২২ মে ১৯৭১ঃ নিউইয়র্ক টাইমসে পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থী পরিস্থিতি
সাংবাদিক সিডনী শনবার্গ নিউইয়র্ক টাইমসের এদিনের সংখ্যায় এক প্রতিবেদনে পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থী পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন শরণার্থীদের অনেকেই সরকারী শিবির সমুহে জায়গা না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে নিজেরা ঘর তৈরি করে জীবন যাপন করছেন। অনেক স্থানেই সুয়ারেজের পাইপকে তারা আবাস হিসেবে ব্যাবহার করছে। কোথাও কোথাও কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। কোনকোন স্থানে পেটের পীড়া এবং আমাশয় এর প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্যন্ত কোন বৈদেশিক সাহায্যের প্রমান প্রতিবেদকের চোখে পড়েনি। সাব্রুমে এক বয়স্ক মহিলাকে তিনি দেখেছেন এক বিদেশীর কাছে ভিক্ষা চাইতে। মহিলাটি তার ১৬ বছরের দুই জমজ বাচ্চার খাবারের জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন। তিনি জানান পাকিস্তানী সৈন্যরা তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। সাব্রুমের ২ কিমি উত্তরে হরিনাতে ১২০০০ শরণার্থীদের একটি ক্যাম্প আছে। সেখানে প্রতিবেদক দেড় বছরের এক জীর্ণ শীর্ণ শিশুকে দেখেন অপুষ্টির শিকার এ সিশু দাড়াতে পারছিল না এমনকি হামা গুড়ি ও দিতে পারছিল না। আগরতলা ২৬০ বেডের হাস্পাতালে গিয়ে দেখেন সেখানে ৫০০ এর উপর রোগী যাদের বেশীর ভাগই পূর্ব পাকিস্তানী এবং তাদের মধ্যে ১০০ জন বুলেট জখম নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে তিনি তিন মাসের শিশুকে বুলেট ইনজুরি দেখেছেন এবং এক গর্ভবতী নারীকে তলপেটে বুলেট ইঞ্জুরি দেখেছেন। ১১ বছরের এক ছেলে শিশুর পায়ে গুলিবিদ্ধ নিয়ে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মিনতি রানি নামে চট্টগ্রামের এক কলেজ ছাত্রীকে এখানে পাওয়া গেল যাকে পাক সেনারা তাকে ধর্ষণ করেছে। সাবরুমের নদীর এক পাড়ে পাকিস্তানী ক্যাম্প আরেক পাড়ে শরণার্থী ক্যাম্প।