You dont have javascript enabled! Please enable it!
আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে  স্বাধীনতা অথবা শেখ মুজিব-খন্দকার মােশতাক

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অসংখ্য বাধাবিপত্তি এবং গােপন ষড়যন্ত্রের মােকাবেলায় নির্বাসিত মুজিবনগর সরকারের সফল কর্মকাণ্ডের লক্ষ্যে যে ক’জন রাজনীতিবিদ পর্দার অন্তরালে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম তার অন্যতম।  সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে কুষ্টিয়া থেকে জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম একাত্তরের অসহযােগ আন্দোলনের সময় ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে তল্কালীন। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে গণহত্যা শুরু করার প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব তাজউদ্দিন আহমদকে সঙ্গে করে গােপনে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং মুজিবনগরে হাজির হন। ব্যারিস্টার ইসলাম বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এজন্যই এসব ঘটনা সম্পর্কে ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামের প্রদত্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতির অংশ বিশেষ এখানে উপস্থাপিত করা হলাে।-লেখক) “স্বাধীনতা যুদ্ধকালে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরমভাবে দেখা দেয়। এই উচ্চাভিলাষ যুবক, ছাত্রনেতা থেকে শুরু করে বন্দুকধারী মুক্তিযােদ্ধা, সিপাই, চাকুরিজীবী সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রাজনীতিকদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ছিল, তবে উচ্চাভিলাষীর সংখ্যা তত বেশি ছিল না। “মিলিটারিদের প্রতি যুবকদের একটা চরম অবিশ্বাস ছিল। তাদের অভিযােগ। এই যে, এককালে এরা পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সঙ্গে থাকায় তাদের ভাবধারায় প্রভাবান্বিত। তাই এদের ক্ষমতায় আসতে দিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আত্মবিকাশে চরম বিপর্যয় ঘটবে। 

অপর দিকে সামরিক বাহিনীর মধ্যে আওয়ামী লীগের যুবকদের প্রতি ছিল তেমনি অবিশ্বাস। এর মধ্যে মুজিব বাহিনী সৃষ্টির ফলে এই অবিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পায়। একজন সংসদ সদস্য থাকা সত্ত্বেও ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বহু সামরিক অফিসারের মধ্যে তাকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির অধিনায়ক হওয়া উচিত নয়। “জিয়াউর রহমান ও খালেদ মােশাররফ প্রমুখ ওসমানী সম্পর্কে এ ধরনের উদাসীন উক্তি করেছেন। সামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার প্রতিযােগিতা তখন থেকেই শুরু হয়। শফিউল্লাহ, জিয়া ও খালেদ এই তিনজনের মধ্যে ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল বলে আমার ধারণা। শফিউল্লাহ ও খালেদ দুজনেই যুদ্ধে বীরত্বের পরিচয় দেন। এরা চিরকাল বীর হিসাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। জিয়ার তেমন কোনাে বীরত্বের নজির নেই। তবে তার মধ্যে ক্ষমতা দখলের অস্পষ্ট প্রস্তুতি তখন থেকেই লক্ষ করা গেছে।
“পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিস থেকে যেসব অফিসার যােগ দেন, এঁদের মধ্যে উচ্চাভিলাষী লােকের অভাব ছিল না। আবার এঁদের মধ্যে বেশির ভাগ অফিসার অসীম সাহসিকতা, ত্যাগ ও কর্মস্পৃহার পরিচয় দেন।…কিন্তু পাক সিভিল সার্ভিসের অনেকের মধ্যেই পদবী মেজাজের রেশ ছিল। ফলে রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ দেখা দেয়। এই পদবীজনিত মনােভাবের কারণে পরবর্তীকালে বাংলাদেশে ভুল বােঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এদের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। এসব পদবী মনােভাবাপন্ন অফিসারদের আমলাতান্ত্রিক মনােভাব, ফাইলের নােট, কলম পিষে নােট লেখা, লাল ফিতাতে বাঁধা, এমন এক পর্যায়ে এল যে, পুরাে ৪/৫ তলা বাড়ি প্রবাসী সরকারের অফিসে পরিণত হলাে। স্বাধীনতা যুদ্ধের ব্যাপকতায় এদের মিশিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে এরা একটি ভিন্ন মনােভাব এবং ভিন্ন স্রোত হয়ে দেশে ফিরে আসে। “…কেবিনেটে তাজউদ্দিন ভাই-এর (প্রধানমন্ত্রী) বিরুদ্ধে প্রথম থেকে চরম অসন্তোষের বারুদ নিয়ে বসেছিলেন খন্দকার মােশতাক (পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রী)। ব্যক্তিগত আক্রোশ বা ক্ষমতার দ্বন্দ্ব বা স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতি ভিন্ন মনােভাব, যে। কোনাে কারণেই হােক না কেন, মােশতাক অনেক কাজেই বাধা সৃষ্টি করেছেন। “মােশতাক কখনও কখনও শেখ মণিসহ যুব নেতাদের উস্কিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। মােশতাকের ভাবশিষ্য তাহের ঠাকুর একবার স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পীদের দিয়ে ধর্মঘট করার ব্যবস্থাও পাকা-পােক্ত করেন।
