আল্লাহ্তাআলা তাে শুধু আল্ মুসলেমিন্ নন তিনি রাব্বল আল্ আমিনও – মুজিব
ঘণ্টা খানেক পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান সদলবলে গিয়ে হাজির হলেন লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট কর্নেল গাদ্দাফির ‘কটেজ’-এ পূর্ব নির্ধারিত আলােচনার জন্য। প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফির বেশভূষা ও চাল-চলন খুবই সাধারণ ধরনের। কিন্তু মরুভূমির কড়া রােদে ঝলসানাে তার চেহারা রুক্ষ এবং ব্যবহার কর্কশ আর মেজাজ বেশ উগ্র প্রকৃতির। পাশ্চাত্য পত্র-পত্রিকার মতে গাদ্দাফি খুবই একগুয়ে এবং নিষ্ঠুর চরিত্রের নেতা। পােশাক পরিচ্ছদে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে না চললেও তিনি ধর্মের প্রতি খুবই আস্থাশীল বলে প্রায়শই দাবি করেন। তবে তিনি। বেশ কিছুটা উচ্ছাকাক্ষী বলা যায়। স্বীয় দেশের আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হওয়ার পর এক্ষণে প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি আঞ্চলিক নেতৃত্ব গ্রহণে অভিলাষী। গাড়ি বারান্দায় দাঁড়িয়ে গাদ্দাফি এদিন বাংলাদেশের শেখ মুজিবকে কোলাকুলি আর চুম্বনের মাধ্যমে জানালেন উষ্ণ সম্বর্ধনা। দুজনেই নিপীড়িত মানুষের মুক্তিতে বিশ্বাসী। কিন্তু মত ও পথ ভিন্ন। একজন হচ্ছেন ‘সদাশয় একনায়কত্বের প্রতি শ্রদ্ধাবান এবং আরেকজন আজন্ম গণতন্ত্রের পূজারী। অনেকের মতে লিবিয়ার সমাজ জীবনে উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণী মােটামুটিভাবে অনুপস্থিত বলেই গাদ্দাফির সুবিধা। আর শেখ মুজিবের প্রধান অন্তরায় হচ্ছে সদ্য-সৃষ্ট উচ্চবিত্ত এবং বুরােক্রেসি ও বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান চাহিদা। ড্রইং রুমের দু’দিকের সােফায় বাংলাদেশ ও লিবিয়ার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নিপভাবে বসে। মধ্যের সােফায় পাশাপাশি বসলেন দুই নেতা। শারীরিক কুশলাদি বিনিময় ছাড়াও দুজনের মধ্যে বিশ্বরাজনীতি, বিশেষ করে রুশ মার্কিন ভূমিকা সম্পর্কে বেশ কিছু আলােচনা হলাে। অবশ্য এরই মাঝে হাস্যকৌতুকে সৃষ্টি হলাে এক লঘু পরিবেশের।
এমন সময় আকস্মিকভাবে ছন্দের পতন হলাে। প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি হঠাৎ করে দোভাষীর মাধ্যমে এক প্রস্তাব দিয়ে বসলেন। বললেন, এক্সেলেন্সি আমি আপনার সঙ্গে আন্তরিকতাপূর্ণ বন্ধুত্ব করতে চাই। এখন আমার প্রস্তাব হচ্ছে, আপনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশগুলাের নেতৃত্ব গ্রহণ করুন। আমরা আপনাকে সমর্থন জোগাব। কেননা সেক্ষেত্রে আমি মধ্যপ্রাচ্যের নেতৃত্ব গ্রহণে এগিয়ে আসতে পারি। অবশ্য এর জন্য প্রথমেই আমি অনুরােধ করব আপনার দেশের নাম বদলিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী প্রজাতন্ত্র করার জন্য। জ্বলন্ত পাইপ থেকে এক রাশ ধুয়া ছেড়ে এবার বঙ্গবন্ধুর জবাব দেয়ার পালা। স্মিতহাস্যে বিনয়ের সঙ্গে তিনি বললেন, আপনার প্রস্তাব অত্যন্ত উত্তম এবং সুচিন্তিত। কিন্তু এই মুহূর্তে এ ধরনের প্রস্তাব আমার পক্ষে কার্যকরী করা সম্ভব নয় বলে আমি দুঃখিত। কারণ সমগ্র লিবিয়ায় যেখানে অমুসলিম জনসংখ্যা নেই বললেই চলে, সেখানে বাংলাদেশে অমুসলিমদের সংখ্যা প্রায় এক কোটির মতাে। এক্সেলেন্সি, পরম করুণাময় আল্লাহতাআলা তাে শুধু আল মুসলেমিন নন-তিনি তাে রাব্বল আল্ আমিন। তিনিই হচ্ছেন সব কিছুর স্রষ্টা তিনি মহান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের এ ধরনের যুক্তির অবতারণায় উপস্থিত সবাই হতবাক হলেন আর গাদ্দাফির ভ্র-যুগল কুঁচকে উঠল ক্ষণিকের তরে।
