২২ মে ১৯৭১ঃ ‘সীমান্ত গান্ধী’ খান আব্দুল গাফফার খান
কাবুলে স্বেচ্ছা নির্বাসিত ‘সীমান্ত গান্ধী’ হিসেবে পরিচিত খান আব্দুল গাফফার খান সামরিক সরকার এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাঙ্গালীদের অপরাধ বাঙালিরা জয় লাভ করেছে সারা পাকিস্তানের নির্বাচনে। এখন তাঁদের ওপর দোষারোপ করা হচ্ছে, তারা পাকিস্তান ভেঙে দিতে চায়। আরো বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের ৬-দফা কর্মসূচি পাকিস্তানের অখন্ডতার পক্ষে বিপজ্জনক। ৬-দফা যদি পাকিস্তানের সংহতির পক্ষে বিপজ্জনক হয়, তাহলে সামরিক আইন কর্তৃপক্ষ কেন গোড়াতেই এর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেনি? ৬-দফার ওপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয় লাভ করেছে। এছাড়া ইয়াহিয়া খান যখন ঢাকা যান এবং শেখ মুজিবের সাথে সাক্ষাৎ করেন, তখন তিনি মুজিব সাহেবকে পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী বলে ঘোষণা করেছিলেন। ৬-দফা যদি পাকিস্তানের সংহতির পক্ষে বিপজ্জনক হয় তাহলে এসব কথার অর্থ কী? আসল কথা হলো, মুজিব সাহেব নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেনএবং তাঁরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার কথা। সীমান্ত গান্ধী আরো বলেন, পাকিস্তানি জনসাধারণের কাছে আমি এ বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ সব সময়ই ধর্মের নামে আমাদের সঙ্গে হঠকারিতা করেছে। তারা ইসলামের কথা বলে, অথচ আজ পূর্ব বাংলায় ঘটছে তা কি ইসলাম ও পাকিস্তানের কল্যাণের জন্য করা হচ্ছে ?