মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান
এ. এস. এম. সামছুল আরেফিন
ভূমিকা
এই গ্রন্থে মূলত ১৯৭১ সালের বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নেতৃস্থানীয় প্রায় ৩,৫০০ জন ব্যক্তির অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে, বিশেষত মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁরা কে কোথায় এবং কি কাজে নিয়ােজিত ছিলেন তা এই গ্রন্থের বিভিন্ন তালিকায় বিধৃত হয়েছে। এই তালিকা গ্রন্থটি প্রকাশের লক্ষ্য একটিই—আর সেটি হলাে এই যে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় বর্তমান ও অনাগত দিনের গবেষক ও ঐতিহাসিকদের তথ্যসূত্র দিয়ে সাহায্য করা। মুক্তিযুদ্ধকালে যাঁরা যে ভূমিকাই পালন করুন না কেন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষ নানাবিধ তথ্য ও অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। তাঁদের চিহ্নিত করা না গেলে এবং তাঁদের নিকট থেকে মৌখিক অথবা লিখিত তথ্যাদি ও দলিল পত্র (যদি থাকে) সংগ্রহ করা না গেলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। ইতিমধ্যে এঁদের অনেকেই লােকান্তরিত হয়েছেন এবং যারা জীবিত আছেন কালের ব্যবধানে তাঁদেরও স্মৃতি ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে যেতে পারে। (ইতিমধ্যে বিভিন্ন বইপত্রে ও সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন জনের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণায় তথ্যগত বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যায়)। উপরন্তু এই সব তথ্য বিশদভাবে জানা থাকলে যে কোন গবেষক ও ইতিহাসবিদ মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক, আঞ্চলিক বা ঘটনাভিত্তিক ইতিহাস রচনায় তথ্যসূত্র হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিবর্গের নিকট থেকে প্রয়ােজনমত সহায়তা নিতে পারেন ও ক্রমান্বয়ে আরাে ব্যক্তির সন্ধান পেতে পারেন।
তথ্য অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তির সুবিধার্থে এই তালিকা গ্রন্থটিকে মােট চার পর্বে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম পর্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (২৫শে মার্চ ১৯৭১ সময়ে) যুদ্ধপূর্ব ও যুদ্ধকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস্-এর অবস্থান, সেনাবিদ্রোহে অংশ গ্রহণকারী বাঙালী কর্মকর্তাদের অবস্থান, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের কাঠামােয় বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী বিভিন্ন সহযােগী সংগঠনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের পরিচিতি দেয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, এই পর্বে প্রদত্ত তালিকায় বিভিন্ন জনের নামের পাশে পেশাভিত্তিক ক্রমিক নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। যারা এ সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে আগ্রহী হবেন তারা এ নম্বর অনুসরণে দ্বিতীয় পর্বে প্রদত্ত পেশাভিত্তিক তালিকায় তা পাবেন। কেবল প্রযােজ্য ক্ষেত্রেই উপরােক্ত নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।
গ্রন্থটির দ্বিতীয় পর্বে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণকারী নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পরিচয় পেশাভিত্তিতে বিভক্ত করে ক্রমিক নম্বর অনুসারে সাজানাে হয়েছে। এখানে প্রদত্ত সংখ্যাটিই প্রয়ােজনে গ্রন্থের প্রথম ও চতুর্থ পর্বে উদ্ধৃত হয়েছে। এর ফলে গবেষকদের কোন ব্যক্তির শুধু পেশা জানা থাকলে এই পর্বে তাঁকে সহজেই সনাক্ত করতে পারবেন। তবে তালিকা প্রণয়নের সুবিধার্থে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা কর্মীদের সশস্ত্র বাহিনীর তালিকাভুক্ত না রেখে চিকিৎসকদের পেশাভিত্তিক তালিকায় সন্নিবেশ করা হয়েছে।
গ্রন্থের তৃতীয় পর্বে মুক্তিযুদ্ধকালে পূর্ব-পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারে কর্মরত ব্যক্তিবর্গের পরিচয় ও কর্মক্ষেত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে পূর্ব-পাকিস্তানে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৫শে মার্চ ১৯৭১-এর পূর্ব ও পরবর্তী অবস্থান, সামরিক কাঠামাে, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনে নিয়ােজিত ব্যক্তিবর্গের পরিচয় (২৬শে মার্চ-১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১), প্রাদেশিক মন্ত্রীসভা, সরকারের সহযােগী ব্যক্তিবর্গ, রাজাকার বাহিনী ও শান্তি কমিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জনে ব্যর্থ ব্যক্তিবর্গ, পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বনকারী নিহত ও বন্দী সেনাকর্মকর্তাদের তালিকা প্রদত্ত হয়েছে।
চতুর্থ পর্বে মুক্তিযুদ্ধের প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলী একত্র করা হয়েছে। এখানে বিশেষ করে আগরতলা মামলায় জড়িত ব্যক্তিবর্গ, মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের যুদ্ধকালীন সাংগঠনিক কাঠামাে ও নেতৃত্ব দানকারী ব্যক্তিবর্গ, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বন্দী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে তথ্য দেয়া হয়েছে। সশস্ত্র মুক্তিযােদ্ধা যারা স্বাধীনতা উত্তরকালে প্রথম কিস্তিতে প্রশাসনিক পর্যায়ে সরকারী চাকুরীতে নিয়ােগ লাভ করেছেন তাঁদের তালিকা, মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকা ও ১লা মার্চ ১৯৭১ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত সময়ে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন উল্লেখযােগ্য ঘটনার ধারাবাহিক সংক্ষিপ্ত বিবরণীও এই পর্বে সন্নিবেশিত হয়েছে।
১৯৮৪ সালে এই তালিকা গ্রন্থটি প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়। প্রকাশিত বই, দলিল ও পত্রপত্রিকা, সরকারী আদেশনামা ইত্যাদির সহযােগে প্রাথমিক উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। অতঃপর ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার ও নির্ধারিত প্রশ্নমালা (Questionnaire) বিতরণ ও সংগ্রহের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করা হয়। বিষয়টি আরাে প্রামাণিক করার লক্ষ্যে লেখকের সম্পাদিত দুইটি সংকলন যথাক্রমে স্মৃতি-১ ও স্মৃতি-২, ১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালে প্রকাশপূর্বক জ্ঞাত ব্যক্তিদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বিতরণ করে মতামত সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়। অবশেষে প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে সকল উপাত্ত যথাসম্ভব যাচাই করে এই তালিকাটি চূড়ান্ত করা হয়।
পূর্বেই বলা হয়েছে যে, এই তালিকা গ্রন্থটিতে শুধু নেতৃস্থানীয় বাক্তিদের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। এটাও সত্য যে, নেতৃস্থানীয় সকল ব্যক্তিকেই এই তালিকায় পাওয়া সম্ভব হবে না। আমাদের সম্ভাব্য সকল রকমের চেষ্টা সত্ত্বেও তথ্যের অভাব, বিষয় সম্পর্কে মােটামুটি জ্ঞাত ব্যক্তিবর্গের কারাে কারাে তথ্য প্রদানে অনীহা ও অসহযােগিতা ইত্যাদির কারণে প্রচলিত অনেক তথ্য যাচাই অসম্ভব হওয়ায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য আমাদের হাতে থাকা সত্ত্বেও এই তালিকায় তাদের নাম সংযােজন করা সম্ভব হয় নি। অনেক ব্যক্তির কাছে সরাসরি পৌছানাে ও পূর্ণ ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় এবং সরকারী বিভিন্ন দলিলে তথ্যাদি অসম্পূর্ণ থাকায় পরিবেশিত তালিকার বিভিন্ন স্থানে পুরাে তথ্য সংযােজন করাও সম্ভব হয়ে ওঠে নি। আমাদের সকল সতর্কতা সত্ত্বেও পরিবেশিত তথ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে যাওয়াও সম্ভব। তবে তথ্য সংগ্রহ ক্রটি-বিচ্যুতি দূরীকরণে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং প্রাপ্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে পরবর্তী সংস্করণে ঐ সকল অসঙ্গতি দূর করার চেষ্টা করা হবে।
মেজর জেনারেল আইন উদ্দিন ও মেজর জেনারেল আমিন আহমেদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহযােগিতা ছাড়া আমার পক্ষে এই গ্রন্থটির বেশির ভাগ অংশ সংকলন করা কোন অবস্থায় সম্ভবপর ছিল না। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।
আমি তথ্য সংগ্রহ পর্বে ড. আনিসুজ্জামান, ড. খান সরওয়ার মুরশিদ*, মেজর জেনারেল আমিন আহমেদ চৌধুরী, এয়ার কমােডাের আতাউর রহমান, ব্রিগেডিয়ার ইমামুজ্জামান, ব্রিগেডিয়ার খন্দকার নুরুন্নবী, কর্নেল আনােয়ারুল আলম*, মেজর আখতার আহমেদ*, মেজর খুরশীদ রেজা, ক্যাপ্টেন সুজাউদ্দিন*, সচিব আবদুস সামাদ*, সচিব তৌফিক এলাহী চৌধুরী, উপ-সচিব কাজী শামসুজ্জামান, উপ-সচিব অমিয়াংশু সেন, উপ-সচিব আবদুস সালাম, ঢাকার এ. ডি. এম. মােবারক হােসেন, আই. জি. এ. খালেক*, এ. আই. জি. জহুরুল হক, কবি আসাদ চৌধুরী, কল্যাণী ঘােষ, ফতেহ আলী চৌধুরী, পিটার এ. গােমেজ- এর মত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অকুণ্ঠ সহযােগিতা পেয়েছি।
তথ্য যাচাই পর্বে ড. মােশাররফ হােসেন*, ড. সানজিদা খাতুন, এয়ার ভাইস মার্শাল এ. কে. খন্দকার*, মেজর জেনারেল কে. এম. শফিউল্লাহ*, মেজর জেনারেল আইনউদ্দিন, মেজর জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার শহীদুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার হেলাল মাের্শেদ খান, লে. কর্নেল জালালউদ্দিন সিদ্দিকী, লে. কর্নেল মাহাবুবুল আলম, লে. কর্নেল সাজ্জাদ আলী জহির*, লে. কর্নেল আবদুল গফফার হালদার*, মেজর রফিকুল ইসলাম* (সেক্টর কমান্ডার), মেজর হাফিজউদ্দিন*, মেজর নাছিরউদ্দিন*, সচিব ফয়েজ আহমেদ*, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডাইরেক্টর জেনারেল মহিউদ্দিন আহমেদ*, ডাইরেক্টর জেনারেল আফসারুল কাদির, উপ-সচিব এ. এন. এম, আলমগীর, উপসচিব দেবরঞ্জন চক্রবর্তী, ডি. আই জি. এস. কে. চৌধুরী*, ডি. আই. জি. চৌধুরী আবদুল গফফার*, এস, পি, আবুল কাসেম হাওলাদার, এস. পি. মাহবুবুর রহমান*, প্রকৌশলী সরিৎ কুমার লালা, প্রকৌশলী এম. এইচ. সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বেতারের আশফাকুর রহমান খান, মনােয়ার হােসেন খান, বেতার প্রকৌশলী শরফুজ্জামান, শাহীন সামাদ, খুকু আহমেদ, সাইদা কামাল, সুলতানা কামালসহ প্রায় ৮০০ (আটশত) উল্লেখযােগ্য ব্যক্তিত্ব যাঁরা তাঁদের অত্যন্ত মূল্যবান সময় ও সাক্ষাৎকার দিয়ে আমাদের তথ্য যাচাই ও তথ্য সংযােজনে সাহায্য করেছেন, তাঁদের আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। সংসদ গ্রন্থাগারের প্রধান কর্মকর্তা জনাব তৌহিদ হাসান সার্বক্ষণিকভাবে আমাকে সংসদ গ্রন্থাগার ব্যবহারের সুযােগ দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কাছে ঋণী করেছেন।
এই দলিলে সংযুক্ত তথ্য সংকলনে সাইদুজ্জামান রওশন, শাহনাজ বেগম, ইকবাল এনাম, রেবেকা সুলতানা, লাভলি, ডা. হুমায়ুন ও আমার জ্যেষ্ঠা কন্যা সাদিয়া আরেফিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমি আন্তরিকভাবে তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।
এই দলিলের উপাত্ত সংগ্রহ ও সংকলনের সুদীর্ঘ সময়ে মেজর আশরাফউদ্দৌলা*, মেজর শাহ আলম তালুকদার*, মেজর আব্দুস সালাম* উৎসাহ দিয়ে আমাকে উজ্জীবিত করেছেন। মেজর এস. কে. রেজার সার্বক্ষণিক সাহচর্য আমার কাজের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে। তিনি বিভিন্ন তথ্যের মধ্যে যােগসূত্র স্থাপনে আমাকে নিজ দায়িত্বে অকুণ্ঠ সাহায্য করেছেন। আমি এঁদের প্রত্যেকের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ঋণী।
(* তারকা চিহ্নিত ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন সময়ে অবসর গ্রহণ করেছেন।)
ইউ. পি. এল.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ এই গ্রন্থটি প্রকাশে আগ্রহ প্রকাশ করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত হই। গ্রন্থটি যাতে সুষ্ঠুভাবে প্রকাশিত হয়, সেইজন্য জনাব বদিউদ্দিন নাজির সম্ভবপর সবরকম সহযােগিতা করেন। ড. মুনতাসীর মামুনের সঙ্গে পান্ডুলিপির বিষয়ে বিভিন্ন আলােচনাতে উপকৃত হয়েছি। এজন্য আমি তাদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ঋণী।
এই তালিকা গ্রন্থটি প্রণয়নের দীর্ঘ সময়ে আমার স্ত্রী নাজমা আমাকে নিরন্তর সাহায্য ও উৎসাহ দিয়ে এসেছেন এবং আমার জ্যেষ্ঠা কন্যা সাদিয়া পাণ্ডুলিপিটির বারংবার অনুলিপি করে দিয়ে আমার কাজের গতিকে ত্বরান্বিত করেছে। আমি তাদের শুভ কামনা করি।
ডেস্কটপ কম্পিউটিং লিমিটেড অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে এই তালিকা গ্রন্থটির টাইপসেটিং এর দুরূহ কাজ সম্পাদন করেছে। এজন্য আমি ডেস্কটপ কম্পিউটিং-এর স্বত্বাধিকারী জনাব সৈয়দ আমিরুল্লাহ এবং প্রকাশনা পর্যায়ে সহযােগিতার জন্য ইউ. পি. এল.-এর সম্পাদক জনাব আবদার রহমান-এর কাছে আমি ব্যক্তিগতভাবে ঋণী। তাদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
বইটি প্রকাশের উদ্দেশ্য পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। উপরােক্ত লক্ষ্য অর্জনে প্রয়ােজনীয় তথ্যাদিই শুধু এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। কারও সুখ্যাতি কিংবা কারও নিন্দা করা এই গ্রন্থটির লক্ষ্য নয়। গ্রন্থটির ব্যবহারকালে পাঠক এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখলে সবিশেষ কৃতজ্ঞ হব। বইটি উদ্দিষ্ট লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাজে এলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করব।
ঢাকা
৭ই জুন ১৯৯৪
এ.এস.এম. সামছুল আরেফিন
