২২-৫-৭৩ দৈনিক পূর্বদেশ দালালীর অভিযােগে কেরামত আলীর সশ্রম কারাদণ্ড
জোর করে টাকা আদায় এবং খবর পাচারের দায়ে পাকবাহিনীর দালাল মুন্সিগঞ্জ থানার অন্তর্গত চরসিল মন্সির গ্রামের কেরামত আলী কাজীকে যথাক্রমে পাঁচ বছর ও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযােগের বিবরণে প্রকাশ ১৯৭১ সালের ১০ই আগস্ট তারিখে উক্ত গ্রামে একদল মুক্তিযােদ্ধা আসে এবং তাদের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কতিপয় লােকের সাহায্য চায়। মামলায় বাদী সামছুদ্দিন আহমেদ নামক এক ব্যক্তির বাড়ীতে নিয়ে যায়। আসামী ও মৃত আব্দুল কাদের তরফদার মুন্সীগঞ্জে পাক বাহিনীর ক্যাম্পে এই খবর পৌছে দেন। ফলে ১৫ই আগস্ট সৈন্য বাহিনী এসে গ্রামটি ঘিরে ফেলে কিছু লােককে হত্যা করে এবং কয়েকজনকে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। আসামী ও এক দারগাকে ১৩০০ টাকা না দেয়া পর্যন্ত তাদের আটক রাখা হয়। আসামী অভিযােগ অস্বীকার করে বলে যে বাদীর সাথে ইতিপূর্বে মামলা মক্কদমা নিয়ে শত্রুতাবশত তাকে এই মামলায় জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। স্পেশাল পি পি জনাব মােসলেহ উদ্দিন আহমেদ সরকার পক্ষে এবং জনাব ফজলুর রহমান আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন। মামলায় রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের সভাপতি জনাব মােস্তাক আহমদ চৌধুরী।
সূত্রঃ সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ১৯৭১ -প্রত্যয় জসীম