You dont have javascript enabled! Please enable it!
হত্যাকাণ্ডের সময় মার্কিন দূতাবাসের গাড়ি ঢাকার রাস্তায় ছুটাছুটি করছিল
এরপর হচ্ছে ষড়যন্ত্রের সম্পূরক ষড়যন্ত্রের স্রোতের ঘটনা প্রবাহ। এসবের আংশিক বিবরণ আগেই বর্ণিত হয়েছে। এক্ষণে পর্দার অন্তরালের কিছু কথাবার্তা আর চক্রান্ত। এ্যান্থনি ম্যাসকার্নহাস-এর লেখা থেকেই উদ্ধৃতি দিতে হচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১২ই আগস্ট। রাত হয়ে এসেছে। মেজর ফারুক তখন বেঙ্গল লাক্সার্স-এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। ঢাকা গলফ ক্লাবে সেদিন এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান। মেজর ফারুক ও তার তরুণী সুন্দরী স্ত্রী ফরিদার তৃতীয় । বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এ পার্টির আয়ােজন। … সেনা বাহিনীর সদর দফতরের ব্যান্ডে সঙ্গীতের মূর্ধনায় আকাশ-বাতাস মুখরিত। ক্লাবের ভেতরে প্রীতিভােজের টেবিলগুলােতে সাজানাে-খাসির মাংসের বিরিয়ানী, কাবাব, মাংসের রেজালা আর সুস্বাদু সালাদ। ফারুক তার ভায়রা-ভাইকে একদিকে সরিয়ে নিয়ে এসে বলল, “আসছে ১৫ই তারিখ আমি তা ঘটাতে যাচ্ছি; শুক্রবার সকালেই আমি মুজিবকে জীবনের তরে সরিয়ে দিচ্ছি।” কিন্তু রশিদ মােটেই প্রস্তুত ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ নীরব থেকে ফিস ফিস করে বলল, “তুমি কি পাগল হয়েছাে? এতাে তাড়াতাড়ি সব কিছু পণ্ড হতে পারে। আমাদের তাে সাথী অফিসার নাই। সমরাস্ত্রও নাই। তাহলে আমরা কীভাবে সফল হবাে?” তেজোদীপ্ত শাণিত চোখে তাকিয়ে ফারুক বলল, “এটাই হচ্ছে আমার সিদ্ধান্ত। রণ কৌশলের পরিকল্পনা আমার কাছে তৈরি রয়েছে। আমি একা হলেও এগিয়ে যাব। তুমি ইচ্ছা করলে সরে দাঁড়াতে পারাে। তবে জেনে রেখাে, আমি ব্যর্থ হলে শাসকচক্র তােমাকেও ফাঁসিতে ঝােলাবে।” আবারাে রশিদ কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। মনে হচ্ছিল ফারুকের কথাগুলােই হজম করছিল।
শেষ অবধি দীর্ঘদেহী আর্টিলারি অফিসার রশিদ সােজা হয়ে দাড়িয়ে ফারুককে বলল, “ঠিক আছে। যদি করতেই হয়-করাে। তবে আমাদের এ ব্যাপারে আরও আলােচনার প্রয়ােজন রয়েছে। আমাদের সঙ্গে আরও কিছু অফিসার রাখা উচিত।” এদিকে ক্ষমতার লড়াই-এ খন্দকার মােশতাক আহম্মদ গদিচ্যুত (আসলে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে দফতর পরিবর্তন হয়)। মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসে দেখলেন, তারই জুনিয়র সহকর্মী আব্দুস সামাদ আজাদ তার গদি (পররাষ্ট্র দফতর) দখল করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন। আহমদই মােশতাক আহম্মদকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ খন্দকার মােশতাক পাকিস্তানের ভাঙন এড়াবার জন্য (১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গােপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের সঙ্গে একটা রাজনৈতিক সমঝােতায় পৌছানাে।  মােশতাকের এই রাষ্ট্রবিরােধী চক্রান্ত তার সহকর্মীরা ভুলতে পারেনি। ওই কর্মের ফলেই তিনি গদিচ্যুত (দফতর পরিবর্তন) হয়েছিলেন। খন্দকার মােশতাক এই অপমান কষ্ট করে হলেও আপাতত হজম করে নিল। কিন্তু তা তিনি ভুলেননি। পরে যখন সুযােগ এল, তখন তিনি অপমানকারীদের উপর চরম প্রতিশােধ নিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালের শরৎকালে ফারুক কয়েক ডজন বই পড়া শেষ করল। এগুলাের মধ্যে চে গুয়েভেয়ার ডাইরি, চেয়ারম্যান মাও সে তুঙ-এর কিছু বই আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক সমস্যার উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ থিসিস। …