প্রথম পর্ব
সশস্ত্র প্রতিরােধ ও
সাংগঠনিক কাঠামাে
এ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস আছে। ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগ থেকে উদ্ভূত এই ভূখণ্ড যা আজ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ তা কোন বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনার যে ফল নয়, সেটি সকলেই জ্ঞাত আছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের একটি পর্যায়ে আসে ২৫শে মার্চ ১৯৭১, যা বাঙালী ও পাকিস্তানীদের মধ্যে মেরুকরণ চূড়ান্ত করে দেয় এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অনিবার্য করে তােলে। বিভিন্ন পুস্তক, ব্যক্তিগত রচনা ও দলিলে এ সবের যথাসম্ভব বিস্তৃত বিবরণ থাকায় আমরা এই দলিলে সে সব কাহিনীর পুনরাবৃত্তি থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেছি। উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের পূর্ব থেকেই বিদ্রোহের ও প্রতিরােধের প্রস্তুতি চলতে থাকে। ৭ই মার্চ ১৯৭১ সালে রেসকোর্সে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণটি এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে। পাকিস্তান থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া ছাড়া তখন যে আর গত্যন্তর ছিল না সেটি স্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়ায় মূলত রাজনৈতিক কর্মীরা দিকে দিকে স্বাধীনতার মশাল তুলে ধরতে শুরু করেন, যার নিরপেক্ষ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস একদিন প্রকাশিত হবে এটি আশা করা যায়।
সমাজের অন্যান্য অংশের মতােই পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে নিয়ােজিত সেনাসদস্যদের নিকটও এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, পাকিস্তানের সামরিক সরকার শান্তিপূর্ণ পন্থায় বাঙালীদের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজী নয়, মধ্যফেব্রুয়ারী থেকেই পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিপুল সংখ্যক পাকিস্তানী সৈন্য পূর্ব পাকিস্তানে স্থানান্তরের ঘটনা তাঁরা প্রত্যক্ষ করতে থাকেন এবং সরকারের এই বিপুল সংখ্যক সৈন্য স্থানান্তরের পেছনে কোন অশুভ ইঙ্গিত রয়েছে বলে তাঁদের মনে বদ্ধমূল ধারণা সৃষ্টি হয়। সে সময় থেকেই তাঁরা নিজেদের নিরাপত্তা ও জাতিগত স্বার্থে সতর্ক থাকার চেষ্টা করেন ও পারস্পরিক নিবিড় যােগাযােগ রক্ষায় ব্রতী হন।
তাঁদের আশঙ্কা মােটেও অমূলক ছিল না, তার প্রমাণ ২৫শে মার্চের জঘন্য হত্যাকাণ্ডে প্রমাণিত হয়ে যায় এবং একই সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের সেনানিবাসগুলােতে অবস্থিত বাঙালী ইউনিট ও বাঙালী সেনা সদস্যদের নিরস্ত্র, হত্যা, গ্রেপ্তার ইত্যাদি শুরু হয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম বন্দরে আগত অস্ত্র ও গােলাবারুদবাহী জাহাজ এম.ভি. সােয়াত থেকে মালামাল খালাসের প্রশ্নে ইতিপূর্বেই চট্টগ্রামস্থ বাঙালী সেনাসদস্যগণ স্থানীয় জনগণের সহযােগিতায় পাকিস্তান সরকারের নিদের্শ কার্যকর করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে থাকেন।
২৫শে মার্চের মধ্যরাত্রি থেকে বাঙালী জনগণের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সামরিক জান্তার অঘােষিত যুদ্ধ ও বিভিন্ন সেনানিবাসে বাঙালী সেনাসদস্যদের ওপর আক্রমণ বাঙালী সেনাকর্মকর্তা ও সেনাসদস্যদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে এবং এই ঘটনা তাঁদের পক্ষত্যাগ ও সেনাবিদ্রোহে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করে।
সংযুক্ত তালিকায় ২৫শে মার্চ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থিত ই. পি.আর. ও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রকৃত অবস্থান উপস্থাপন করা গেল। বিশ্লেষণের সুবিধার্থে সেনা সদস্যদের জাতি পরিচয় প্রদান করা হয়েছে এবং যে সকল বাঙালী কর্মকর্তা সেনাবিদ্রোহের শুরুতেই নিহত হন এবং যারা অংশ নিতে ব্যর্থ হন তাদেরও যথার্থভাবে তালিকায় চিহ্নিত করা হয়েছে।
সেনা বিদ্রোহ
ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার
ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার চট্টগ্রাম সেনানিবাসে অবস্থিত ছিল। এই সেন্টারের কমান্ডান্ট ছিলেন ব্রিগেডিয়ার এম. আর. মজুমদার (মাহমুদুর রহমান মজুমদার) অসহযােগ আন্দোলনের শুরু থেকে এই রেজিমেন্টাল সেন্টারের বাঙ্গালী অফিসারগণ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করতেন এবং স্থানীয় অন্যান্য সংস্থাগুলির সাথে কেউ কেউ যােগাযােগ রক্ষা করতেন বলে জানা যায়।
২৮ শে ফেব্রুয়ারী ‘৭১ এম.ভি. সােয়াত জাহাজ বিপুল অস্ত্র গােলাবারুদ সহ চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে অবস্থান নেয়। এই গােলাবারুদ আসার সংবাদে স্থানীয় আন্দোলনরত জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং এই সমস্ত অস্ত্র গােলাবারুদ নামাতে না দেওয়ার সবরকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে থাকে।
এই সময় ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে স্থানীয় আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসক নিয়ােগ করে সােয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র ও গােলাবারুদ নামানাের নিদের্শ দেয়া হয়। কিন্তু জন প্রতিরােধ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের অসহযােগীতায় অস্ত্র ও গােলাবারুদ নামানাে সম্ভব না হওয়ায় ২৪ শে মার্চ ‘৭১ ঢাকার স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার আনসারীকে ব্রিগেডিয়ার মজুমদারের স্থলাভিসিক্ত করা হয়। এবং একই দিনে ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে ঢাকায় স্থানান্তরিত করা হয়। এই দিনে বাঙ্গালী সেনা ইউনিট অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে রাস্তার বেরিকেড সরানাে ও সােয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র ও গােলাবারুদ নামানাের আদেশ দেয়া হয়। একই দিনে জনমনে ভীতি সঞ্চার করার জন্য আন্দোলনরত জনগনের উপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবাঙ্গালী ইউনিট ও নেভী কর্তৃক গুলি চালানাের ফলে বেশ কিছু ব্যক্তি নিহত ও আহত হন।
অসহযােগ আন্দোলনের শুরু থেকে চট্টগ্রামস্থ ই পি.আর. এর সেক্টর এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলােকে স্থানীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারসহ অন্যান্য সেনা ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাঙ্গালী অফিসারদের সাথে যােগাযােগ রক্ষা করে নিজেদের করনীয় সম্বন্ধে পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত নিতে চেষ্টা করেন বলে জানা যায়। কিন্তু নিম্ন স্তরের সেনা সদস্যদের সজাগতা থাকলে উচ্চতর অফিসার পর্যায়ে আশানুরূপ কোন প্রস্তুতি গ্রহন করে নাই বলে পরিস্থিতি পর্যালােচনায় অনুমান করা যায়।
কিন্তু ২৫শে মার্চের রাত ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ পাকিস্তান সেনাবাহিনী চট্টগ্রামস্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে নিয়ােজিত বাঙালী সেনা সদস্যদের ওপর পূর্ব পরিকল্পিত আকস্মিক আক্রমণ চালায়। প্রাথমিক অবস্থাতেই লে. কর্নেল এম. আর. চৌধুরীসহ ৮ জন বাঙালী অফিসার ও প্রায় ১৫০০ সৈন্য নিহত হন। কিছু সংখ্যক অফিসার ও সৈন্য সেনানিবাস থেকে সরে যেতে সক্ষম হন এবং পরবর্তীকালে এঁরা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।
সারণী ১ : ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার, চট্টগ্রাম সেনানিবাস
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
এম. আর. মজুমদার* | – | ব্রিগেডিয়ার | কমান্ডান্ট | বাঙালী |
এইচ. এস. শিগরী | – | কর্নেল | ডেপুটি কমান্ডান্ট | অবাঙালী |
এম. আর. চৌধুরী** | – | লে. কর্নেল | চীফ ইনস্ট্রাক্টর | বাঙালী |
জেড. এম ওসমানী | – | লে. কর্নেল | এ. কিউ | অবাঙালী |
মহসীন উদ্দিন আহমেদ*** | ৬৯০ | ক্যাপ্টেন | এ্যাডজুটেন্ট | বাঙালী |
এনামুল হক চৌধুরী*** | ৭০৩ | ক্যাপ্টেন | কোয়ার্টার মাস্টার | বাঙালী |
আমিন আহমেদ চৌধুরী*** | ৭০৮ | ক্যাপ্টেন | ট্রেনিং এ্যাডজুটেন্ট | বাঙালী |
আব্দুল আজিজ*** | ৭১৫ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক
ট্রেনিং কোম্পানী |
বাঙালী |
সুবিদ আলী ভূইয়া*** | ৭০৭ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক
হােল্ডিং কোম্পানী |
বাঙালী |
এ. আর. বেগ | – | মেজর | রেকর্ড অফিসার | অবাঙালী |
মেজর কামাল | – | মেজর | রেকর্ড অফিসার | অবাঙালী |
সিরাজুল ইসলাম | – | মেজর | বাঙালী |
* ২৪ শে মার্চ অপসারিত।
** ২৫শে মার্চ রাত্রে নিহত।
*** মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী
১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
অপরদিকে একাত্তরের জানুয়ারীর গােড়া থেকে শীতকালীন প্রশিক্ষণের জন্য ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা যশাের সেনানিবাস থেকে ২৫ মাইল দূরবর্তী চৌগাছায় অবস্থান করছিল। এর অধিনায়ক ছিলেন একজন বাঙালী সেনা-অফিসার লে. কর্নেল রেজাউল জলিল। ২৫শে মার্চের কালাে রাত থেকে দেশব্যাপী যে হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় সে বিষয়ে লে. কর্নেল জলিল যে কোন কারণেই হােক, তাঁর ইউনিটের সৈনিকদের অবগত করানাের প্রয়ােজন বােধ করেন নি বলে জানা যায়। উপরন্তু অজ্ঞাত কারণে তাঁর ব্যাটেলিয়ানের সৈন্যদের কাছ থেকে রেডিও সেটও তুলে নেয়া হয়। ব্যাটেলিয়ানের অধিকাংশ অফিসার অবাঙালী হওয়ায় ইউনিটের সেনা সদস্যরা নিজ উদ্যোগে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে কোন রকম যােগাযােগ রক্ষা করার সুযােগও পান নি।
২৯শে মার্চ দুপুর ৪টায় ১ম বেঙ্গল রেজিমেন্টকে চৌগাছা থেকে সেনানিবাসে ফিরিয়ে আনা হয় এবং সৈন্যদের অস্ত্র ও গােলাবারুদ অস্ত্রাগারে জমা করা হয়। ৩০শে মার্চ সকাল ৮টায় ব্রিগেড কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার আবদুর রহিম দুররানী ১ম বেঙ্গলে এসে অস্ত্রাগারের চাবি হস্তগত করলে সৈনিকদের মনে প্রথম সন্দেহ জাগে। ইতিমধ্যেই কিছু সংখ্যক সৈনিক পার্শ্ববর্তী ফিল্ড এম্বুলেন্সের সৈনিকদের কাছ থেকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সাধারণভাবে ধারণা লাভ করেন। এরপর বাঙালী সৈন্যরা ইউনিটের চারপাশে পাক সেনাবাহিনীর ২৫ বেলুচ ও ২২ এফ. এফ. রেজিমেন্টকে অবস্থান নিতে দেখে।
এই পরিস্থিতিতে বাঙালী সেনাদের নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি মুখ্য হয়ে দাড়ায়। তাঁরা এই অবস্থায় অস্ত্রাগারের তালা ভেঙ্গে সবাই অস্ত্র বের করে আনেন এবং বাঙালী সেনাঅফিসারদের তাঁদের ঐ বিদ্রোহে যােগ দিতে অনুরােধ করেন। লে. হাফিজ উদ্দিন ও লে. আনােয়ার অনুরােধে সাড়া দেন।
সকাল ৯টায় পাকসেনারা তিনদিক থেকে আক্রমণ রচনা করে। ১ম বেঙ্গলের বীর সৈনিকরাও ইউনিটের চর্তুদিকে পাল্টা প্রতিরােধ ব্যূহ রচনা করে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করে যান। গােলা-বারুদের স্বল্পতা এবং শত্রুদের আক্রমণের তীব্রতায় ইউনিটের পশ্চিম দিক দিয়ে কভারিং ফায়ারের আড়ালে সেনানিবাস ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এভাবে সেনানিবাস ত্যাগ করতে গিয়ে লে. আনােয়ারসহ ৪০ জন বাঙালী সৈনিক শহীদ হন। অতঃপর ইউনিটের অবশিষ্ট সৈন্যরা চৌগাছায় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে একত্র হয়ে লে. হাফিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে নতুনভাবে সংগঠিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তােলেন। ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এভাবেই তাদের প্রতিরােধ যুদ্ধ শুরু করে।
সারণী ২ : ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, যশাের সেনানিবাস
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
রেজাউল জলিল* | – | লে. কর্নেল | অধিনায়ক | বাঙালী |
ইকবাল কোরেশী | – | মেজর | সহ-অধিনায়ক | অবাঙ্গালী |
নেছার আহমেদ | – | ক্যাপ্টেন | এ্যাডজুটেন্ট | অবাঙ্গালী |
ইকরাম হােসেন | – | ক্যাপ্টেন | কোয়ার্টার মাস্টার | অবাঙ্গালী |
লেহরাসাব | – | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | অবাঙ্গালী |
হাফিজ উদ্দিন *** | ৭৩৬ | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালী |
আনােয়ার হােসেন** | ৭৬৪ | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালী |
শফি ওয়াছি উদ্দিন* | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালী |
* মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন নি।
** প্রতিরােধ যুদ্ধে নিহত।
*** মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী।
২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টও ৭১ সালের মার্চে ঢাকা সেনানিবাসের ২০ কিলােমিটার দূরে জয়দেবপুর সেনানিবাসে অবস্থান করছিল, বিশেষ করে ‘৭১-এর শুরু থেকে দেশব্যাপী বাঙালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ব্যাপকতা ও সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কথা চিন্তা করে পাক সামরিক জান্তা ঢাকার সন্নিকটে কোন বাঙালী রেজিমেন্টকে না রাখতে মনস্থ করে। তাই জয়দেবপুর সেনানিবাস থেকে ২য় ইস্ট বেঙ্গলকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার অজুহাতে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। জানুয়ারীর মাঝামাঝি ১ কোম্পানী সৈন্য টাঙ্গাইলে. ১ কোম্পানী সৈন্য ময়মনসিংহে, ১ প্লাটুন রাজেন্দ্রপুর এমুনেশন ফ্যাক্টরীতে প্রেরণ করা হয়। বাকী সৈন্যদের নিয়ে রেজিমেন্টের তৎকালীন বাঙালী অধিনায়ক লে. কর্নেল মাসুদুল হাসান জয়দেবপুর সেনানিবাসেই অবস্থান করতে থাকেন। মেজর শফিউল্লাহ ছিলেন ঐ ইউনিটের সহ-অধিনায়ক।
