You dont have javascript enabled! Please enable it!
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও তার বিচার
ইংরেজি জেনােসাইড অভিধার বাংলা আমরা করেছি ‘গণহত্যা’ গণহত্যা কথাটির তাৎপর্য বুঝতে কোনাে অসুবিধা হয় না, জেনােসাইডের সঙ্গে তা শ্রুতিতে ও অর্থে বেশ মিলেও যায়; কিন্তু অসুবিধা দাড়ায় যখন আমরা কথাটা তলিয়ে দেখতে চাই, এর চুলচেরা বিশ্লেষণে নামি ও আইনি ভাষায় এর সুনির্দিষ্ট অর্থময় ব্যবহার কামনা করি। প্রথমত প্রশ্ন তােলা যেতে পারে, জেনােসাইড যদি গণহত্যা হয়, তাহলে মাস মার্ডার-এর বাংলা আমরা কি করবাে? বলা যেতে পারে মাস মার্ডার হলাে ব্যাপক হত্যা বা নির্বিচার হত্যা তাই যদি হয় তবে এর সঙ্গে গণহত্যার ফারাক কতােটুকু, ইংরেজিতে ও আন্তর্জাতিক আইনে তাে জেনােসাইড এবং মাস কিলিং বা মার্ডারের মধ্যে সুস্পষ্ট ফারাক রয়েছে। বাংলায় আমরা এই ফারাক কীভাবে নিশ্চিত করবে বাংলায় যাকে বলবাে ব্যাপক হত্যা তাকে গণহত্যা কেন বলা যাবে না? এসব প্রশ্ন বিচার-বিশ্লেষণের আগে আমাদের দেখে নিতে হয় জেনােসাইড’ অভিধা কীভাবে কোথা থেকে এসেছে সভ্যতার ইতিহাসে জেনােসাইড বহুকাল আগে থেকে অব্যাহতভাবে ঘটে এলেও এই শব্দ চালু হয়েছে একান্ত হালে, বিগত শতকে দুই বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে রাফায়েল লেমকিন নামক স্বদেশ থেকে বিতাড়িত এক পােলিশ ইহুদি আইনজীবী প্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন।

জেনােসাইড বলতে বিশেষ জনগােষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত হত্যা, পীড়ন ও আক্রমণকে তিনি বুঝিয়েছেন সেই অর্থে মাস মার্ডার থেকে জেনােসাইড ভিন্ন অর্থ ও মাত্রা বহন করে, বাংলায় যাকে আমরা বলতে পারি জাতিবিনাশ, জাতিহত্যা বা জনগােষ্ঠী, ধর্মগােষ্ঠী, নৃগােষ্ঠী হত্যা জাতি বা জনগােষ্ঠীর সব সদস্যকে ঘৃণিত আঘাতের শিকার করবার যে প্রবণতা বা প্রক্রিয়া সেটাই জেনােসাইড। সেদিক দিয়ে বিচার করলে ব্যাপক হত্যার ঘটনা ইতিহাসে অনেক মিলবে; কিন্তু জেনােসাইড, মানবতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধ, যথেচ্ছভাবে ঘটে না। যুদ্ধকালে ব্যাপক হত্যা বা মাস মার্ডার অনেক ঘটে, আর এটাও আমরা জানি যুদ্ধ নানা কারণে ঘটতে পারে, আজকের মিত্র হয়ে যেতে পারে কালকের শক্র, তুচ্ছ কারণে সৃষ্টি হতে পারে উত্তেজনা, উত্তেজনা থেকে সংঘর্ষ এবং যুদ্ধ কিন্তু জেনােসাইড কখনাে কখনাে হয়তাে আকস্মিকভাবে শুরু হতে পারে, তবে এর পেছনে থাকে দীর্ঘদিনের কর্মধারা, বিশেষ জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি কিংবা নৃগােষ্ঠীর মানুষের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও হিংস্রতা ছড়ানাের মধ্য দিয়ে চলে জেনােসাইডের প্রস্তুতি  সেই সাথে থাকে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের অলীক বিভিন্ন ধারণা প্রসার যা পরিণামে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত জনগােষ্ঠীর বিরুদ্ধে চরম হিংসাত্মক আক্রমণ পরিচালনায় পর্যবসিত হয় এবং সংঘটিত হয় এমন সব অপরাধ, যা স্বাভাবিক সময়ে আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মাস মার্ডার জেনােসাইডের অঙ্গাঙ্গি অংশ বটে, তবে সবসময়ে সবক্ষেত্রে মাস মার্ডার আর জেনােসাইড সমার্থক নয়। জেনােসাইডের সময় মাস মার্ডার ঘটাটা খুব স্বাভাবিক এবং সেই বর্বরতার পুনরাবৃত্তি আমরা বারংবার দেখি; কিন্তু মাস মার্ডারের অনেক বড় ঘটনাও হয়তাে জেনােসাইডের আওতায় পড়বে না তাই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কী ঘটেছিল সেটার স্বরূপ তুলে ধরতে হলে আমাদের জেনােসাইডের যথার্থ বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজে বের করতে হবে।

 
জেনােসাইডের বিস্তারিত পটভূমি এবং এই অপরাধের বিশাল ব্যাপ্তি একে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানাের ক্ষেত্রে বড় রকম অসুবিধার সৃষ্টি করে। মাস মার্ডারকে প্রচলিত আইনে মােকাবিলা করা যায়; কিন্তু জেনােসাইডের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। জেনােসাইডকে একক মানবসত্তার বিরুদ্ধে নয়, গােটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর গঠিত হয় আন্তর্জাতিক আদালত এবং নুরেমবার্গ ও টোকিও ট্রাইবুন্যাল গণহত্যার অপরাধ বিচারের এমনি উদ্যোগের সূচনা করে। এর পরপর ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ প্রণয়ন করে জেনােসাইড কনভেশন সেখানে