অবশ্য এসব সফল হয়নি। সাধারণ কর্মীদের সংগ্রামের প্রতি ছিল সমর্থন আর প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ছিল তাদের গভীর আস্থা। অপর দিকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে দলগত দিক থেকে তাজউদ্দিন ভাই-এর প্রতি মিজান চৌধুরীর একটি ক্ষোভ ছিল। প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তাজউদ্দিন ভাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়েননি।  “আর অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে ভাসানী ন্যাপ, মােজাফফর ন্যাপ, কম্যুনিস্ট পার্টি ইত্যাদি দলগুলাের দাবি ছিল একটি সর্বদলীয় সরকার গঠন করার। আওয়ামী লীগের বক্তব্য ছিল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে সরকার গঠন (সম্প্রসারণ) যুক্তিযুক্ত হবে না। সর্বদলীয় সরকার গঠনের দাবিদারের কেউ কেউ ভারতবর্ষের বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে লবি সৃষ্টি করতেও কুণ্ঠা বােধ করেননি। ভারতে সিপিআই ও সিপিআই (এম)-এর কংগ্রেসের উপর প্রভাব থাকা খুবই স্বাভাবিক। তাদের কাছ থেকেও সর্বদলীয় সরকার গঠনের ব্যাপারে কথাবার্তা শােনা যেতে লাগলাে। “এসবের অবসান ঘটাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী কেবিনেটের সাথে পরামর্শ করে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন। এতে ভাসানী, মণি সিং ও মােজাফফর আহম্মদ সদস্য হলেন। উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।“উপদেষ্টা পরিষদের গঠনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সেরনিয়াবাত এই প্রস্তাবের নেতৃত্ব দেন। শেখ আজিজ, শাহ মােয়াজ্জেমসহ আরাে কেউ কেউ।
নেপথ্যে থেকে এই প্রস্তাব চাঙ্গা করেন। অবশ্য আলােচনার পর এই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। যুদ্ধকালে তাজউদ্দিন ভাইকে ঘায়েল করার জন্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহল কম চেষ্টা করেনি। এইসব প্রচেষ্টা অনেক সময় সামগ্রিক সংগ্রামকে ব্যাহত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যখন কিছুই বলা সম্ভব হতাে না তখন তাকে। উচ্চাভিলাষী রাজনীতিবিদ হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলেছে। “ইয়াহিয়ার কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর বিচার প্রহসন চলছে। এই বিচারের বিরুদ্ধে আমরা বিদেশে জনমত গড়ে তােলার চেষ্টা করেছি। এ ব্যাপারে আমাদের বন্ধু ও হিতাকাক্ষীদের কাছে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। লন্ডনে ডােনাল্ড চেসওয়ার্থকে চিঠি লিখে তাকে জানাই সেখানে বাংলাদেশ কমিটির সাথে যােগাযােগ করে জেনেভা কনভেনশনের চার নং ধারা মতে একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় কি-না। কোনাে যুদ্ধকালীন অবস্থায় সম্মুখ সমরে যারা লিপ্ত, তাদের গ্রেফতার ও বিচারের ব্যাপারে জেনেভা কনভেনশনের বিধি নিষেধ রয়েছে। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর বিচার আইনসিদ্ধ ছিল না। পাকিস্তান জেনেভা কনভেনশন মানতে বাধ্য থাকায় এ মর্মে কোনাে ব্রিটিশ নামী কৌসুলীর একটি মতামত গ্রহণ করা আবশ্যক।
“তাছাড়া নােবেল পুরস্কার বিজয়ী শন ম্যাকব্রাডের যুক্তিপূর্ণ ও জ্ঞানগর্ভ লিখিত মতানুযায়ী জেনেভাতে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের মাধ্যমে এ ব্যাপারে আমরা আবেদন করতে পারি। ডােনাল্ড ও আবু সাঈদ চৌধুরী পৃথক পৃথকভাবে লিখে জানান, এ ব্যাপারে আমাদের পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়ােজন। তাজউদ্দিন ভাইকে এগুলাে অবহিত করার পর তিনি আনন্দিত হন। পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রী হিসাবে এ ব্যাপারে খন্দকার মােশতাকের মত নেয়া প্রয়ােজন। “তাজউদ্দিন ভাই আমাকে খন্দকার মােশতাকের সাথে দেখা করতে পাঠান। মােশতাক সাহেব তার পরিবার নিয়ে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। দেখা করার জন্যে সেখানে গিয়ে আমাকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হলাে। সেখানে আর কিছু লােক তার সাথে গল্পগুজবে ব্যস্ত ছিলেন। সবাই চলে যাবার পর আমার ডাক পড়লাে। ম্যাকব্রাইডের লেখা মতামত না পড়েই মােশতাক একটা মন্তব্য করেন। তার এই বক্তব্য আমি কোনােদিন ভুলতে পারব না। তিনি বললেন, You must decide, whether you want Sheikh Mujib or independence you cant have both. (আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে—আপনারা শেখ মুজিবকে চান অথবা স্বাধীনতা চান। আপনারা দুটো পেতে পারেন না।)