১৯শে মার্চ ‘৭১ গণআন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন টঙ্গী এলাকায় জনতার তৈরী ব্যারিকেডকে কেন্দ্র করে ২য় ইস্ট বেঙ্গলের সাথে ঢাকাস্থ ব্রিগেড হেড কোয়ার্টারের ভুল বােঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে লে. কর্নেল মাসুদুল হাসানকে ২৩ শে মার্চ সম্মেলনের নামে ঢাকায় ডেকে পাঠানাে হয় এবং তাঁর পরিবর্তে অপর একজন বাঙালী সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল কাজী রকিবুদ্দিনকে ২য় ইস্ট বেঙ্গলে অধিনায়ক করে পাঠানাে হয়। লে. কর্নেল রকিব ছিলেন ৩২ পাঞ্জাবের অধিনায়ক। বিশেষ পরিস্থিতি ও অধিনায়ককে হঠাৎ এই পরিবর্তন ২য় ইস্ট বেঙ্গলের সৈনিকরা ভালভাবে গ্রহণ নাও করতে পারে এমন বিবেচনায় ব্রিগেড হেড কোয়াটার বাঙালী ব্রিগেডিয়ার এম. আর. মজুমদারকে বিষয়টি সামাল দেবার জন্য জয়দেবপুরে পাঠানাে হয়। ২৫শে মার্চ বেলা ১১টায় ব্রিগেডিয়ার মজুমদার নতুন অধিনায়ককে সঙ্গে করে জয়দেবপুরে গিয়ে সৈনিকদের উদ্দেশ্যে সামান্য কিছু বক্তব্য রেখে ঐ দিনই বিকেলে ঢাকা ফিরে আসেন।
২৫শে মার্চ রাতে ঢাকায় ব্যাপক গণহত্যা শুরু হলে ইউনিটের প্রাক্তন অধিনায়ক মাসুদুল হাসান ঢাকা থেকে ২য় ইস্ট বেঙ্গলের উপ-অধিনায়ক মেজর শফিউল্লাহকে সকল ঘটনা অবহিত করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মেজর শফিউল্লাহ রেজিমেন্টের সৈন্যদের নিয়ে কি করা হবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে লে. কর্নেল রকিব কোন নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হন বলে জানা যায়।
২৬ শে মার্চ রাজেন্দ্রপুর এম্যুনেশন ডিপাে থেকে পাক-সেনারা হেলিকপ্টার যােগে গােলাবারুদ তুলে আনতে থাকলে এই ঘটনা রেজিমেন্টের সবার কানে পৌছে যায়। তখন মেজর শফিউল্লাহ, মেজর মঈন ও জুনিয়র বাঙালী অফিসাররা প্রথমেই পুরাে ইউনিটকে ময়মনসিংহে একত্র করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। নেতৃত্ব গ্রহণ করতে অনুরােধ জানানাে হয় নতুন অধিনায়ককে। কিন্তু লে. কর্নেল রকিব উদ্দিন নেতৃত্ব গ্রহণে তাঁর অস্বীকৃতির কারণে ২৮শে মার্চ ভাের রাতে মেজর শফিউল্লাহ ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে তাঁর ইউনিটসহ যাত্রা করেন। টাঙ্গাইলের লে. হেলাল মাের্শেদ খান তাঁর কোম্পানী নিয়ে মেজর শফিউল্লাহর সাথে মুক্তাগাছায় যােগ দেন। এরপর তাঁরা বেলা ৩টায় ময়মনসিংহে অবস্থানরত মেজর নূরুল ইসলামের কোম্পানীর সাথে মিলিত হন। ইতিমধ্যে মেজর মঈনুল হােসেন চৌধুরী ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাকী সৈন্যসহ ময়মনসিংহে মেজর শফিউল্লাহর সাথে যােগ দেন। মেজর শফিউল্লাহ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা ও দেশের সামগ্রিক অবস্থা পর্যালােচনার পর ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলােচনার পর ২৯শে মার্চ ‘৭১ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহের মাধ্যমে ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে।
সারণী ৩ : ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, জয়দেবপুর সেনানিবাস
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
মাসুদুল হাসান খান* | – | লে. কর্নেল | অধিনায়ক | বাঙালী |
কাজী রকিব উদ্দিন ** | – | লে. কর্নেল | অধিনায়ক | বাঙালী |
কে.এম. শফিউল্লাহ ** | ৭৭৩ | মেজর | সহ-অধিনায়ক | বাঙালী |
আজিজুর রহমান *** | ৭২৬ | ক্যাপ্টেন | এ্যাডজুটেন্ট | বাঙালী |
এজাজ আহমেদ চৌধুরী*** | ৭৩৭ | ক্যাপ্টেন | কোয়ার্টার মাস্টার | বাঙালী |
মইনুল হােসেন চৌধুরী*** | ৬৮৩ | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | বাঙালী |
নূরুল ইসলাম (শিশু)*** | ৬৮১ | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | বাঙালী |
কাজেম কামাল | – | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | অবাঙালী |
আসজাদ লতিফ | – | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | অবাঙালী |
এ.এস.এম. নাসিম*** | ৬৯১ | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | অবাঙালী |
রিয়াজ মােহাম্মদ | – | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | অবাঙালী |
মােহাম্মদ নাকভী | – | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | অবাঙালী |
গােলাম হেলাল মােরশেদ খান*** | ৭৪৬ | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালী |
আব্দুল মান্নান*** | ৭৫৬ | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালী |
সৈয়দ মােহাম্মদ ইব্রাহীম** | ৭৫৭ | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালী |
মােক্তার কামাল চৌধুরী*** | ৭৭৬ | ক্যাপ্টেন | মেডিকেল অফিসার | বাঙালী |
আব্দুল মালেক ** | – | ক্যাপ্টেন | মেডিকেল অফিসার | বাঙালী |
*২৩শে মার্চ অপসারিত।
** ২৪শে মার্চ ইউনিটে যােগ দেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন নি।
*** মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী।
৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এ সময় সৈয়দপুর সেনানিবাসে অবস্থান করছিল। ঐ ইউনিটের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক উভয়ই অবাঙালী ছিলেন। রেজিমেন্টের অধীনস্থ চারটি কোম্পানীর দু’টি কোম্পানীর দায়িত্ব দিয়ে বাঙালী অফিসার মেজর নিজামকে মার্চের প্রথম দিকে ঘােড়াঘাট-পলাশবাড়ী এলাকায় প্রেরণ করা হয়। অপর বাঙালী অফিসার ক্যাপ্টেন আশরাফকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার নামে এক কোম্পানী সৈন্যসহ দিনাজপুরে প্রেরণ করা হয়। বেঙ্গল রেজিমেন্টকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করে শক্তি কমিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই পাক অধিনায়ক বাঙালী অফিসারদের বিচ্ছিন্ন করবার পরিকল্পনা নেয়। ২৫শে মার্চ একমাত্র বাঙালী অফিসার কোয়ার্টার মাস্টার হিসেবে ক্যাপ্টেন আনােয়ার সৈয়দপুর সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। ২৬ ও ২৭শে মার্চে সৈয়দপুরে বিহারী অধ্যুষিত এলাকার অবাঙালীরা স্থানীয় বাঙালীদের ওপর এক অতর্কিত ও বীভৎস হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৮শে মার্চ ক্যাপ্টেন আশরাফ, ক্যাপ্টেন আনােয়ারকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। সেনানিবাসে উচ্চপদস্থ কোন বাঙালী অফিসার না থাকায় সেনানিবাসে অবস্থিত অন্য বাঙালী সৈন্যদের পক্ষে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া দুরূহ ছিল। ইউনিটের অন্যান্য পদবীর সৈন্যরা বিদ্রোহের মাধ্যমে যুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতি অনুকূলে নয় এই বিবেচনায় নেতৃস্থানীয় বাঙালী সেনাকর্মকর্তাগণ সিদ্ধান্ত নিতে ইতস্তত করতে থাকেন। এক প্রকার অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈয়দপুর সেনানিবাসের বাঙালী সৈনিকরা দিনাতিপাত করতে থাকেন। ইত্যবসরে ৩১শে মার্চ ২টা ৩০ মিনিটে ২৬ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স ও ২৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী একত্র হয়ে ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। অপ্রস্তুত অবস্থায় ইউনিটের সৈনিকরা আক্রান্ত হওয়ার ফলে যার যার মত ছােট ছােট দলে বিভক্ত হয়ে সেনানিবাস থেকে বের হয়ে যান এবং ফুলবাড়ীতে ক্যাপ্টেন আনােয়ারের নেতৃত্বে একত্র হন। ৩রা এপ্রিল অন্যান্য স্থানে অবস্থানকারী ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরাও ফুলবাড়ীতে এসে উপস্থিত হন এবং প্রতিরােধ যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এ সময়ে স্থানীয় ই পি আর, পুলিশ বাহিনীসহ অন্যান্য বাঙালী সদস্য ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে একত্র হন। এভাবেই ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণের সূচনা ঘটে।
সারণী ৪: ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, সৈয়দপুর সেনানিবাস
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
ফজল করিম | – | লে. কর্নেল | অধিনায়ক | অবাঙালী |
আব্দুল ওয়াহিদ আক্তার | – | মেজর | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
সিরাজুল ইসলাম ** | – | লে. | এ্যাডজুটেন্ট মাস্টার | বাঙালী |
আনােয়ার হােসেন *** | ৭২৮ | লে. | কোয়ার্টার মাস্টার | বাঙালী |
শাফাত হােসেন | – | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | অবাঙালী |
নিজাম উদ্দিন * | – | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | বাঙালী |
আব্দুর রশীদ | – | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | অবাঙালী |
মজিদ মালিক | – | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | অবাঙালী |
আশরাফ হােসেন*** | ৭১৮ | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | বাঙালী |
মােখলেসুর রহমান*** | ৭৩৮ | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালী |
রফিক আহমেদ সরকার ** | – | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালী |
সরফরাজ হােসেন | – | লে. | কোম্পানী অফিসার | অবাঙালী |
* প্রতিরােধযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর হাতে নিহত।
** বন্দী অবস্থায় নিহত হন।
*** মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী।
৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
১৯৭১-এ ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট কুমিল্লা সেনানিবাসে অবস্থান করছিল। পাকিস্তান বাহিনী অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার অজুহাতে ফেব্রুয়ারীর গােড়াতেই ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালী সেনা-অফিসারদের বিচ্ছিন্ন করা শুরু করে। মেজর শাফাত জামিলের নেতৃত্বে ১ কোম্পানী সেনাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থানান্তরিত করা হয়। ২২শে মার্চ মেজর খালেদ মােশাররফ ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সহ-অধিনায়ক হিসেবে কুমিল্লা সেনানিবাসে যােগদান করেন। মেজর খালেদ তাঁর দায়িত্ব বুঝে নিতে গেলে অবাঙালী ইউনিট প্রধান লে. কর্নেল খিজির হায়াত মেজর খালেদকে ১ কোম্পানী সৈন্যসহ সিলেটের শমশের নগর যাওয়ার নির্দেশ দেন। মেজর খালেদ মােশাররফ দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। তাঁকে হঠাৎ করে ১ কোম্পানী সৈন্যসহ সেনানিবাসের বাইরে যাবার আদেশটিকে তিনি দুরভিসন্ধিমূলক বলে বুঝতে পারেন এবং শমশের নগর না যাবার সিদ্ধান্ত নেন। মেজর খালেদ মােশাররফের নানাবিধ যুক্তির মুখে তাঁর ইউনিট অধিনায়ক ব্রিগেড অধিনায়ক ইকবাল শফির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অবশেষে মেজর খালেদ মােশাররফকে ১ কোম্পানী সৈন্যসহ শমশের নগর এলাকায় নকশাল তল্লাশীতে পাঠানাে হয়। রওয়ানা হওয়ার আগেই মেজর খালেদ মােশাররফ ইউনিটে উপস্থিত সকল বাঙালী অফিসার ও জে.ও. সি.-কে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ দেন। তিনি উপস্থিতদের আরও নির্দেশ দেন যে, সেনানিবাসে খারাপ পরিস্থিতি দেখা দিলে যেন তার সাথে দেরী না করে যােগাযােগ করা হয়!
২৪শে মার্চ সন্ধ্যা ৭ টায় মেজর খালেদ মােশাররফ কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে রাত ২টা ৩০ মিনিটে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থিত মেজর শাফাত জামিলের সাথে অনির্ধারিত সাক্ষাৎকারে মিলিত হন। ২৫শে মার্চ বেলা ২টায় তিনি শমশের নগর উপস্থিত হন। মেজর খালেদ মােশাররফ এই এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, সেখানে নকশালসহ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কোন তৎপরতা নেই। তিনি পাক-সেনাদের দুরভিসন্ধি বুঝতে পারেন এবং ইউনিটের সাথে যােগাযােগ করার চেষ্টা করেন। ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের এ্যাডজুটেন্ট বাঙালী অফিসার ক্যাপ্টেন গাফফার এই যােগাযােগের কারণে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে যেতে সচেষ্ট হন এবং ২৫শে মার্চ বিকাল ৫টায় ছলে-বলে-কৌশলে রেজিমেন্টের অবাঙালী অধিনায়ক ও অবশিষ্ট সৈন্যসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া অভিমুখে যাত্রা করতে সমর্থ হন। ২৫শে মার্চ মধ্যরাতের মধ্যেই ইউনিটের বেশীর ভাগ সৈন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একত্র হন। ২৬শে মার্চ দুপুরে মেজর শাফাত জামিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাক-বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও ই. পি. আর.-পুলিশ বাহিনীর বিদ্রোহের খবর জানতে পারেন। তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ পুলিশ ও ই পি. আর.- এর সদস্যদের ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল সৈন্যদের সাথে যােগাযােগ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন। মেজর শাফাত এ সময়ে শমশের নগরে অবস্থিত মেজর খালেদ মােশাররফের সাথে ওয়ারলেস যােগাযােগের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের যাবতীয় ঘটনা প্রবাহ আলােচনা এবং পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ করেন। মেজর খালেদ মােশাররফ ঘটনা প্রবাহ অবহিত হবার সাথে সাথেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সাথে যােগ দেবার জন্য নিজ সৈন্যসহ রওয়ানা দেন।