এ সময় ফারুক ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুকর্ণ-র উত্থাতের কিছু রচনা পড়ার সুযােগ লাভ করে। সুকর্ণের সঙ্গে মুজিব উৎখাত পরিকল্পনার কিছু মিল খুঁজে পেয়ে ফারুক মুজিব হত্যার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।  সে স্মৃতিচারণ করে বলল, “আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম, যদি মুজিবকে গদিচ্যুত করে সুকর্ণের মতাে একটি প্রাসাদে আটকে রাখা হয়? আমি নিজে নিজেই অনেকক্ষণ তর্ক বিতর্ক করলাম। পুরাে সেনাবাহিনী কিংবা দেশের সব মানুষ যদি আমাদের সঙ্গে থাকত, তাহলে ব্যাপারটা অন্য রকম হতে পারত। কিন্তু সংখ্যায় আমরা ছিলাম খুবই নগণ্য। আমরা যদি তাকে বন্দি করতাম, তাহলে তাঁর নামে অন্য একটি পাল্টা শক্তি আমাদের সরিয়ে দিতাে ।  তখন ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি। মাত্র কিছুদিন আগে মুজিবের হেলিকপ্টার হাইজ্যাক করার পরিকল্পনা ফারুক বাতিল করেছে। এবার ফারুক সামরিক কায়দায় অগ্রসর হলাে। প্রথমেই লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করল। অবশ্য প্রথম লক্ষ্যবস্তুই হচ্ছে শেখ মুজিব। এই তালিকায় সংযােজিত হলাে আরও ক’টি নাম। কেননা এরা পরবর্তীকালে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে; এঁরা হচ্ছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ এবং এম মনসুর আলী। শেষ পর্যন্ত শত্রুর তালিকায় মাত্র তিনজনের নাম লিপিবদ্ধ করলাে। শেখ মুজিব, তার ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি আর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত। এরা মুজিবের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং প্রভাবশালী। ফারুকের শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে এদের তিনজনকে মরতেই হবে। দুই মেজর আসলে এমন একজন ব্যক্তিত্বকে সন্ধান করছিল যিনি শেখ মুজিবের ‘না-করা কাজগুলাে নির্দ্বিধায় করতে সক্ষম হবেন। 

এ প্রসঙ্গে ফারুকের প্রথম পছন্দ জেনারেল জিয়া,… ১৯৬৫ সালে জিয়া দ্বিতীয় পাঞ্জাব রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন। পরে তাঁকে ফাস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সরিয়ে দেয়া হয়। সামরিক গােয়েন্দা বিভাগে তিনি কাজ করেছেন প্রায় পাঁচ বছরকাল। ১৯৬৬ সালে জিয়াউর রহমান তিন মাসের জন্য রাইন-এ (পশ্চিম জার্মানিতে) অবস্থানকারী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে (মার্কিনী নেতৃত্বে ন্যাটো সামরিক জোটের অধীনে) বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর তাঁর দ্রুত পদোন্নতি ঘটে। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্নেল, ১৯৭৩-এর মাঝামাঝি ব্রিগেডিয়ার এবং একই বছরের অক্টোবরে জিয়াউর রহমান মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন। প্রেসিডেন্ট মুজিবকে উৎখাত সম্পর্কিত জিয়া-ফারুক আলােচনা প্রসঙ্গে এ্যান্থনি ম্যাসকার্নহাস আরও লিখেছেন, “ফারুকের মতে জেনারেল জিয়ার উত্তর ছিল, “আমি দুঃখিত। এ ধরনের কাজে আমি নিজেকে জড়াতে চাই না। তােমরা জুনিয়র অফিসাররা যদি কিছু একটা করতে চাও তাহলে তােমাদের নিজেদেরই তা করা উচিত। আমাকে এসবের মধ্যে টেনাে না।” জুলাই মাস (১৯৭৫) শেষ না হতেই মেজর রশিদ সাক্ষাৎপ্রার্থী হলাে খন্দকার মােশতাক আহম্মদ-এর। মােশতাক তখন মুজিব মন্ত্রিসভার বাণিজ্য মন্ত্রী এবং চেয়ারম্যান শেখ মুজিবের পরে বাকশালের তিন নম্বর সদস্য।… 
