You dont have javascript enabled! Please enable it! অপারেশন আগ্রাবাদ ওয়াটার পাম্প - সংগ্রামের নোটবুক
অপারেশন আগ্রাবাদ ওয়াটার পাম্প
গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘর আজ দুর্গ । প্রতিটি সন্তান সৈনিক। কেউ প্রত্যক্ষ, কেউ পরােক্ষ । মা, বােনের দীর্ঘশ্বাস মুক্তির সৈনিকদের আর্শীবাদ। যুদ্ধ আজ সর্বত্র। ক’জন বেঈমান স্বাধীনতা বিরােধীকে বাদ দিলে সবাই মুক্তির সহযােদ্ধা। পাকবাহিনীর কনসেনট্রেশন ক্যাম্পগুলােতে চলছে অত্যাচারের স্টীম রােলার। যা হিটলারের নাৎসী বাহিনীর বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। প্রত্যয়ী মুক্তির সূর্য সৈনিকরা শত অত্যাচারের মুখেও নীরব। স্বাধীনতার জন্য তাদের প্রাণ যাবে যাক, মৃত্যুর জন্যই তাে এ পথে নেমেছে। দেখি না সাড়ে সাত কোটির মধ্যে ক’জনকে তারা হত্যা করতে পারে? শবেকদরের পবিত্র রাত। মুসলমানরা এ রাতের পবিত্রতায় রত। প্রতি পাড়ায়, মহল্লায় মানুষ আল্লাহর দরবারে নিজেকে সমর্পন করেছেন। প্রতি বছর এদিনটি মানুষের কাছে একদিনই আসে। ৭১-এর শবেকদরের রাত চট্টগ্রাম শহরবাসী ব্যাপকভাবে পালন করতে পারেনি। রমজানের প্রতিরাতে বর্বর ঐ কুকুরের দল ছিনিয়ে নিয়েছে আমাদের মা, বােনদের। বিভিন্ন বাড়ি ঘরে ঢুকে নারীদের প্রতি চালিয়েছে অত্যাচার। আল্লাহর এ পবিত্র মাসেও বাংলার মা, বােন তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। তাই মুক্তিযােদ্ধারা বাংলার শ্যামল মাটি ছুঁয়ে শপথ নিয়েছে এর প্রতিশােধ নেবেই। শবেকদরের সে রাতে বাংলার প্রতিটি ঘরের মানুষ মাথা উঁয়ে দিয়েছেন আল্লাহর দরবারে করুণা ভিক্ষা চাইতে। দু’হাত তুলে চোখের জল ফেলেছে— হে আল্লাহ, তুমি আমাদের হায়ানার হাত থেকে উদ্ধার কর। অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়িয়েছে তাদের রক্ষা কর। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ন্যায় সঙ্গত এ সত্যকে সামনে রেখেই বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে তুলে নিয়েছে অস্ত্র।
শবেকদরের সে রাতে ক’জন যােদ্ধা চলেছে। আল্লাহর দরবারে তারা নিজেদের সমর্পন করেছে। চলেছে ওরা বর্বরদের শিক্ষা দেয়ার জন্য। রাতের গভীরতা বাড়ল। পুরাে প্রকৃতি পবিত্র রাতের পরশে মােহনীয়। আল্লাহর এ বিশেষ রাতেও পাকবর্বর ক’জন সৈনিক বসেছে মদের আসরে। এ সংবাদ এল মুক্তিযােদ্ধা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, তােফাজ্জল হােসেন এবং আব্দুর রহমানের (তিনি মুক্তিযােদ্ধা ছিলেন না কিন্তু তােফাজ্জলের সাথে এ অপারেশনে ছিলেন) কাছে। আগ্রাবাদ ঢেবার দক্ষিণ পূর্ব কোণের  পানির পাম্পের মাধ্যমে বন্দর এলাকায় পানি সরবরাহ করা হত। পাকবাহিনী নিজেদের সুবিধার্থে সর্ব সাধারণের পানির লাইন বন্ধ করে দেয়। এতে মানুষের অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও মুক্তিযােদ্ধারা বন্দর এলাকাকে আক্রমণের কেন্দ্র করতে চাচ্ছে। কারণ বন্দর এলাকা রক্ষা করার জন্য পাকবাহিনী গড়ে তুলেছে দুর্গ। বর্বরদের