You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ বগুড়ার পথে মিত্র বাহিনী

ভারতীয় ২০২ ব্রিগেড এবার জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল দিয়ে বগুড়া প্রবেশের লক্ষে ১২ তারিখ ঘোড়াঘাট যায়। ১৩ তারিখ সেখান থেকে সৈয়দপুর হয়ে ক্ষেতলাল প্রবেশ করে। ভারতের ১৬ রাজপুত, ৬৯ আরমার্ড রেজিমেন্ট এর এক স্কোয়াড্রন ৬৩ কেভেলরির এক স্কোয়াড্রন বিনা বাধায় ক্ষেতলাল প্রবেশ করে। এদিক দিয়ে আসার কারন হল এখানেই পাকিস্তানের ২০৫ ব্রিগেড সপ্তাহ খানেক আগে অবস্থানে ছিল। পাকিস্তানী বাহিনীর ক্ষুদ্র একটা অংশ ৩টি ট্যাঙ্ক নিয়ে এখানে অবস্থান করছিল পরে তারা বগুড়ার দিকে পিছু হটে। এ সময় ভারতীয় বাহিনীর আক্রমনে একটি ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়। বগুড়ার দিকের রাস্তা এবং ব্রিজ সমুহ ক্ষতিগ্রস্ত থাকায় ৬৩ কেভেলরি আর অগ্রসর হয়নি। পূর্ব নির্ধারিত বদলীর আদেশে পশ্চিম ফ্রন্টের উদ্দেশে ৬৩ কেভেলরি যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে বিদায় নেয়। ২০২ ব্রিগেডকে ডিভিশন রিজার্ভ হিসাবে গোবিন্দগঞ্জে অবস্থান নিতে বলা হয়। ১২-১৩ ডিসেম্বর রাতে ১৬৫ ব্রিগেডের ৪ রাজপুত, ১গার্ড পাচবিবি দিয়ে প্রবেশ করে। এখানে কিছু প্রতিরোধ সৃষ্টি করেছিল পাক বাহিনী। এখানে ২০ জন পাক সৈন্য নিহত হয় এবং ১ জন সৈনিক, ৪টি জীপ, ১টি ১০৬ এমএম গান আটক করা হয়। এখানে ভারতের ১ গার্ডের ৩ জন জওয়ান নিহত হয় এবং ২ জন অফিসার ৯ জন জওয়ান আহত হয়।
নোটঃ বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রেই লেখালেখিতে আজ বগুড়া মুক্ত দিবস। আমি ফলো করছি ভারতীয় সরকারী প্রকাশনা সহ পাকিস্তানী ৪টি বই ও ব্রিগেডিয়ার তাজাম্মুলের প্রবন্ধ এবং লচমন সিংহ এর বই সহ ভারতীয় ৭টি বই। তাই দু তিনটি ক্ষেত্রে এ বিবরন বাংলাদেশে বর্ণীত বিবরনের সাথে মিলবে না এর মধ্যে বগুড়াও আছে।

 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!