You dont have javascript enabled! Please enable it! বাগলপুরের সীমানা নিষ্পত্তি - সংগ্রামের নোটবুক

বাগলপুরের সীমানা নিষ্পত্তি

১৯৪৭ এর জুনে চূড়ান্ত দেশভাগের আগে খসড়া দেশভাগ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে রেডক্লিফকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল চূড়ান্ত ভাগ করার জন্য। ভাগাভাগির জন্য তিনি কয়েকটি গাইডলাইন আগে তৈরি করে উভয়পক্ষের কৌসুলি দ্বারা অনুমোদন করে নিয়েছিলেন। গাইড লাইনের সেই একটি ছিল চলমান রেল লাইন এ বিভক্তির অন্তর্ভুক্ত হবে না। ফলে পশ্চিম বঙ্গ হিলির পশ্চিমে আসতে পারেনি। আরেকটি ছোট সমস্যা এসে দাড়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেরাশানিতে। মেরাশানি রেল স্টেশনের খানিক উত্তরে ত্রিপুরার বাগলপুর মৌজা রেললাইনের পশ্চিমেও চলে গেছে কৌণিকভাবে প্রায় ১০০ ফুট। রেডক্লিফ এখানে হাত দিতে পারেন না কারন তখনও ত্রিপুরা নেটিভ রাজ্য। ভারতে যোগ দেয়নি। বিষয়টি ঝুলে থাকা অবস্থায় কয়েকবছর পর ত্রিপুরা ভারতে যুক্ত হয়। ১৯৫৮ সালে নেহেরু নুন চুক্তিতে রেল লাইনের ৭৫ ফুট পূর্ব পর্যন্ত মালিকানা অবলোপনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। আর এর বাস্তবায়ন হয় ২০১১ এর হাসিনা মোদী প্রটোকল স্বাক্ষরের বিনিময়ে।