দলটি প্রতিরাতে এ পাম্পে বসে মদ খেত। মদ খেতে এসে আশেপাশের দোকান থেকে চানাচুর, মুড়িসহ দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে যেত কিন্তু দাম পরিশােধ করতাে না। অনেক কারণে মুক্তিযােদ্ধারা এ পাম্পটিকে ধ্বংস করে দিতে সিদ্ধান্ত নিল। এ অপারেশনের মূল দায়িত্ব পড়ে দু’জনের ওপর। তারা হলেন মাহবুবুর রহমান ও তােফাজ্জল হােসেন। দু’জনই উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন ভারত থেকে। অস্ত্র চালনা থেকে শুরু করে বিস্ফোরকের উপর তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ ছিল। রাত তখন ১১টা তারা এলে পাম্পের পাশে। সিদ্ধান্ত হল আজ রাতে কোন প্রাণ ক্ষয় যেন না হয়। এছাড়াও কে সি -তিন ও অন্যান্য গ্রুপগুলােও প্রাণয়ের বিরােধী ছিল। তাই তারা অপেক্ষায় ছিল সময় ও সুযােগের । রাতের গভীরতা বাড়ল। মুক্তির সৈনিকরা মানসিক ভাবে প্রস্তুত হলেন। প্রয়ােজনীয় সামগ্রী এসে গেছে।
পূর্বাহ্নেই রেকি শেষ করেছে। মানুষজনের চলাচল কমে এসেছে। পবিত্র এ দিনেও মানুষ তেমন ঘর থেকে বের হয়নি পাক বর্বরদের ভয়ে। যে দু’একজন এ পথ দিয়ে চলাচল করত তাদের চলাচলও থেমে গেছে। প্রকৃতি নীরব নিথর। পাশেই রাস্তা। সেনাবাহিনীর টহল জীপগুলাে যাতায়াত করছে। রাত তখন ৩টা। পাকবর্বরবাহিনী মদের আসর ছেড়ে বের হয়েছে পাম্পের ভেতর থেকে। অবস্থান নিয়েছে রাস্তার মােড়ে। ক’ মিনিট এভাবে দাড়িয়ে থেকে বসে পড়েছে রেল লাইনের উপর। কারণ মদের নেশা আছে তাে। মুক্তিযােদ্ধারা এ সুযােগ গ্রহণ করল। চোখের পলকে প্রবেশ করল পাম্প হাউজের ভেতর। একজন রাজাকার ঘুমানাের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আচমকা আক্রমণে বিহ্বল হয়ে পড়ল। ততক্ষণে ষ্টেন তার বুকে ঠেকেছে। বলা হল চিৎকার করলেই মৃত্যু। ধীরে সুস্থে বিস্ফোরক বসানাে হল। এখন একমাত্র চিন্তা রাজাকারটিকে ছেড়ে দিলে সে পাকসৈনিকদের নিকট গিয়ে সব ঘটনা বলবে। এখানে বেঁধে রাখলে নির্ঘাত মৃত্যু। পরিহার করতেই হবে। অস্ত্রের মুখে রাজাকারটিকে বাইরে নিয়ে আসা হল। মুক্তির সূর্য সৈনিক তিনজন রাজাকারটিকে সামনে রেখে অদূরে আড়ালে অপেক্ষা করছে। রাজাকারটি ভয়ে কাঁপছে। তার কাঁপন দেখে মায়া হল। এসব গরীবের ছেলেদের স্বাধীনতা বিরােধীরা ভুল পথে নিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। রাজাকার দলের ছেলেদের প্রায় সবাইকে পাকবর্বর ব্যবহার করছে অপকর্মে। কোথায় সুন্দরী মেয়ের খোজ আছে। কোথায় গেলে লুট করা যাবে, কোথায় গেলে স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষজনকে খুন করা যাবে এ সব অপকর্মে ছিল তারা জড়িত। হালিশহর এ ব্লকে এক। দরিদ্র দুধ বিক্রেতার একটি সুন্দরী কন্যা ছিল। বয়স ষােল হবে। রাজাকার আব্দুল লতিফকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ঐ মেয়েটিকে নিয়ে আসার জন্য। পাকবাহিনীর ক’জন তখন থাকত তৎকালীন ইপিআর ক্যাম্পের উত্তর পূর্ব কোণে ওয়াপদা অফিসে।
