You dont have javascript enabled! Please enable it!
মােহামায়া রেলসেতুতে উল্কা ট্রেনে অপারেশন
অবস্থান
মিরসরাই ও মস্তাননগর রেল স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে মােহামায়া নালার (ছড়ার) ওপর একটি রেলসেতু অবস্থিত। এ সেতুর ওপর ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট ঢাকাগামী উল্কা ট্রেনে গেরিলা অপারেশন পরিচালিত হয়। এ সময় এ রেলপথে উল্কা দ্রুতগতির এবং সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয় রেলগাড়ি ছিল।
উদ্দেশ্য
মােহামায়া রেলসেতু এবং এর ওপর উল্কা নামের গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ্যে আকর্ষণীয় ট্রেনকে একসাথে ধ্বংস করে রেল যােগাযােগ ব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদিভাবে বিচ্ছিন্ন, রেলযাত্রী পাকিস্তানি সেনাদের হতাহত, তাদের যুদ্ধের সরঞ্জামাদি বিনষ্ট এবং শত্রুপক্ষসহ মুক্তিকামী এলাকাবাসীকে মুক্তিযােদ্ধাদের অমিতশক্তি প্রদর্শন করা।
পর্যবেক্ষণ
প্রথমে ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই দিনের বেলায় অপারেশনের জন্য স্থানটি পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রথম দিন পর্যবেক্ষণের পর পর্যালােচনাকালীন অপারেশনের সময় প্রয়ােজনে এবং অপারেশন শেষে দলবল নিয়ে কোন পথে পশ্চাদপসরণ করা হবে সে ব্যাপারে কোনাে সিদ্ধান্তে উপনীত না হতে পারায় অধিনায়ক নিজাম ৩০ জুলাই অপারেশনের স্থানটি পুনরায় পর্যবেক্ষণ করেন। উভয় দিনই অধিনায়ক নিজাম তার সহযােদ্ধা মাে. শাহজাহান-১, মাে, শাহজাহান-২ (খুলনা) এবং স্থানীয় মুক্তিযােদ্ধা রঞ্জিত কুমার দে, হারুন মিত্র ও মিহির কান্তি দত্তকে নিয়ে স্থানটি পর্যবেক্ষণ করেন। এ উদ্দেশ্যে ইছাখালীর মাতব্বরহাট আশ্রয় কেন্দ্র থেকে তাঁরা সকাল ৭টায় রওনা হয়ে আনুমানিক ৫ মাইল হাঁটার পর মঠবাড়িয়া গ্রামে টেন্ডলের (মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লােক) বাড়িতে সকাল ৯টায় পৌঁছেন। সেখানে তারা চা-নাস্তা খান এবং ১ ঘণ্টার মতাে বিশ্রাম নেন। দুপুর আনুমানিক ১২টায় তারা মােহামায়া রেলসেতুতে পেীছেন। তাদের সাথে ২টি ছাতা ছিল। ঐ সময় বর্ষাকাল থাকায় ছাতা রাখার প্রয়ােজনও ছিল। তা ছাড়া এ ছাতা দিয়ে তারা ব্রিজ পরিমাপের কাজও সম্পন্ন করতেন। ব্রিজটি ছাতা দিয়ে মেপে অধিনায়ক নিজাম ১৬ ছাতা পান। তারপর তারা ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে এর আশপাশের এলাকা ভালােভাবে প্রত্যক্ষ করেন। তারপর ছড়ার গভীরতাও মেপে নেন। এতে ৩-৪ ফুট পানি ছিল। তারপর তারা ব্রিজের পাশ থেকে যে ২টি রাস্তা পূর্ব ও পশ্চিমে চলে গেছে, সেগুলাের আনুমানিক দূরত্বও পরিমাপ করেন। পর্যবেক্ষণে তারা উপলব্ধি করেন যে, পশ্চাদপসরণের সময় পূর্ব দিকের রাস্তা অনুসরণ করলে পাহাড়ে গিয়ে আটকা পড়ার আশঙ্কা বেশি। বরং পশ্চিম দিকে গ্রামের রাস্তা সাময়িক বিপদের আশঙ্কা সত্ত্বেও তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। তাই পশ্চাদপসরণের পথ হিসেবে এ রাস্তাকেই। প্রাধান্য দেয়া হয়। পর্যবেক্ষণ শেষে তাঁরা বিকাল ৫টায় আশ্রয়স্থলে ফেরত যান।
