বাহারছড়া বধ্যভূমি
কক্সবাজার শহরের পুরনো রেস্টহাউস ময়দানে এ বধ্যভূমিটি। বর্তমানে এই বধ্যভূমিটি সেনা বাহিনীর ১৭ ইসিবির (ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন) সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে পড়েছে। চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবুল হক জানান, এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্প। এখানে সাধারণ মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা, নারীদের নির্যাতন করা হতো। বর্ত্মান স্মৃতিস্তম্ভের কাছেই সে সময় গুলি করে হত্যা করা হতো। মুক্তিযুদ্ধের পর এই বধ্যভূমি থেকে উদ্ধার হওয়া অধিকাংশ কঙ্কালই ছিল নারীর। উদ্ধারকৃত খুলিতে মেয়েদের লম্বা চুল ও কাপড় জড়ানো ছিল। এটিকে অনেকে বাহারছড়া বধ্যভূমি হিসেবেও চেনে।
মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বান জানান, যুদ্ধ শেষে কক্সবাজার ফিরে তিনি জানতে পারেন বর্তমান সেনা ক্যাম্প এলাকায় বিপুল সংখ্যক লাশ ছিল। যেগুলো গণকবরে সমাহিত করা হয়।
অন্যসূত্রে বলা হয়েছে-১৯৭২-এ “দৈনিক বাংলা” প্রতিনিধি উল্লেখ করেছেন, “রেস্ট হাউজের স্টোর রুমে সাতটি শুকিয়ে যাওয়া লাশ পাওয়া গেছে। দুটো লাশকে গলাকাটা অবস্থায় দেখা গেছে। রেস্ট হাউজের সামনের কূপে ১১টা নরকঙ্কাল আবিষ্কৃত হয়েছে’। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত সূত্র দৈনিক বাংলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২)