি-পানছড়ি এলাকায় ঘাঁটি স্থাপনের অংশ হিসেবে তারা সেপ্টেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহে ভাইবােন ছড়ায় আগমন করে। সপ্তাহ খানেক পর ৭০-৮০জন পাকিস্তানি সেনার ১টি দল ভাইবোেন ছড়ায় ক্যাম্প স্থাপন করে। তারপর স্থানীয় যুবকদের জোর করে রাজাকার হিসেবে রিক্রুট করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অনেকে ঐ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত রাজাকারদের প্রত্যেককে ৩০৩ রাইফেল প্রদান করা হয়। কুকিপাড়া-ভাইবােন ছড়ার মধ্যবর্তী রাস্তায় টহল পরিচালনা করার জন্য ১০-১৫জন রাজাকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পর্যবেক্ষণ ও পরিকল্পনা তখন মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প ছিল তবলছড়ি বাজারের পশ্চিম দিকে ভারতের শিলাছড়িতে। এখানে বাঙালি সেনা সদস্য, পুলিশ ও সাধারণ মুক্তিযােদ্ধারা অবস্থান করতেন। এখানেই অস্ত্রশস্ত্র ও গােলাবারুদ রাখা হতাে। পাকিস্তানি বাহিনী জোর করে অনেককে রাজাকার হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ব্যবহার করছিল। এ দলের অধিনায়ক আবদুর রশীদ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযােদ্ধা অধিনায়ক সুবেদার খায়রুজ্জামানের কাছে আত্মসমর্পণ করে। আবদুর রশীদের কাছে থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর বিস্তারিত পরিকল্পনা, তাদের পােস্ট, ডিপ্লয়মেন্ট, জনবল, অস্ত্রের পরিমাণ এবং ক্যাম্পের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। অধিনায়ক খায়রুজ্জামান প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঐ এলাকার নকশা অঙ্কন করেন।
অপারেশন
আনুমানিক ১৭-১৮ অক্টোবর ৭০জনের ১টি মুক্তিযােদ্ধা দল সুবেদার খায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে কমলা বাগান হয়ে ২ দিন পর ভাইবােন ছড়া বাজারের ৩ মাইল পশ্চিমে এলােধেলাে গ্রামে এসে পৌঁছেন। সেদিন ছিল মঙ্গলবার এবং ভাইবােন ছড়া বাজারের সাপ্তাহিক হাটের দিন।
পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থান
পাকিস্তানি বাহিনী বাজারের চারদিকে অবস্থান নিয়েছিল। তাদের ছিল মােট ছয়টি সুরক্ষিত বাংকার এবং একটি পর্যবেক্ষণ চৌকি। বাজারের দক্ষিণ পাশে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি মেইন রােডের পাশে বর্তমান পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন স্থানে ছিল। একটি বাংকার। তার ৩০০ গজ উত্তর-পশ্চিমে চেঙ্গী নদী বরাবর ছিল আরেকটি বাংকার। এ বাংকার থেকে সােজা আরও ৩০০ গজ উত্তরে চেঙ্গী নদীর পাড়ে একটি উঁচু বটগাছে স্থাপন করা হয়েছিল পর্যবেক্ষণ চৌকি। পর্যবেক্ষণ চৌকি থেকে আরও ৪০০ গজ উত্তর-পূর্বে বর্তমান ইউনিয়ন কাউন্সিল অফিস সংলগ্ন স্থানে ছিল। আরেকটি বাংকার। তা ছাড়া প্রধান সড়কের পূর্ব পাশে অবস্থিত ছিল আরও ৩টি বাংকার। গােয়েন্দা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী মুক্তিযােদ্ধারা আন্দাজ করেন যে, পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্য সংখ্যা হবে আনুমানিক ২০-২৫জন, রাজাকার ছিল ২০২৫জন এবং মিজো ১০-১৫জন।
দল বিন্যাস