অপারেশন
অধিনায়ক নিজাম, সহকারী অধিনায়ক জাহাঙ্গীর, শাহজাহান-১, শাহজাহান-২ (খুলনা), মাে. সফি, সলিমুদ্দিন, লােকমান এবং আরও কয়েক সহযােদ্ধাসহ ১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় তাদের আশ্রয় কেন্দ্র থেকে অপারেশন পরিচালনার উদ্দেশ্যে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হন। তাদের সাথে ছিল ২টি এলএমজি, ৪টি স্টেনগান, ৪টি এসএলআর, ২টি গ্রেনেড, ২টি পিস্তল এবং ১টি সিগন্যাল পিস্তল। তা ছাড়া তাদের সাথে ছিল ২৫০ পাউন্ড বিস্ফোরক, জিইসি এবং পিইকে স্ল্যাব (প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ) আনুমানিক ১০০ পাউন্ড, পুল সুইচ মার্ক-৪ এবং ৪০০ গজ ডিটোনেটর কর্ড। রাত সাড়ে ১১টায় তারা পথিমধ্যে মিরসরাই বাজার এলাকার সরকারবাড়িতে পৌঁছেন। এখানে তারা কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। পিইকে বিস্ফোরক দ্রব্যটি প্লাস্টিক কভার থেকে খুলে রুটি বানানাের মতাে মলে সবগুলােকে একসাথে করেন। তারপর এটাকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। ব্রিজের গােড়া বা রেললাইনের নিচের পাথর সরানাে ও মাটি খুঁড়ে গর্ত করার জন্য স্থানীয়ভাবে কোদাল, শাবল, দা ইত্যাদি সংগ্রহ করা হয়। এভাবে প্রস্তুতি নিতে তাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। পরে তাঁরা রাত আনুমানিক আড়াইটায় ঐ বাড়ি থেকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করা জিনিসপত্র নিয়ে উদ্দিষ্ট স্থানে রওনা দেন। বর্ষাকাল এবং বেশ বৃষ্টি হচ্ছিল। অপারেশন স্থান থেকে ২০০ গজ দূরে থাকতেই তারা দেখতে পান যে, পাকিস্তানি সেনারা একটি রেলগাড়িতে করে। চারদিকে সার্চ লাইট দিয়ে আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে। এটা ছিল পাকিস্তানি সেনাদের রুটিন টহল। কিন্তু মুক্তিযােদ্ধাদের তা জানা ছিল না। তখন রাত আনুমানিক ৩টা। রেলগাড়িটি চলে গেলে তারা মােহামায়া ব্রিজের ওপর ওঠেন। এখানে কালবিলম্ব না করে আগে থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযােদ্ধারা বিস্ফোরক দ্রব্যাদি স্থাপনের কাজে লেগে যান। অন্য মুক্তিযােদ্ধারা বিভিন্ন গ্রুপ অনুযায়ী নির্দিষ্ট অবস্থান নেন। একটি বিচ্ছিন্নকারী দল বা ‘কাট অফ পার্টি ব্রিজের উত্তরে রাখা হয়। তাদের সাথে ছিল ১টি করে স্টেনগান ও এসএলআর। অন্য বিচ্ছিন্নকারী দলটি ব্রিজের দক্ষিণে রেললাইন সংলগ্ন স্থানে অবস্থান নেয়। এ পার্টির সাথেও পূর্বোক্ত সংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র দেয়া হয়। মূল দলকে ব্রিজের পশ্চিমে ছড়ার দক্ষিণে রাখা হয়।