সারা দেশসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার উপক্রম হয়। এই পরিস্থিতিতে মেজর শাফাত জামিল তাঁর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ-অধিনায়ক মেজর খালেদ মােশাররফের অপেক্ষা না করেই ২৭শে মার্চ সকাল ১০ টায় ইউনিট অধিনায়কসহ ইউনিটের সকল অবাঙালী অফিসার ও সৈন্য গ্রেফতার করেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণের ঘােষণা দেন।
দুপুর ১২টায় মেজর খালেদ মােশাররফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌছান এবং ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন। এভাবেই ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল প্রশাসনিক কাঠামাের বিরুদ্ধে সকল বাঙালী সেনা অফিসার বিদ্রোহ ঘােষণা করে স্বাধীনতা যুদ্ধে যােগ দেন।
সারণী ৫: ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, কুমিল্লা সেনানিবাস
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
খিজির হায়াত খান | – | লে. কর্নেল | অধিনায়ক | অবাঙ্গালী |
খালেদ মােশাররফ | ৬৭৫ | মেজর | সহ-অধিনায়ক | বাঙালি |
আব্দুল গাফফার হালদার | ৭৩২ | ক্যাপ্টেন | এ্যাডজুটেন্ট | বাঙালি |
মাহামুদুল হাসান | – | ক্যাপ্টেন | কোয়ার্টার মাস্টার | অবাঙ্গালী |
সাদেক নেওয়াজ | – | মেজর | কোম্পানী অফিসার | অবাঙ্গালী |
শাফাত জামিল | ৬৮২ | মেজর | কোম্পানী অফিসার | বাঙালি |
আবদুল মতিন | ৬৮৪ | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অফিসার | বাঙালি |
মাহাবুবুর রহমান | ৭৪৪ | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালি |
ফজলুল কবীর | ৭৫৫ | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালি |
হারুন-অর-রশিদ | ৭৫৮ | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালি |
আমজাদ সাঈদ | লে. | কোম্পানী অফিসার | অবাঙালি | |
আকতার আহমেদ | ৭৮১ | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালি |
আবুল হােসেন | ৭৮০ | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালি |
৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট চট্টগ্রাম সেনানিবাসের বাইরে ষােল শহরে অবস্থান করছিল। ‘৭১এর মার্চ-এপ্রিলে পুরাে ইউনিটটিকে পশ্চিম পাকিস্তানে বদলি হবার নির্দেশ আসে এবং এই ইউনিটের অস্ত্র ও গােলাবারুদ সরকারী অস্ত্রগারে জমা দেয়া হয়। ইউনিটের নিরাপত্তার নিমিত্ত সামান্য পরিমাণ অস্ত্র ও গােলাবারুদ অন্য ইউনিট থেকে ধার হিসেবে প্রদান করা হয়। এই ইউনিটের অধিনায়ক ছিলেন লে. কর্নেল রশীদ জানজুয়া (অবাঙালী) এবং সহঅধিনায়ক ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেনানিবাসের বাইরে থাকায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি স্বচ্ছ চিত্র এই ইউনিটের সামনে ছিল।
১লা মার্চের পর চট্টগ্রাম বিদ্রোহের নগরীতে পরিণত হয়। জনসাধারণ স্বত:স্ফুর্তভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তােলার চেষ্টা করে। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে অবস্থিত বাঙালী সৈন্য ও অফিসারগণ নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যােগাযােগ রক্ষা করতে শুরু করেন। ২৫শে মার্চ রাতে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে পাকিস্তান থেকে আগত অস্ত্র ও গােলা-বারুদবাহী জাহাজ ‘সােয়াত’ থেকে অস্ত্র খালাসের নির্দেশ দেয়া হয়। মেজর জিয়াউর রহমান নিজ সৈন্যসহ চট্টগ্রাম পাের্ট এলাকায় যাওয়ার পথে পথিমধ্যে ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান চৌধুরীর কাছে চট্টগ্রামে সেনানিবাসে পাক-সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের সংবাদ পান। মেজর জিয়াউর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ছাউনীতে ফিরে আসেন এবং সকল অফিসার ও সৈন্যের সাথে মিলিত হয়ে ঐ রাতেই স্বাধীনতা যুদ্ধে যােগদানের কথা ঘােষণা করেন। এই ইউনিটের সকল সৈন্য ও অফিসার স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিদ্রোহের পক্ষে যােগদান করেন। মেজর জিয়াউর রহমান ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে এই ইউনিটের কাছে আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র এবং পর্যাপ্ত গােলা-বারুদের অভাব থাকায় এই ইউনিটের প্রতিরােধ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ কঠিন ছিল। এই অবস্থায় ইউনিটটি সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সৈনিকদের ওপর সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ এবং পাক বাহিনীর অতর্কিত হামলার আশংকায় অবস্থান ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২৬শে মার্চ ভাের ৭ টায় ৮ম ইস্ট বেঙ্গলের সকল পদবীর সৈনিক পটিয়ায় একত্র হন। ২৭শে মার্চ ‘৭১ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে মেজর জিয়াউর রহমান ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের স্বাধীনতা যুদ্ধে যােগদানের কথা চট্টগ্রামস্থ স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশবাসী ও বিশ্বের কাছে পৌছে দেন। এভাবেই ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে এবং সকল বাঙালী অফিসার এতে যােগ দেন।
সারণী ৬ : ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, চট্টগ্রাম সেনানিবাস
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
রশীদ জানজুয়া | – | লে. কর্নেল | অধিনায়ক | অবাঙ্গালী |
জিয়াউর রহমান | ৬৭২ | মেজর | সহ-অধিনায়ক | বাঙালি |
শমসের মবিন চৌধুরী | ৭৪২ | লে. | এ্যাডজুটেন্ট | বাঙালি |
অলি আহমেদ | ৭২৩ | ক্যাপ্টেন | কোয়ার্টার মাস্টার | বাঙালি |
মীর শওকত আলী | ৬৭৪ | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | বাঙালি |
খালেকুজ্জামান চৌধুরী | ৬৯৪ | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | বাঙালী |
সাদেক হােসেন | ৭২৫ | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | বাঙালী |
আহমেদ দীন | – | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | অবাঙালী |
এ.ওয়াই মাহফুজুর রহমান | ৭৩৩ | লে. | কোম্পানী অফিসার | বাঙালী |
আজিম উদ্দিন | – | লে. | কোম্পানী অফিসার | অবাঙালী |
হুমায়ূন আহমেদ | – | লে. | কোম্পানী অফিসার | অবাঙালী |
৯ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
নবগঠিত এই ইউনিটটি ঐ সময় গঠনের পর্যায়ে ছিল। এর সৈন্যরা এ সময় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে প্রশিক্ষণরত ছিল। শুধু দুইজন অফিসার নিয়ােগের আদেশপত্র জারি হয়। কিন্তু ২৫শে মার্চের পূর্বে তারা যােগদান করতে পারেন নি। এই ইউনিটের জন্য প্রশিক্ষণরত প্রায় সকল সৈন্য ২৫শে মার্চ রাতে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে অতর্কিত আক্রমণের শিকার হন ও অধিকাংশই শাহাদাত বরণ করেন।
সারণী ৭: ৯ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, চট্টগ্রাম সেনানিবাস
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
এ. ওয়াই মুসতাক আহমেদ | – | মেজর | অধিনায়ক | বাঙালী |
মােহম্মদ আইনউদ্দিন | ৬১৯ | ক্যাপ্টেন | এ্যাডজুটেন্ট | বাঙালী |
মেজর এ. ওয়াই মুশতাক আহমেদ ইউনিটে যােগদানের পূর্বে মার্চ মাসেই ঢাকায় শাহাদাৎ বরণ করেন এবং ক্যাপ্টেন মােহাম্মদ আইন উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যােগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
সারণী ৮: ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
এটি মূলত ক্যাডেট ব্যাটেলিয়ন। যুদ্ধকালীন প্রয়ােজনে দ্বিতীয় স্তরের সৈনিক হিসেবে স্কুল ও কলেজের ছাত্রদের এই রেজিমেন্ট সামরিক প্রশিক্ষণ দানে নিয়ােজিত ছিল। প্রশিক্ষক ছাড়া সেনাবাহিনীর নিয়মিত কোন সৈন্য এই রেজিমেন্টে নিয়ােগ করা হত না। উল্লেখ্য যে, এই রেজিমেন্টের কোন কর্মকর্তাই মুক্তিযুদ্ধে যােগদান করেন নি।
সারণী ৯: ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (ক্যাডেট ইউনিট), সেনানিবাস
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
মঈদ উদ্দিন | – | লে. কর্নেল | অধিনায়ক | বাঙালী |
মােহাম্মদ কোরায়েশী | – | মেজর | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
এ.বি.এম. রহমত উল্লা | – | ক্যাপ্টেন | কোয়ার্টার মাস্টার | বাঙালী |
বাহরাম আলী বেগ | – | ক্যাপ্টেন | প্রশিক্ষণ অফিসার | অবাঙালী |
পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস
ই. পি. আর. প্রধানত বেসামরিক প্রশাসনের সাহায্যকারী একটি আধা-সামরিক বাহিনী। অসহযােগ আন্দোলনের সময় থেকেই এই বাহিনী স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের অপেক্ষাকৃত নিকট সান্নিধ্যে আসার সুযােগ লাভ করে এবং সেই মােতাবেক যে কোন অবস্থার মােকাবেলা করার জন্য নিজেদের সাধ্যমত প্রস্তুত রাখে।
২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক ই পি. আর.-এর তদানীন্তন সদর দপ্তর পিলখানা আক্রান্ত হয়। ই. পি. আর. এর নিজস্ব বেতারযন্ত্র মারফত ক্যাপ্টেন দেলওয়ার ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণাত্মক সকল ঘটনা ই. পি. আর. তার সকল ইউনিটকে তাৎক্ষণিকভাবে জ্ঞাত করে। এই আধা-সামরিক বাহিনী ২৫শে মার্চের রাতে সামগ্রিকভাবে বিদ্রোহ ঘােষণা করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। পূর্ব প্রস্তুতির কারণে প্রাথমিক প্রতিরােধ যুদ্ধে ই. পি.আর. বিশেষ সফলতা অর্জন করে ও পরবর্তীকালে মুক্তিবাহিনীর সশস্ত্র কাঠামাে সংগঠনে বিশেষ অবদান রাখে। প্রায় ১২,০০০ ই. পি. আর. মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় বলে জানা যায়।
সারণী ১০: সদর দপ্তর, পিলখানা, ঢাকা
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
নেসার আহমেদ | – | বিগ্রেডিয়ার | মহাপরিচালক | অবাঙালী |
জামিল উদ্দিন | – | মেজর | জি-স্টাফ | অবাঙালী |
দেলওয়ার হােসেন * | – | ক্যাপ্টেন | জি-স্টাফ | বাঙালী |
ডানিয়েল ইসলাম * | – | ক্যাপ্টেন | কিউ-স্টাফ | বাঙালী |
জহিরুল ইসলাম | – | ক্যাপ্টেন | কিউ-স্টাফ | অবাঙালী |
আরিফ * | – | ক্যাপ্টেন | কিউ-স্টাফ | বাঙালী |
আব্দুর রহমান * | – | লে. কর্নেল | মেডিকেল অফিসার | বাঙালী |
এফ. ফারুক * | – | মেজর | মেডিকেল অফিসার | বাঙালী |
আব্দুর রশীদ * | – | মেজর | মেডিকেল অফিসার | বাঙালী |
সারণী ১১: সেক্টর–১, পিলখানা, ঢাকা
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
আনােয়ার শাহ | – | লে. কর্নেল | অধিনায়ক | অবাঙ্গালী |
সিরাজুল ইসলাম* | – | মেজর | সহ-অধিনায়ক | বাঙালী |
হাফিজ আহমেদ আয়াজ | – | ক্যাপ্টেন | এ্যাডজুটেন্ট | বাঙালী |
১৩ নং উইং: পিলখানা, ঢাকা | ||||
আব্দুর রহমান | – | মেজর | অধিনায়ক | অবাঙালী |
১৪ নং উইং: পিলখানা, ঢাকা | ||||
গােলাম মােহাম্মদ | – | মেজর | অধিনায়ক | অবাঙালী |
১৬ নং উইং: পিলখানা, ঢাকা | ||||
আবদুল্লাহ-আল-আজাদ * | – | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | বাঙালী |
আব্দুল লতিফ * | – | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | বাঙালী |
২ নং উইং: ময়মনসিংহ | ||||
কমর আব্বাস | – | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক | অবাঙালী |
এ. বি. এম. আজিজুল হক | – | সুবেদার
এ- কোম্পানী |
অধিনায়ক | বাঙালী |
জিয়ায়ুল হক | – | সুবেদার
বি- কোম্পানী |
অধিনায়ক | বাঙালী |
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ | – | সুবেদার | অধিনায়ক
সি- কোম্পানী |
বাঙালী |
আব্দুল হাকিম | – | সুবেদার | অধিনায়ক
ডি- কোম্পানী |
বাঙালী |
সারণী ১২ : সেক্টর–২, সিলেট
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
সেকেন্দার খান | – | লে. কর্নেল | সেক্টর অধিনায়ক | অবাঙালী |
আব্দুল করিম | – | মেজর | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
নাসির নাজির | – | ক্যাপ্টেন | এ্যাডজুটেন্ট | অবাঙালী |
মােহাম্মদ আলাউদ্দিন ** | – | ক্যাপ্টেন | কোয়ার্টার মাস্টার | বাঙালী |
আহসান কাদির ফয়েজ | – | ক্যাপ্টেন | সিগন্যাল অফিসার | অবাঙালী |
আব্দুল কুদুস *** | – | মেজর | মেডিকেল অফিসার | বাঙালী |
৩ নং উইং সিলেট শহর | ||||
জাভেদ বরকত চৌধুরী | – | মেজর | উইং অধিনায়ক | অবাঙালী |
ফজলে হােসেন | – | সুবেদার | অধিনায়ক
এ- কোম্পানী |
বাঙালী |
ফজলুল হক চৌধুরী | – | সুবেদার | অধিনায়ক
বি- কোম্পানী |
বাঙালী |
মজিবর রহমান | – | সুবেদার | অধিনায়ক
সি- কোম্পানী |
বাঙালী |
আব্দুল মান্নান | – | সুবেদার | অধিনায়ক
ডি- কোম্পানী |
বাঙালী |
১২ নং উইং: খাদিম নগর | ||||
শওকত হায়াত খান | – | মেজর | উইং অধিনায়ক | অবাঙালী |
গােলাম রসুল | – | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
শমসের খান | – | সুবেদার | অধিনায়ক
এ- কোম্পানী |
অবাঙালী |
মুজিবুর রহমান | – | সুবেদার | অধিনায়ক
বি- কোম্পানী |
বাঙালী |
বি.আর. চৌধুরী | – | সুবেদার | অধিনায়ক
সি- কোম্পানী |
বাঙালী |
নছিবুর রহমান
|
– | সুবেদার | অধিনায়ক
ডি-কোম্পানী |
বাঙালী |
ফজল মিয়া | – | সুবেদার | সাপাের্ট প্লাটুন | বাঙালী |
১নং উইং: কোর্টবাড়ী, কুমিল্লা | ||||
করব আলী | – | মেজর | উইং অধিনায়ক | অবাঙালী |
মােহম্মদ ফারুকী | – | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
শের মােহাম্মদ | – | সুবেদার | অধিনায়ক
বি-কোম্পানী |
অবাঙালী |
সারণী ১৩ : সেক্টর–৩, যশাের
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
আসলাম বেগ | – | লে. কর্নেল | সেক্টর অধিনায়ক | অবাঙালী |
কাদের খান | – | মেজর | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
মীর হাসমত উল্লাহ * | – | ক্যাপ্টেন | এ্যাডজুটেন্ট | বাঙালী |
আওলাদ হােসেন | – | ক্যাপ্টেন | কোয়াটার মাস্টার | বাঙালী |
৪নং উইং: চুয়াডাংগা | ||||
আবু ওসমান চৌধুরী *** | ৬৭৬ | মেজর | উইং অধিনায়ক | বাঙালী |
