৩ জুন ১৯৭১ঃ ইসলামপ্রিয় লোকদের সামরিক ট্রেনিং দিন – ১০ আলেম
মওলানা মুফতি দীন মোহাম্মদ খান (সাধারন সম্পাদক, লালবাগ জামিয়া কোরানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা, ঢাকা), মওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ (হাফেজ্জি হুজুর, সভাপতি, দাওাতুল হক, ঢাকা), মওলানা সিদ্দিক আহমদ (প্রাদেশিক নেজামে ইসলাম সভাপতি, দক্ষিন চট্টগ্রাম), মওলানা মোহাম্মদ ইউনুস (প্রিন্সিপাল, পটিয়া মাদ্রাসা, উনি জিয়ার বাহিনীকে ১দিন তার মাদ্রাসায় রাখেন এই সুবাদে তিনি এবং তার অনুসারী গন তাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বলে থাকেন), মওলানা মোস্তফা আল-মাদানী (নেজামে ইসলাম), মওলানা আজিজুর রহমান (সাধারন সম্পাদক, হিজবুল্লাহ শরশিনা, পিরোজপুর/ঝালকাঠী), আলহাজ্জ্ব আব্দুল ওয়াহাব (অর্থসম্পাদক, লালবাগ জামিয়া কোরানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা, ঢাকা),, মওলানা আশরাফ আলী (প্রাদেশিক নেজামে ইসলাম, সাধারন সম্পাদক), মওলানা আজিজুল হক ( মুহাদ্দিস, লালবাগ জামিয়া কোরানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা, ঢাকা) ও মওলানা নূর আহমদ (সাধারন সম্পাদক, দাওয়াতুল হক, ঢাকা) এক যুক্ত বিবৃতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মোকাবেলা করার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের ইসলামপ্রিয় লোকদের সামরিক ট্রেনিং দানের ব্যবস্থা করা এবং দেশপ্রেমিক অনুগত নাগরিকদের নিয়ে ‘মুজাহিদ বাহিনী’ গড়ে তোলার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহবান জানান। তারা বলেন ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারত বারবার পাক ভারত উপমহাদেশের মুসলমান্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পাকিস্তানকে ধ্বংস করার এবং মুসলমানদের স্বার্থহানী করার জন্য মুসলিম বিরোধী শক্তি গুলি চেষ্টা করছে। তারা বলেন দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী যখন সাফল্য জনক ভাবে ভারতীয় দুরভিসন্ধি বেরথ করে দিয়েছিল তখনি ভারতীয় ব্রাহ্মনরা পূর্ব পাকিস্তানীদের জন্য কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ শুরু করে।