You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.02.06 | ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ - সংগ্রামের নোটবুক

৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১

  • পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির কার্যকরী কমিটির বর্ধিত সভায় গৃহীত রাজনৈতিক প্রস্তাবে দেশের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্রে পাকিস্তানের পাঁচটি ভাষাভাষী জাতির বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকারসহ আত্মনিয়ন্ত্রণের পূর্ণ স্বীকৃতি নিশ্চিত এবং ১১-দফা কর্মসূচি ও জাতিসমূহের সমানাধিকারের নীতি অনুযায়ী শাসনতন্ত্র প্রণয়নের আহবান জানানো হয়। ঐ সভায় জননেতা মনি সিং, অজয় রায়, দেবেন শিকদার, পীর হাবিবুর রহমান প্রমুখ আটক সকল রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীর মুক্তির দাবি করা হয়।
  • পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী এক বিবৃতিতে লাহোর বিমান বন্দরে অপহৃত ভারতীয় বিমান ধ্বংসের তীব্র নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ পাক-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অগ্রগতিতে যেকোন বাধা সৃষ্টির চক্রান্ত সহ্য করা হবে না বলে উল্লেখ করেন।
  • পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের প্রস্তুতি হিসাবে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি ৬-দফা সম্পর্কে ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তাঁর আলোচনার সারমর্ম এবং এ ব্যাপারে পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের মতামত জানার জন্য তাঁর বর্তমান প্রচেষ্টা সম্পর্কে প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন।
  • আকাশবাণীর খবরে বলা হয় যে, ভারতীয় সামুদ্রিক বন্দরগুলোতে পাকিস্তানের কোন জাহাজ ভিড়তে দেয়া হবে না। এমনকি করাচী বন্দর হতে আসা কোন বিদেশী জাহাজকেও ভারতীয় সমুদ্র বন্দরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
  • কয়েক হাজার ভারতীয় ছাত্র নয়াদিল্লীস্থ পাকিস্তানি দূতাবাসের ওপর হামলা চালায়। দূতাবাসের গেটে ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে দুই শতাধিক পুলিশ ও ছাত্র আহত হয়। পুলিশ গুলিবর্ষণ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়।
  • পূর্ব পাকিস্তানের জামাতে ইসলামীর আমীর গোলাম আজম বিমান হাইজ্যাককে কেন্দ্র করে ভারত সরকার, তাঁর ভাষায়, যে অযৌক্তিক ও কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন এবং জনগণের সরকার গঠনের পথে যাতে কোন বিঘœ সৃষ্টি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
  • প্রেসিডেন্ট জেনারেল এ. এম. ইয়াহিয়া খান রাওয়ালপিন্ডিতে বলেন, পাকিস্তান সরকার কারিগরী ও অন্যান্য ক্ষেত্রে মরিশাসকে সাধ্যমত সাহায্য-সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানার্থে দেয়া মধ্যাহ্ন ভোজসভায় তিনি একথা বলেন।
  • Source: Bangladesh Liberation War Museum