You dont have javascript enabled! Please enable it!
সিলেট যুদ্ধ
সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল খােয়াই-শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন ছাড়া পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট ডাউকি সড়ক নিয়ে গঠিত হয় চার নম্বর সেক্টর। মেজর সিআর দত্ত (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল) সেক্টর কমান্ডার হিসেবে নিয়ােজিত ছিলেন। জেনারেল দত্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এফএফ (ফ্রন্টিয়ার ফোর্স) রেজিমেন্টের একজন সিনিয়র মেজর পদে চাকরি করছিলেন। ১৯৭১ সালের জানুয়ারী মাসে তিনমাসের ছুটিতে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসে হবিগঞ্জে অবস্থান করছিলেন। পঁচিশে মার্চের কালােরাতের পর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল রব (এমসিএ) ও মানিক চৌধুরী (এমসিএ) প্রমুখ আনসার, মুজাহিদ, পুলিশ, ছাত্র, কৃষক-শ্রমিক জনতাকে একত্রিত করে সিলেট শহরকে মুক্ত করার পরিকল্পনা করেন। মেজর দত্তকে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হল। মেজর চিত্তরঞ্জন দত্তের নেতৃত্বে আনসার, মুজাহিদ, পুলিশ, ছাত্র ও জনতা সিলেট শহর হানাদারমুক্ত করার জন্য অগ্রসর হল। সীমান্ত চৌকিগুলােতে ইপিআর (বর্তমানে বিডিআর) বাহিনীকে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য খবর পাঠানাে হল। বিভিন্ন উইং থেকে স্বতস্ফূর্তভাবে ইপিআর সৈনিকরা মেজর দত্তের বাহিনীতে যােগ দিল। ১লা এপ্রিল মেজর দত্ত রশীদপুর থেকে রিয়ার হেড কোয়ার্টার মৌলভী বাজারে স্থানান্তর করেন। পথিমধ্যে নয়নপুরে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুখােমুখি সংঘর্ষ হয়। পাকবাহিনীর হাতে উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র থাকা সত্বেও হাজার হাজার মুক্তিযােদ্ধাদের জয় বাংলা ধ্বনিতে পাকবাহিনী মুক্তিবাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা ভেবে ভীত হয়ে পিছু হটে যায়।
মৌলভীবাজার থেকে সিলেট আক্রমণ করা রণকৌশলগত দিক দিয়ে সুবিধাজনক ছিল। মৌলভীবাজরের অবস্থান এমন স্থানে ছিল যে, সেখান থেকে দুটো প্রধান সড়ক সিলেট থেকে একটি কুলাউড়া হয়ে এবং অপরটি শেরপুর-শাদিপুর হয়ে মৌলভীবাজারে মিলেছে। যদি শত্রুরা কুমিল্লা অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে চায় তাহলে অনিবার্যভাবেই আসতে হবে। ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের দুটি প্ল্যাটুন শেরপুর এবং এক প্লাটুন সৈন্য শাদিপুরে প্রতিরক্ষা অবস্থান নেয়। সিলেট আক্রমণের জন্য শেরপুর ও শাদিপুর ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। পাকবাহিনীর কাছে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান, তিন ইঞ্চি মর্টার ও চাইনিজ রাইফেল ছিল। শেরপুর-শাদিপুর পারাপারের ফেরী নৌকাগুলাে পাকবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। ৪ঠা এপ্রিল রাত দশটায় মুক্তিবাহিনী তিনভাবে বিভক্ত হয়ে নৌকায় পার হয়ে শেরপুর অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। ৫ই এপ্রিল ভাের পাঁচটার সময় পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ শুরু হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলতে থাকে। পাকসেনাদের মর্টারের আঘাতে অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয় এবং অনেক গ্রামবাসী প্রাণ হারায়। বহু পাকসেনা নিহত হয়। তিনজন মুক্তিযােদ্ধা শহীদ হন। এবং অনেকে আহত হন। শাদিপুর মুক্তিবাহিনীর দখলে আসে। এই সময়ে মেজর দত্তের অনুরােধে মেজর শফিউল্লাহ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসাবে কর্তব্যরত) ক্যাপ্টেন আজিজের নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গলের এক কোম্পানী সৈন্য মেজর দত্তের সাহায্যে পাঠান। এই কোম্পানী কুলাউড়া, শেওলা, সুতার কান্দি, গােপালগঞ্জ হয়ে সিলেটে সুরমা নদীর দক্ষিণ তীর প্রতিরােধ গড়ে তােলে। সিলেট শহর থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে বতসকলীতে পাকসেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এবং পাকসেনারা সিলেট শহরে চলে যায়। ক্যাপ্টেন আজিজ সুরমা নদীর দক্ষিণ তীরে প্রতিরক্ষা ব্যুহ রচনা করেন।
অন্যদিকে মেজর দত্ত শাদীপুর হয়ে সিলেটের পথে অগ্রসর হতে থাকেন। মুক্তিবাহিনী বিশ্বনাথপুরে পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপরে আক্রমণ চালায়। পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর প্রচন্ড আক্রমণের মুখে হতােদ্যম হয়ে পিছু হটে সিলেট শহরে পালিয়ে যায়। ৭ই এপ্রিল শুধুমাত্র সিলেট বিমান বন্দরে এবং লাকাতুরা চা বাগানের কিছু অংশ ছাড়া সমস্ত সিলেট জেলা মুক্তিবাহিনীর দখলে আসে। ৮ই এপ্রিল মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত ভারতের শিলচর থেকে আসার আগেই পাকসেনারা শালটিকর বিমান বন্দর ও লাকাতুরা এলাকা থেকে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের উপর আক্রমণ চালায়। এর আগে পাকবাহিনী বিমানযােগে ঢাকা থেকে ব্যাপকভাবে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসে। ১০ই এপ্রিল বিকাল পাঁচটায় পাকসেনারা খাদিমনগরে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর উপর স্থল ও বিমান হামলা চালায়। মুক্তিযােদ্ধাদের কাছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র না থাকায় তারা পেছনে সরে এসে হরিপুর প্রতিরক্ষা অবস্থান নেয়। এই সময় শালটিকার বিমান বন্দরের রানওয়ে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য ১৯শে এপ্রিল আক্রমণ চালান হয় এবং সারারাত অবিরাম গােলাবর্ষণ করে রানওয়ের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়। পাকবাহিনীর অব্যাহত আক্রমণের মুখে ক্যাপ্টেন আজিজের (বর্তমানে ব্রিগেডিয়ার) কোম্পানী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। হরিপুরে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনী সিলেটের দিকে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আকস্মিকভাবে ২০শে এপ্রিল ভােরে তিনদিক থেকে মর্টার, মেশিনগান দিয়ে পাকসেনারা আক্রমণ চালায়। মুক্তিযােদ্ধারা স্বাভাবিকভাবেই এই সর্বাত্মক আক্রমণের মুখে টিকে থাকতে না পেরে বিচ্ছিন্নভাবে নানাদিক ছড়িয়ে পড়ে।
মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মুক্তিযােদ্ধারা ভারতের সখাপুঞ্জী নামক স্থানে আশ্রয় নেয় এবং পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য সচেষ্ট হয়। তবুও পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে। সুতারকান্দিতে পাকসেনাদের সঙ্গে বড় ধরনের যুদ্ধ হয় ২৪শে মে। পাকবাহিনী সি-১৩০ বিমানযােগে সৈন্যবৃদ্ধি করতে থাকে। আক্রমণ ও গােলাবারুদের অভাবে মুক্তিবাহিনী টিকে থাকতে পারেনি। গােপালগঞ্জ প্রতিরক্ষা অবস্থান ছেড়ে বড়গ্রাম বিওপি এলাকাতে তারা অবস্থান নেয়। শেওলাঘাট থেকে কুশিয়ারা নদী অতিক্রম করে পাকবাহিনীকে বাধা দেয় মুক্তিবাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল। বিয়ানীবাজার ও জাকিগঞ্জ তখনও মুক্ত ছিল। ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের এক কোম্পানী সৈন্য শেওলাঘাটে প্রতিরক্ষা অবস্থান নেয় মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। বড়গ্রাম থেকে ক্যাপ্টেন রবের নেতৃত্বে মাঝে মাঝে পাকসেনাদের ওপরে আক্রমণ চলতে থাকে। ক্যাপ্টেন রব (বর্তমানে কর্নেল) ১৯শে জুন লাঠিটিলায় অবস্থিত পাক ঘাঁটি আক্রমণ করেন। একটি ছােট টিলার ওপর পাকসেনারা অবস্থান করছিল। ভারতীয় গােলন্দাজ বাহিনী এই আক্রমণে বােমা নিক্ষেপ করে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করে। ক্যাপ্টেন রবের নেতৃত্বে মুক্তিযােদ্ধারা পাকসেনাদের সম্মুখভাবে চার্জ করে। এই যুদ্ধে ২২ বেলুচ রেজিমেন্টের একজন হাবিলদার ও একজন সিপাই আত্মসমর্পণ করে। ৪ জন মুক্তিযােদ্ধা আহত হন। একই সময়ে ক্যাপ্টেন শফিকুল হক ডালিম কুফিকল সাব সেক্টর দিলখুল ও জুরি এলাকার পাকবাহিনীকে প্রচন্ডভাবে আক্রমণ করেন। এই যুদ্ধে ক্যাপ্টেন শরিফুল হক ডালিম গুরুতরভাবে আহত হন। ১০ই আগষ্ট ক্যাপ্টেন রব শাহবাজপুর (লাতু) রেলওয়ে স্টেশন আক্রমণ করেন। ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের একটি কোম্পানী ও কিছু রাজাকার এখানে অবস্থান করছিল।
ক্যাপ্টেন রবের নেতৃত্বে পাঁচটি মুক্তিবাহিনী কোম্পানী একযােগে আক্রমণ করে। একটি কোম্পানী বিয়ানীবাজার থেকে সাহায্যের সকল পথ বন্ধ করে দেয়। মাত্র পনের মিনিটের মধ্যে শাহবাজপুর রেলওয়ে স্টেশন মুক্তিবাহিনীর পক্ষে চলে আসে। পরে অবশ্য পাকবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে মুক্তিবাহিনীরা পেছনে সরে আসতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধে ৬জন মুক্তিযােদ্ধা শহীদ হন। | রক্তক্ষয়ী আটগ্রাম যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১০ই নভেম্বর। লেঃ জহিরের (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত মেজর ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত) দুই কোম্পানী সৈন্য সুরমা নদী অতিক্রম করে শক্রর ঘাঁটির সামনে আটগ্রাম ও দর্পন নগরে অবস্থান নেন। লেঃ গিয়াসকে (মেজর হিসেবে ১৯৮১ সালের ৩০শে মে চট্টগ্রামে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়া হত্যার অভ্যুত্থানে অংশ নেয়ার অভিযােগে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত) এক কোম্পানী সৈন্যসহ আটগ্রাম-জাকিগঞ্জ সড়ক মুক্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়। ক্যাপ্টেন এক কোম্পানী সৈন্য নিয়ে পােটাগ্রামে অবস্থান নেন। চারগ্রামে পাকিস্তানী এক কোম্পানী সৈন্য ও একটি রাজাকার কোম্পানী ছিল। ৯ই নভেম্বর রাতে মুক্তিবাহিনী অগ্রাভিযান শুরু করে। ক্যাপ্টেন পােটাগ্রাম দখল করে রাস্তার দু’পাশে প্রতিরক্ষা গড়ে তােলেন। লেঃ জহির ও লেঃ গিয়াস পাকবাহিনীর পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করেন। এই যুদ্ধে ৪০ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং ১২ জন রাজাকার আত্মসমর্পন করে। ২০-২১শে নভেম্বর রাতে জাকিগঞ্জ ও আটগ্রাম মুক্ত হয়।
