হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক ব্যক্তিকে অপহরণ, দখলদার বাহিনীর দালালী ও বস্তিবাসী বহু বাঙ্গালী মেয়েকে ধর্ষণ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে এককালীন শাহাজাহানপুর কলােনীর ত্রাস সঞ্চারকারী রাজাকার কমান্ডার ও বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনীর পাণ্ডা মুন্না ওরফে ইসমাইলকে গতকাল শুক্রবার ঢাকার তৃতীয় স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের জজ জনাব এস, এস, মাহমুদ মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। তার রায়ে উল্লেখ করেন যে, আসামী। মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করেছে এবং চরম দণ্ডই তার প্রাপ্য। রেলওয়ে। ড্রাইভার জহিরের পুত্র আসামী মুন্নার বিরুদ্ধে অভিযােগে বলা হয় যে আসামী ১৯৭১ সালের ১৯ শে মে হত্যা করার উদেশ্যে কমলাপুরের দরগা রােডের জনৈক মােশারেফ হােসেনকে অপহরণ করে এবং ঐ বছর ৬ই ডিসেম্বর একই এলাকা থেকে বিকেলে অন্যান্য রাজাকার ও পাকসেনার সাথে মিলে কাজী আবুল মােতিন, শহিদুল আলম ভূইয়া নামে জগন্নাথ কলেজের একজন ছাত্র ও রাঙ্গামাটি কলেজের অধ্যাপক শফিকুর রহমান ভূইয়াকে অপহরণ করে। এ ছাড়া আসামী মােঃ মেছের নামক একজনকে গুলি করে হত্যা করে। আসামী যাদের ধরে নিয়ে যায় তারা কেউ পরে ফিরে আসেনি। আসামীর বিরুদ্ধে আরাে অভিযােগে বলা হয় দখলদার আমলে শাহজানপুর কলােনীতে সে এক বিভীষিকার রাজত্ব কায়েম করে এবং নিরপরাধ বস্তিবাসী অনেক বাঙ্গালী মেয়েকে সে বলপূর্বক ধর্ষণ করে এবং পাক সেনাদের ফুর্তির জন্য সরবরাহ করে।
সূত্রঃ সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ১৯৭১ -প্রত্যয় জসীম