১৯৭১ সনের ১১ই ডিসেম্বর ভোর ২-৪৫ মিনিটে পাকিস্তানী সৈন্যদের নির্দেশে একদল উর্দুভাষী লোক তাঁকে তাঁর বাসা থেকে অপহরণ করে হত্যা করে। সিরাজউদ্দিন হোসেনের মৃতদেহের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
জনাব হোসেন সপরিবারে ৫ নম্বর চামেলীবাগে থাকতেন। জনৈক ডাক্তার ছিলেন এ বাসার মালিক। অন্তিম দিনে দুষ্কৃতকারীরা সেই ডাক্তারকে সঙ্গে করে তার বাসায় প্রবেশ করে। জনাব হোসেনের দ্বিতীয় ছেলে দরজা খুলে দিলে দুষ্কৃতকারীরা বন্দুক উঁচিয়ে তাকে তার বাবার ঘর দেখিয়ে দিতে বলে। ঠিক এই সময় বেগম হোসেন বেডরুমের দরজা খুলে বের হন। সিরাজউদ্দিন হোসেনের উপর তখন একজন দুষ্কৃতকারীর নজর পড়লে সে জনাব হোসেনের নাম এবং পেশা জানতে চায়। সিরাজ সাহেব জানান যে তিনি পত্রিকায় চাকরি করেন। তখন তারা তাঁকে বেডরুম থেকে বারান্দায় নিয়ে আসে। এরপর দুষ্কৃতকারীরা জনাব হোসেনের ছেলেকে একটি ন্যাপকিন আনতে বলে, পরিবারের সবাইকে ভিতরের বেডরুমে চলে যেতে নির্দেশ দেয়। তারপর সিরাজউদ্দিন হোসেনকে একটি গাড়ীতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। কোথায় কেউ জানে না।
– দৈনিক ইত্তেফাকের কার্যনির্বাহী সম্পাদক জনাব সিরাজউদ্দিন হোসেনের স্ত্রী বেগম নূরজাহান সিরাজের বিবৃতির উপর ভিত্তি করে এটি লেখা হয়েছে।
সিরাজউদ্দিন হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা সাংবাদিক। ইত্তেফাকের ‘মঞ্চে নেপথ্যে’ কলামটি তিনিই লিখতেন।