“১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মােশতাক ছিলেন আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট (জুনিয়র)। তাজউদ্দিন আহমদ-এর নেতৃত্বে গঠিত মুজিবনগরের প্রবাসী সরকারের তিনি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী। ১৯৭১-এর শরৎকালে ড. হেনরি কিসিঞ্জার যখন (মার্কিনী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও সিআইএ প্রধান) আওয়ামী লীগে ভাঙন ধরানাের চাল খেলে পাকিস্তানের ভাঙন রােধের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল, তখন সেই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন বলে কোলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে মােশতাক আর পররাষ্ট্র দফতরের গদি ফিরে পাননি।… মােশতাক তাকে (রশিদকে) দোতলার একটি ঘরে স্বাগত জানালেন। কিছুক্ষণ ধরে টুকিটাকি বিষয়ে আলাপ আলােচনার পর রশিদ বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলাপ আরম্ভ করে। দুজনের আলাপ হয় সেদিন প্রায় দুঘণ্টা ধরে। রশিদের ভাষায় : আমরা কিছুক্ষণ রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে কথাবার্তা বলি। পরােক্ষভাবে আমি লক্ষ করছি এতে খন্দকার সাহেব কী রকম বােধ করেন। পরে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আওয়ামী লীগের প্রবীণতম সদস্য এবং শেখ মুজিবের একজন ঘনিষ্ঠ লােক হিসাবে মুজিবের নেতৃত্বে দেশ কোনাে উন্নতি প্রত্যাশা করতে পারে বলে তিনি মনে করেন কিনা। মােশতাক পরিষ্কার ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন, “জাতি তার (মুজিবের নেতৃত্বে কোনাে উন্নতি প্রত্যাশা করতে পারে না।”
এরপর আমার (রশিদের) প্রশ্ন ছিল, “এটাই যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তাঁকে (মুজিবকে) ছেড়ে যাচ্ছেন না কেন?” তিনি উত্তরে বলেছিলেন, “আসলে এ ধরনের কাজ অতাে সহজ নয়।” রশিদ আরও বলল, আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, “দেশের এই পরিস্থিতিতে কেউ যদি শেখ মুজিবকে জোর করে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, তাহলে কি তা সঠিক হবে?” | তিনি (মােশতাক) বলেছিলেন, “দেশের স্বার্থে সম্ভবত এটি একটি ভালাে কাজ হবে। কিন্তু কাজটা খুবই কঠিন।” অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় বিতর্কিত সাংবাদিক এ্যান্থনি ম্যাসকার্নহাস মুজিব হত্যার ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত রশিদের আলােচ্য বক্তব্য সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে আগ্রহী হন। ফলে পরবর্তীকালে ম্যাসকার্নহাস রশিদকে এ মর্মে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন যে, তাহলে তিনি (মােশতাক) রাজি হয়েছিলেন?” রশিদের উত্তর : হ্যা, হঁ্যা, মােশতাক রাজি হয়েছিলেন। এমনকি তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, যদি তাঁকে (মুজিবকে) সরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে তার পরিবর্তে কে আসবে? বিকল্প তাে থাকা উচিত?”  