বঙ্গবন্ধু আরও বললেন, এক্সেলেন্সি, আপনার কথা বহু শুনেছি এবং জেনেছি। আপনার জীবন হচ্ছে শােষিত মানুষের সেবায় উতসর্গকৃত। এক্সেলেন্সি, আমি আপনাকে এজন্য অভিনন্দন জানাই যে, আপনি স্বীয় কর্মদক্ষতায় লিবিয়ার আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে শুধু স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়েছেন, তাই-ই নয়, আপনি হচ্ছেন লিবিয়ার শােষিত মানুষের মুক্তির দিশারী। তাই, আপনি এখন আঞ্চলিক নেতৃত্ব গ্রহণ করুন এটা আমাদেরও কাম্য। কিন্তু সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের এখন সমস্যা অনেক। এসব পর্বত-প্রমাণ সমস্যার সমাধান না করা পর্যন্ত আমার পক্ষে অন্য কিছু চিন্তা করা মােটেই বাঞ্ছনীয় হবে না। এবার প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি তার প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে আরবিতে কিছু আলােচনা করলেন। এ সময় তাকে কিছুটা চিন্তিতই মনে হলাে। বঙ্গবন্ধুর দিকে মুখ ঘুরিয়ে বললেন, ‘এক্সেলেন্সি, আমি সরাসরি কথাবার্তায় বিশ্বাসী। আপনার বক্তব্যের সবকিছুর সঙ্গে একমত না হলেও আপনার ব্যক্তিত্ব ও ব্যবহারে আমি বিমুগ্ধ হয়েছি। এখন বলুন এক্সেলেন্সি, আপনি কী চান আমাদের কাছে?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গুরুগম্ভীর গলায় ত্বরিৎ জবাব দিলেন, “আমরা চাই লিবিয়ার স্বীকৃতি। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতি লিবিয়ার স্বীকৃতি।” জবাবে গাদ্দাফি বললেন, এক্সেলেন্সি বিষয়টা আমরা বেশ সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করব। কিন্তু সময় সাপেক্ষ। এরপর দুই নেতার আনুষ্ঠানিক বিদায়ের পালা। প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি সহাস্যে বঙ্গবন্ধুকে বিদায় জানালেও লিবিয়ার প্রতিনিধি দলের সদস্যদের চেহারায় কোনাে ভাবান্তর লক্ষ করলাম না। সবার চেহারা ভাবলেশহীন। আমার মনে হলাে কোথায় যেন ফাক রয়ে গেল। আগেই উল্লেখ করেছি যে, এ সময় সবচেয়ে দুরূহ কাজ ছিল প্রধানমন্ত্রী মুজিব এবং বাদশাহ ফয়সালের মধ্যে বৈঠকের আয়ােজন। প্রায় দু’বছর আগে স্বাধীন ও সার্বভৌম হওয়া সত্ত্বেও তখনও পর্যন্ত সৌদি আরব বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। দুটো দেশের মধ্যে এহেন নাজুক সম্পর্ক বিরাজমান থাকা সত্ত্বেও কুষ্টিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা এবং বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সেদিন আলজিয়ার্স-এ এই বৈঠকের আয়ােজন সম্ভব হয়েছিল। পরিচয় পর্বের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মুজিব এবং বাদশাহ ফয়সালের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোলাকুলি ও পারস্পরিক চুম্বন। এরপর দুজন বসলেন পাশাপাশি সােফাতে। আর একটা চেয়ারে বসলেন বাদশাহ ফয়সালের দোভাষী।
উল্টো দিকের সােফায় উভয় দেশের অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ। প্রথমেই শারীরিক কুশলাদি বিনিময়ের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর দোভাষীর মাধ্যমে দুই নেতার কথাবার্তার সারাংশ ছিল নিম্নরূপ :
বাদশাহ : এক্সেলেন্সি, আমি শুনেছি যে, আসলে বাংলাদেশ আমাদের কাছ থেকে কিছু সাহায্যের প্রত্যাশী। কিন্তু কথা হচ্ছে, আপনারা কোন ধরনের সাহায্য চান? দয়া করে বলুন আপনারা কী চান? অবশ্য এসব সাহায্য দেয়ার জন্য আমাদের কিছু পূর্ব শর্ত রয়েছে?