বলা হয়, “এটার স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে যে ইতিহাসের সব পর্বে জেনােসাইড মানবতার জন্য বিপুল ক্ষতি বয়ে এনেছে এবং এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত যে, এমন এক ঘৃণ্য অভিশাপ থেকে মানবজাতিকে মুক্ত করতে প্রয়ােজন আন্তর্জাতিক সহযােগিতা, তাই আমরা সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত  কতক বিষয়ে একমত হচ্ছি।” জেনােসাইড কনভেনশনে অপরাধীদের বিচারের কথা বলা হয়েছে এবং যথাযথ জাতীয় আইন প্রণয়নের আহ্বান জানানাে হয়েছে; কিন্তু আইনের বিধিবিধান প্রণয়নের দিকে কনভেনশন অগ্রসর হয়নি। কনভেনশনের ভাষ্য থেকে বােঝা যায় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ইহুদি নিধনের করুণ অভিজ্ঞতার ছায়াপাত এখানে ঘটেছে তবে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধ এবং আমেরিকা-রাশিয়ার এই বিরােধে জড়িয়ে পড়ে গােটা বিশ্ব ফলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্লাটফর্ম ও উদ্যোগ এই দ্বন্দ্বে হারিয়ে ফেলে নিজস্ব গতি জেনােসাইড কনভেনশন স্থান পায় হিমাগারে, কেবল নির্যাতিত ইহুদিরা কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে নাৎসি অপরাধীদের গণহত্যার কারণে আদালতে তুলবার চেষ্টা করে। ইসরায়েলি আদালতে তাদের বিচার করে দণ্ডবিধান সম্ভব হলেও আর কোথাও তা সফল হয় না।
এর মধ্যে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর মামলা ছিল ১৯৪০ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত অসউজ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে কর্মপালনকারী ২০০০ এস এস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযােগ আনা এবং তাদের মধ্যে নির্বাচিত কয়েকজনের বিচার শুরু। ফ্রাঙ্কফুর্ট বিচার নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়ায় প্রায় দুই বছর ধরে নানা সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করবার পর এটা বোেঝা যায় যে, গণহত্যার বিচার প্রচলিত আইনে সম্ভব নয়। এটা লক্ষ্য করা গেছে যে, স্নায়ুযুদ্ধে বিভক্ত উত্তেজিত বিশ্বে গণহত্যা সংক্রান্ত কনভেনশনের প্রয়ােগের ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি ঘটেনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে আমরা দেখেছি, পশ্চিমী সরকারগুলাে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকাতে বিশেষ উদগ্রীব ছিল। ফলে বাংলাদেশে গণহত্যা বিশ্ব-বিবেককে আলােড়িত করলেও ক্ষমতাবান সরকারগুলাে তা চরমভাবে উপেক্ষা করে। তৎকালীন বিশ্বে গণহত্যার প্রশ্নকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেই বিচার করেছিল এইসব সরকার তবে সাম্প্রতিককালে, বিশেষভাবে রুয়ান্ডা ও সাবেক যুগােস্লাভিয়ায় সংঘটিত গণহত্যার পটভূমিকায়, বিষয়টি নতুন গুরুত্ব অর্জন করেছে।
১৯৫১ সালে জাতিসংঘ গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন বা International Humanitarian Law প্রণয়ন করেছিল এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার করার জন্য এই আইনের ভিত্তিতে একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (International Criminal Court) স্থাপন করা হবে। কিন্তু সদস্য-দেশগুলাের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদের কারণে দীর্ঘকাল এক্ষেত্রে কোনাে অগ্রগতি হয় নি।  প্রথম পরিবর্তনটি ঘটে ১৯৯৩ সালে, সাবেক যুগােশ্লাভিয়ায় মুসলিম ও ক্রোশীয়দের বিরুদ্ধে সার্বদের বর্বরােচিত ‘গােত্রীয় বিশুদ্ধকরণ’ অভিযানের জন্য দায়ীদের শাস্তিদানের উদ্দেশ্যে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল  ১৯৯৩ সালের মে মাসে নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত মােতাবেক গঠিত এই ট্রাইব্যুনালের নাম “International Tribunal for the Prosecution of Persons Responsible for Serious Violations of International Humanitarian Law committed in the Territory of Former Yugoslavia since 1991.” জাতীয় আইনবিধির ওপরে ট্রাইব্যুনালের প্রাধান্য রয়েছে এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তকে হস্তান্তরে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরােয়ানা ইস্যু করতে পারে।
