You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকার

গত ১ জুলাই বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী মুজিবনগরে বাংলাদেশ গণ প্রজাতন্ত্রী সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহম্মদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক আধ ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
বৈঠকে সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে বলেন, পাকিস্তানের দীর্ঘ ২৪ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন শােষণের নাগপাশ ছিন্ন করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েমের জন্য বাংলাদেশে আজ জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের সূচনা হয়েছে। এই সংগ্রামকে সুনির্দিষ্ট ও সুনিশ্চিতভাবে বিজয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক দল ও শক্তির নিম্নতম কর্মসূচীর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার এবং একটি জাতীয় মুক্তি ফ্রন্ট গড়ে তােলা দরকার। এই উপলব্ধি থেকেই গত ১ জুন বাংলাদেশের ৯টি সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি নামে একটি কমিটি গঠন করে এ ক্ষেত্রে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
উল্লিখিত ৯টি সংগঠনের মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (মওলানা ভাসানীর নেতৃত্ব), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (হাতিয়ার), পূর্ব বাংলা শ্রমিক-কৃষককর্মী সংঘ, পূর্ব বাংলা ছাত্র ইউনিয়ন, পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন, পূর্ব বাংলা শ্রমিক ফেডারেশন এবং পূর্ব পাকিস্তান শ্রমিক ফেডারেশন।
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন অত্যন্ত আগ্রহের সাথে সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধির বক্তব্য শ্রবণ করেন এবং তার হাতে প্রদত্ত সমন্বয় কমিটির মুদ্রিত ঘােষণা পত্রটি পাঠ করে দেখেন।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক দল ও ব্যক্তিসমূহের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়ােজনীয়তা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধির সঙ্গে একমত হন।

সূত্র: দেশের ডাক
২৩ জুলাই, ১৯৭১

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!