You dont have javascript enabled! Please enable it!
গণহত্যা এবং বিশ্ব প্রচারমাধ্যম
২৫ মার্চ এবং তৎপরবর্তী বর্বরােচিত গণহত্যা যাতে বহির্বিশ্বে প্রকাশ না পায়, সেজন্য পাকিস্তান সামরিক কর্তৃপক্ষ ২৬ মার্চ সকালবেলায় বিদেশি সব সাংবাদিককে জোর করে প্লেনে উঠিয়ে দিয়েছিল। তাদের সাথে থাকা ক্যামেরা, ফটোফিলা এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস—সবকিছু কেড়ে নিয়েছিল। মাথামােটা পাকিস্তানি জেনারেলদের সে উদ্দেশ্যের সবটুকু সিদ্ধ হয়নি। সায়মন ড্রিং নামের একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক পাকবাহিনীর চোখকে ফাকি দিয়ে বেশ ক’দিন রয়ে গেলেন ঢাকাতেই এবং গণহত্যার বিচ্ছিন্ন চিত্র ক্যামেরাবন্দি করে রাখলেন। তা ছাড়া নিউইয়র্ক টাইমস-এর সিডনি এইচ সানবার্গ ও ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালের রবার্ট কেইলার তাঁদের নােটবুক লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হন। এসব ভয়াবহ তথ্যের ভিত্তিতে পৃথিবীর  প্রধান প্রধান সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক প্রচারমাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যা প্রসঙ্গটি গুরুত্বপূর্ণ খবরে পরিণত হতে থাকল। এটা খুবই বিস্ময়কর যে, গণহত্যা শুরুর দুদিনের মধ্যেই (২৭ মার্চ ‘৭১) তল্কালীন পশ্চিম জার্মানির একটা পত্রিকা ‘ফ্রাঙ্কফুর্টার এলজিমেইন’ কী দূরদর্শী মন্তব্য করে বসল : East Pakistan is no longer East Pakistan- even if the West Pakistan army puts down the Bengali rebellion by force, Bangladesh will not revert to East Pakistan. The East Pakistan idea is dead.. ২৮ মার্চ নিউইয়র্ক টাইমস’-এ বােম্বে থেকে প্রেরিত সিডনি এইচ স্যানবার্গ-এর রিপোের্ট প্রকাশিত হয় ঢাকার বিদ্রোহ দমনে সৈন্যরা কামান দেগেছে’ শিরােনামে; বিশাল রিপাের্টে স্যানবার্গ উল্লেখ করেন—The resistance which began after a surprise attack on the civilion population by the government forces three night ago, sprang from a non-violent drive for provincial autonomy. The East Pakistanis tried to claim the majority political power they had won in the election last December and the army moved to prevent this.
২৯ মার্চ, হংকং ডেডলাইনে রবার্ট কেইলারের রিপাের্টটি প্রকাশিত হয়, ‘ঢাকা নাটকের ২৬ ঘণ্টার ধারা বিবরণী’ শিরােনামে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরােচিত হামলাকে ঘড়ির কাঁটার সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে, অর্থাৎ রাত ১১টায় কী হলাে, ১১টা ১৫ মিনিট, রাত ১২টা, বা রাত ১২টা ৫০ মিনিটে কী ঘটনা ঘটল—এভাবে সময় ধরে ধরে কেইলার ‘গণহত্যার খবর ছড়িয়ে দেন সারা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে। তার রিপাের্টের ধরন ছিল এ রকম—  রাত ১১টা ১৫ মিনিট ; …যত সময় যাচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল সামরিক অভ্যুত্থান হতে যাচ্ছে।… হােটেলের সামনে দিয়ে দু’বার করে সেনাবহর যাতায়াত করছে…। রাত ১টা : যে বাঙালি আগে টেলিফোন করেছিল, সে আবার টেলিফোন করল। বলল, শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে সে মেশিনগানের গুলির শব্দ পাচ্ছে।… স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলিবর্ষণের শব্দের সাথে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের আওয়াজ ভেসে আসছে। রাত ৩টা : ইংরেজি দৈনিক দি পিপল’-এর দিকে সৈনিকদের যেতে দেখা গেল। …চারদিক থেকে অবিরাম গুলি বর্ষিত হচ্ছে। লন্ডনের বিখ্যাত পত্রিকা ডেইলি টেলিগ্রাফ’-এর সাংবাদিক সায়মন ড্রিং, যিনি গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন, ৩০ মার্চ প্রকাশিত লেখায় বর্ণনা করলেন : In the name of God and a united Pakistan’ Dacca is crushed and frightened city… People asleep in the Bazar were shot. In the morning the victims were still lying there with rugs on them as if they were still sleeping. On the morning of March 26, 1971 the firing stopped and silence prevailed all over Dacca. Suddenly the city was again filled by troops and for 11 hours they went about systematically destroyed the entire old city of Dacca. …the Army shot every person in the old city burnt people inside their homes. The biggest massacre was in the Hindu locality.
