You dont have javascript enabled! Please enable it!
মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও কবি নজরুল
সময়ের দূরত্বে ঠিক ২৬ বছর। ১৯৭১ সালের মে মাসের কথা। বাংলাদেশের সর্বত্র তখন পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত পথে ১০ই এপ্রিল প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন হয়ে গেছে। প্রকাশ্যে এই সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ হয়েছিলাে ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথপুর গ্রামে। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও সর্বাধিনায়ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম আর প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা দেখতে পেলাম যে, প্রবাসী সরকার অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সশস্ত্রবাহিনীকে সংগঠিত করে ১১টি সেক্টরে গড়ে তুললাে বিশাল মুক্তিবাহিনী। এর পাশাপাশি হচ্ছে প্রােপাগাণ্ডা ও প্রচারযুদ্ধ। দখলীকৃত এলাকার ৬টি বেতারকেন্দ্র থেকে বাঙালী মুক্তিযােদ্ধা এবং বাংলাদেশের বাঙালী জাতির বিরুদ্ধে যে বিষােদগার শুরু হয়েছে, তার সমুচিত জবাব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ স্বয়ং উদ্যোগ গ্রহণ করে জরুরী ভিত্তিতে একটা ৫০ কিলােওয়াট ট্রান্সমিটার সংগ্রহ করলেন। উদ্দেশ্য হচ্ছে অবিলম্বে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র চালু করতে হবে। আমার সৌভাগ্য যে, আমিও এই বেতারকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলাম। আমাদের তখন অভিজ্ঞ বেতার কর্মীর দারুণ অভাব। সেদিন মুজিবনগরে অবস্থান করা সত্ত্বেও ঢাকা টিভির দু’জন উচ্চপদস্থ কর্মচারী আমাদের সহযােগিতা করতে অস্বীকৃতি জানালেন।
এতােসব বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও জনাকয়েক সাংস্কৃতিক ব্যক্তি আর ঢাকা স্টেশনের প্রােগ্রামের তিনজন মাত্র বেতারকর্মী যথাক্রমে আশফাকুর রহমান, তাহের সুলতান আর টি এইচ শিকদারকে নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করলাম। তবুও স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শুরুটা আরাে ২৪ ঘন্টার জন্য পিছিয়ে দেয়া হলাে। আমাদের মধ্যে আলােচনা হলাে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর একটা ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পর্কে। ১৯২৯ সালের ১৫ই ডিসেম্বর কোলকাতার এলবার্ট হলে নজরুল সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র তাঁর ভাষণে এমর্মে বলেছিলেন যে,  আমরা যখন যুদ্ধক্ষেত্রে যাব, তখন সেখানে নজরুলের গান গাওয়া হবে। আমরা যখন কারাগারে যাব, তখনও তার গান গাইব।” মাত্র একদিন পরেই এহেনাে বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের জন্মদিন। তাই স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শুরুটা হলাে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে- বাংলা ১৩৭৮ সনের ১১ই জৈষ্ঠ্য, ইংরেজী ১৯৭১ সালের ২৫শে মে রােজ মঙ্গলবারে। প্রথম দিনে সকাল ও সন্ধ্যায় দু’টি অধিবেশনে অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছিলাে ১২০ মিনিট।
এতে বাংলা ও ইংরেজী সংবাদ এবং বজ্রকণ্ঠ (বঙ্গবন্ধুর বাণী) ও চরমপত্র ছাড়াও জাগরণী’ শিরােনামে একটি মাত্র সঙ্গীতের অনুষ্ঠান ছিলাে। এই ‘জাগরণী অনুষ্ঠানে টেপে ধারণকৃত প্রথম যে সঙ্গীত প্রচারিত হয়েছিলাে, সেটাই হচ্ছে নজরুলের অমর সঙ্গীত “দূর্গম গিরি কান্তার মরু” এই গানে অনুপ্রাণিত হলাে হাজার হাজার মুক্তিযােদ্ধা তথা সমগ্র বাঙালী জাতি এখানেই শেষ নয়। ঠিক এমনি সময়ে এক দুঃসংবাদ এসে পৌছালাে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান সরকার দুরারােগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত কবি নজরুলের মাসােহারা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সবাই এর তীব্র নিন্দা করলাে। আর প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ প্রবাসী সরকারের বাজেট থেকে। নিয়মিতভাবে নজরুলকে সমপরিমাণের মাসােহারা দেয়ার ব্যবস্থা করলেন। এর পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রতিনিয়তই প্রচারিত হলাে নজরুলের বিখ্যাত কোরাস গানগুলাে দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত