২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
- ৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কাটাখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর ৩ ইঞ্চি মর্টারের সাহায্যে ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ১০ জন আহত হয়।
- ২নং সেক্টরে সুবেদার গোলাম আম্বিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল শ্রীপুর এলাকায় পাকহানাদরদের অ্যামবুশ করে। এই অ্যামবুশে পাকহানাদার বাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।
- পাকবাহিনীর দুই কোম্পানী সৈন্য কুষ্টিয়ার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্য নের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে মুক্তিবাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে। মুখোমুখি সংঘর্ষে পাকহানাদর বাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত ও ৫ জন গুরুতরভাবে আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুধ দখল করে।
- মুক্তিবাহিনীর ৬০ জন গেরিলার একটি দল ভারতের মেঘালয়ের ক্যাম্প থেকে গেরিলা ট্রেনিং শেষে চারটি নৌকায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পথে শালদা নদীতে পাকসেনাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনীর দুটি নৌকা পানিতে ডুবে যায়। এতে ৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।
- ৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর কোটা নামক এলাকায় অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৪ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোন ক্ষতি ছাড়াই নিরাপদে নিজেদের অবস্থানে ফিরে আসে।
- পিপিপি প্রধান জুলফিকার আলী ভু্েটা করাচীতে ঘোষণা করেন, তাঁর দল পূর্ব পাকিস্তানের উপনির্বাচনে অংশ নেবে। তিনি জানুয়ারিরে আগেই দেশে পূর্ণ সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করে একই সাথে কেন্দ্রে ও প্রদেশসমূহে ক্ষমতা জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
- গভর্নর ডা. এ.এম মালিকের সভাপতিত্বে সেক্রেটারিয়েটের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রীপরিষদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নবনিযুক্ত মন্ত্রীরা তাদের পাকিস্তান প্রীতির নিদর্শন হিসেবে বেতনভাতা কমিয়ে নেয়।
- গভর্নর ডা. এ. এম. মালিক সংবাদপত্র ও বার্তা প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে প্রচারণার কৌশল নির্ধারণ করে দেয়া হয়।
Source: Bangladesh Liberation War Museum