You dont have javascript enabled! Please enable it!

২০ এপ্রিল ১৯৭১ঃ পাকিস্তানে হামলার ক্ষেত্র তৈরির জন্য বিমান ছিনতাই ঘটনা সাজানো হয়েছিল- তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট

সিন্ধু ও বেলুচিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি নুরুল আরেফিনের নেতৃত্ব এ গঠিত কমিশন লাহোরে ভারতীয় বিমান ছিনতাই এর তদন্ত রিপোর্ট ১৫ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনের অংশ বিশেষ পত্রিকায় প্রকাশের জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে। কমিটি জানায় ছিনতাইকারী আশরাফ ২৯ জানুয়ারী ২টি টিকেট ক্রয় করে। একটি নিজের অপরটি হোসেনের নামে কিন্তু হোসেনের পরিবর্তে হাসিম কোরেশী বিমানযাত্রী হন। তারা যখন বিমান বন্দরে তখন ৩জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা দায়িত্বরত ছিলেন। এদের একজন কাশ্মির সিআইডির জনাব দ্বারকানাথ, একজন বিএসএফ এর হাবিলদার চাবিল সিং, আরেকজন ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মচারী। তারা তিন জনই তাদের চিনতেন। বিমান বন্দরে দ্বারকানাথ হাসিমকে নিয়ে কিছুক্ষন হয়রানীও করেছিলেন। হাসিম তখন দ্বারকানাথ কে জানায় তার কাছে টাকা নাই। তখন দ্বারকানাথ হাসিমের পকেটে হাত দিয়ে একটি জেহাদি পোষ্টার পান পোস্টারে উর্দুতে লেখা ছিল আক্রমন শুরু হয়ে গেছে। পরে তারা হাসিমকে যেতে দেন। হাসিম বিমানে উঠার সাথে সাথেই পাইলট এর কাছে যেয়ে পিস্তল ধরেন এবং বলেন আমরা বিমান হাইজ্যাক করে লাহোর নিয়ে যাচ্ছি। আদেশ পালিত না হলে বিমান উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। কমিশন বলেছে বিএসএফ এর সাথে হাশিম কোরেশীর ভাল সম্পর্ক ছিল। তা সত্ত্বেও তিনি প্রকৃতও অস্রের পরিবর্তে ডামি অস্র বহন করছিলেন। এবং বিমানে উঠার আগে তাদের তল্লাসি করা হয়নি। কমিশন বলেছে এ কাজ ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাজ কাশ্মীরী মুক্তিযোদ্ধাদের নয়।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!