এর কোনাে ব্যতিক্রম হয়নি। শেষ অবধি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় হলাে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। গণতান্ত্রিক বিশ্বের ক্রমাগত চাপে পকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি তিনি ফিরে এলেন স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে এবং মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। কেননা বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে তখন পর্বত প্রমাণ সমস্যা। বঙ্গবন্ধুর সরকার অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে পরিস্থিতির মােকাবিলা করলাে। প্রথমেই ভারত থেকে প্রায় এক কোটি শরণার্থীর দেশে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি বেসামরিক প্রশাসন এবং সশস্ত্রবাহিনীগুলােকে পুনর্গঠিত করা হলাে। এরপরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ কৃতিত্বের দরুন বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার এবং জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ আর ওআইসি’র সদস্যপদ লাভ সম্ভব হলাে। এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার ব্রিজ ও কালভার্ট মেরামত এবং সড়ক ও রেলযােগাযােগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হলাে। জরুরী ভিত্তিতে তেজগাঁও বিমানবন্দরের বিধ্বস্ত রানওয়ে পুনঃনির্মাণ এবং চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দরে পুনরায় জাহাজ চলাচলের পদক্ষেপ নেয়া হলাে। সর্বোপরি ভারত থেকে স্থল পথে আট লক্ষ টন খাদ্যশস্য আমদানি করে খাদ্য সংকট মােকাবিলা করা হলাে। 
অন্যদিকে দ্রুত সংবিধান প্রণয়ন করা ছাড়াও আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় ফল-ফুল ইত্যাকার সমস্ত  বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলাে। বঙ্গবন্ধু স্বয়ং উদ্যোগ গ্রহণ করায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘােষণাদান করা ছাড়াও কবির রচিত ঐতিহাসিক চল্ চল্ চল্, উর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’ গানটিকে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর মার্চিংসঙ্গীত হিসেবে মর্যাদাদান করা হলাে। এখানে শেষ নয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের আরাে সিদ্ধান্ত হচ্ছে, অবহেলিত কবিকে প্রয়ােজনীয় চিকিৎসা ও শুশ্রুষার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসতে হবে। এখন থেকে সমস্ত দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের  বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে অনতিবিলম্বে ঢাকায় পাঠাবার লক্ষ্যে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভারত সরকারকে অনুরােধ জানানাে হলাে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমর্মে ইচ্ছা প্রকাশ করলেন যে, বিদ্রোহী কবির। উপস্থিতিতেই ঢাকায় আড়ম্বরের সঙ্গে কবির ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। মাঝে মাত্র দিন দুয়েকের সময় তখন নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন। প্রখ্যাৎ শিক্ষাবিদ ড: এ আর মল্লিক তিনি ত্বরিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার শরণ সিং-এর সঙ্গে। সাক্ষাৎ করে বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছার কথা অবহিত করলেন। এতেই কাজ হলাে। ভারত সরকার  এ ব্যাপারে সমস্ত রকমের সহযােগিতার আশ্বাস প্রদান ছাড়াও রাজ্য সরকারকে প্রয়ােজনীয় নির্দেশ পাঠিয়ে দিলাে। এসময় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী মতিউর রহমান এবং আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মােস্তফা সারােয়ার কোলকাতায় অবস্থান করছিলেন। কবিকে ঢাকায় নিয়ে আসার আনুসঙ্গিক ব্যবস্থা সম্পন্ন করার জন্য এঁরা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশেষ দূত। প্রসঙ্গত একথা উল্লেখ করতেই হয় যে, বিদ্রোহী কবিকে ঢাকায় পাঠানাের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের অবদান অনস্বীকার্য।