এবার এ্যান্থনি ম্যাসকার্নহাস-এর এতদসম্পর্কিত প্রতিবেদনের অংশ বিশেষ থেকে উদ্ধৃতি : আমি পৃথক পৃথকভাবে ফারুক এবং রশিদের অনেকগুলাে সাক্ষাৎকার টেপে রেকর্ড করেছি। এই সব সাক্ষাৎকারে তারা হলফ করে বলেছে যে, শেখ মুজিবের হত্যার পূর্বে এভাবেই খন্দকার মােশতাককে অবগত করানাে হয় এবং তিনি মৌন সম্মতি জ্ঞাপন করেন। কিন্তু আমি যখন খন্দকার মােশতাককে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি, তখন তিনি তা অস্বীকার করেন। আমি কিন্তু দুই মেজরকে অবিশ্বাসের কোনাে কারণই খুঁজে পাই না।
এরা দুজনে পরিষ্কার বলেছে যে, এরা আগস্টের (১৯৭৫) দুই তারিখে মুজিব হত্যার পরিকল্পনায় মােশতাককে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। ঘটনাটি হচ্ছে মুজিব হত্যার মাত্র তেরাে দিন আগে। এর ফলে খন্দকার মােশতাক তাঁর সহযােগী তাহেরউদ্দিন ঠাকুর প্রমুখ সহকর্মীদের সঙ্গে বিস্তারিত আলােচনার সময় পান। শেখ মুজিবকে হত্যার পর কে কোন পদে সমাসীন হবে, এ বিষয়ে তারা মতামত ব্যক্ত করে। এরপর দলের কোনাে একজন এই গােপন পরিকল্পনার কিছু তথ্য মার্কিনী দূতাবাসের জনৈক যােগাযােগ রক্ষাকারী অফিসারের কাছে ফাঁস করে দেয়।  ১৫ই আগস্ট ফারুক বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করে যে, যখন তার লােকজন শেখ মুজিবের এবং সেরনিয়াবাত-এর বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছিল, তখন মার্কিনী দূতাবাসের কয়েকটি গাড়ি ঢাকা নগরীর চতুর্দিকে ছুটাছুটি করছিল। খন্দকার মােশতাককে সঙ্গে করে খন্দকার রশিদ রেডিও স্টেশনে পৌছার অনেক আগে থেকেই তাহেরউদ্দিন ঠাকুর সেখানে উপস্থিত ছিল। মােশতাকের বেতার ভাষণটি তাহেরউদ্দিন ঠাকুরেরই লেখা। এই ভাষণ যেভাবে লেখা হয়েছিল, তাতে পরিষ্কার বােঝা যায় যে, বেশ সময় নিয়ে এবং যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনা করে এটি লেখা। শেখ মুজিবের হত্যার পর তাহেরউদ্দিন ঠাকুর পশ্চিমা এক সাংবাদিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলছিল যে, মুজিব হত্যার পরিকল্পনাটি তার বাসায় মাত্র দু’রাত আগে চূড়ান্ত করা হয়েছিল। “আরও অনেকেই শেখ মুজিবকে হত্যার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। এদের মধ্যে মাওবাদী বামপন্থী “সর্বহারা পার্টি” এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) উল্লেখযােগ্য। কিন্তু দুই মেজরের কাণ্ড-কীর্তি অন্যান্য সমস্ত জল্পনা কল্পনা ছাড়িয়ে গেল। “গােয়েন্দা বিভাগের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছে যে, ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসের শুরুতেই গােয়েন্দা দফতর শেখ মুজিবকে উৎখাত এর কমপক্ষে পাঁচটি সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রের তদন্ত চালাচ্ছিল। সেনাবাহিনীর তরুণ অফিসারদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছিল ওই হিসাবের অতিরিক্ত। এ সময় একজন সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদ তার স্ত্রীর শাড়ি কেনার অজুহাতে কোলকাতায় যান। কিন্তু ভদ্রলােক দমদম বিমানবন্দরের বাইরে যাননি। দমদমে তিনি একজন পশ্চিমা কূটনীতিবিদ-এর সঙ্গে দীর্ঘ আলােচনা করেন।

সূত্রঃ মুজিবের রক্ত লাল – এম আর আখতার মুকুল

 
error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!