৪-৮-৭২ দৈনিক সংবাদ দালালীর দায়ে ৩ ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনার বিশেষ আদালত হত্যা ও দখলদার বাহিনীর সাথে সহযােগিতা ও দালালীর অভিযােগে নয় ব্যক্তির বিচার করে ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। অন্য ছয়জন নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। হত্যা দালালীর অপরাধমূলক কাজের জন্য অভিযুক্ত আবদুর রশিদ মােল্লা, কিয়াস উদ্দিন সরদার ও আব্দুল হামিদ শেখকে বিশেষ আদালত দোষী সাব্যস্ত করে। এই আদালতে সভাপতিত্ব করেন এম, এ. আকবর। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ অভিযােগকারী দলিল উদ্দিনের পুত্র মুক্তিবাহিনীর সদস্য কাইয়ুম আলী গাজী ট্রেনিং শেষ করে ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে গ্রামে ফিরে আসে। ঘটনার দিন ১০ টার সময় রাজাকার ও পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীকে ধরার জন্য তেরােখাদার বাসারাত ক্যাম্পে যায়। অভিযােগকারী দলিল উদ্দিন এখনে তার জামাইয়ের বাড়ীতে আসে এবং সে যখন পরিবারবর্গ নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে তখন রাজাকার ও পাকসেনা তাদের উপর গুলি চালায়। দলিল উদ্দিন তার ভাগ্নে ও কন্যাসহ পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার স্ত্রী কুলসুম নৌকার উপর থাকে। কাইয়ুম আলী কোন খবর না পেয়ে অভিযুক্ত রশিদ মােল্লা অভিযুক্ত কিয়াস উদ্দিনকে। কুলসুমের উপর গুলি চালাতে আদেশ দেয়। ঘটনাস্থলে কুলসুম মারা যায়। রাজাকার অভিযােগকারী তার ভাগ্নে ও জামাইকে ধরে পাকসেনার হাতে দেয়। সরকারি পক্ষে। মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ সরকারি উকিল জনাব শেখ ইউসুফ আলী এবং বিবাদী। পক্ষ উকিল ছিলেন জনাব মনসুর আলী।
সূত্রঃ সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ১৯৭১ -প্রত্যয় জসীম