এ.আর. আজম চৌধুরী *** | ৭১৬ | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | বাঙালী |
সাদেক হােসেন | – | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
মােজাফফর আহমেদ | – | সুবেদার | অধিনায়ক
এ কোম্পানী |
বাঙালী |
খায়রুল বাশার | – | সুবেদার | অধিনায়ক
বি-কোম্পানী |
বাঙালী |
আব্দুল মুকিত | – | সুবেদার | অধিনায়ক
সি-কোম্পানী |
বাঙালী |
আব্দুল মজিদ মােল্লা | – | সুবেদার | অধিনায়ক
ডি কোম্পানী |
বাঙালী |
আব্দুর রাজ্জাক | – | সুবেদার | অধিনায়ক
ই-কোম্পানী |
বাঙালী |
৫নং উইং: খুলনা | ||||
আব্দুল আজিজ শিকদার | – | সুবেদার | অধিনায়ক
এ-কোম্পানী |
বাঙালী |
হাসান উদ্দিন | – | সুবেদার | অধিনায়ক
এ-কোম্পানী |
বাঙালী |
জব্বার আলী | – | নায়েব সুবেদার | অধিনায়ক
ডি-কোম্পানী |
বাঙালী |
তায়েফ আলী | – | সুবেদার | অধিনায়ক
ই-কোম্পানী |
বাঙালী |
সারণী ১৪ : সেক্টর–৪, রাজশাহী
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিয়ােগ অবস্থান | জাতি পরিচয় |
মােহাম্মদ ইসহাক | – | ক্যাপ্টেন | এ্যাডজুটেন্ট | অবাঙালী |
মুজিবউদ্দিন আহমেদ ** | – | মেজর | মেডিকেল অফিসার | বাঙালী |
আহমেদ খান | – | সুবেদার মেজর | সুবেদার মেজর | অবাঙালী |
৬ নং উইং: চাঁপাই নবাবগঞ্জ | ||||
দাদু খান | – | সুবেদার মেজর | সুবেদার মেজর | অবাঙালী |
মােহাম্মদ আলী মােল্লা | – | সুবেদার | অধিনায়ক
এ-কোম্পানী |
বাঙালী |
আবুল কাশেম | – | সুবেদার | অধিনায়ক
বি-কোম্পানী |
বাঙালী |
ইউসুফ খান | – | সুবেদার | অধিনায়ক
সি-কোম্পানী |
অবাঙালী |
নূরুজ্জামান | – | নায়েব সুবেদার | অধিনায়ক
ডি-কোম্পানী |
বাঙালী |
আমির আলী | – | সুবেদার | অধিনায়ক
সি-কোম্পানী |
বাঙালী |
মােয়াজ্জেম হােসেন | – | সুবেদার | অধিনায়ক
ডি-কোম্পানী |
বাঙালী |
মিনুল হক | – | সুবেদার | অধিনায়ক
ই-কোম্পানী |
বাঙালী |
৯ নং উইং: ঠাকুরগাঁও | ||||
মােহাম্মদ হােসেন | – | মেজর | উইং অধিনায়ক | অবাঙালী |
নাজির আহমেদ | – | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | বাঙালী |
কাজিমউদ্দিন | – | সুবেদার মেজর | সুবেদার মেজর | বাঙালী |
কালা খান | – | সুবেদার | অধিনায়ক
এ-কোম্পানী |
অবাঙালী |
মির্জা খান | – | নায়েব সুবেদার | অধিনায়ক
সি-কোম্পানী |
অবাঙালী |
এম.এ.হাফিজ | – | সুবেদার | অধিনায়ক
ডি-কোম্পানী |
বাঙালী |
আব্দুল খালেক | – | নায়েব সুবেদার | অধিনায়ক
ই-কোম্পানী |
বাঙালী |
১০ নং উইং : রংপুর | ||||
মােহাম্মদ কাজমী | – | মেজর | উইং অধিনায়ক | অবাঙালী |
মােহাম্মদ আলী ভুট্টো | – | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
নওয়াজেশ উদ্দিন *** | ৬৯৬ | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | |
ওসমান গনি | – | সুবেদার মেজর | সুবেদার মেজর | বাঙালী |
নূর মােহাম্মদ | – | সুবেদার | অধিনায়ক
এ-কোম্পানী |
বাঙালী |
আব্দুল জামান | – | সুবেদার | অধিনায়ক
বি-কোম্পানী |
বাঙালী |
আরব আলী | – | সুবেদার | অধিনায়ক
সি-কোম্পানী |
বাঙালী |
বােরহান উদ্দিন | – | সুবেদার | অধিনায়ক
ডি-কোম্পানী |
বাঙালী |
আতােয়ার খান | – | সুবেদার | অধিনায়ক
ই-কোম্পানী |
অবাঙালী |
৭ নং উইং: নওগাঁ | ||||
নাজমুল হক *** | ৬৯৩ | মেজর | উইং অধিনায়ক | – |
গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চোধুরী*** | ৬৮৫ | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | – |
নাবিদ আলম | – | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
আনােয়ার আলী | – | সুবেদার | অধিনায়ক
এ-কোম্পানী |
বাঙালী |
নাজির উদ্দিন | – | নায়েব সুবেদার | অধিনায়ক
সি-কোম্পানী |
বাঙালী |
হাসান আলী | – | সুবেদার | অধিনায়ক
ডি-কোম্পানী |
বাঙালী |
সেক্টর ৫, দিনাজপুর | ||||
তারেক রসুল কোরেশী | – | লে. কর্নেল | সেক্টর অধিনায়ক | অবাঙালী |
মােহাম্মদ জুবায়েরী | মেজর | সহ অধিনায়ক | অবাঙালী | |
জাভেদ ফিরােজ | – | ক্যাপ্টেন | এ্যাডজুটেন্ট | অবাঙালী |
নাজির আহমেদ | – | ক্যাপ্টেন | কোয়ার্টার মাস্টার | বাঙালী |
মকসুল হােসেন চৌধুরী *** | ৭৭৯ | মেজর | মেডিকেল অফিসার | বাঙালী |
৮ নং উইং দিনাজপুর | ||||
আমিন তারেক | – | মেজর | উইং অধিনায়ক | অবাঙালী |
নজরুল হক *** | ৭০৯ | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | বাঙালী |
জুলফিকার আলী চীমা | – | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
আব্দুর রব | – | সুবেদার মেজর | সুবেদার মেজর | বাঙালী |
এম. এ. মঞ্জুর | সুবেদার | অধিনায়ক
এ-কোম্পানী |
বাঙালী | |
আব্দুল মুজিব | সুবেদার | অধিনায়ক
বি-কোম্পানী |
বাঙালী | |
সেক্টর– ৬, চট্টগ্রাম | ||||
আব্দুল আজিজ শেখ | – | লে. কর্নেল | সেক্টর অধিনায়ক | অবাঙালী |
আব্দুল হামিদ | – | মেজর | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
রফিকুল ইসলাম *** | ৬৮৮ | ক্যাপ্টেন | এ্যাডজুটেন্ট | বাঙালী |
আমিরুল ইসলাম ** | – | মেজর | মেডিকেল অফিসার | বাঙালী |
১৭ নং উইং:কাপ্তাই | ||||
পীর মােহাম্মদ | – | মেজর | উইং অধিনায়ক | অবাঙালী |
হারুন আহমেদ চৌধুরী *** | ৬৯২ | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | বাঙালী |
১১ নং উইং– হালিশহর | ||||
মােহাম্মদ ইকবাল | – | মেজর | উইং অধিনায়ক | অবাঙালী |
আবুল হায়াত | – | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
১৪ নং উইং: হালিশহর | ||||
শামসুদ্দিন আহমেদ *** | ৬৮০ | মেজর | উইং অধিনায়ক | বাঙালী |
মমতাজ আহমেদ | – | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | অবাঙালী |
আব্দুল গনি | – | সুবেদার | অধিনায়ক
এ-কোম্পানী |
বাঙালী |
মফিজুল বারী | – | সুবেদার | অধিনায়ক
বি-কোম্পানী |
বাঙালী |
সারণী ১০ থেকে সারণী ১৪ পর্যন্ত
* মুক্তিযুদ্ধে যােগ দেন নি।
** বন্দী অথবা নিহত।
*** মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অফিসারের নীচের কাউকে ঐ ভাবে সনাক্ত করা হয় নি।
পৃষ্ঠাঃ ২১
বাংলাদেশ সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য
১৯৭০ সালের পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ কর্তৃক এককভাবে সরকার গঠনের বৈধ সুযােগের সৃষ্টি করে অর্থাৎ পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম পাঞ্জাবীদের পরিবর্তে বাঙালীদের কারও সাহায্য ও সমর্থন ছাড়াই কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনার বিরল সুযােগ সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, পাকিস্তানের সামরিক জান্তা নিবার্চনের ফলাফল তাদের অনুকূলে ধরে রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় এবং কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য তারা মােটেও প্রস্তুত ছিল না।
এক কথায় ‘৭০ সালের নির্বাচন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা, পশ্চিম পাকিস্তানী আমলা ও স্বার্থান্বেষীদের বিরুদ্ধে চলে যায়। তারা নানা উছিলায় নির্বাচিত দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর বিলম্বিত করতে থাকে।
ইত্যবসরে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক আন্দোলন প্রবল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। এক পর্যায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যে রাজনৈতিক আলাপ-আলােচনায় অচলাবস্থা দেখা দেয়। পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণকে উচিত শিক্ষা দেবার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা হিসেবে ২৫শে মার্চ মধ্যরাত থেকে নিরস্ত্র জনসাধারণের ওপর সামরিক বাহিনীর গণহত্যা শুরু হয়ে যায়।
পূর্বেই বলা হয়েছে যে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা যে আদৌ আন্তরিক ছিল না তা একাত্তর সালের মার্চ মাস নাগাদ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের কাছে দিবালােকের মত স্পষ্ট হয়ে যায়।
১লা মার্চ ‘৭১ পাকিস্তানের সামরিক সরকার গ্রহণযােগ্য কারণ ছাড়াই জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত ঘােষণা করে। এই প্রেক্ষাপটে শেখ মুজিবর রহমানের নির্দেশে সারা পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে অসহযােগ আন্দোলন চলতে থাকে। ৭ই মার্চ ‘৭১ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ লােকের জমায়েতে তিনি জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণকে সামগ্রিক প্রস্তুতির নির্দেশ দান করেন ও তাদের যার যা কিছু আছে তা নিয়ে শত্রুর মােকাবেলা করার আহ্বান জানান। অপর দিকে সামরিক জান্তা সৈন্য-সজ্জার জন্য কালক্ষেপণ করতে থাকে ও ক্ষমতা হস্তান্তরের নামে তথাকথিত আলােচনা ২৪শে মার্চ অসমাপ্ত রেখে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টসহ পশ্চিম পাকিস্তানের বেশীর ভাগ নেতা পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগ করেন। সামরিক জান্তা গণহত্যার মাধ্যমে ভীতি সঞ্চার করে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে মােকাবেলার নীতি গ্রহণ করে। ২৬শে মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া বেতার ও টেলিভিশন মারফত শেখ মুজিবকে দেশদ্রোহী ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বলে ঘােষণা করেন।
এই প্রেক্ষাপটে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের অধিকাংশ সদস্য পাকিস্তানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ক্রমান্বয়ে দেশত্যাগ করেন এবং আইনগত কাঠামাের মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠনে অংশ গ্রহণ করেন।
এই তালিকায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পক্ষত্যাগকারী সংসদ সদস্যবৃন্দের তালিকা ও সরকারের অধীনে তাদের অবস্থান উল্লেখ করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। ভারতের বাগডােগরাতে বাংলাদেশ সরকারের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত থাকলেও তথ্য সূত্রের অভাবে এই তালিকায় কেবল ২৯৫ জনের অবস্থান দেখানাে সম্ভব হয়েছে।
সারণী ১৫ : জাতীয় পরিষদ
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | মুক্তিযুদ্ধকালীন | |
পদবী | দায়িত্বস্থল | ||
মাজহার হােসেন | ১ | শিবির প্রধান | সাহেবগঞ্জ যুব শিবির শিবির |
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ | ২ | শিবির প্রধান | ধুবড়ী যুব শিবির |
সাদাকাত হােসেন | ৩ | শিবির প্রধান | ধবুড়ী যুব শিবির গােয়ালপাড়া, আসাম |
মােঃ লুৎফর রহমান | ৪ | শিবির প্রধান | মানকার চর শরণার্থী শিবির |
শাহ আব্দুল আওয়াল | ৫ | শিবির প্রধান | কুচবিহার শরণার্থী শিবির, কুচবিহার |
আব্দুল আওয়াল | ৯ | শিবির প্রধান | কুচবিহার যুব শিবির, কুচবিহার |
মতিউর রহমান | ১০ | জোন চেয়ারম্যান | উত্তর জোন |
আব্দুর রউফ | ১১ | শিবির প্রধান | হলদি বাড়ী যুব শিবির, জলপাইগুড়ি |
আফসার আলী আহমেদ | ১২ | শিবির প্রধান | দেওয়ান গঞ্জ, কুচবিহার |
মোশারফ হােসেন চৌধুরী | ১৩ | শিবির প্রধান | তেঁতুলিয়া ত্রাণ শিবির |
মােঃ আজিজুর রহমান | ১৪ | শিবির প্রধান | মালন, পশ্চিম দিনাজপুর |
এ.বি.এম, মােকসেদ আলী | ১৫ | শিবির প্রধান | কুশমণ্ডি, পশ্চিম দিনাজপুর |
অধ্যাপক ইউসুফ আলী | ১৬ | চেয়ারম্যান | যুব প্রশিক্ষণ শিবির পরিষদ |
শাহ মাহতাব আহমেদ | ১৭ | শিবির প্রধান | গঙ্গারামপুর, পশ্চিম দিনাজপুর |
ডা. মােঃ ওয়াকিল উদ্দিন মণ্ডল | ১৮ | সদস্য | পশ্চিম জোন-১ |
ড. মফিজ চৌধুরী | ১৯ | উপদেষ্টা সদস্য | যুব শিবির নিয়ন্ত্রণ পরিষদ, জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল |
মুজিবুর রহমান (আক্কেলপুরী) | ২০ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং -৭ |
আকবর আলী খান চৌধুরী | ২১ | শিবির প্রধান | কালুরঘাট শরণার্থী শিবির |
ডা. মােঃ জাহিদুর রহমান | ২৩ | শিবির প্রধান | _ |
মােতাহার হােসেন তালুকদার | ২৪ | শিবির প্রধান | দিনহাটা, কুচবিহার |
মওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ | ২৫ | সদস্য | কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদ |
আবু সাইয়িদ | ২৮ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং- ৭ |
আতাউর রহমান তালুকদার | ৩০ | সদস্য | জোনাল কাউন্সিল |
আজিজুর রহমান | ৩১ | শিবির প্রধান | মালন যুব শিবির |
মােঃ বাইতুল্লাহ | ৩২ | শিবির প্রধান | বাঙালীপুর (মােহতীপুর) |
মােঃ খালেদ আলী মিয়া | ৩৩ | শিবির প্রধান | মালদা সিংগাবাদ যুব প্রশিক্ষণ শিবির |
রইসউদ্দিন আহমেদ | ৩৪ | কর্মকর্তা | মালন যুব শিবির |
এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান | ৩৫ | ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী | বাংলাদেশ সরকার |
ডা. শেখ মােবারক হােসেন | ৩৮ | কর্মকর্তা | মালন যুব শিবির |
ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম | ৩৯ | উপদেষ্টা | প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় |
আজিজুর রহমান আক্কাস | ৪০ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং – ৮ |
সহিদ উদ্দিন | ৪১ | শিবির প্রধান | বেতাই, কুচবিহার |
আবু আহমেদ আফজালুর রশীদ | ৪২ | সমন্বয়কারী | প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় |
কামরুজ্জামান | ৪৩ | উপদেষ্টা সদস্য | শিক্ষা বিভাগ |
ইকবাল আনােয়ারুল ইসলাম | ৪৪ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১ |
সুবােধ কুমার মিত্র | ৪৬ | শিবির প্রধান | বনগা ত্রাণ শিবির |
মােঃ রওশন আলী | ৪৭ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১ |
মােঃ সােহরাব হােসেন | ৪৮ | উপদেষ্টা সদস্য | ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর |
খন্দকার আব্দুল হাফিজ | ৪৯ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১ |
