You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৭ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- দিনাজপুর

সুবেদার কাজিম ৩ জন ভারতীয় অফিসার নিয়ে রুহিয়া (পঞ্চগড়) গমন করেন। সেখানে মেজর এম টি হোসেনের বাহিনী ঠাকুরগাঁও ছিল। যাওয়ার পথে ভাতগাও কাউকে পেলেন না। টেলিফোনেও কারো সাথে সংযোগ করতে পারেননি এমতাবস্থায় তিনি পঞ্চগড়ে একটি কোম্পানির সহিত মিলিত হন। সেখানে গিয়ে সুবেদার কাজিম জানেন ভাতগাও এর বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। এমটি হোসেন ৫০ লাখ টাকা, একটি বাস ও জীপ নিয়ে ভারত চলে গেছেন গোলাবারুদ আনার জন্য। (এম টি হোসেন পলায়ন করেন স্বাধীনের পর দেশে ফিরেন। টাকাই তাকে মুক্তিযুদ্ধ থেকে সরিয়ে দিয়েছে)। ভাতগাও যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ৫-৬ জন মারা যায় পাকিস্তানীদের ২৫-৩০ জন মারা যায়। গুরুতর আহত সিপাই মান্নান স্থানীয়দের সহযোগিতায় চিকিৎসা শেষে অক্টোবরে আবারো মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। ভাতগাও পতনের পর খানসামা, জয়গঞ্জ , ঝাড়বাড়ী, দেবীগঞ্জের অবস্থানগুলি ছেড়ে মুক্তিবাহিনী পঞ্চগড় সরে যায়। ঠাকুরগাঁও এর পতন হয়। এমটি হোসেনের জায়গায় সুবেদার কাজিম কম্যান্ডারের দায়িত্ব পালন শুরু করেন। সুবেদার কাজিম ঠাকুরগাঁও পতনের আগেই একটি টীম প্রেরন করে ব্যাঙ্কের সকল টাকা (প্রায় ১ কোটি টাকা) পঞ্চগড় নিয়ে আসেন। এ টাকা পরে সেক্টর কম্যান্ডার ক্যাপ্টেন নজরুল হকের কাছে অর্পণ করেন। এ সময় ২ জন এমএনএ সিরাজুল ইসলাম, আব্দুর রউফ (ছাত্রলীগ, সাবেক সভাপতি) উপস্থিত ছিলেন। নজরুল এ টাকা বিএসএফ এর লেঃ কঃ বেনারজির কাছে জমা করেন। অর্থমন্ত্রী মনসুর আলী এ টাকা পরে বিএসএফ এর বেনারজি সাহেব থেকে নিয়ে মুজিবনগর তহবিলে জমা করেন।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!