You dont have javascript enabled! Please enable it!

২২ মে ১৯৭১ঃ করাচীতে ইয়াহিয়া জোসেফ ফারল্যান্ড বৈঠক

সন্ধ্যায় পাকিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জোসেফ ফারল্যান্ড মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎ পর্বটি দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হয়। করাচী কনস্যুলেট সাক্ষাৎ পরবর্তী একটি টেলিগ্রাম মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠান। ফারল্যান্ড ইয়াহিয়াকে শরণার্থী বিষয়ে একটি গন বিবৃতি দেয়ার জন্য অনুপ্রানিত করেন। বৈঠকে ফারল্যান্ড ইয়াহিয়াকে ভারতে আশ্রয় নেয়া ২৫ লাখ শরণার্থী গমন বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শরণার্থী গমন হার যাতে বৃদ্ধি না পায় তার ব্যাবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান। ইয়াহিয়া এ সংখ্যাকে অতিরঞ্জিত বলে দাবী করেন। ফারল্যান্ড ইয়াহিয়াকে শরণার্থী বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মন্তব্য স্মরন করে দেন। শরণার্থী প্রবাহ নিয়ে ফারল্যান্ড তার সরকারের এসএজি এর উদ্বেগ এর কথাও ইয়াহিয়াকে জানান। তিনি হিন্দুদের প্রতি সেনাবাহিনীর অত্যাচারের প্রশ্ন তোলেন। এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন ব্যাহত হতে পারে তাও জানান। তিনি ইয়াহিয়াকে বলেন এ ধরনের ঘটনা ভারতের হাতকে আরও শক্তিশালী করছে। ইয়াহিয়া ফারল্যান্ডকে বলেন এসকল তথ্য বিবিসি এবং ভয়েস অফ আমেরিকার। ফারল্যান্ড জবাবে বলেন এসকল তথ্য তাদের ঢাকাস্থ কনসুলেট এর। শেষে ইয়াহিয়া ফারল্যান্ডকে বলেন যদি এরুপ কোন ঘটনা ঘটে তা সরকারী নীতির বহির্ভূত। তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন বলে ফারল্যান্ডকে জানান। বৈঠকে ইয়াহিয়া বিদ্রোহীদের সামরিক প্রশিক্ষন এবং অস্র সরবরাহ বিষয়ে ভারতকে নিবৃত করার জন এসএজি কে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ফারল্যান্ডকে অনুরোধ জানান। 
নোটঃ এসএজি – স্পেশাল একশন গ্রুপ। পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক শীর্ষ মার্কিন নীতি নির্ধারণ সংস্থা। ফারল্যান্ড এর পরামর্শ মোতাবেক ইয়াহিয়া দুদিন পর জনগনের উদ্দেশে বিব্রিতি দেন।

 

 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!