১৮ এপ্রিল ১৯৭১ঃ মন্ত্রিসভার বৈঠক
মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়। খন্দকার মোস্তাক আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্র। কামরুজ্জামান ত্রান, কৃষি, স্বরাষ্ট্র। মনসুর আলী অর্থ, শিল্প, বাণিজ্য, যোগাযোগ। তাজ উদ্দিন বাকী সব মন্ত্রনালয়। কর্মচারীদের বেতন স্কেল অনুমোদন করা হয়। পাকিস্তান সরকারের যে হারে বেতন পেতেন তার হিসাবে কাট ছাট করে স্কেল নির্ধারণ করা হয়। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী আগের হিসেবে ১০০ ভাগ। ২য় শ্রেণী আগের হারের ২০% সরবচ্চ ৪০০ টাকা। ১ম শ্রেণী আগের হারের ২৫% সরবচ্চ ৫০০ টাকা। পূর্বাঞ্চলের(১-৫ ও ১১ নং সেক্টর) বেতনের জন্য এমআর সিদ্দিকিকে ক্ষমতা দেয়া হয়। একই সাথে তাকে শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠানে লিয়াজোকারীদের দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রধান সেনাপতি ছাত্র ও যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষন দিবেন। একই সাথে ফজলুল হক মনি, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, সিরাজুল আলম খানকেও এ দায়িত্ব দেয়া হয়। মিজানুর রহমান চৌধুরীকে দেশের ভিতর রাজনৈতিক শক্তিকে পুনরিজ্জিবিত করার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ট্রেজারির অর্থ নিরাপদে বন্ধুদের কাছে রাখার জন্য সেনাপতির নেতৃত্ব এ কমিটি করে দেয়া হল। বাকি দুজন সেনাবাহিনীর হবেন। সেনাপতির নীতিমালা অনুযায়ী এ বিষয়ে যথাযথ রশিদ রাখবেন। অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তি নামে একটি একাউনট খুলতে হবে।