৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১
- আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্র লীগের ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রমনা গ্রীনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন, নির্বাচনে একথাই প্রমাণিত হয়েছে যে বাঙালিরা চিরদিন বাঙালি হিসেবেই বেঁচে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ৭ কোটি বাঙালি ব্যতীত অন্য কারো ৬-দফা কর্মসূচিকে পরিবর্তন করার অধিকার নেই। (তথ্যটি সম্ভবত ৪ জানুয়ারি ১৯৭১ এর হবে)
- ভারত তার আকাশসীমার ওপর দিয়ে সকল পাকিস্তানি বিমান চলাচল নিষিদ্ধ কয়ে দেয়। ইতিপূর্বে পাকিস্তানের সামরিক বিমান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছিল। কাশ্মীরী কমান্ডো কর্তৃক ভারতীয় ফকার বিমান ধ্বংস করার প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দিল্লী সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এর ফলে পাক সরকার কলম্বো হয়ে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে আন্ত-আঞ্চলিক ফ্লাইটের বিমান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
- পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনোত্তরকালে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট তারিখের জন্য যুক্তিসঙ্গত সময়-সীমা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির প্রথম বৈঠক ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ডাকা হয়। সমসাময়িককালে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাবলী বিবেচনা এবং আওয়ামী লীগ দল, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির কর্তব্য নির্ধারণের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকও ডাকা হয়।
- পাকিস্তান সরকার নয়াদিল্লীস্থ পাকিস্তানি হাই কমিশন ভবনের চতুঃপার্শ্বে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। ইসলামাবাদস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার বি. কে আচার্যকে দু’বার পররাষ্ট্র দফতরে ডেকে পাঠানো হয় এবং পাকিস্তানের গভীর উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
- পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ, ডাকসুর সহ-সভাপতি আ. স. ম আব্দুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মাখন এক যুক্ত বিবৃতিতে ভারতীয় বিমান অপহরণ এবং তা ধ্বংস করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং এর তীব্র নিন্দা জানান। এক বিবৃতিতে তাঁরা ঘটনাকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর ব্যাহত করারই চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেন।
- Source: Bangladesh Liberation War Museum