You dont have javascript enabled! Please enable it!

৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১

  • যথাযোগ্য পবিত্রতার মধ্য দিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়। বিভিন্ন ঈদের জামাতে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং সাম্রাজ্যবাদী ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে প্যালেস্টাইনীদের মুক্তি সংগ্রামে সাফল্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আউটার স্টেডিয়ামে ঢাকার প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রাদেশিক গভর্নর ভাইস এডমিরাল এম. এম. আহসান ঈদের প্রথম জামাতে নামাজ পড়েন। আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডি ক্লাব ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন।
  • স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের গভর্নর জনাব এম. রশিদ শিল্প, কাঁচামাল, শেয়ার ও সিকিউরিটি এবং রপ্তানির উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাকে ৫ লক্ষ টাকা অগ্রীম দানে কোন প্রকার বাধা না দেয়ার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঢাকাতে এক নির্দেশ দেন।
  • মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ড. শিবসাগর রামগোলাম ৬ দিনব্যাপী পাকিস্তান সফর শেষে পাকিস্তান ও মরিশাসের এক যুক্ত ইস্তেহারে জাতিসংঘের প্রস্তাবের বাস্তবায়ন দ্বারা আন্তর্জাতিক উত্তেজনা প্রশমিতকরণ এবং শান্তি দীর্ঘায়িত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
  • পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান রাওয়ালপিন্ডির জিএইচকিউ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর তিনি বহু সংখ্যক লোকের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
  • মুদ্রাস্ফীতি প্রতিরোধ ব্যবস্থার ছদ্মবেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলি ঋণ প্রদানের উপর যে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে, এর ফলে শীঘ্রই পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতির উপর বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে ঢাকা বণিক সমিতির প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান মত প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে জনাব রহমান বলেন, এই ব্যবস্থা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের নিশ্চিহ্ন করবে যার অর্থ সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর অবলুপ্তি।
  • Source: Bangladesh Liberation War Museum
error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!