নৌ-কমাণ্ডোদের অভূতপূর্ব সাফল্য
সম্প্রতি বাংলাদেশের নদীপথে নেভাল কমাণ্ডোদের গেরিলা তৎপরতা উল্লেখযােগ্যভাবে বেরেছে। মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ এতই তীব্রতর হয়েছে যে, এরই মধ্যে ৬টি সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজ ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে ২টি আমেরিকান, ২টি চাইনিজ, ১টি জাপানী ও ১টি পাকিস্তানী জাহাজ ছিল। এই জাহাজগুলি অস্ত্রশস্ত্র ও গােলাবারুদ বহন করছিলাে। মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তরের এক মুখপাত্র জানান যে, তারা ২৩ টি স্টীমার, লঞ্চ ও বার্জ দখল করে নিয়েছে। সিলেট, ঢাকা ও চাঁদপুর এলাকায় ৮টি নৌ-যান ডুবিয়ে দিয়েছে। ২৩শে আগষ্ট সাতক্ষীরাতে ১টি গানবােট অতর্কিত আক্রমণ করে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। ঢাকা থেকে সিলেট গমনরত রসদ বহনকারী একটি জাহাজ চাঁদপুরে মুক্তিবাহিনী দখল করে নেয়। এই সময়ে চাঁদপুরে অপর একটি অভিযানে ১টি বিরাটকায় বার্জ ও ২টি স্টীমার ধ্বংস করে। সুনামগঞ্জে শাচনা এলাকায় গেরিলায় একটি মালবাহী লঞ্চ, ৪টি বার্জ ও ১৬টি বিভিন্ন আকারের জাহাজ দখল করে। নদীপথে গেরিলা তৎপরতা এত বৃদ্ধি পায় যে, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ঢােকার পথ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ সূত্রে জানা যায় লেঃ জেনারেল টিক্কা খান স্বয়ং বন্দর ও জাহাজগুলাের ক্ষয়ক্ষতি স্বচক্ষে দেখার জন্য নৌ-বাহিনীর সিনিয়র অফিসার সমভিব্যহারে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন।” (সূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধকালে প্রকাশিত বাংলাদেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত।)
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের দু’শো রণাঙ্গন – মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি সম্পাদিত