পাকিস্তানি জেনারেলদের চট্টগ্রাম সফর
বাঙালি নিধনের নীল নকশা সম্পন্ন করার চূড়ান্ত আয়ােজনের লক্ষ্যে মার্চ মাসেই বাংলাদেশের সর্বত্র পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। চট্টগ্রামও এর ব্যতিক্রম ছিল না। এতদুদ্দেশ্যে পাকিস্তানি জেনারেলরা চট্টগ্রাম সফর করেন। ২১ মার্চ জেনারেল হামিদ খান চট্টগ্রাম আগমন করেন। ধারণা, এ সফরে চট্টগ্রামে অবস্থিত অবাঙালি অফিসারদের বাঙালি নিধনের পূর্বাপর পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এর পর পরই ২৪ মার্চ লে. জেনারেল আবদুল হামিদ খান, মেজর জেনারেল খাদিম হােসেন রাজা, মেজর জেনারেল মিঠঠা, মেজর জেনারেল নওয়াজেস এবং ব্রিগেডিয়ার আনসারী হেলিকপটারে করে এক অনির্ধারিত সফরে চট্টগ্রাম আসেন। এ সফর ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এ সফরের সময়ই চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাঙালি সামরিক আইন প্রশাসক ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে (ক্যাপটেন আমিন আহমদ চৌধুরীসহ) ঐ জেনারেলরা কৌশলে তাদের সাথে ঢাকায় নিয়ে যান এবং অবাঙালি ব্রিগেডিয়ার আনসারিকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানি জেনারেলরা তাদের অপারেশনের প্রস্তুতি দেখতে ও চূড়ান্ত নির্দেশ দিতেই এসেছিলেন। তা ছাড়া অপারেশন পাকিস্তানি জেনারেলদের চট্টগ্রাম সফর বাঙালি নিধনের নীল নকশা সম্পন্ন করার চূড়ান্ত আয়ােজনের লক্ষ্যে মার্চ মাসেই বাংলাদেশের সর্বত্র পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। চট্টগ্রামও এর ব্যতিক্রম ছিল না। এতদুদ্দেশ্যে পাকিস্তানি জেনারেলরা চট্টগ্রাম সফর করেন।
২১ মার্চ জেনারেল হামিদ খান চট্টগ্রাম আগমন করেন। ধারণা, এ সফরে চট্টগ্রামে অবস্থিত অবাঙালি অফিসারদের বাঙালি নিধনের পূর্বাপর পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এর পর পরই ২৪ মার্চ লে. জেনারেল আবদুল হামিদ খান, মেজর জেনারেল খাদিম হােসেন রাজা, মেজর জেনারেল মিঠঠা, মেজর জেনারেল নওয়াজেস এবং ব্রিগেডিয়ার আনসারী হেলিকপটারে করে এক অনির্ধারিত সফরে চট্টগ্রাম আসেন। এ সফর ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এ সফরের সময়ই চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাঙালি সামরিক আইন প্রশাসক ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে (ক্যাপটেন আমিন আহমদ চৌধুরীসহ) ঐ জেনারেলরা কৌশলে তাদের সাথে ঢাকায় নিয়ে যান এবং অবাঙালি ব্রিগেডিয়ার আনসারিকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানি জেনারেলরা তাদের অপারেশনের প্রস্তুতি দেখতে ও চূড়ান্ত নির্দেশ দিতেই এসেছিলেন।
দ্রুত বন্দি করেন হতচকিত লে. কর্নেল জানজুয়া ও অন্যান্য অবাঙালি সেনা সদস্যকে ইতােমধ্যে ইউনিটের কর্তব্যরত অফিসার লােক মারফত ইবিআরসিতে বেঙ্গল রেজিমেন্ট রিক্রুটদের ওপর ২০ বালুচ রেজিমেন্ট কর্তৃক পরিচালিত হামলার খবর পান তা ছাড়া চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট গেট এলাকায় দায়িত্বরত লে, শমসের মবিন চৌধুরীও ২০ বালুচ রেজিমেন্টের আক্রমণের সংবাদ জেনে তাঁর অধীন সৈনিকদের নিয়ে দ্রুত রেজিমেন্টের অন্যান্য সৈন্যের সাথে যােগ দিতে ষােলশহরের দিকে অগ্রসর হন। ব্যাটালিয়নের অন্য একটি দল কোকাকোলা ফ্যাক্টরিতে লে, মাহফুজ ও সেকেন্ড লে, হুমায়ুনের (অবাঙালি) অধীনে দায়িত্বরত ছিল। লে, মাহফুজ সেকেন্ড লে, হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে তার দল নিয়ে দ্রুত ষােলশহর গমন করেন। লে. কর্নেল জানজুয়া কর্তৃক বন্দরে অস্ত্রবিহীনভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রেরিত দলটি কোনাে সংবাদ না পেয়ে ব্যাটালিয়নে যােগ দিতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীকালে তাদের এবং পাের্টে কর্মরত ইবিআরসির অন্যান্য বাঙালি সৈনিকদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।