অবশেষে ১৯৭২ সালের ২৪শে মে তারিখে বাংলাদেশ বিমানে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ঢাকায় নিয়ে আসা হলাে। সঙ্গে এলেন সস্ত্রীক দুই পুত্র সব্যসাচী ও অনিরুদ্ধ এবং কবির দুই নাতনী খিলখিল কাজী ও উমা কাজী সেদিন তেজগাঁও বিমানবন্দরে এক বিশাল জনতা বাংলাদেশের জাতীয় কবিকে সম্বর্ধনা জানালাে। সেদিন ঢাক ছিলাে উৎসব মুখর। কবিকে সােজা নিয়ে আসা হলাে ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার ২৮ নম্বর সড়কের (পুরাতন) ৩৩০ বি বাড়িতে ঢাকায় আগমনের পর অসুস্থ কবি ও তার পরিবারের সদস্যদের বসবাসের জন্য  নিরিবিলি পরিবেশ চমৎকার সবুজ ঘাসের আঙ্গিনাসহ সরকারী মালিকানাধীন এই বাসগৃহের ব্যবস্থা করা হয়েছিলাে। বঙ্গবন্ধু স্বয়ং এই বাড়িটা পছন্দ করেছিলেন এবং তিনিই নামকরণ করেছিলেন কবিভবন’ ২৪শে মে বিকালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এবং প্রধামন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এলেন বিদ্রোহী কবিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদানের পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেদিন। থেকেই কবিভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা হলাে। উপরন্তু নিয়মিতভাবে কবির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠিত হলাে মেডিকেল বাের্ড স্বল্পদিনের মধ্যে এতােকিছু আয়ােজনের পর ঢাকায় বিরাট সমারােহে ১৯৭২। সালের ২৫শে মে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হলাে। এরপর ১৯৭৪ সালের ৯ই ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তন। অনুষ্ঠানে কবিকে ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করলাে কিন্তু যাকে উপলক্ষ করে এতােসব কর্মকাণ্ড সেই কবি নজরুল দুরারােগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বাকশক্তি রহিত হয়ে ছিলেন। তাঁর বােধ শক্তি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। 
১৯৭৫ সালের ২২শে জুলাই নাগাদ কবির স্বাস্থ্যের অবনতি হলে, প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তা জানানাে হয়। তারই নির্দেশে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের জন্য অসুস্থ কবিকে পিজি হাসপাতালের ১১৭ নং কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়। এর মাত্র ২৫ দিন পরেই ধানমণ্ডির বত্রিশ নম্বরে একদল বিপথগামী সৈন্যের আক্রমণে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন এবং দেশব্যাপী জারী হলাে সামরিক আইন। বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে তখন দারুণ দুর্দিন। | এদিকে বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম কিন্তু আর পিজি হাসপাতাল থেকে কবিভবনে ফিরে যেতে পারেননি। ১১৭ নং কেবিনেই তিনি চিকিৎসাধীন রইলেন এক বছর এক মাস আট দিন। তার স্বাস্থ্যের অবনতি ছাড়া উন্নতি হলাে না। তিনি ব্রনকোলিমােনিয়ায় আক্রান্ত হলেন। ১৯৭৬ সালের ২৯শে আগস্ট তার দেহের তাপমাত্রা। ১০৫ ডিগ্রি অতিক্রম করলাে চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলাে। এদিন সকাল ১০টা ১০ মিনিটের সময় কবি নজরুল ইসলাম ইন্তেকাল করলেন। (ইন্নালিল্লাহে –রাজেউন)। সেদিনের তারিখটা ছিলাে বাংলা ১৩৮৩ সনের ১২ই ভাদ্র বিদ্রোহী কবির শেষ অনুরােধ ছিলাে ‘মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই’। তাই বার দুয়েক সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশেই জাতীয় কবির কবরের ব্যবস্থা করা হলাে। কবির মরদেহ মাত্র ঘণ্টা কয়েকের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে রাখা হয়েছিলাে। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় রমনার সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে লক্ষাধিক লােকের জানাজার নামাজ এবং বিকেল ৫টা নাগাদ দাফন সমাপ্ত হলাে। পর্যবেক্ষক মহলের মতে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের লাশ নিয়েও কিছু গােপন রাজনীতি হয়ে গেলাে । পিতার মৃত্য সংবাদ পেয়ে যখন কবিপুত্র কাজী সব্যসাচী কোলকাতা থেকে প্লেনে সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে পৌঁছলেন, তখন কবর দেয়া হয়ে গেছে। বেচারা পিতার মুখ শেষ বারের মতাে দেখতে পেলেন না। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তিনি ফিরে গেলেন। 

সূত্রঃ   একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা – এম আর আখতার মুকুল

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!