“আমি এ কথা শুনে একেবারে স্তম্ভিত হয়ে পড়ি। সাথে সাথে উত্তর দিলাম, We want both. Sheikh without Independence or independence without Sheikh, both are incomplete. (আমরা দুটোই চাই। স্বাধীনতা ছাড়া শেখ অথবা শেখকে ছাড়া স্বাধীনতা-দুটোই অসম্পূর্ণ)। আমি বুঝলাম, তার মন্তব্য আকস্মিক নয়। এর পেছনে একটা যােগসূত্র কাজ করছে। শেখ মুজিবকে আনতে হলে (মােশতাকের কথা হচ্ছে। স্বাধীনতার প্রশ্নে আমাদের আপােস প্রয়ােজন। এটাও এক ধরনের ব্ল্যাকমেইল বলে আমার কাছে মনে হলাে। আমি যে উদ্দেশে গেছি। মােশতাক সুকৌশলে যে তা এড়িয়ে গেলেন, তা বুঝতে আর বাকি রইল না। খুব বিরক্ত হয়ে ভগ্ন হৃদয়ে সেখান থেকে ফিরে এসে তাজউদ্দিন ভাইকে সব জানালাম। | প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ ব্যাপারে অগ্রসর হবার জন্যে আমি ডােনাল্ড ও আবু সাঈদ চৌধুরীকে চিঠি লিখি। ম্যাকব্রাইড ও মি. চৌধুরী আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের মাধ্যমে পাক সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। জেনেভা কনভেনশনের আর্টিকেল ৪-এ কার্যকরী কোনাে ব্যবস্থার উল্লেখ না থাকায় আমাদের কোনাে পদক্ষেপ  সম্পূর্ণভাবে সফল না হলেও আন্তর্জাতিক বিশ্বে এর একটা বিশেষ গুরুত্ব ছিল। ইয়াহিয়া সরকার এর গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। ম্যাকব্রাইড পরে ইসলামাবাদে গিয়ে আমাদের পক্ষে বলেন যে, শেখ মুজিবের বিচার আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
“পররাষ্ট্র মন্ত্রী মােশতাক প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্যের অগােচরে যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে পাকিস্তানের সাথে একটি রাজনৈতিক সমঝােতায় আসার চেষ্টা করেন। একই সাথে তিনি দলীয় নেতা, কর্মী ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেন।  “বিভিন্ন সময় বিদেশ থেকে নানা ধরনের লোেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে। আসতেন। অনেকের সাথেই তিনি দেখা করতেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজে  সাক্ষাতের পূর্বে তিনি আমাকে পাঠাতেন। এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের বােস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গুস্তাভ পাপানেক কোলকাতায় এসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তার সাথে প্রাথমিক আলােচনার জন্যে তাজউদ্দিন ভাই আমাকে প্রেরণ করেন। একটি হােটেলে তার সাথে আমি দেখা করতে যাই। তার সাথে আমার কোনাে পূর্ব পরিচয় নেই। পাপানেক বললেন, সিআইএ বাংলাদেশ। আন্দোলনের পক্ষে নয়। হােয়াইট হাউসের মত পাল্টাতে হলে আগে সিআইএর মত পাল্টাতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর করা প্রয়ােজন। মার্কিন প্রশাসন, বিশেষ করে সিআইএ’র মত পরিবর্তনের প্রয়ােজনীয়তা রয়েছে। উত্তরে | আমি জানাই, একজন রাজনৈতিক নেতার পক্ষে যেমন গােয়েন্দা সংস্থার সাথে কোনাে আলােচনা হতে পারে না, তেমনি এর প্রয়ােজনীয়তাও আমি বুঝতে পারি না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন খােলামেলা ব্যাপার। এর মধ্যে কোনাে আতাত বা ষড়যন্ত্রের চিহ্ন নেই। তাছাড়া সিআইএ’র মতাে একটি শক্তিশালী গােয়েন্দা সংস্থা এই আন্দোলনের সকল বিষয় সম্পর্কে অবহিত। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের বন্ধুরা আমাদের পক্ষে কাজ করছেন। তাদের (মার্কিনীদের) কোনাে বক্তব্য থাকলে বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে খােলাখুলি উত্তর পেতে পারেন।
পাপানেকের প্রস্তাব নিতান্তই অপ্রয়ােজনীয়। তবু প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলােচনা করে তাকে চূড়ান্ত কথা জানাবার প্রতিশ্রুতি দেই। তার প্রস্তাব শুনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সফর বা সিআইএ’র সাথে সাক্ষাৎ কোনােটাতেই তিনি রাজি নন। আমি প্রধানমন্ত্রীর জবাব পাপানেককে জানাই। আমার জানা মতে বিদেশী ব্যক্তিদের মধ্যে একমাত্র পাপানেকের সাথেই প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন নি…।” (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : পঞ্চদশ খণ্ড থেকে সংগৃহীত ও সংক্ষেপিত)

সূত্রঃ মুজিবের রক্ত লাল – এম আর আখতার মুকুল

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!