তাদের সাথে ছিল ১টি এলএমজি ও ১টি এসএলআর। তা ছাড়া অন্য একটি গ্রুপ ব্রিজের পশ্চিমে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে ছড়ার উত্তর পাড় দিয়ে যাওয়া রাস্তার পাশে আখক্ষেতে পজিশন নেয়। এখানে এ পার্টি রাখার উদ্দেশ্য ছিল, যাতে পশ্চিম দিক থেকে আসা রাস্তা দিয়ে কেউ রেললাইনের দিকে যেতে না পারে। অধিনায়ক নিজাম ব্রিজের পশ্চিমে ১০০ গজ দূরে ছড়ার দক্ষিণে অবস্থান নেন। ভাের পাঁচটার মধ্যে ব্রিজের চার কোণায় রেললাইনের নিচে এক্সপ্লোসিভ স্থাপিত এবং ডিটোনেটর কর্ড দিয়ে ৪টি এক্সপ্লোসিভকে একসাথে যুক্ত করা হয়। প্রধান কর্ড অধিনায়ক নিজামের কাছে রাখা হয়। উল্লেখ্য, ডিটোনেটর কর্ডগুলাে ৪ ইঞ্চি গর্ত করে মাটির ভিতর দিয়ে টেনে আনা এবং প্রধান কর্ডের সাথে পুল সুইচ সংযুক্ত হয়। আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হলে অধিনায়ক নিজামের নির্দেশমতাে ২টি কাট অফ পার্টি পশ্চাদপসরণ করে আশ্রয় কেন্দ্র মাতব্বরহাটে ফিরে যায়। অপারেশন স্থানে ছিলেন শুধু অ্যামবুশ পার্টিসহ অধিনায়ক নিজাম। তারপর তারা স্থানীয় একটি পরিচিত বাড়িতে হাত-মুখ ধুয়ে সকালের নাস্তা সেরে নেন। ব্রিজের আশপাশের মাঠে আউশ ধানের চাষ করা হয়েছিল এবং ধানগাছগুলাে ছিল আনুমানিক ২ হাতের মতাে লম্বা। ধানগাছগুলাে থাকায় পর্যাপ্ত কাভার নিয়ে লুকিয়ে থাকাও সহজ ছিল ।

নাস্তা শেষ করে অধিনায়ক নিজাম একাই রেললাইনের ওপর ওঠেন। তখন সকাল প্রায় সাড়ে সাতটা। তিনি ব্রিজের আশপাশে কৃষিকাজে নিয়ােজিত পরিচিত চাষিদের ইশারা দিয়ে সরে যেতে বলেন। অবশ্য অচেনা চাষিদের গােপনীয়তার স্বার্থে কিছুই বলেন নি। তারপর তিনি রেললাইনের দক্ষিণ দিকে তাকাতেই দেখতে পান, মিরসরাই রেল স্টেশনে একটি ট্রেন দাঁড়ানাে। তিনি সময়ের হিসাব অনুযায়ী ধারণা করেন, এটা উষ্কা ট্রেন নয়। কারণ, এ ট্রেন সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে ছাড়ে এবং মিরসরাই রেল স্টেশনে পৌছাতে সকাল ৭টা ৫০ হওয়ার কথা। উপরন্তু মিরসরাই স্টেশনে এ উল্কা ট্রেনের স্টপেজ নেই। তবুও তিনি তার অ্যাকশন পয়েন্টে চলে যান।  ১০ মিনিট পর তিনি দেখতে পান, মিরসরাই স্টেশনে দাঁড়ানাে ট্রেনটি শুধু ১টি ইঞ্জিন ও ৪টি খােলা বগি (গাড়ি বা অস্ত্রশস্ত্র বহন করার বগি) নিয়ে ব্রিজ অতিক্রম করে উত্তর দিকে অর্থাৎ ঢাকার দিকে যাচ্ছে। অধিনায়ক নিজাম বুঝতে পারেন, এটি একটি Testing Train বা শাটল ট্রেন যা রেললাইন ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এজন্য তিনি কোনাে অ্যাকশন না নিয়ে লুকিয়ে থাকেন এবং অ্যামবুশ পার্টিকেও তার নির্দেশ ছাড়া কোনাে অ্যাকশনে না যাওয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশ দেন।

ট্রেনটি চলে যাওয়ার ১০ মিনিট পর আবার তিনি রেললাইনের ওপর ওঠেন। দক্ষিণ দিকে তাকিয়ে দেখতে পান একটি ট্রেন আসছে এবং শব্দও শােনা যাচ্ছে। এ ট্রেনটির আগমনের সময়ের সাথে তার প্রত্যাশিত ট্রেনের সময়ের প্রায় মিল হওয়ায় তিনি বুঝতে পারেন, এটাই তাদের টার্গেট অর্থাৎ ‘উল্কা এক্সপ্রেস’। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অ্যাকশন পয়েন্টে গিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকার আদেশ দেন। দেখতে দেখতে ট্রেনটি তার টার্গেট পয়েন্টে এসে উপস্থিত হলে অর্থাৎ ইঞ্জিন ব্রিজের অর্ধেক অতিক্রম করা মাত্রই তিনি পুল সুইচে টান দেন। সাথে সাথেই স্থাপিত এক্সপ্লোসিভ বিস্ফোরিত হয়। ব্রিজের এলাকা ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। রেললাইনের পাথর চারদিকে বুলেটের মতাে ছুটতে