কোটালীপাড়া থানা দখল
কোটালীপাড়া থানায় পুলিশ ও রাজাকাররা নদীর অপর পাড়ে মসজিদে ও সরকারী গুদামে থাকত। ক্যাপ্টেন বাবুল ও হেমায়েত উদ্দীন মিলিতভাবে কোটালী পাড়া থানায় অবস্থানরত পুলিশ ও রাজাকারদের উপর আক্রমণ চালায়। দুশ আটাত্তরজন মুক্তিযােদ্ধা এবং দুটি দু’ইঞ্চি মর্টার, ছয়টি জিএফ রাইফেল, দুটি এ্যামারগা ও চারটি এসএমজিসহ কোটালীপাড়ার পুলিশ ও রাজাকারদের চারদিক হতে আক্রমণ করে। তিনদিন যাবৎ এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম বিরামহীনভাবে চলতে থাকে। মুক্তিযােদ্ধাদের অবিরাম মারাত্মক আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে পুলিশ ও রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। অতঃপর ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর বেলা ৯ ঘটিকায় থানা মুক্তিযােদ্ধাদের দখলে আসে। ১২০জন রাজাকার ও পুলিশ মুক্তিবাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে। এই যুদ্ধে ১২৭ টি রাইফেল, ২টি এলএমজি ও ১০ হাজার গুলি মুক্তিযােদ্ধাদের হস্তগত হয়েছিল।
(সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর ফরিদপুর, মােঃ সােলায়মান আলী।)
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের দু’শো রণাঙ্গন – মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি সম্পাদিত