তিনজন রাজাকারসহ আব্দুল লতিফ সেই বাড়ির সামনে গেল। তার মন আর এগুচ্ছিল না। বিবেক তাকে বাধা দিল। রাজাকার তিনজন পথেই যুক্তি করল তারা আমাদের বাঙালি বােনের উপর অত্যাচার করবে আর আমরা চেয়ে থাকব? আব্দুল লতিফ এগিয়ে গেল ঐ ঘরের দরজায়। টোকা দিল। ভয়ে ভয়ে একপ্রৌঢ় দরজা খুললেন। অস্ত্র সহ রাজাকারদের দেখে ভীত হলেন। কিন্তু তারা অভয় দিয়ে বলল তাড়াতাড়ি মেয়েকে নিয়ে পালাতে। প্রৌঢ় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হলেন। দ্রুত কন্যাসহ সবাইকে নিয়ে অন্ধকারে অন্য এলাকায় পালালেন। রাজাকার তিনজন ফিরে এল। পাকহানাদার ক’জন তখন গভীর আগ্রহে অপেক্ষায়। তাদের খালি হাতে আসতে দেখে একজন চিৎকার দিয়ে উঠল। ঘটনা খুলে বলতেই একজন মাদার চোদ, কুত্তাকা বাচ্চা বলে আব্দুল লতিফকে মারল লাথি। হুমড়ি খেয়ে পড়ল সে। তারপর সেই পাকসৈনিক রাজাকার তিনজনকে নিয়ে পুনরায় এল সেই ঘরের সামনে। তিনজন তখন ভীষণ উত্তেজিত। তবে প্রকাশ করেনি। অন্ধকারে গলি পথে প্রবেশ করতেই আব্দুল লতিফ পেছন দিক থেকে রাইফেলের বাট দিয়ে তাকে প্রচন্ড আঘাত করল। সাথে বাকীরাও। তিনজনের যৌথ আক্রমণের মুখে পাকসৈনিকটি নারী ধর্ষনের সাধ মিটে গেল। রাস্তার মধ্যে ফেলে পিটিয়ে তাকে মেরে ফেলল ঐ তিনজনে। পরে আড়ালে নিল টেনে টেনে। তারপর তারা ঠিক করল কোথায় একে ফেলে দেয়া যায়। দেহের সমস্ত কাপড় খুলে খালের প্রায় ১৫০ গজ দূরে নিয়ে গেল। ফেলে দিল মৃত দেহটিকে পাশের একটি খালে। খালের পাড়ে ছিল ঝোপ ঝাড়। তারপর তিন রাজাকার রাতের আঁধারে পালাল। আর তাদের সংবাদ পাওয়া যায়নি। এ কথাগুলাে ভাবতে ভাবতেই প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দে হুঁশ হল।
ভয়ে পূর্ব দিকে ছুটতে লাগল রেল রাস্তা ফেলে। আর গুলি ছুঁড়ছে এলােপাথাড়ী। এ বিস্ফেররণের শব্দে বন্দর এলাকা থেকেও পাকসৈনিকরা গুলি ছুড়তে শুরু করল।  বন্দর এলাকা বিশেষ করে এক নং জেটি এ অপারেশন কেন্দ্রের প্রায় নিকটে। এ অপারেশন পাকবাহিনীর মুখে চুন কালি পড়ল। পাকবাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে মুক্তিযােদ্ধারা প্রমাণ করল পাকবাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনী থেকেও মুক্তিযোেদ্ধাদের গেরিলা কৌশল অনেক উন্নত। অপারেশন শেষ করে মুক্তির তিন যােদ্ধা চলে এলেন নিরাপদ স্থানে। রাজাকারটিকে ছেড়ে দেয়া হল। শহরের অন্ধকার গলির বিভিন্ন পথ দিয়ে সবাই চলে গেলেন নিজ নিজ আস্তানায়। ক্লান্ত অবসন্ন দেহে সবাই বিশ্রাম নিলেন। মাহবুবুর রহমান চৌধুরী তখন গভীর ঘুমে অচেতন। দক্ষিণ পাহাড়তলীর জোড় ঢেবার পাড়ে এক আশ্রয় কেন্দ্রে তিনি ঘুমােচ্ছিলেন। স্থানীয় একজন মুক্তিযােদ্ধা বােরহান উদ্দিন বিপুল পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে লােভ লালসার মুখে পাকসৈন্যদের দোসরে পরিণত হয়। সে পাকসৈন্যদের গাড়িতে করে গিয়ে মাহবুবের গােপন আশ্রয় কেন্দ্র দেখিয়ে দেয়। বােরহানকে পাকবাহিনী বােরখা পরিয়ে নিয়েছিল। মাহবুব জেগে দেখে পাকবাহিনী তাকে ঘিরে রেখেছে। নিয়ে এল টাইগার পাস নেভী ক্যাম্পে। তারপর