১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ঃ টাঙ্গাইলে ১০১ কমুনিকেশন জোনের সভা
রাত ন’টায় মেজর জেনারেল নাগরা টাঙ্গাইলে আসেন। ব্রিগেডিয়ার ক্লের ও ব্রিগেডিয়ার সন্ত সিং সন্ধ্যা থেকে টাঙ্গাইলে অবস্থান করছিলেন। রাত সাড়ে ন’টায় টাঙ্গাইল ওয়াপদা রেস্ট হাউসে তাঁরা পরবর্তী যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনার শুরুতে মেজর জেনারেল নাগরা এই সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
জেনারেল নাগড়া খবর পান যে কালিয়াকৈরে জঙ্গলে টাংগাইলের ভেতর থেকে যাওয়া পাক সৈন্যরা আত্মগোপন করেছেন। তিনি তাদের ধরার জন্য তার ৬ শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রিকে দায়িত্ব দেন। তারা কয়েক ঘণ্টার তল্লাশিতে তাদের খুজে পান এবং ব্রিগেডিয়ার কাদির সহ ৭ জন অফিসারকে আটক করেন।
৯৫ ব্রিগেডের ১ মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রি, ১৩ গার্ড, ৬ শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রিকে কালিয়াকৈর দখল করতে বলা হয়। এই তিন বাহিনী সকাল ৬ টায় টাঙ্গাইল ত্যাগ করে। এদের মাত্র দুটি কোম্পানি গাড়িতে করে বাকীরা পায়ে হেটে রওয়ানা হয়। ২০ মাইল যাত্রায় বিকেল ৩ টায় তারা কালিয়াকৈর পৌঁছে। রাত ১০ টা নাগাদ পাকিস্তানীদের পরাজিত করে তারা চন্দ্রা মোড়ে পৌঁছান। এখানে ৬ জন পাক জওয়ান নিহত হয় ২ জন আটক হয়। ভারতের ৬ শিখ লাইটের একজন জেসিও ও একজন জওয়ান নিহত হঅ। ৭ জন জওয়ান আহত হয়। ভারতীয় বাহিনী চন্দ্রা নবিনগর রাস্তা সম্পর্কে জানতো না এই রাস্তা তাদের মানচিত্রে ছিল না। কিছুটা যাচাই করে এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে জেনে বাহিনীকে দু পথে সে রাতেই অগ্রসর করানো হয়। রাস্তাটি তখন নির্মাণ পর্যায়ে ছিল।