দি সান, বৃহস্পতিবার, ৯ই ডিসেম্বর, ১৯৭১
বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে
গুরুত্বপূর্ণ শহর ভারতের দখলে আসায় রাস্তায় রাস্তায় নৃত্যোৎসব
গতকাল যখন ভারতীয় সৈন্যরা বিজয়ীর বেশে শহর অতিক্রম করছে তখন যশোরের গাইতে থাকা, নাচতে থাকা পূর্ব পাকিস্তানীরা আনন্দে উদ্দাম হয়ে ওঠে।
ভারতীয় ট্যাংকগুলো যখন গর্জন করতে করতে প্রধান সড়ক ধরে যাচ্ছিল – তখন রেডিও পাকিস্তান থেকে বারবার প্রচার করা হচ্ছিলঃ “যশোর এখনো আমাদের দখলে”।
হাজার হাজার শহরবাসী একত্র হয়ে, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছিল “জয় বাংলা!” – “স্বাধীন বাংলার জয় হোক”।
ভয়াবহ
তাদের জন্য, ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিতির মানে হচ্ছে এই বছরের শুরুতে বাংলাদেশের বিদ্রোহ দমন করার জন্য পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আরোপিত আতঙ্ক এবং ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার অবসান।
প্রতিটি জানালায়, এই নতুন বিদ্রোহী রাষ্ট্রটির সবুজ-এবং-হলুদ পতাকা উড়ছিল।
শহরের বাইরে তিনদিন ধরে প্রচণ্ড যুদ্ধ করার পর পাকিস্তানী সৈন্যরা রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গেছে, ভারতীয় বাহিনীর অবরোধের দেয়ালের সর্বশেষ ফোঁকর গলে।
সকালে, বাংলাদেশের গেরিলা যোদ্ধারা শয়ে শয়ে অস্থায়ী প্রতিবন্ধকতাগুলো পেড়িয়ে আসে এবং শহরে প্রবেশ করে।
তারা জেলখানা দখল করে নেয় এবং ৬৫০ জন বন্দীকে মুক্ত করে।
এদের মধ্যে ছিলেন দুই জন ত্রাণ কর্মী – ২১-বছর-বয়সী গর্ডন স্লাভেন, হ্যাম্পস্টেড থেকে, এবং ২৭ বছর-বয়সী মার্কিন নাগরিক মিসেস এলেন কনেট – যাদেরকে দাতব্য কাজে বেআইনি ভাবে পূর্ব পাকিস্তানে প্রবেশের দায়ে এখানে কয়েদ করে রাখা হয়।