কাট অফ পার্টি হিসেবে ২জন করে ২টি দল গঠন করে ১টি দলকে খাগড়াছড়িপানছড়ি সড়কে পাঠানাে হয়। তারা রাস্তার ওপর গাছ কেটে রােডে ব্লক স্থাপন করবে এবং শক্রর শক্তিবৃদ্ধির চেষ্টায় বাধা দেবে। অ্যাকশন দল হিসেবে মূল দলকে মােট ৫ ভাগে বিভক্ত করা হয়। ১টি দল সুবেদার খায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে কমান্ড দল হিসেবে কাজ করে। তাদের সাথে ছিল ১টি ২ ইঞ্চি মর্টার। বাকি ৪টি দলকে ২টি করে এলএমজি প্রদান করে প্রতি ২টি দলকে ১টি করে বাংকার ক্লিয়ার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১টি গ্রুপকে স্থাপন করা হয় পর্যবেক্ষণ চৌকি নিষ্ক্রিয়। করার জন্য। পুরাে দল চেঙ্গী নদীর পশ্চিম দিকে অবস্থান নেয়।
আক্রমণ
১৯ অক্টোবর আনুমানিক বেলা ১টার দিকে সুবেদার খায়রুজ্জামান ২ ইঞ্চি মর্টার। থেকে ফায়ার করার আদেশ দেন। সাথে সাথে ৪টি এলএমজি গ্রুপ থেকে প্রচণ্ডভাবে গুলি বর্ষণ শুরু হয়। পাশাপাশি এসএলআর ও রাইফেল থেকেও ফায়ার করা হয়। ফায়ারের প্রথমেই পর্যবেক্ষণ চৌকিতে অবস্থানরত ২জন পাকিস্তানি সেনা মাটিতে পড়ে যায়। মর্টারের গোলা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গিয়ে পড়ে ভাইবােন ছড়া বাজারে অবস্থিত স্কুলের মাঠে। শত্রুপক্ষ মর্টার ফায়ারসহ দ্রুত পালটা গুলি বর্ষণ শুরু করে। ১ ঘণ্টা ধরে তুমুল গুলি বর্ষণ চলে। ইতােমধ্যে গােলাগুলির শব্দ শুনে পানছড়ি ও খাগড়াছড়ির দিক থেকে রি-ইনফোর্সমেন্ট আসা শুরু হয়। রােড ব্লকের জন্য স্থাপিত দুটি দল। কিছুক্ষণ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং চেঙ্গী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রত্যাবর্তন করে। এ দিকে মুক্তিযােদ্ধাদের গােলাবারুদও নিঃশেষ হয়ে আসে। এ অবস্থায় অধিনায়ক পুরাে দলকে সরে আসার নির্দেশ দেন। পুরাে দল আস্তে আস্তে পিছু হটতে শুরু করে। এ যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর ২জন নিহত হয় এবং ৪জন আহত হয়। কোনােপ্রকার হতাহত ছাড়াই মুক্তিযােদ্ধা দল তবলছড়ি ক্যাম্পে ফেরত আসে। বিশ্লেষণ আক্রমণের তীব্রতায়, পরিকল্পনায় ও পর্যবেক্ষণে যত্নের ছাপ থাকলেও এ অপারেশনে কিছু দুর্বলতা লক্ষ্য করা যায়। কাট অফ পার্টি বা রি-ইনফোর্সমেন্ট রােধের জন্য যে দুটি দল নিযুক্ত করা হয়, তাদের শক্তি অত্যন্ত অপ্রতুল ছিল। এ ক্ষেত্রে পানছড়ি ও খাগড়াছড়ি থেকে শত্রুর সহযােগীরা আসার সমূহ সম্ভাবনা ছিল, যা পরবর্তী সময় ঘটেও ছিল । দ্বিতীয়ত, তৈরি ও সুরক্ষিত বাংকার ধ্বংসের জন্য। দূর থেকে গুলি বর্ষণ তেমন কার্যকর নয়, বিষয়টি অনুধাবনে মুক্তিযােদ্ধারা ব্যর্থ হয়েছিলেন। তা ছাড়া বাংকার ধ্বংসের জন্য ৩ ইঞ্চি মর্টার এতােটা উপযােগী অস্ত্রও নয়। মর্টার মূলত একটি হাই ট্রাজেকটরি অস্ত্র, যা খুব নির্দিষ্ট স্থানে গােলা বর্ষণেই উপযােগী। বরং রকেট লঞ্চার এ ক্ষেত্রে উপযােগী অস্ত্র। বাংকারগুলাের নিকটবর্তী হয়ে রেইড পরিচালনা করলে এ অপারেশন আরও ফলপ্রসূ এবং স্বল্প সময়ে সম্পন্ন হতাে বলে যুক্তিযুক্ত মনে হয়। তবে মুক্তিযােদ্ধা দল কোনাে ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই শত্রুদের কিছুটা ক্ষতিসাধন ও হয়রানির সম্মুখীন করতে সক্ষম হয়, এটাই এ অপারেশনের অনন্য দিক। ছােটো হলেও চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য এ যুদ্ধের প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী।।
(ভাইবােন ছড়ার যুদ্ধের নকশাটি ১১৬৫ পাতায়)

সূত্রঃ   মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান – প্রথম খন্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!