সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার অভিযানে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা
১. লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান ২. লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ ৩. মেজর (অব.) শরিফুল হক ডালিম ৪. মেজর আজিজ পাশা ৫. মেজর মহিউদ্দিন ৬. মেজর শাহরিয়ার ৭. মেজর বজলুল হুদা ৮. মেজর রশিদ চৌধুরী ৯, মেজর নূর ১০. মেজর শরিফুল হােসেন ১১. ক্যাপ্টেন কিসমত হােসেন ১২. লে, খায়রুজ্জামান ১৩. লে, আব্দুল মজিদ ১৪. হাবিলদার মােসলেহউদ্দিন ১৫. নায়েক মারাফত আলী ১৬. নায়েক মাে. হাশিম প্রমুখ। (অত্র তালিকাটি সংগৃহীত ও অসম্পূর্ণ। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট-এর ঘটনাবলীকে বাংলাদেশে প্রথম সামরিক অভ্যুত্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হলে এ কথা বলা যায় যে, মাত্র ৮৩ দিনের মাথায় সংঘটিত ২য় সামরিক অভ্যুত্থানে। স্বঘােষিত প্রেসিডেন্ট মােশতাক অপসারিত হন। কিন্তু মারাত্মক বিভ্রান্তি, অরাজকতা আর ডামাডােলের মধ্যে একই সময়ে একদিকে ঢাকার কেন্দ্রীয়। কারাগারে চার নেতাকে হত্যা এবং অন্যদিকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুজিব ও পরিবারবর্গকে হত্যাকারীরা সপরিবারে বিমানযােগে ব্যাংককে নির্বাসিত হন। লে, কর্নেল ফারুক ব্যাংককে উপস্থিতির পর এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট মুজিব হত্যার দায়-দায়িত্ব স্বীকার করেন। উপরন্তু ১৯৭৬ সালের ৩০শে জুলাই সানডে টাইমস (লন্ডন) পত্রিকায়। প্রকাশিত সাংবাদিক সাক্ষাৎকার ছাড়াও এর মাত্র তিনদিন পরে লন্ডনের আইটিভি’র ইন্টারভিউ প্রােগ্রামে সাংবাদিক ম্যাসকার্নহাস-এর প্রশ্নের জবাবে একইভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার স্বীকৃতি ঘােষণা করেন। পরবর্তীকালে ৩য় সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অত্র তালিকার প্রথম দুজন ছাড়া বাকি সবাইকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের চাকুরি প্রদান করেন।-লেখক]
সূত্রঃ মুজিবের রক্ত লাল – এম আর আখতার মুকুল