মুক্তিযুদ্ধে কর্নেল এম এ জি ওসমানীর পদবির ক্ষেত্রে সর্বাধিনায়ক’ ব্যবহারের যৌক্তিকতা
১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘােষণাপত্রে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতির নাম উল্লেখ করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের এক আদেশনামায় কর্নেল ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে ঘােষণা করা হয়। ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রে কমান্ডার-ইন-চিফ’র বাংলা তরজমা করা হয়েছে সর্বাধিনায়ক। উপরন্তু কর্নেল ওসমানী মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এবং পরবর্তীতেও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবেই সমধিক সুখ্যাত হন। যে কারণে কর্নেল ওসমানীর নামের আগে সর্বত্র সর্বাধিনায়ক শব্দটি ব্যবহার করা হলাে।
সূত্রঃ বাংলাদেশ বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর – মেজর নাসির উদ্দিন
একাত্তরে প্রকাশিত আওয়ামী লীগের মুখপত্র “জয় বাংলা” পত্রিকায় ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর “সর্বাধিনায়ক” উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম কলামের দ্বিতীয় খবর দ্রষ্টব্য। ওসমানী শুধুমাত্র একটি বাহিনীর অধিনায়ক।