থাকে। এ অবস্থায় তিনি পশ্চাদপসরণ করেন এবং অ্যামবুশ পার্টিকেও পশ্চাদপসরণের আদেশ দেন। তারপর তারা নিরাপত্তার জন্য গ্রামের পরিচিত চাষিদের কাছ থেকে লাঙল ও জোয়াল নিয়ে শরীরে কাদা লাগিয়ে কৃষক সেজে ঢাকা-চট্টগ্রাম রােড অতিক্রম করেন। ক্ষয়ক্ষতি পরে জানা গেছে, এ অপারেশনে ১০জনের মতাে পাকিস্তানি সেনা মারা যায় এবং ৫জন আহত হয়। উল্কা ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৪টি বগি খাদে পড়ে যায়। কিছু নিরীহ যাত্রীও মারা যায়। মানুষের চিৎকারে ঐ এলাকায় ত্রাস ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
বিশ্লেষণ

এ অপারেশনের মাধ্যমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক ফুটে উঠেছে। প্রথমত, অধিনায়ক নিজাম বিস্ফোরক ব্যবহারে পারদর্শী ছিলেন। অপারেশনটি জুলাই মাসের শেষের দিকে সংগঠিত হয়েছিল বলে এ মাসের মধ্যে মুক্তিযােদ্ধারা গেরিলা যুদ্ধের বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষত বিস্ফোরক ব্যবহারে পারদর্শিতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। স্থানীয় জনগণের আন্তরিক সহায়তা এ অপারেশনের অপর একটি উল্লেখযােগ্য দিক। তবে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্বলতা পরিলক্ষিত। উল্কা এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্য ছাড়া নিরীহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতিই ছিল স্বাভাবিকভাবে বেশি। তা ছাড়া প্রতিক্রিয়াস্বরূপ পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তী সময় ঐ এলাকায় আরও নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। তাই বিষয়টি অপারেশনের পূর্বে উপলব্ধি করা প্রয়ােজন ছিল। মুক্তিযােদ্ধাদের এ ধরনের অপারেশনের পূর্বে এর সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়াও বিবেচনায় আনা উচিত ছিল। তবে | গেরিলা যুদ্ধের প্রাপ্তির দিক থেকে এ অপারেশনটি একটি সার্থক অপারেশন। গেরিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণ, মনােবল, দৃঢ়তা ও সুচারু কর্মপদ্ধতি এ অপারেশনের মাধ্যমে সুস্পষ্ট হয়েছে। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও পাকিস্তানি বাহিনীর মনােবল যে ভেঙে পড়েছিল তা পরবর্তীকালে তাদের চলাচলে ভালােভাবেই স্পষ্ট হয়ে। উঠেছিল। তথ্যসূত্র: সাক্ষাঙ্কার: মুক্তিযােদ্ধা অধিনায়ক আ ফ ম নিজামউদ্দিন, মিরসরাই, চট্টগ্রাম। সম্পাদকের টীকা: সাক্ষাকারকালীন অধিনায়ক নিজাম অপারেশনের তারিখ ১ আগস্ট বললেও এ গ্রন্থের দ্বাদশ অধ্যায়ের ৪০১ নম্বর দলিলে সন্নিবেশিত তাঁরই যুদ্ধ-উত্তর ডায়েরির তথ্য মতে, এ অপারেশন ২৮ আগস্ট সকালে সংঘটিত। এ বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি স্মরণভ্রান্তির কথা স্বীকার করেন এবং এতদিন পর তারিখ বিভ্রান্তি স্বাভাবিক বলে গণ্য করেন।

(মােহামায়া রেলসেতুতে উল্কা ট্রেনে অপারেশনের নকশাটি দেখুন ১১২০ পাতায়)

সূত্রঃ   মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান – প্রথম খন্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!