আবুল খায়ের (বি.এ.) | ৫০ | (ভারতে আশ্রয় গ্রহণ) | – |
শেখ আব্দুল আজিজ | ৫১ | (ভারতে আশ্রয় গ্রহণ) | – |
লুৎফর রহমান | ৫২ | (ভারতে আশ্রয় গ্রহণ) | – |
এম. এ. গফুর | ৫৩ | প্রধান রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | মুক্তিবাহিনী, সেক্টর নং-৯ |
মােঃ মােহসীন | ৫৪ | সদস্য | কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদ |
সালাউদ্দিন ইউসুফ | ৫৫ | সদস্য | কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদ |
সৈয়দ কামাল বখত | ৫৭ | শিবির প্রধান যুব শিবির | ধলতিতা বারাসাত |
আব্দুর রব সেরনিয়াবত | ৫৮ | জোন চেয়ারম্যান | দক্ষিণ জোন |
মােঃ নূরুল ইসলাম মঞ্জুর | ৬০ | অন্যতম সংগঠক | মুক্তিবাহিনী, সেক্টর নং-৯ |
আব্দুল মান্নান হাওলাদার | ৬২ | শিবির প্রধান | জয়বাংলা, হাবড়া |
তােফায়েল আহমেদ | ৬৩ | উপদেষ্টা | মুজিব বাহিনী |
আব্দুল মান্নান | ৭১ | ভারপ্রাপ্ত এম.এন.এ. | তথ্য ও বেতার বিভাগ |
মােঃ শওকত আলী খান | ৭২ | সশস্ত্র সংগ্রামী | সেক্টর নং-৩ |
অধ্যক্ষ হুমায়ুন খালিদ | ৭৩ | উপদেষ্টা সদস্য বেতার কেন্দ্র | স্বাধীন বাংলা |
শামছুর রহমান খান | ৭৫ | জোন চেয়ারম্যান | উত্তর-পূর্ব জোন-২ |
করিমুজ্জামান তালুকদার | ৭৭ | শিবির প্রধান | মহেন্দ্রগঞ্জ (তুরা) |
মােঃ আব্দুল হাকিম (এডভােকেট) | ৭৮ | শিবির প্রধান | মেলাগড় (ত্রিপুরা |
মােঃ আনিসুর রহমান | ৭৯ | শিবির প্রধান | বড় খাসিয়া যুব শিবির (মেহেন্দ্রগড়) |
সৈয়দ আব্দুস সুলতান | ৮৪ | উপদেষ্টা সদস্য | রাষ্ট্রপতির কার্যালয় |
মােঃ সামছুল হুদা | ৮৬ | উপদেষ্টা সদস্য | ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর |
জিল্লুর রহমান | ৯১ | উপদেষ্টা সদস্য | তথ্য ও বেতার দপ্তর |
সৈয়দ নজরুল ইসলাম | ৯২ | অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি | বাংলাদেশ সরকার |
এস.কে. আই সালাহউদ্দীন | ৯৫ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
কে, এম, ওবায়দুর রহমান | ৯৬ | ভারপ্রাপ্ত সদস্য | শিল্প ও সংস্কৃতি বিভাগ |
মােল্লা জালালউদ্দিন আহমেদ | ৯৯ | (ভারতে অবস্থান গ্রহণ) | – |
মােসলেম উদ্দিন খান | ১০৫ | এম, এফ, | সশস্ত্র মুক্তিযােদ্ধা |
শামছুল হক | ১০৭ | উপদেষ্টা সদস্য | ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর |
তাজউদ্দিন আহমেদ | ১০৮ | প্রধানমন্ত্রী | বাংলাদেশ সরকার |
আশরাফ আলী চৌধুরী | ১০৯ | শিবির প্রধান | আগরতলা শরণার্থী শিবির |
ফজলুর রহমান ভূঁইয়া | ১১৩ | শিবির প্রধান | কংগ্রেস ভবন (ট্রোনজিট) |
আফতাবুদ্দিন ভূঁইয়া | ১১৪ | শিবির প্রধান | হাপানিয়া যুব শিবির |
মােঃ শাহের আলী মিয়া | ১১৬ | ত্রাণ ও পুনর্বাসন | কর্মকর্তা পূর্বাঞ্চলীয় জোন |
এ.কে.এম. শামসুজ্জোহা | ১১৭ | শিবির প্রধান | বারমারা যুব শিবির, ডাউকি |
কফিল উদ্দিন চৌধুরী | ১১৮ | সমন্বয় কর্মকর্তা | আগরতলা ও ত্রিপুরা এলাকা |
আব্দুল করিম বেপারী | ১১৯ | সদস্য | পূর্বাঞ্চলীয় জোন |
মােস্তফা আলী | ১২০ | শিবির প্রধান | মেথালী (আসাম) |
মােঃ আব্দুর রব | ১২১ | চীফ অব স্টাফ | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
মােঃ ইলিয়াস | ১২৩ | (ভারতে অবস্থান গ্রহণ) | – |
আব্দুল মুত্তাকিম চৌধুরী | ১২৪ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং-৪ |
মােঃ আতাউল গণি ওসমানী | ১২৫ | মুক্তি বাহিনী | প্রধান সেনাপতি, বাংলাদেশ |
আব্দুর রহিম | ১২৬ | শিবির প্রধান | পাথরকান্দি, করিমগঞ্জ |
দেওয়ান ফরিদ গাজী | ১২৭ | জোন চেয়ারম্যান | উত্তর-পূর্ব জোন |
আব্দুল হক এডভােকেট | ১২৮ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | , সেক্টর নং-৫ |
আব্দুস সামাদ আজাদ | ১২৯ | প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা | জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সদস্য |
ডি.এম.এইচ. ওবায়দুর
রাজা চৌধুরী |
১৩০ | চেয়ারম্যান
উত্তর-পূর্ব জোন |
অর্থ কমিটি
|
তাহের উদ্দিন ঠাকুর | ১৩১ | উপদেষ্টা সদস্য | বহিঃ প্রচার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার |
আলী আযম | ১৩২ | শিবির প্রধান | হাপানিয়া যুব শিবির |
দেওয়ান আবুল আব্বাস | ১৩৩ | শিবির প্রধান | নরসিংগর |
সিরাজুল হক | ১৩৪ | জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সদস্য | সরকারী প্রতিনিধি |
খােরশেদ আলম | ১৩৫ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং-২ |
কাজী জহিরুল কাইয়ুম | ১৩৬ | কর্মকর্তা | পূর্বাঞ্চলীয় জোন |
খন্দকার মােশতাক আহমেদ | ১৩৮ | পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রী | বাংলাদেশ সরকার |
ক্যাপ্টেন মােঃ সুজাত আলী | ১৪০ | শিবির প্রধান | শ্রীনগর |
আব্দুল আউয়াল | ১৪১ | শিবির প্রধান | কথালিয়া (বড়মােড়া) যুব প্রশিক্ষণ |
মােঃ ওয়ালী উল্লা | ১৪৩ | শিবির প্রধান প্রশিক্ষণ শিবির | চড়াইলাম যুব |
মিজানুর রহমান চৌধুরী | ১৪৪ | সদস্য | কেন্দ্রীয় পরিষদ, আওয়ামী লীগ |
খাজা আহমেদ। | ১৪৬ | শিবির প্রধান | ছােটখােলা |
নূরুল হক | ১৪৭ | ছাত্র উপদেষ্টা | পূর্বাঞ্চলীয় জোন |
আব্দুল মালেক উকিল | ১৪৮ | উপদেষ্টা সদস্য | ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর |
খালেদ মােঃ আলী | ১৫০ | সশস্ত্র মুক্তিযােদ্ধা | সেক্টর নং-২ |
মােঃ হানিফ | ১৫১ | শিবির প্রধান | রাধানগর যুব শিবির |
মােস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী | ১৫৩ | বিশেষ দায়িত্ব বাংলাদেশ প্রতিনিধি | ওয়াশিংটনে নিয়ােজিত |
সৈয়দ মােঃ ফজলুল হক (বি. এসসি) | ১৫৬ | – | – |
মােঃ খালেদ (অধ্যক্ষ) | ১৫৭ | সদস্য | সম্পাদকমণ্ডলী জয় বাংলা |
নূরুল ইসলাম চৌধুরী | ১৫৮ | জোন চেয়ারম্যান | পূর্বাঞ্চলীয় জোন |
আতাউর রহমান খান (কায়সার) | ১৫৯ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং-১ |
বেগম নূরুজ্জামান মাের্শেদ | ১৬৩ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | বাংলাদেশ – ভারত |
বেগম রাফিয়া আক্তার ডলি | ১৬৪ | কর্মকর্তা | নার্সিং প্রশিক্ষণ শিবির, আগরতলা |
বেগম সাজেদা চৌধুরী | ১৬৫ | ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা | নার্সিং প্রশিক্ষণ শিবির, আগরতলা |
বেগম মমতাজ বেগম | ১৬৬ | দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা | আগরতলা মহিলা শরণার্থী শিবির |
বেগম বদরুন্নেসা আহমেদ | ১৬৯ | কর্মকর্তা | নার্সিং প্রশিক্ষণ শিবির, আগরতলা |
আব্দুর রহমান চৌধুরী | ১৭০ | শিবির প্রধান | দেওয়ানগঞ্জ যুব শিবির, কুচবিহার |
মােহাম্মদ আমিন | ১৭১ | শিবির প্রধান | প্রধান নগর, দার্জিলিং |
আজহারুল ইসলাম | ১৭২ | শিবির প্রধান | হলদিবাড়ী, কুচবিহার |
আবিদ আলী | ১৭৪ | শিবির প্রধান | প্রাণসাগর শরণার্থী শিবির, পশ্চিম দিনাজপুর |
করিমউদ্দিন আহমেদ | ১৭৫ | শিবির প্রধান | নাগের গিদরী শরণার্থী শিবির, কুচবিহার |
এলাহী বক্স সরকার | ১৭৬ | শিবির প্রধান | দেওয়ানগঞ্জ, কুচবিহার |
মােঃ সিদ্দিক হােসাইন | ১৭৭ | শিবির প্রধান | মানিকগঞ্জ, কুচবিহার |
শাহ আব্দুর রাজ্জাক | ১৭৮ | শিবির প্রধান | কুচবিহার যুব শিবির, কুচবিহার |
মােঃ হামিদুজ্জামান | ১৭৯ | শিবির প্রধান | সিতাই, কুচবিহার |
মােঃ গাজী রহমান | ১৮০ | শিবির প্রধান | সিতাই, কুচবিহার |
মােঃ শামসুল হক চৌধুরী | ১৮১ | শিবির প্রধান | চৌধুরী হাট যুব শিবির |
মােঃ আব্দুল হাকিম | ১৮২ | শিবির প্রধান | বাসনহাট যুব শিবির,কুচবিহার |
আবুল হােসেন | ১৮৩ | শিবির প্রধান | ওকেরা বাড়ী যুব শিবির,জালপাইগুড়ি |
আব্দুল্লাহ সােহরাওয়াদী | ১৮৪ | শিবির প্রধান | মানকার চর, আসাম |
মােঃ নুরুল ইসলাম | ১৮৫ | রাজনৈতিক কর্মী | মানকার চর, সাব জোন |
মােঃ শামসুল হােসেন | ১৮৬ | রাজনৈতিক কর্মী | মানকার চর, সাব জোন |
মােঃ এম.এ. তালেব মিয়া | ১৮৭ | শিবির প্রধান | মানকার চর, আসাম |
মােঃ ওয়ালিউর রহমান | ১৮৮ | শিবির প্রধান | কোচাবাড়ী, কুচবিহার |
জামালুর রহমান প্রধান | ১৯০ | সদস্য | পশ্চিম জোন-১ |
আজিজুর রহমান | ১৯১ | সদস্য | পশ্চিম জোন-১ |
কামারউদ্দিন আহমেদ | ১৯২ | শিবির প্রধান | শিলিগুড়ি অভ্যর্থনা শিবির |
এডভােকেট সিরাজুল ইসলাম | ১৯৩ | সদস্য | পশ্চিম জোন-২ |
ফজলুল করিম | ১৯৪ | সদস্য | পশ্চিম জোন-১ |
মােঃ একরামুল হক | ১৯৫ | শিবির প্রধান | মালন, পশ্চিম দিনাজপুর |
মােঃ গােলাম রহিম | ১৯৬ | শিবির প্রধান | পশ্চিম জোন-১ |
এস, এম, ইউসুফ | ১৯৭ | ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা | ডলিম গাঁ, পশ্চিম দিনাজপুর |
মােঃ আব্দুর রহিম | ১৯৮ | জোন চেয়ারম্যান | পশ্চিম জোন-১ |
মােঃ খতিবুর রহমান | ১৯৯ | ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা | কাটলা, পশ্চিম দিনাজপুর |
মােঃ সরদার মােশাররফ হােসাইন | ২০০ | সদস্য | পশ্চিম জোন-১ |
কাজী আব্দুল মজিদ চৌধুরী | ২০১ | সদস্য | পশ্চিম জোন-১ |
মােঃ সাঈদুর রহমান আহমেদ | ২০২ | সদস্য | পশ্চিম জোন-২ |
কাসিমউদ্দিন আহমেদ | ২০৩ | সদস্য | পশ্চিম জোন-২ |
মােঃ আব্দুল হাসনাত চৌধুরী | ২০৪ | সদস্য | পশ্চিম জোন-২ |
মােজাফফর হােসেন | ২০৫ | ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা | প্রশিক্ষণ শিবির ত্রিমােহনী, বালুরঘাট |
হাসেন আলী সরকার | ২০৬ | সদস্য | পশ্চিম জোন-১ |
তাহেরুল ইসলাম খান | ২০৭ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং-৭ |
মােঃ গােলাম সরােয়ার | ২০৮ | শিবির প্রধান | বালুরঘাট ত্রাণ শিবির |
মােঃ মাহমুদুল হাসান খান | ২১০ | শিবির প্রধান | বালুরঘাট ত্রাণ শিবির |
ডাঃ মইনুদ্দিন আহমেদ | ২১১ | শিবির প্রধান | মেহেদীপুর শরণার্থী শিবির |
এন.এ. হামিদুর রহমান | ২১২ | সদস্য | পশ্চিম জোন-১ |
ডা. এ.এ.এম. মেসবাহুল হক | ২১৩ | সদস্য | পশ্চিম জোন-১ |
ডা. মােঃ বশিরুল হক | ২১৪ | শিবির প্রধান | পেরিলা, মালদহ |
কাজিমদার ওয়াসিউদ্দিন আহমেদ | ২১৫ | সদস্য | পশ্চিম জোন-১ |
মােঃ ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক | ২১৭ | শিবির কর্মকর্তা | মালদহ শরণার্থী শিবির |
মােঃ গিয়াসউদ্দিন সরদার | ২১৮ | শিবির কর্মকর্তা | মালদহ শরণার্থী শিবির |
মােঃ আজিজুল ইসলাম খান | ২১৯ | শিবির কর্মকর্তা | মালদহ শরণার্থী শিবির |
রিয়াজউদ্দিন আহমেদ | ২২০ | শিবির প্রধান | লালগােলা, পশ্চিম দিনাজপুর |
আব্দুল হাদী | ২২১ | শিবির প্রধান | লালগােলা শরণার্থী শিবির, পশ্চিম দিনাজপুর |
সরদার আমজাদ হােসেন | ২২২ | ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা | মালদহ সিঙ্গারাবাদ |
ডা. মােঃ আলাউদ্দিন | ২২৩ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
জিল্লুর রহমান | ২২৪ | শিবির প্রধান | শেখপাড়া, পশ্চিম দিনাজপুর |
শংকর গােবিন্দ চৌধুরী | ২২৫ | সদস্য | পশ্চিম জোন |
আশরাফুল ইসলাম মিয়া | ২২৬ | জোন চেয়ারম্যান | পশ্চিম জোন-২ |
মােঃ আব্দুস সালাম | ২২৭ | শিবির প্রধান | জলংগী ত্রাণ শিবির, পশ্চিম দিনাজপুর |
মােঃ মনসুর আলী | ২২৮ | অর্থ মন্ত্রী | বাংলাদেশ সরকার |
মােঃ রওশানুল হক | ২৩০ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং-১ |
গােলাম হাসনাইন | ২৩১ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
কে.বি.এম. আবু হেনা | ২৩২ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১ |
আব্দুর রহমান | ২৩৪ | – | দেওয়ানগঞ্জ, কুচবিহার |
তফিজউদ্দিন আহমেদ | ২৩৬ | শিবির প্রধান | শহীদ কর্ণার যুবশিবির |
আমিনুদ্দিন | ২৩৮ | – | ভারতে মৃত্যুবরণ করেন |
মােঃ আব্দুর রব (বগা মিয়া) | ২৩৯ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১ |
আব্দুর রউফ চৌধুরী | ২৪১ | জোন চেয়ারম্যান | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১ |
আহসানউল্লাহ | ২৪২ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
গােলাম কিবরিয়া | ২৪৩ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
মােঃ নুরুল হক | ২৪৪ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
ডা. আছহাবুল হক | ২৪৫ | কার্যকরী সদস্য | বাংলাদেশ রেডক্রস সােসাইটি |
এডভােকেট ইউনুস আলী | ২৪৬ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
কাজী খাদেমুল ইসলাম | ২৪৭ | ভারপ্রাপ্ত | গােয়াহিনঘাট শরণার্থী শিবির |
এ.বি.এম. গােলাম মজিদ | ২৪৮ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১ |
জে.কে.এম. আজিজ | ২৪৯ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১ |
তবিবর রহমান সরদার | ২৫১ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১ |
মােঃ আবুল ইসলাম | ২৫২ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১ |
মােঃ নূরুল ইসলাম | ২৫৩ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১ |
শাহ হাদিউজ্জামান | ২৫৪ | শিবির প্রধান | ঘােষপুর, বনগা |
মােঃ মােশারফ হােসেন | ২৫৫ | শিবির প্রধান | বনগা ত্রাণ শিবির |
মােঃ আসাদুজ্জামান | ২৫৬ | সদস্য | রানাঘাট, নদীয়া |
সৈয়দ আতর আলী | ৩৫৭ | – | – |
শহীদ আলী খান | ২৫৮ | শিবির প্রধান | বনগা ত্রাণ শিবির |
লে. মতিউর রহমান | ২৫৯ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-১ |
আব্দুল লতিফ খান | ২৬৩ | শিবির প্রধান | নৈহাটী, বারাসাত |
কুবের চন্দ্র বিশ্বাস | ২৬৪ | শিবির প্রধান | বনগা ত্রাণ শিবির |
ডা. মনসুর আলী | ২৬৬ | সংগঠক, আঞ্চলিক মুক্তিবাহিনী | তেরখাদা অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর সাথে অবস্থান |
মােঃ এনায়েত আলী | ২৬৭ | শিবির প্রধান | ঘােষপুর যুব শিবির |
মােমিন উদ্দিন আহমেদ | ২৬৮ | শিবির প্রধান | ঘােষপুর, বনগা |
সৈয়দ আবুল হাশেম | ২৭৮ | শিবির প্রধান | মজিদিয়া যুব শিবির |
আব্দুল আজিজ খন্দকার | ২৭৯ | শিবির প্রধান | রানাঘাট যুব ও ত্রাণ শিবির |