মাহবুবকে শত চাপ অত্যাচার। অত্যাচার তাে নয় যেন স্টীম রােলার। মুক্তিযােদ্ধাদের তথ্য প্রকাশে মাহবুবকে শত চাপ অত্যাচার করা হল। দেহের প্রতি অঙ্গ থেকে ঝরছে রক্তের ধারা। প্রতি দু’ ঘন্টা অন্তর চলে অত্যাচার। এভাবে চলল প্রায় ১৪ দিন। মাহবুবের দেহে তখন কিছুই নেই। পুরাে দেহ অবশ-চেতনাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরি মাঝে একদিন নিজের রক্ত দিয়ে দেয়ালে লিখেছেন নিজের নাম। ইতিমধ্যে সেই বােরহানের বিশ্বাসঘাতকতায় গ্রেপ্তার হয়ে এলেন মুফিজুর রহমান ও মাহতাব উল হক মাহতাব।
তাদের উপরও সেই একই অত্যাচার। তখন সবার গুলির নির্দেশ হল। মাহবুবকে পূর্বেই নিয়ে যাওয়া হল বধ্যভূমিতে। কিন্তু আল্লাহর কি রহমত, পাকনৌকমানডেন্ট ফায়ার করার পূর্ব মুহূর্তে গুলি করতে নিষেধ করলেন। বললেন, “আজ আমি এ ছেলেকে বাচালাম আর এ ছেলে একদিন আমাকে বাঁচাবে।’ মফিজ ও মাহতাবকেও সেই কমানডেন্ট বধ্যভূমি থেকে ফিরিয়ে আনলেন। পাঠান ঐ কমানডেন্ট এক সময় বলেছিল, তােমরা স্বাধীনতার জন্য লড়ছ, বিজয়ী হলে তােমরা হবে জাতীয় বীর আর আমরা হব পরাজিত নিন্দিত ব্যক্তি। তারপর তিনি সার্কিট হাউজে অবস্থিত আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে তাদের সবাইকে পাঠিয়ে দিলেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে মাহবুবকে নিয়ে যাওয়া হল স্ট্রেচারে করে। জেলখানায় গিয়ে পাওয়া গেল ডাঃ শহীদ উল্লাহ, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের অধ্যাপক নাছির চৌধুরীকে। এ দু’ জন তাদের সব দিয়ে সেবা করেছেন আহত নির্যাতিত মুক্তিযােদ্ধাদের। ডাঃ শহীদুল্লাহ গােপনে টাকা দিয়ে একজন সিপাহীর মাধ্যমে ঔষধ, ইনজেকশন এনে আহতদের খাইয়েছেন, পুশ করেছেন। তাঁর অবদান ভােলার নয়। তাঁকে মুক্তিযােদ্ধাদের সাহায্যকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবশ্য তার ছােট ভাই ছানা উল্লাহ মুক্তিযুদ্ধে ছিলেন। অন্যরাও জড়িত ছিলেন। জেলখানায় অধ্যাপক নাছির সাহেব তাঁর স্নেহ মমতা ও জ্ঞানগর্ভ আলােচনা দিয়ে মুক্তিযােদ্ধাদের সজীব রেখেছেন। এ দু’জন ব্যক্তিকে যদি সে সময় জেলে পাওয়া না যেত তখন কি হত বলা মুশকিল। জেলে ডাঃ শহীদুল্লাহ ও অধ্যাপক নাছিরের অবদান ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকা উচিত।  দেশ স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথেই মুক্তির সৈনিকরা জেল গেইট ভেঙ্গে আহত বন্দি যযাদ্ধাদের বের করে নিয়ে আসে। সে দিনের মিলনের উচ্ছাস প্রকাশ করা কষ্টকর। মাহবুব মুক্ত হয়ে খুঁজেছেন সেই পাঠান পাকসৈনিকটিকে— যাঁর জন্য তিনি মরতে মরতে বেঁচে গেছেন। সুদীর্ঘ বিশ বছর পরও মনে পড়ছে সে পাঠানকে যিনি অনেক অসহায় মুক্তির সৈনিককে বাঁচিয়েছিলেন। তাঁর প্রতি পুরাে জাতির শ্রদ্ধা। (সূত্র : রণাঙ্গনে সূর্য সৈনিক, সাখাওয়াত হােসেন মজনু)

সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের দু’শো রণাঙ্গন – মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি সম্পাদিত