১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় হুটু মিলিশিয়াদের দ্বারা প্রায় ১০ লাখ সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববাসী স্তম্ভিত হয় এবং নভেম্বর মাসে নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক আরেকটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। এই ট্রাইব্যুনালের নাম ছিল  “International Criminal Tribunal for the Prosecution of Persons Responsible for Genocide and other Serious Violations of International Humanitarian Law committed in the Territory of Rwanda.” গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বসভার এই নতুন জাগরণের পটভূমিকায় তাৎপর্যপূর্ণ। পদক্ষেপ হিসেবে গঠিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিন্যাল কোর্ট। ১৯৯৮ সালের ১৫ থেকে ১৭ জুন রােমে অনুষ্ঠিত ১৬০টি দেশের প্রতিনিধি ও বিপুলসংখ্যক বেসরকারি সংস্থা প্রতিনিধির সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ক্রিমিন্যাল কোর্টের সংবিধি। গৃহীত হয়। এরপর দি হেগে বিধিবদ্ধভাবে এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রাষ্ট্রপ্রধান, সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে গণহত্যার । জন্য দায়ী নিম্নপদস্থ সৈনিকদেরও শাস্তি দিতে পারে  গণহত্যার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে বিশ্ববাসী নিশ্চিত হতে চায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও গােত্রের পার্থক্য অবলম্বন করে আর যেন কোনাে সংঘাত ও রক্তপাত না ঘটে এসবের পাশাপাশি আমরা বিকশিত হতে দেখি অন্তর্বর্তীকালীন ন্যায় বা  ট্রানজিশনাল জাস্টিস প্রতিষ্ঠার ধারণা। অর্থাৎ যে ক্ষেত্রে বাস্তব বিভিন্ন বাধা ও অসুবিধা আদালতে সুবিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতে দিচ্ছে না সেখানে সামাজিক উদ্যোগে আইনসম্মতভাবে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
বর্ণবাদ-উত্তর দক্ষিণ আফ্রিকা এই ধারণার উদাতা এবং এখন তা বিশ্বের নানা। স্থানে বিস্তার লাভ করছে গণহত্যার অপরাধে অভিযুক্ত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের বিচার প্রতিষ্ঠার পরিবেশ ক্রমেই অনুকূল হয়ে উঠছে এক্ষেত্রে ‘জেনােসাইড’কে যেমন সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে স্থাপন করতে হবে তেমনি এর বিচার প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটতে থাকলে ট্রানজিশনাল জাস্টিসের বিধান নিশ্চিত করতে কাজ শুরু হতে পারে আন্তর্জাতিক মহলকে একাত্তরে মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করাটা জরুরি এবং এটা করতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সাহায্য চেয়ে একটি পত্র প্রেরণই যথেষ্ট  তবে সেই পত্রের মধ্যে ব্যাপক দেশবাসীর ঐকমত্যের প্রতিফলন কাম্য, ঠিক যেমন পত্র প্রেরিত হয়েছিল কাম্বােডিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স রানারিধ সিহানুক ও দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হন সেনের যৌথ স্বাক্ষরে ১৯৯৭ সালের ২১ জুন জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরেসেই পত্র প্রেরণের পর নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আজ কাম্বােডিয়ায় বসেছে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বিচারের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশেও সম্ভব জেনােসাইডের অপরাধীদের বিচার, তবে আমাদের বুঝে নিতে হবে জেনােসাইডএর অপরাধের ব্যাপকতা ও বিশিষ্টতা, এর জন্য আন্তর্জাতিক আইনের শরণ নেয়ার গুরুত্ব বুঝতে হবে বাংলাদেশে যথেচ্ছ হত্যাযজ্ঞ ঘটেছে, তবে সেটা নিছক মাস মার্ডার বা গণহত্যা ছিল না, ছিল জেনােসাইড বা জাতিগােষ্ঠী ধর্মগােষ্ঠী হত্যার  প্রয়াস বাংলাদেশের মুষ্টিমেয় যেসব নাগরিক গণহত্যার জন্য দায়ী এবং এর দোসর হিসেবে কাজ করেছে তাদের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট বিশেষ কার্যকর হবে এবং এর আওতাও যে-কোনাে সময় বিচারিক কাজ শুরু হতে পারে বাংলাদেশের গণহত্যা যে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সেই স্বীকৃতি আদায় এবং পাকিস্তানি হােতাদের বিচারের জন্য প্রয়ােজন আন্তর্জাতিক উদ্যোগ এসবের বাস্তবায়নের জন্য বিরামহীনভাবে সক্রিয় রইবাে আমরা।
(বুলেটিন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, মার্চ ২০০৭)

সূত্রঃ  জেনোসাইড নিছক গণহত্যা নয় – মফিদুল হক

 
error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!