১৫ মে ১৯৭১ঃ ইন্দিরা গান্ধীর আগরতলা সফর
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আগরতলা বিমান বন্দরে বলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে তার দেশের অর্থনৈতিক সামাজিক রাজনৈতিক সমস্যা জড়িত হয়ে গেছে। প্রকৃত পক্ষে সমস্যার গভীরতা ও ব্যাপকতা তার চেয়েও ব্যাপক। পরে ইন্দিরা গান্ধী মোহনপুরে শরণার্থী ও স্থানীয় জনগনের উদ্দেশে বলেন বাংলার মানুষকে সামরিক সরকার নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা পালন করেনি। তিনি বলেন বাংলাদেশের মানুষ যে উদ্দেশ্য সাধনের জন্য দুঃখ কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে যাচ্ছে তার সফলতা এলেই তারা ফিরে যাবে তবে তা অবশ্যই কবরের শান্তি নয়। তিনি বলেন ভারত শরণার্থীদের জন্য তাদের করনীয় কর্তব্য পালন করবে তবে ভারতেরও হাজার সমস্যা আছে, আছে সম্পদের সীমারেখা। তিনি বলেন পাকিস্তানী গোয়েন্দারা একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টায় আছে। তিনি ত্রিপুরা থেকে আসাম যান। এ সফরে গান্ধীর সাথে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ত্রিগুনা সেন গুপ্ত, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়, মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিংহ, তথ্যমন্ত্রী নন্দিনী সতপতি, আকাশবাণী ডিজি একে সেন সাথে ছিলেন। তিনি নির্ধারিত শিবিরের মোহনপুর বাহিরে অনির্ধারিত শিবির ইশানপুর নরসিংগড়, দুর্গাবাড়ী পরিদর্শন করেন। এসব শিবিরে গান্ধী ভাঙ্গা বাংলায় ও হিন্দিতে কথা বলেন। এর আগে মিসেস গান্ধী শিলচরের উধারবান্ধ শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন এবং সেখানে উপস্থিত জনগনের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। গান্ধী এমন সময় আগরতলা আসেন যেদিনের আগের দিন পাকিস্তানী গোলাবর্ষণে আগরতলা সীমান্তে ২ জন ভারতীয় নিহত ও ১৯ জন আহত হয়।