হানাদার বাহিনী কর্তৃক টেকেরহাট দখল
ফরিদপুর হতে ২৩শে এপ্রিল ট্রাকযােগে পাকসেনারা প্রথম আসে। তারা টেকেরহাট বাজারের উত্তর পাড়ে নামে। রাজৈর থানা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী শওকত আলী হাওলাদার, আওয়ামী লীগ কর্মী শাহজাহান সর্দার ও হারুন-অর-রশিদ মােল্লার নেতৃত্বে একদল মুক্তিযােদ্ধা রাইফেল, বন্ধুক প্রভৃতি অস্ত্র নিয়ে ফরিদপুর হতে পাকহানাদারবাহিনী স্থল পথে আসার সময় সি এন্ড বি রােডের দক্ষিণ পাশে নদীর তীরে ডিফেন্স নিয়েছিল পূর্ব থেকেই। পাকসেনারা নদীর উত্তর পাড়ে এসে পৌছার পরই মুক্তিযােদ্ধারা পাকসেনাদের উপর আক্রমণ করে। বেশ কিছু সময় গুলি বিনিময়ের পর হানাদারবাহিনীর উন্নতমানের অস্ত্রের মােকাবেলায় যুদ্ধ করে টিকতে না পেরে রণে ক্ষান্ত দিয়ে মুক্তিযােদ্ধারা টেকেরহাট প্রতিরক্ষা অবস্থান থেকে ক্রলিং করে পিছন দিকে পালিয়ে যায়। ফলে কোন লােক মারা যায়নি। কিন্তু অনাদারবাহিনী দোসরদের নির্দেশ দেয় হাট লুট করার জন্য। সুতরাং হাটের লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল কিছু সময়ের মধ্যে লুটপাট হয়ে যায়। (সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর ফরিদপুর, মােঃ সােলায়মান আলী।)
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের দু’শো রণাঙ্গন – মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি সম্পাদিত