You dont have javascript enabled! Please enable it!
গােপিনাথপুর এ্যামবুশ
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে খবর পেলাম যে, কুমিল্লা থেকে দুটি কোম্পানী পাকসেনা কসবা হয়ে সকাল ১০টার দিকে গঙ্গাসাগর আসবে। খবর পেয়ে মনতলি থেকে ৪৫ জন মুক্তিযােদ্ধা নিয়ে ২টি মেশিনগানসহ এবং বেঙ্গল রেজিমেন্টের কিছু ছেলে নিয়ে রাতের বেলায়ই কোথায় কোথায় এ্যামবুশ করতে হবে তার স্থান নির্দিষ্ট করে দেই। স্থান হিসাবে গােপিনাথপুর গ্রামের কাছে রেল লাইনের ব্রীজের উত্তর ও দক্ষিণে এ্যামবুশ করার কথা বলি। পাকবাহিনী এ্যামবুশের আওতায় আসার পর পরই মুক্তিযােদ্ধারা একযোেগ আঘাত হানে। পাকসেনাদের দুটি কোম্পনীর মাত্র ১০/১২ জন বেঁচে যায়। এ এ্যামবুশের জন্য কৃতিত্বের অধিকারী ছিল হাবিলদার আবু বকর। এ্যামবুশকালে সে-ই পাকসেনাদের কাছ থেকে ১২টি, এলএমজিসহ প্রায় দেড়শ’ অস্ত্র উদ্ধার করে। কিছু অস্ত্র পানিতে ডুবে যাওয়ায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর একজন মেজর নিহত ও একজন ক্যাপ্টেন আহত হয়। মুক্তিযােদ্ধাদের পক্ষে একজন আহত হয়। এই অপারেশনের পর মুক্তিযােদ্ধাদের মনােবল বেড়ে যায়। (সূত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্র, অষ্টম খণ্ড।)

সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের দু’শো রণাঙ্গন – মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!