মুজিব : এক্সেলেন্সি, বেয়াদবী নেবেন না। আমি হচ্ছি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আমার তাে মনে হয় না, মিসকিন-এর মতাে বাংলাদেশ আপনাদের কাছে কোনাে সাহায্য চেয়েছে।
বাদশাহ : তাহলে আপনারা কিংডম অব সৌদি এ্যারাবিয়া’র কাছ থেকে কী চাচ্ছেন?
মুজিব : বাংলাদেশের পরহেজগার মুসলমানরা পবিত্র কাবা শরীফে নামাজ আদায়ের অধিকার চাচ্ছে। এক্সেলেন্সি, আপনিই বলুন সেখানে তাে কোনাে শর্ত থাকতে পারে না। আপনি সুমহান এবং প্রতিটি বাঙালি মুসলমান আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আপনি হচ্ছেন পবিত্র কাবা শরীফের হেফাজতকারী। এখানে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের নামাজ আদায়ের হক রয়েছে। সেখানে আবার শর্ত কেন? এক্সেলেন্সি, আমরা আপনাদের কাছ থেকে ভ্রাতৃসুলভ সমান ব্যবহার প্রত্যাশা করছি।
বাদশাহ : এসব তাে আর রাজনৈতিক কথাবার্তা হলাে না। এক্সেলেন্সি, বলুন আপনারা কিংডম অব সৌদি এ্যারাবিয়া’র কাছ থেকে কী চাচ্ছেন?
মুজিব : এক্সেলেন্সি, আপনি জানেন এই দুনিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। তাই আমি জানতে চাচ্ছি, কেন সৌদি আরব আজও পর্যন্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না?
বাদশাহ : আমি পরম করুণাময় আল্লাহতাআলা ছাড়া আর কারাে কাছে জবাবদিহি করি না। তবুও আপনি একজন মুসলমান, তাই বলছি সৌদি স্বীকৃতি পেতে হলে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে “ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ করতে হবে।
মুজিৰঃ এই শর্তটা কিন্তু অন্তত বাংলাদেশের জন্য প্রযােজ্য হতে পারে না। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা মুসলমান হলেও এদেশের প্রায় এক কোটির মতাে অমুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। সবাই একই সঙ্গে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হয় শরীক হয়েছে, না হয় দুর্ভোগ পােহায়েছে। তাছাড়া এক্সেলেন্সি, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, পরম করুণাময় আল্লাহতাআলা তাে শুধুমাত্র আল মুসলেমিন নন তিনি হচ্ছেন রাম্বুল আলামিন। তিনি শুধুমাত্র মুসলমানদের আল্লাহ নন, তিনি হচ্ছেন সবকিছুর একমাত্র অধিকর্তা। তিনিই হচ্ছেন সব কিছুর একমাত্র স্রষ্টা। এক্সেলেন্সি, বেয়াদপী মাফ করবেন। আপনাদের দেশটার নামও তাে ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব সৌদি এ্যারাবিয়া’ নয়। এই মহান দেশের নাম আরব জাহানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী ও রাজনীতিবিদ মরহুম বাদশাহ ইবনে সউদ-এর সম্মানে ‘কিংডম অব সৌদি এ্যারাবিয়া’। কই আমরা কেউই তাে এ নামে আপত্তি করিনি?