এ.কে.এম. ইসমাইল মিয়া | ২৮৭ | শিবির প্রধান | কল্যাণগড় যুব শিবির, বারাসাত |
আমীর হােসেন (আমু) | ২৮৮ | কর্মকর্তা মুজিব বাহিনী | কলিকাতা |
হারানাথ বাইন | ২৯২ | (ভারতে আশ্রয় গ্রহণ) | – |
ক্ষীতিশ চন্দ্র মণ্ডল | ২৯৫ | (ভারতে আশ্রয় গ্রহণ) | – |
নূরুল ইসলাম | ২৯৭ | শিবির সহকারী | হাসানাবাদ, বারাসাত |
সাওগাতুল আলম সগীর | ২৯৮ | শিবির প্রধান | আমনালী, বারাসাত |
এম.এ. রাশেদ সিদ্দিকী | ৩০১ | সশস্ত্র সংগ্রামী | সদস্য, টাঙ্গাইল মুক্তিবাহিনী |
আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী | ৩০২ | শিবির প্রধান | মহেন্দ্রগঞ্জ, তুরা |
রাশেদ মােশাররফ হােসেন | ৩০৯ | শিবির প্রধান | মহেন্দ্রগঞ্জ |
মােঃ কুদরত উল্লাহ | ৩১৬ | শিবির প্রধান | মতুয়াপাড়া, তুরা |
শামসুল হক | ৩১৭ | শিবির প্রধান | তুরা, মেঘালয় |
হাতেম আলী মিয়া | ৩১৮ | শিবির প্রধান | শিববাড়ী, তুরা |
আবুল মনসুর আহমেদ | ৩২৪ | শিবির প্রধান | হরিণা যুব প্রশিক্ষণ শিবির |
মােস্তফা এম.এ. মতিন | ৩২৫ | সংগঠক ফুটবল দল | কর্মকর্তা, স্বাধীন বাংলা |
আব্দুল মজিদ (তারা মিয়া) | ৩২৭ | শিবির প্রধান | উদয়পুর, তুরা |
আব্বাস আলী খান | ৩৩০ | শিবির প্রধান | রাংগা, তুরা |
এ.কে.এম. শামসুল হক | ৩৩৩ | শিবির প্রধান | চৌধুরী হাট, কুচবিহার |
এম.এ.সাত্তার | ৩৩৫ | সদস্য | উত্তর-পূর্ব প্রশাসনিক অঞ্চল-১ |
এম.এ. কুদুস | ৩৩৬ | সদস্য | উত্তর-পূর্ব প্রশাসনিক অঞ্চল-১ |
মঞ্জুর আহমেদ | ৩৩৮ | সদস্য | উত্তর-পূর্ব প্রশাসনিক অঞ্চল-১ |
মােঃ সিদ্দিকুর রহমান | ৩৪০ | সদস্য | দহগ্রাম ত্রাণ শিবির, কুচবিহার |
শাহ মােয়াজ্জেম হােসাইন | ৩৪৪ | উপদেষ্টা সদস্য | ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর |
জামালউদ্দিন চোধুরী | ৩৪৫ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
মােঃ শামসুল হক মিয়া | ৩৪৬ | শিবির প্রধান | নাজিরহাট, কুচবিহার |
এ.কে.এম. শামসুল হক হুদা | ৩৪৭ | শিবির প্রধান | সােনার বাংলা যুব প্রশিক্ষণ শিবির |
এডভােকেট রফিউদ্দিন আহমেদ | ৩৪৮ | সশস্ত্র সংগ্রামী | সেক্টর নং-২ |
আবু মােঃ সুবেদ আলী | ৩৪৯ | সদস্য | বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি |
হামিদুর রহমান | ৩৫০ | শিবির প্রধান | শিতাল, কচুবিহার ত্রাণ শিবির |
মােঃ সিরাজুল ইসলাম | ৩৫১ | – | – |
গাজী গােলাম মােস্তফা | ৩৫২ | কার্যকরী সদস্য | কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম |
শফিরুদ্দিন আহমেদ | ৩৫৫ | শিবির প্রধান | গােকুল নগর ত্রাণ শিবির |
আব্দুল হাকিম মাস্টার | ৩৫৬ | সংগঠক | স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল |
মােঃ জামালউদ্দিন | ৩৫৮ | শিবির প্রধান | ইছামতী যুব প্রশিক্ষণ শিবির |
ফকির শাহবুদ্দিন আহমেদ | ৩৫৯ | সদস্য | জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল |
মােঃ ময়েজউদ্দিন | ৩৬০ | সদস্য | বাংলাদেশ রেডক্রস সােসাইটি |
গাজী ফজলুর রহমান | ৩৬১ | শিবির প্রধান | বেলতলী যুব শিবির |
মােসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া | ৩৬৪ | সদস্য | পূর্বাঞ্চলীয় জোন |
কাজী শাহাবুদ্দিন | ৩৬৫ | উপদেষ্টা | প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় |
ডাঃ শাহাদাৎ আলী সিকদার | ৩৬৬ | এম.এফ. | সশস্ত্র মুক্তিযােদ্ধা |
কাজী হেদায়েত হােসেন | ৩৭০ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
মােসলেমউদ্দিন মৃধা | ৩৭১ | সহকারী শিবির প্রধান | রানাঘাট ত্রাণ শিবির |
গৌরচন্দ্র বালা | ৩৭২ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
ডা. আফতাবউদ্দিন মােল্লা | ৩৭৩ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
ইমামউদ্দিন আহমেদ | ৩৭৪ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
এ.ওয়াই আমিনুদ্দিন আহমেদ | ৩৭৬ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
সতীশ চন্দ্র হালদার | ৩৮১ | সদস্য | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী | ৩৮২ | (ভারতে অবস্থান গ্রহণ) | |
মােঃ মতিউর রহমান | ৩৮৫ | শিবির প্রধান | বানপাড়া |
আব্দুর রাজ্জাক | ৩৮৭ | উপদেষ্টা সদস্য | মুজিব বাহিনী |
ফণী ভূষণ মজুমদার | ৩৮৮ | জোন চেয়ারম্যান | দক্ষিণ-পশ্চিম জোন-২ |
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত | ৩৯০ | সংগঠক ও সশস্ত্র যােদ্ধা | সেক্টর নং-৫, সাব-সেক্টর – বগুড়া |
আব্দুর জহুর মিয়া | ৩৯৩ | সদস্য | উত্তর পূর্ব জোন-১ |
লুৎফর রহমান | ৩৯৪ | সদস্য | উত্তর পূর্ব জোন-১ |
কাজী সিরাজুদ্দিন আহমেদ | ৩৯৫ | সমন্বয়কারী | চিকিৎসা বিষয়ক, পূর্বাঞ্চলীয় জোন |
ডা. এ. মালেক | ৩৯৬ | সদস্য | অর্থ কমিটি |
হাবিবুর রহমান | ৩৯৭ | সদস্য | উত্তর-পূর্ব জোন-১ |
আব্দুল লতিফ | ৩৯৮ | সদস্য | উত্তর-পূর্ব জোন-১ |
মাসুদ আহমেদ চৌধুরী | ৩৯৯ | সদস্য | উত্তর-পূর্ব জোন-১ |
মােঃ তাইমুস আলী | ৪০০ | শিবির প্রধান | ধর্মনগর যুব শিবির |
তােয়াবুর রহিম | ৪০২ | শিবির প্রধান | কৈলেশ্বর যুব শিবির |
আজিজুর রহমান | ৪০৪ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং-৪ |
আসাদ আলী | ৪০৬ | শিবির প্রধান | মােহনপুর যুব শিবির |
গােপালকৃষ্ণ মহাবৃন্ত | ৪০৮ | শিবির প্রধান | কামালপুর যুব শিবির |
আব্দুল আজিজ চৌধুরী | ৪০৯ | সদস্য | উত্তর-পূর্ব প্রশাসনিক অঞ্চল-১ |
লুৎফুল হাই সাচ্চু | ৪১২ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং-৩ |
সৈয়দ ইমদাদুল বারী | ৪১৩ | শিবির প্রধান | দুর্গা চৌধুরী পাড়া
যুব শিবির (বিজনা) |
কাজী আকবরউদ্দিন আহমেদ | ৪১৫ | শিবির প্রধান | হাপানিয়া যুব শিবির (তিতাস) |
আব্দুর রশীদ (ইঞ্জিনিয়ার) | ৪১৮ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং-২ |
মােঃ হাশেম | ৪১৯ | উপদেষ্টা সদস্য | যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র |
হাজী রমিজউদ্দিন আহমেদ | ৪২০ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং-৩ |
আব্দুল হাকিম | ৪২২ | শিবির প্রধান | মেলাঘর ত্রাণ শিবির |
আমির হােসেন | ৪২৩ | উপদেষ্টা সদস্য | যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র |
আলহাজ্ব আলী আকবর মজুমদার | ৪২৫ | শিবির প্রধান | হাপনিয়া যুব প্রশিক্ষণ শিবির |
মীর হােসেন চৌধুরী | ৪২৬ | উপদেষ্টা সদস্য | যুব প্রশিক্ষণ শিবির |
জামাল আহমেদ | ৪২৮ | শিবির প্রধান | বড়মােড়া যুব শিবির |
মােঃ আব্দুস সাত্তার | ৪৩০ | সদস্য | ত্রাণ কমিটি উত্তর-পূর্ব জোন-১ |
এ.বি. সিদ্দিকী সরকার | ৪৩১ | উপদেষ্টা সদস্য | যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র |
সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী | ৪৩৪ | সদস্য | রাজনৈতিক সমন্বয়কারীবেলুনিয়া |
মােঃ রাজা মিয়া | ৪৩৫ | শিবির প্রধান | মেলাঘর যুব শিবির |
আ. ফ.ক. সফদার | ৪৩৬ | সদস্য | পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসনিক অঞ্চল |
খায়ের উদ্দিন আহমেদ | ৪৩৭ | শিবির প্রধান | হরিসমুখ যুব শিবির |
এ.বি.এম. তালেব আলী | ৪৩৮ | শিবির প্রধান | রাজানগর যুব শিবির |
মােঃ সাখাওয়াৎ উল্লাহ | ৪৪২ | শিবির প্রধান | চাবিলাম প্রশিক্ষণ শিবির |
নূরুল আহমেদ চৌধুরী (কালু চৌধুরী) | ৪৪৩ | সংগঠক | স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল |
মােহাম্মদ উল্লাহ | ৪৪৪ | উপদেষ্টা | রাষ্ট্রপতির সচিবালয় |
বিসমিল্লাহ মিয়া | ৪৪৫ | শিবির প্রধান | রাজানগর যুব শিবির |
শহীদউদ্দিন ইস্কান্দার | ৪৪৭ | শিবির প্রধান | বেলুনিয়া যুব শিবির, ত্রিপুরা |
সিরাজুল ইসলাম | ৪৪৮ | সদস্য | পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসনিক অঞ্চল |
আমিরুল ইসলাম | ৪৪৯ | শিবির প্রধান | কোনাবন্ধ যুব শিবির |
মােশাররফ হােসেন | ৪৫০ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর নং-১, চট্টগ্রাম এলাকা |
আব্দুল ওহাব | ৪৫৪ | সদস্য | যুব শিবির নিয়ন্ত্রণ পরিষদ, দক্ষিণ-পূর্ব জোন-১ |
আবদুল্লাহ-আল-হারুণ | ৪৫৫ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর-১ |
মােঃ ইসহাক | ৪৫৬ | সমন্বয় কর্মকর্তা | চট্টগ্রাম এলাকা |
জহুর আহমেদ চৌধুরী | ৪৫৭ | জোন চেয়ারম্যান | দক্ষিণ-পূর্ব জোন-২ |
ডা. এম. এ. মান্নান | ৪৫৮ | উপ-পরিচালক | যুব শিবির, পূর্ব জোন |
ক্যাপ্টেন ড. আব্দুল কাসেম | ৪৫৯ | উপদেষ্টা সদস্য | যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র |
আক্তারুজ্জামান চৌধুরী | ৪৬১ | বিশেষ সহযােগী দূত | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ডাঃ বি.এম. ফয়জুর রহমান | ৪৬২ | সদস্য | যুব শিবির নিয়ন্ত্রণ পরিষদ দক্ষিণ-পশ্চিম জোন- ১ |
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা | ৪৬৮ | উপজাতি বিষয়ক সমন্বয়কারী | স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন |
পৃষ্ঠাঃ ৩৩
মুজিব নগর সরকার
পাকিস্তান সরকার ১৯৭০ সালে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানালে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘােলাটে রূপ ধারণ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে পাক সামরিক জান্তা কোনভাবেই ক্ষমতা ছেড়ে দেবে না, এই আভাস দুনিয়া জোড়া মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আলােচনার নামে সময় ক্ষেপণের ফাঁকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত সংখ্যা বৃদ্ধি ও সমর-সজ্জার প্রস্তুতি চলতে থাকে। পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ জনগণের ওপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ২৫শে মার্চ ‘৭১ মধ্যরাতে পৃথিবীর নৃশংসতম হত্যাকান্ডে লিপ্ত হয়। রাজনৈতিক নেতৃত্ব অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হন এবং তারা জাতির সেই সংকটকালীন মুহূর্তে নেতৃত্ব, কৌশল ও ভূমিকা নির্ধারণের প্রয়াসে একত্র হতে চেষ্টা করেন।
‘৭১-এর ১০ই এপ্রিল ভারতের আগরতলায় পাকিস্তান জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত সদস্যদের সমন্বয়ে একটি মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়। উপ-রাষ্ট্রপতি ছাড়া যে ৪জন সদস্যকে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় তারা সবাই ছিলেন জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত সদস্য এবং আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের সদস্য। পাকিস্তানে বন্দী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি করে এই সরকার গঠিত হয়।
১৭ই এপ্রিল ৭১-এ তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলায় সকাল ১১টায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সফল নেতৃত্ব দানের অঙ্গীকারে এই সরকারের মন্ত্রীসভা শপথ গ্রহণ করেন। অসংখ্য স্বাধীনতা পাগল যােদ্ধা ও জনতা এবং শতাধিক দেশী-বিদেশী সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অধ্যাপক মােহাম্মদ ইউসুফ আলী। বাংলাদেশ সরকারের নব নির্বাচিত উপ-রাষ্ট্রপতি ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মাগুরার তৎকালীন মহকুমা পুলিশ অফিসার জনাব মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ। এই স্থানের নামকরণ করা হয় মুজিব নগর এবং এই সরকার মুজিব নগর সরকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
অতঃপর মন্ত্রীসভা সরকারের বেসামরিক প্রশাসনিক কাঠামাে গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে যে সমস্ত সংসদ সদস্য, সরকারী ও আধা-সরকারী সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ পেশাজীবি দেশত্যাগ করেছিলেন, প্রাথমিকভাবে তাঁরাই এই সরকারের সাংগঠনিক কাঠামাের অন্তর্ভুক্ত হন। এই সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ সরকারে যােগদানের আহ্বানসম্বলিত বিজ্ঞপ্তি প্রচার হতে থাকে। এই আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড ও প্রবাস থেকে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পেশাজীবিগণ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সরকারে অধিকতর সংখ্যায় যােগদান করতে থাকেন। এই প্রক্রিয়া মুক্তিযুদ্ধের প্রায় শেষাবধি বজায় থাকে। তা সত্ত্বেও মে মাসের মাঝামাঝি বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক কাঠামাে একটি দৃঢ় অবস্থান নিতে সক্ষম হয়। উক্ত সরকারের প্রশাসনিক বিভাজন ছিল নিম্নরূপ :
ক. দেশরক্ষা মন্ত্রণালয়
খ. পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গ. অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ঘ. মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়
ঙ. সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
চ. স্বাস্থ্য ও ওয়েলফেয়ার মন্ত্রণালয়
ছ. তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়
জ. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ঝ. সংসদ বিষয়ক সচিবালয়
ঞ. কৃষি দপ্তর
ট. প্রকৌশল দপ্তর
ঠ. পরিকল্পনা কমিশন
ড. ব্যবসা ও বাণিজ্য বাের্ড
ঢ. যুব নিয়ন্ত্রণ
ন. শরণার্থী ওয়েলফেয়ার বাের্ড
ত. ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটি
দেশব্যাপী সুষ্ঠু প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তােলার জন্য জুলাই মাসে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করে সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘােষণাকারী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভােটে আঞ্চলিক চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়। প্রতিটি অঞ্চলে একজন করে আঞ্চলিক প্রশাসকও নিয়ােগ করা হয়। এই প্রশাসকগণ কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক নিয়ােগ প্রাপ্ত ও নিয়ন্ত্রিত ছিলেন। শরণার্থী সমস্যা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সামরিক-বেসামরিক বিষয়াবলীর সুষ্ঠু সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণভার এই প্রশাসনিক অঞ্চলগুলাের ওপর ন্যস্ত হয়। আঞ্চলিক চেয়ারম্যান তাদের অধীনস্থ অঞ্চলের (দেশের ভেতরে ও বাইরে) রাজনৈতিক সমন্বয়কারী হিসেবে সরকার কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। প্রতিটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের নিয়ােগ দান করেন :
