বাঙলা দেশ’এ জনগণের সংগ্রামে পশ্চিম পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীদের অভিনন্দন
নয়াদিল্লী, ২৮ মার্চ (ইউএনআই) পশ্চিম পাকিস্তানের অন্তর্গত শতাধিক বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ট্রেড ইউনিয়ন ও ছাত্রনেতা এবং শিল্প ও সাহিত্যিক পূর্ব বাঙলার জনগণের গণতন্ত্র ও স্বাধিকার অর্জনের জন্য বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামকে সমর্থন ও অভিনন্দিত করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বলে সিপি আই সূত্রে বলা হয়েছে।
এই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে বাঙলাদেশের মহান জনগণ ও শহীদদের রক্তক্ষরণকে আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে যে সব দল বা ব্যক্তি ঘৃণা ও সন্দেহের বিভেদ-সেতু রচনা করতে চাইছে বিবৃতিতে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলেন প্রখ্যাত ট্রেড ইউনিয়ন নেতা মির্জা। মহম্মদ ইব্রাহিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এরিক কিপরিয়ান, শ্রী আবদুল্লা মালিক, শ্রী ইমরাত রহমান, খ্যাতনামা সাংবাদিক শ্রী হামিদ আখতার, কবি হাবিব জালিব, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মামুদ মুনাওয়ার, আওয়ামী আদাবে আঞ্জুমানের স্ত্রী আমেদ সালিম, বেগম তাহিরা প্রমুখ ব্যক্তিরা।
পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের সমর্থন
সর্বশ্রী তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়, সত্যজিত রায়, মৈত্রেয়ী দেবী, আবু সৈয়দ আইয়ুব, বুদ্ধদেব বসু, বিষ্ণু দে, সুশােভন সরকার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, তৃপ্তি মিত্র, শম্ভু মিত্র, প্রবােধচন্দ্র সেন, তারাপদ মুখােপাধ্যায়, অম্লান দত্ত ও গৌরকিশাের ঘােষ আজ এক বিবৃতিতে জানান যে, পূর্ব বাঙলার জনগণ অসম সাহস, অফুরন্ত প্রাণশক্তি এবং অতি সীমিত অস্ত্র বল নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের কয়েক ডিভিশন সেনা বাহিনীকে মােকাবিলা করছেন। তারা আশা করেন পূর্ববাঙলার মানুষের জয় হবেই।
পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছে বাঙলার জনগণের উপর মিলিটারী আক্রমণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ঘােষণা করা ও এই ধরণের নৃশংসতার নিন্দা করে প্রতিরােধের বিষয়ে যথােচিত কর্তব্য পালনের জন্য দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র: কালান্তর, ২৯.৩.১৯৭১