বাদশাহ : এক্সেলেন্সি, এছাড়া আমার অন্য একটা শর্ত রয়েছে এবং তা হচ্ছে অবিলম্বে সমস্ত পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দিকে ছেড়ে দিতে হবে।
মুজিবঃ এক্সেলেন্সি, এটা তাে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যাপার। দুটো দেশের মধ্যে এ ধরনের আরও অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়েছে। যেমন ধরুন, বাংলাদেশ থেকে কয়েক লাখ পাকিস্তানি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নেয়া এবং বাংলাদেশের প্রাপ্য অর্থ পরিশােধ করা; এমন বেশ কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে। এসবের মীমাংসা কিছুটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই শুধুমাত্র বিনাশর্তে ৯১ হাজার পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দি ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নটি পৃথকভাবে বিবেচনা করা বাঞ্ছনীয় হবে না। আর এরজন্য সৌদি আরবই বা এতাে উদগ্রীব কেন?
বাদশাহ : এক্সেলেলি, শুধু এটুকু জেনে রাখুন সৌদি আরব আর পাকিস্তান একই কথা। পাকিস্তান আমাদের সবচেয়ে অকৃত্রিম বন্ধু। তাহলে এক্সেলেন্সি, আর তাে কথা থাকতে পারে না। তবে আমাদের দুটো শর্তের বিষয় চিন্তা করে দেখবেন। একটা হচ্ছে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ঘােষণা। আর একটা, বিনাশর্তে যুদ্ধবন্দির মুক্তি। আশা করি বাংলাদেশের জন্য সাহায্যের কোনাে কমতি হবে না।
মুজিব ; এক্সেলেন্সি, একটা বিষয় একটু বুঝিয়ে বললে খুশি হতাম।
বাদশাহ : এক্সেলেন্সি, বলুন কী বিষয়?
মুজিব : প্রায় দুবছর পর্যন্ত সৌদি আরব স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়ায় সেখানকার পরহেজগার মুসলমানরা যে পবিত্র হজ্ব আদায় করতে পারছে না, সে কথা ভেবে দেখছেন কি এক্সেলেন্সি? এভাবে বাধার সৃষ্টি করা কি জায়েজ হচ্ছে? পবিত্র কাবা শরীফে তাে দুনিয়ার। সমস্ত দেশের মুসলমানদের নামাজ আদায়ের হক রয়েছে। তাহলে কেন এই বাধার সৃষ্টি? কেন আজ হাজার হাজার বাঙালি পরহেজগার মুসলমানকে ভারতের পাসপােটে পবিত্র হজ্ব পালন করতে হচ্ছে?
আকস্মিকভাবে এখানেই আলােচনার পরিসমাপ্তি। কিন্তু বৈঠক শেষ হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার এককালীন নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর উচ্চারিত একটা আরবি কথার পুনরুক্তি করে বললেন, ‘লা-কুম দ্বীন-কুম ওয়ালি ইয়া-দ্বীন’ (তােমার ধর্ম তােমার আমার ধর্ম আমার)। মুসলিম জাহানের নেতা বাদশাহ ফয়সাল সােফা থেকে উঠে দাঁড়ালে দুজনের মধ্যে বিদায় কোলাকুলি আর পারস্পরিক চুম্বন। নিয়তির নির্মম পরিহাস। এরপর এই দুই বিশাল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতৃদ্বয়ের মধ্যে আর কোনাে সাক্ষাৎ হয়নি। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাদশাহ ফয়সাল এই দুই মহান নেতা আততায়ীর হাতে নিহত হন।
সূত্রঃ মুজিবের রক্ত লাল – এম আর আখতার মুকুল