পাকিস্তানি আক্রমণকে ‘ভয়ঙ্কর গণহত্যা’ বলে ৫ এপ্রিল রিপাের্ট বেরােল। ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন পত্রিকায় : The biggest genocide, probably the biggest since Attila and the Goths, has been taken place, but the world seems to pretend not to know it. | ইয়াহিয়া ও তার অধীন সেনানায়কদের কর্মকাণ্ডের সমালােচনা করে ৬ এপ্রিল বিখ্যাত গার্ডিয়ান পত্রিকা লিখল : What he (Yahay Khan) has done, and doing, is to use the army to oppress the East Pakistanis and their chosen leader. The President did not want Sheikh Mujib to assume the power that his people had voted him. So the President reached for his gun. …By sending in the army he has shown himself to be not only careless of democratic rights, but a reckless ruler as well. The military intervention in the East Pakistan was a deliberate act. | পত্রপত্রিকার পাশাপাশি পাকবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে গণহত্যা’ শীর্ষক খবরে পৃথিবীখ্যাত বেশ ক’জন রাজনীতিক, মানবতাবাদী বুদ্ধিজীবী তাদের উদ্বেগ ও অসন্তোষ জ্ঞাপন করলেন : এপ্রিল ১ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমােক্রেটিক দলীয় প্রভাবশালী সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি সিনেটসভায় উল্লেখ করেন, it is a story of indiscriminate killing, the execution of dissident political leaders and students, thousands of civilians suffering and dying every hour of the day. It is a story of dislocation and loss of home. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিথযশা তিন জন অধ্যাপক এডওয়ার্ড এস। ম্যাসন, রবার্ট ডফম্যান ও স্টিফেন মার্গলিন ৯ এপ্রিল প্রকাশিত পূর্ব পাকিস্তানে সঘাত : পটভূমি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক নিবন্ধে উল্লেখ করেন : A major goal of US foreign policy in this area has been the reduction of the debilitating confrontation between India and Pakistan. This goal will surely be advanced by the existence of an independent Bangla Desh friendly to India. Most observers believe that the Awami League Leadership will follow a neutral foreign policy, particularly if the US and multilateral aid agencies like the World Bank are the major aid donors. Bengali independence will be inimical to American interests only if by following short-sighted policies we drive East Pakistan into the arms of another powerUSSR or China.
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর সেক্সবি, পূর্ব পাকিস্তানের ঘটনাবলির প্রত্যক্ষদর্শী ড. রােধের বরাত দিয়ে মে ১১ তারিখ সিনেটকে অবহিত করেন : It is clear that the law of the jungle prevails in the East Pakistan where the mass killing of unarmed civilians, the systematic elimination of the intelligentsia and the annihilation of Hindu population is in progress.  ইয়াহিয়া-ভুট্টোর পৈশাচিক দমননীতি ও স্বাধীনতাকামী বাঙালির সশস্ত্র সংগ্রামের খবর সারা বিশ্বব্যাপী অদ্রুিত ছড়িয়ে পড়তে লাগল।  [বি.দ্র.: এই গ্রন্থে উল্লিখিত বিদেশি পত্রিকার অধিকাংশ উদ্ধৃতি মুহাম্মদ নূরুল কাদির রচিত দুশাে ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা গ্রন্থের ৮৯-১০০, ২২১-২৩৮ পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে। ১৭ এপ্রিল : মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ১৫ এপ্রিল, সকাল ১০টায় কলকাতার এমএলএ হােস্টেলে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক জরুরি সভায় মিলিত হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাদের মনে আশঙ্কা জন্মাল, এখানে সভা করলে এর কার্যক্রম ও গৃহীত সিদ্ধান্তাবলি প্রকাশ হয়ে যেতে পারে, ফলে তাৎক্ষণিকভাবে সভার স্থান পরিবর্তন করা হয়। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক (প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তাজউদ্দীন আহমদ ওই পদটি ছেড়ে দিয়েছিলেন) মিজানুর রহমান চৌধুরীর কুমারটুলির ভাড়া-বাড়ির ছাদে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্বাধীনতাযুদ্ধ পরিচালনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খােলামেলা আলােচনা করা হয়।
মিজান চৌধুরীসহ সে সভায় উপস্থিত ছিলেন-আবদুস সামাদ আজাদ, সাজেদা চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, চিফ হুইপ প্রফেসর মােঃ ইউসুফ আলী, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, মােঃ কামারুজ্জামান, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ন্যাপ নেতা অধ্যাপক মােজাফফর আহমদ প্রমুখ। সেদিনই কলকাতাস্থ ভারত-পাকিস্তান মৈত্রী সমিতির নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখা হয় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি’। একই দিন সন্ধ্যের পর, কঠোর গােপনীয়তা বজায় রেখে তাজউদ্দীন। আহমদ গিয়ে দেখা করেন কলকাতায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার হােসেন আলীর সাথে। তিনি হােসেন আলীকে বােঝাতে সক্ষম হন। যে, এখানকার হাইকমিশনের সকল বাঙালি কর্মচারী যদি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে মুজিবনগর সরকার’-এর আনুগত্য মেনে নেয়, তাহলে অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত বাঙালিদের মনে তা অতি ফলদায়ক প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে এবং বাঙালির ন্যায়সঙ্গত লড়াইয়ের গ্রহণযােগ্যতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরাে বেশি আবেদনের সৃষ্টি করবে।