এই যুদ্ধে ভারতীয় ৯১ মাউন্টে ব্যাটালিয়ান ও ১ম ইস্ট বেঙ্গলের বীর সৈনিকরা অংশগ্রহণ করে। ২১শে নভেম্বর ক্যাপ্টেন রব লালমাটিয়া দখল করেন এবং ২২শে নভেম্বর লেঃ জহির রাজটিলা শত্রুমুক্ত করেন। জেড ফোর্স অধিনায়ক লেঃ কর্নেল জিয়া (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি) ক্যাপ্টেন রবকে কানাইরঘাট আক্রমণের নির্দেশ দেন। সুরমা নদীর পাড়ে কানাইঘাটে পাক অবস্থানের জন্য সামনে অগ্রসর হওয়া যাচ্ছিল না। ১ম ইস্ট বেঙ্গল জামালপুর চারকাই সিলেট অগ্রসর হচ্ছিল। ২৬শে নভেম্বর চারগ্রাম শত্রুমুক্ত হয় এবং ২৮শে নভেম্বর চারকাই এলাকায় শত্রুর মুখখামুখি হতে হয়। রেকি করে জানা গেল পাকবাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ান সুদৃঢ় প্রতিরক্ষা অবস্থান নিয়েছে। ১ম ইস্টবেঙ্গলকে কানাইঘাট দখল করে সিলেট অভিমুখে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। এ কোম্পানীকে গৌরীপুরে ডিফেন্স নিতে বলা হয়। অন্যদিকে ‘বি’ ও ‘সি’ কোম্পানীকে যথাক্রমে চারখাই ও আটগ্রামে নিয়ােজিত রাখা হয়। ২৯শে নভেম্বর কানাইঘাটে শক্রর অবস্থান রেকি করা হয়। ‘বি’ কোম্পানী এলাকায় মেশিনগানের গুলি বর্ষণের শব্দ শােনা যায়। লেঃ ওয়াকার হাসান (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত মেজর ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত) প্রতিরক্ষা অবস্থানে প্রস্তুত হয়েই ছিলেন। ভাের ৫টায় পাকসেনাদের কামানের গােলা নিক্ষেপ শুরু হল।
প্রায় আধঘন্টা ধরে এই গােলা নিক্ষেপ চলে। তারপর পাকসেনারা আক্রমণ করে। অগ্রবর্তী দুই প্ল্যাটুনের ফাঁক দিয়ে শত্রু সৈন্য ঢুকে পড়ে। লেঃ ওয়াকার মেশিনগান দলকে গুলিবর্ষণ অব্যাহত রাখতে নির্দেশ দিয়ে ২০০ গজ সামনে ডানদিকে প্লাটুনের দিকে দৌড়ে যান। প্রচন্ড গুলিবর্ষণের মধ্যে ওয়াকার হাসান ও তার সহযােগী যােদ্ধাদের সঙ্গে পাকসেনাদের হাতাহাতি যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট প্রচন্ড যুদ্ধের পর কানাইঘাট পুনর্দখল হয়। ৩১শে পাঞ্জাব রেজিমেন্টের মেজর সরােয়ার ও ২৫ জন পাকসেনা আত্মসমর্পণ করে।  ৮৭ জন পাকসেনার মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়। পাকসেনাদের অনেকেই নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণ করে। এই যুদ্ধে লেঃ গিয়াসের নেতৃত্বে এক কোম্পানী সৈন্য দরবশত-কানাইঘাট সড়কে এবং লেঃ জহিরের নেতৃত্বে এক কোম্পানী সৈন্য কানাইঘাট-চরখাই সড়কে কাট অফ পার্টি হিসেবে নিয়েজিত রাখা হয়। পাকসেনার দরবশতে প্রতিরক্ষা বৃহ্য রচনা করল। মুক্তিবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে ৭ই ডিসেম্বর দরবশত ছেড়ে হরিপুরে প্রতিরক্ষা অবস্থান নিল। ১২ই ডিসেম্বর হরিপুর আক্রমণ করে এবং ১৩ই ডিসেম্বর হরিপুর সম্পূর্ণ মুক্তিবাহিনীর দখলে আসে। খাদিমনগরে অবস্থিত ছিল পাকসেনাদের শেষ অগ্রবর্তী খাটি। ১৫ই ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যৌথভাবে আক্রমণ করে এবং খাদিমনগর দখল করে নেয়। পাকসেনারা আত্মসমর্পন করে ১৭ই ডিসেম্বর। সিলেট তখন মুক্তশহর । রাজপথে লক্ষ মানুষের বিজয় মিছিল।

সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের দু’শো রণাঙ্গন – মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!