পুরনাে নদীয়া জেলার পলাশীর আম্রকানন, যেখানে ২৩ জুন, ১৭৫৭ তারিখে বাংলার স্বাধীনতাসূর্য অস্তমিত হয়েছিল, সেই নদীয়ারই নতুন অংশ—কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগান—যা পলাশী প্রান্তরের অনতিদূরে, সেখানে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও তার মন্ত্রিপরিষদের শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে সগর্বে আত্মপ্রকাশ করল স্বাধীন সার্বভৌম নতুন এক দেশ—বাংলাদেশ। দেশি-বিদেশি শতাধিক সাংবাদিক, প্রেস ফটোগ্রাফার—সবার সামনে নতুন দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলাে, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হলাে, রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে সশস্ত্রবাহিনীর তরফ থেকে গার্ড অব অনার। দেয়া হলাে, মুহুর্মুহু করতালির মধ্য দিয়ে চিফ হুইপ অধ্যাপক মােঃ ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র পাঠ করা হলাে এবং শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালিত হলাে। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, দুজনই স্বাধীনতা আন্দোলনকে পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্দীপক ও নীতি-নির্ধারণীমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। সেদিন থেকে বৈদ্যনাথতলার নতুন নামকরণ করা হলাে। ‘মুজিবনগর’। আর প্রবাসী সরকারের নাম হলাে ‘মুজিবনগর সরকার’, এর অস্থায়ী অফিস আগেই খােলা হয়েছিল—কলকাতার থিয়েটার রােডের ছােট্ট একটা বাড়িতে। | পরদিন, অর্থাৎ ১৮ এপ্রিল কলকাতার বিখ্যাত যুগান্তর পত্রিকা ব্যানার হেডিং করে লিখেছিল : মন্ত্রীরা শপথ নিলেন : জয় বাংলা ধ্বনির মধ্যে প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রকাশ্য অভ্যুদয়, বিশ্বের কোন শক্তি বাঙ্গালীর জয়যাত্রায় বাধা দিতে পারবে না : বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দৃঢ় প্রত্যয়।’
এ দিনই কলকাতায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার এম হােসেন আলী, তাঁর প্রথম সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, দুজন ৩য় সেক্রেটারি আনােয়ারুল করিম চৌধুরী ও কাজী নজরুল ইসলাম এবং সহকারী প্রেস অ্যাটাচি এম মােকশেদ আলী পাকিস্তান সরকারের-আনুগত্য প্রত্যাহার করে মুজিবনগর সরকারের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন। হােসেন আলী পশ্চিম পাকিস্তানের ৩০ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে, ওই ডেপুটি হাইকমিশনারের ব্যাংক হিসাব থেকে সকল অর্থ উত্তোলন করে নেন এবং নতুন সরকারের তহবিলে জমা দেন। এরপর ডেপুটি হাইকমিশন অফিস দখলে নিয়ে সেখান থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা সরিয়ে উড়িয়ে দেন বাংলাদেশের পতাকা, অফিসের নামকরণ করেন বাংলাদেশ মিশন’। হােসেন আলী ও তার সহকর্মীদের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ ভারতসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশের গণমাধ্যমে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়। (২০ এপ্রিল, বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়ােগ দেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি।)
দৃশ্যত পাকবাহিনীর আক্রমণের আশঙ্কায় মুজিবনগর সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দ্রুত শেষ করা হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মােশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্র-ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান, অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী—সবাই মিলে কলকাতার ১৩ নম্বর লর্ড সিন্হা রােডের একটি বাড়িতে অল্প কদিন বাস করেন। তাদের বসবাসের ঠিকানা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর, সবাই চলে যান বালিগঞ্জের সার্কুলার রােডের নতুন ঠিকানায়। অল্প ক’দিন পর ওই বাড়িতে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের স্টুডিও’ স্থাপিত হলে তাজউদ্দীন ভিন্ন মন্ত্রিসভার অন্য সকল সদস্য ৬২নং সিআইটি রােডের ৮ তলাবিশিষ্ট ভবনের কয়েকটি ফ্ল্যাট নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন (দুশাে ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা : মুহাম্মদ নূরুল কাদির, পৃ.৬৭)।

সূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সত্য অসত্য অর্ধসত্য-বিনয় মিত্র

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!