ক.আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
খ. আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তা
গ. আঞ্চলিক ত্রাণ কর্মকর্তা
ঘ. আঞ্চলিক প্রকৌশল কর্মকর্তা
ঙ. আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা
চ. আঞ্চলিক তথ্য কর্মকর্তা
ছ. আঞ্চলিক হিসাব কর্মকর্তা
উল্লিখিত কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ছিলেন। আঞ্চলিক প্রশাসকগণ প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রত্যেক আঞ্চলিক চেয়ারম্যান তার অধীনস্থ রাজনৈতিক এলাকার সুষ্ঠু সমন্বয়ের জন্য উপ-অঞ্চলে বিভক্ত করে উপদেষ্টা বা উপ-আঞ্চলিক চেয়ারম্যান নিয়ােগ করার অধিকারী ছিলেন। এটি সম্পূর্ণভাবে স্থানীয় ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত ছিল।
বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর শাসনভার গ্রহণ করার পূর্ব পর্যন্ত এই প্রশাসনিক কাঠামাে কার্যকর ছিল।
এখানে ১৭ই এপ্রিল ১৯৭১ সালে মুজিব নগরে অনুষ্ঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সদ্যগঠিত সরকারের কাঠামাে ও সদস্যবর্গ, বাংলাদেশ সরকারের জন্য গঠিত সর্বদলীয় ব্যক্তিবর্গ, সরকারের সচিবালয়ের কাঠামাে ও দায়িত্বপালনকারী ব্যক্তিদের তালিকা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের তালিকা দেয়া হয়েছে।
সারণী ১৬ : মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভা ও সচিববর্গ
পদ | নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | একান্ত সচিব নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | ভারপ্রাপ্ত সচিব নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং |
রাষ্ট্রপতি | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান | ১১১ | – | – | – | – |
উপ-রাষ্ট্রপতি
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি |
সৈয়দ নজরুল ইসলাম | ৯২ | কাজী লুৎফুল হক | ৫১৯ | রুহুল কুদদুস (সেক্রেটারী জেনারেল) | ৫০১ |
প্রধানমন্ত্রী | তাজউদ্দিন আহমেদ। | ১০৮ | ড. ফারুক আজিজ খান | ৫৮৫ | তৌফিক ইমাম (ক্যাবিনেট)
নূরুল কাদের খান (সংস্থাপন) |
৫০৫
৫০৪ |
মন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় | খন্দকার মােশতাক আহমেদ | ১৩৮ | কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী | ৫১০ | মাহবুবুল আলম (চাষী) | ৬৬৯ |
মন্ত্রী অর্থ-বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় | মনসুর আলী | ২২৮ | সাদত হুসাইন | ৫১৪ | খন্দকার আসাদুজ্জামান | ৫০৩ |
মন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় | এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান | ৩৫ | মামুন-উর রশিদ | ৫৩৭ | এ. খালেক | ১০৪২ |
মন্ত্রী কৃষি মন্ত্রণালয় | এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান | ৩৫ | মামুন-উর রশিদ | ৫৩৭ | নূরউদ্দীন আহমেদ | ৫৯৬ |
মন্ত্রী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় | তাজউদ্দিন আহমেদ | ১০৮ | মেজর নূরুল ইসলাম (শিশু)
(লিয়াজোঁঅফিসার) |
৬৮১ | এম. এ. সামাদ | ৫০২ |
মন্ত্রী আইন মন্ত্রণালয় | খন্দকার মােশতাক আহমেদ | ১৩৮ | – | – | এ. হান্নান চৌধুরী | ৫৯১ |
মন্ত্রী ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় | এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান | ৩৫ | মামুন-উর রশিদ | – | জয় গােবিন্দ ভৌমিক | ৫৯২ |
ভারপ্রাপ্ত তথ্য ও বেতার বিভাগ | আব্দুল মান্নান | ৭১ | – | – | আনােয়ারুল হক খান | ৫৭৭ |
সারণী ১৭: মুজিবনগর সরকারের আঞ্চলিক প্রশাসন কাঠামাে
প্রশাসনিক অঞ্চল | আঞ্চলিক চেয়ারম্যান | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | আঞ্চলিক প্রশাসক | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | আঞ্চলিক সদর দপ্তর |
দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চল-১ | নূরুল ইসলাম চৌধুরী | ১৫৮ | এস. এ. সামাদ | ৫০৬ | সাবরুম |
দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চল-২ | জহুর আহমেদ চৌধুরী | ৪৫৭ | কাজী রকিবউদ্দীন | ৫১৩ | আগরতলা |
পূর্ব অঞ্চল | কর্নেল এম.এ. রব | ১২১ | ডা. কে.এ. হাসান | ৫৭৮ | ধর্ম নগর |
উত্তর পূর্ব অঞ্চল-১ | দেওয়ান ফরিদ গাজী | ১২৭ | এস. এইচ. চৌধুরী | ৫৭৯ | ডাউকি |
উত্তর পূর্ব অঞ্চল-২ | সামছুর রহমান খান | ৭৫ | লুৎফর রহমান | ৫৮১ | তুরা |
উত্তর অঞ্চল | মতিউর রহমান | ১০ | ফয়েজউদ্দীন আহমেদ | ৫১৫ | কুচবিহার |
পশ্চিম অঞ্চল-১ | মােঃ আব্দুর রহিম | ১৯৮ | এম.এ. কাশেম খান | ৫১৭ | বালুরঘাট |
পশ্চিম অঞ্চল-২ | আশরাফুল ইসলাম মিয়া | ২২৬ | জহুরুল ইসলাম ভূইয়া | ৫১৮ | মালদহ |
দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল-১ | আব্দুর রউফ চৌধুরী | ২৪১ | শামসুল হক | ৫১৬ | কৃষ্ণনগর |
দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল-২ | ফনীভূষণ মজুমদার | ৩৮৮ | বি. বি. বিশ্বাস | ৫৩৭ | বনগাঁও |
দক্ষিণ অঞ্চল | আব্দুর রব সেরনিয়াবত | ৫৮ | এ. মমিন | ৫৬৪ | বারাসত |
সারণী ১৮ : সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবর্গ
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | কর্মস্থান/মন্তব্য |
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী | ৪৭০ | সভাপতি, ন্যাশন্যাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) |
শ্রী মনি সিং | ৪৭১ | সভাপতি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি |
শ্ৰী মনােরঞ্জন ধর | ৪৭৩ | সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় কংগ্রেস |
অধ্যাপক মােজাফফর অহমেদ | ৪৭২ | সভাপতি, ন্যাশন্যাল আওয়ামী পার্টি |
তাজউদ্দিন আহমেদ | ১০৮ | প্রধান মন্ত্রী, বাংলাদেশ সরকার |
খন্দকার মােশতাক আহমেদ | ১৩৮ | পররাষ্ট্র মন্ত্রী, বাংলাদেশ সরকার |
সারণী ১৯ : রাষ্ট্রপতি সচিবালয় (উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাবৃন্দ)
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
মােহাম্মদ উল্লাহ | ২৭৫ | উপদেষ্টা |
সৈয়দ আব্দুস সুলতান | ৮৪ | উপদেষ্টা |
কোরবান আলী | ৪৮০ | উপদেষ্টা |
মং সাইন | ৪৮৩ | উপদেষ্টা |
রুহুল কুদুস | ৫০১ | মুখ্য সচিব |
সৈয়দ এম করিম | – | নিরাপত্তা কর্মকর্তা |
আব্দুল লতিফ | ১২৪১ | যানবাহন কর্মকর্তা |
আজিজুর রহমান | ৫৭১ | তথ্য কর্মকর্তা (সহ-সচিব) |
সারণী ২০ : প্রধান মন্ত্রীর সচিবালয়
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম | ৩৯ | রাজনৈতিক উপদেষ্টা |
নূরুল ইসলাম | ৬৮১ | লিয়াজো অফিসার |
আলী তারেক | ১৩৮৭ | তথ্য কর্মকর্তা |
আতাউল হক | – | ব্যক্তিগত সহকারী |
শাহাবুদ্দিন আহমেদ | ১২২৫ | রাজনৈতিক কর্মকর্তা |
দুর্গাদাস রায় | – | সহকারী |
এম. রহমান | – | সহকারী |
এম. এইচ. হক | – | সহকারী |
সারণী ২১:ক্যাবিনেট ডিভিশন (প্রধান মন্ত্রীর সচিবালয়)
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
হােসেন তৌফিক ইমাম | ৫০৫ | সচিব (ক্যাবিনেট) |
নূরুল কাদের খান | ৫০৪ | সচিব (সংস্থাপন) |
কামাল উদ্দিন আহমেদ | ৫২১ | উপ-সচিব |
দীপক কুমার চৌধুরী | ৫৪৩ | উপ-সচিব |
অজিত কুমার ভাদুড়ী | ৫৮৭ | সহ-সচিব |
বজলুর রহমান | ১০৪৪ | সহ-সচিব (পুলিশ বিভাগ) |
মতিউর রহমান | ৫৫৮ | সহ-সচিব |
এম.এ. আউয়াল | ৫৫৭ | সহ-সচিব |
শাহ মতিউর রহমান | ৫৭৫ | সহ-সচিব |
নরেশ চন্দ্র রায় | ৫৬২ | সহ-সচিব |
আবু তালেব | ৫৫৯ | সহ-সচিব |
হেদায়েত উল্লাহ | ৫৬০ | সহ-সচিব |
আল আমিন চৌধুরী | ৫৮৮ | সহ-সচিব |
আব্দুর রশীদ | ৫৭৬ | সহ-সচিব |
সারণী ২২ : পরিকল্পনা কমিশন
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
ড. মােজাফফর আহমেদ চৌধুরী | ১১৬৯ | চেয়ারম্যান |
ড. মােশাররফ হােসেন | ১২০৫ | সদস্য |
ড. খান সারওয়ার মুরশিদ | ১১৬৮ | সদস্য |
ড. আনিসুজ্জামান | ১১৯০ | সদস্য |
ড. স্বদেশ রঞ্জন বােস | ১১৮৩ | সদস্য |
ড. ওয়াজিউর রহমান | ১২২২ | গবেষক |
ড. এম. নূরুল ইসলাম | ৫৯০ | গবেষক |
সনৎ কুমার সাহা | ১২১১ | গবেষক |
এম.এ. গফুর | ১২৪০ | প্রকৌশল প্রধান |
ধীরাজ কুমার নাথ | ৫৩২ | প্রশাসনিক কর্মকর্তা |
সারণী ২৩ : অর্থ মন্ত্রণালয়
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
খন্দকার আসাদুজ্জামান | ৫০৩ | সচিব |
নেফাউর রহমান | ৫২৩ | স্টাফ অফিসার |
মাখন চন্দ্র মাঝি | ৫৬৩ | ট্রেজারী অফিসার |
ক্ষিতীশ চন্দ্র কুণ্ডু | ৫২৬ | অতিরিক্ত ট্রেজারী |
শামছুদ্দিন হায়দার | ৫৮৬ | সহ-সচিব |
আলী করিম | ৫৬৮ | সহ-সচিব |
এ.কে.এম.হেফাজাত উল্লাহ | – | প্রধান অর্থ কর্মকর্তা |
প্রীতি রঞ্জন চক্রবর্তী | ৬০৩ | প্রধান নিরীক্ষণ কর্মকর্তা |
মােহাম্মদ জাহাঙ্গীর | ৬০৪ | অর্থ কর্মকর্তা |
মেরাজ উদ্দিন আহমেদ | ৬০৫ | অর্থ কর্মকর্তা |
ফারুক আহমেদ চৌধুরী | ৬০৬ | অর্থ কর্মকর্তা |
মঈন উদ্দিন আবু সালেহ | ৬০৭ | অর্থ কর্মকর্তা |
এ.কে.এম. মঞ্জুরুল ইসলাম | ৬০৮ | অর্থ কর্মকর্তা |
মতিউর রহমান | ৬০৯ | সহকারী স্টাফ অফিসার (প্রশাসনিক) |
এ.কে.এম. আসাদুজ্জামান | ৬১০ | অর্থ অফিসার স্বাস্থ্য বিষয়ক |
নন্দ দুলাল সাহা | ৬১৬ | বাজেট কর্মকর্তা |
নূরুল সগীর | ৬১১ | বাজেট কর্মকর্তা |
নূর আহমেদ | ৬১২ | নিরীক্ষণ কর্মকর্তা |
অরুণ প্রকাশ নিয়ােগী | ৬১৩ | গবেষণা কর্মকর্তা |
ফজলুর রহমান | ৬১৪ | গবেষণা কর্মকর্তা |
মাধুরী রাণী সাহা | ৬১৯ | অফিস সহকারী |
সারণী ২৪ : প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
এম. এ. সামাদ | ৫০২ | সচিব |
আকবর আলী খান | ৫০৭ | উপ-সচিব |
শাহ আলী ইমাম | ৫৯৮ | উপ-সচিব |
নূরুল ইসলাম চৌধুরী | – | সহ-সচিব |
এস. আর. এ. হারুন | – | প্রশাসনিক কর্মকর্তা |
সারণী ২৫ :পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
মাহবুবুল আলম চাষী | ৬৬৯ | সচিব |
আবুল ফতেহ | ৬৩২ | সচিব |
আর.আই চৌধুরী | ১০৪৩ | প্রথম সচিব |
আনােয়ারুল করিম চৌধুরী | ৬৪৭ | দ্বিতীয় সচিব |
কাজী নজরুল ইসলাম | ৬৪৮ | দ্বিতীয় সচিব |
আবু সাঈদ চৌধুরী | ১১৬৫ | বাংলাদেশ মিশন প্রধান (যুক্তরাজ্য) |
মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী | ১৫৩ | বাংলাদেশ মিশন প্রধান (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা) |
এম. হােসেন আলী | ৬৩১ | বাংলাদেশ মিশন প্রধান (কলকাতা) |
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী | ৬৩৫ | বাংলাদেশ মিশন প্রধান (নতুন দিল্লী) |
সারণী ২৬ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
এ. খালেক | ১০৪২ | সচিব |
খসরুজ্জামান চৌধুরী | ৫০৮ | উপ-সচিব |
এস.কে. চৌধুরী | ১০৪৫ | উপ-সচিব |
চৌধুরী আব্দুল গফফার | ১০৪৬ | সহ-সচিব |
সৈয়দ মাহাবুবুর রশীদ | ৫৪৫ | সহ-সচিব |
জ্ঞান রঞ্জন সাহা | ৫৪৮ | সহ-সচিব |
গােলাম আকবর | ৫৩৩ | সহ-সচিব |
দ্বিজেন্দ্রলাল ব্যাপারী | ৫৩৮ | সহ-সচিব |
মিজানুর রহমান | ৫৬৯ | সহ-সচিব |
পৃষ্ঠাঃ ৪১
সারণী ২৭ : তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
আনােয়ারুল হক খান | ৫৭৭ | সচিব |
কামরুল হাসান | ৬২৭ | ডাইরেক্টর (ডিজাইন) |
এম. আর. আকতার মুকুল | ১৩৬০ | পরিচালক (তথ্য বিভাগ) |
আব্দুল জব্বার খান | ১৬৮৩ | পরিচালক (চলচ্চিত্র বিভাগ) |
সিরাজুল ইসলাম | ৬২০ | চিত্র প্রযােজক |
অজিত কুমার | ৬২১ | প্রধান হিসাব রক্ষক |
সারণী ২৮ : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
ডা. টি. হােসেন | ১২৭০ | সচিব |
ডা. কে.এ. জামান | ১২৭১ | পরিচালক |
ডা. আহমেদ আলী | ১২৭২ | উপ-সচিব |
ডা. মােহাম্মদ ফরিদ | – | সহ-পরিচালক |
ডা. মােদাচ্ছের আলী | ১২৭৪ | সহ-পরিচালক |
ডা. কাজী মেসবাহুন নাহার | ১২৭৩ | মেডিকেল অফিসার |
ডা. তাহেরা খাতুন | ১৩৪৬ | সহকারী চিকিৎসক |
নাছিম রহমান | ১৩৪৭ | কর্মকর্তা বিতরণ |
আক্তার জাবিন হােসেন | ১৯২২ | অফিস সহকারী |
সারণী ২৯ : ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
অধ্যাপক মােঃ ইউসুফ আলী | ১৬ | সদস্য সচিব |
আব্দুল মালেক উকিল | ১৪৮ | সদস্য |
শামসুল হুদা | ৮৬ | সদস্য |
সােহরাব হােসেন | ৪৮ | সদস্য |
শাহ মােয়াজ্জেম হােসেন | ৩৪৪ | সদস্য |
জি. জি. ভৌমিক | ৫৯২ | কমিশনার |
মামুনুর রশীদ | ৫০৯ | উপ-কমিশনার |
আব্দুল লতিফ ভূইয়া | ৫২০ | সহ-সচিব |
মনিরুজ্জামান চৌধুরী | ৫৮৩ | উপ-পরিচালক |
কাজী শামছুজ্জামান | ৫৫০ | প্রশাসনিক কর্মকর্তা |
মাজেদুর রহমান | – | সহ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা |
ইমদাদ আলী | ১২২৭ | প্রধান প্রকৌশলী |
এম. এ. রউফ | ১২২৯ | সহকারী প্রকৌশলী |
এম.এ. লতিফ | ১২৩০ | সহকারী প্রকৌশলী |
এম. এ. হান্নান | ১২৩১ | সহকারী প্রকৌশলী |
আর. এন. ত্রিবেদী | – | গণসংযােগ কর্মকর্তা |
এম. এ. সিদ্দিকী | – | গণসংযােগ কর্মকর্তা |
এম. এ. জাহাঙ্গীর | ৬০৪ | হিসাব রক্ষক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) |
আবুল হােসেন | – | হিসাব রক্ষক |
খােরশেদ আনােয়ার | – | নিরাপত্তা কর্মকর্তা |
সারণী ৩০ :কৃষি মন্ত্রণালয়
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
নূরউদ্দিন আহমেদ | ৫৯৬ | সচিব |
শহিদুল ইসলাম | ৫৮৪ | উপ-পরিচালক |
এম. এন. সরকার | ৫৯৭ | সহ-সচিব |
মােজাম্মেল হােসেন | ৫৯৯ | সহ-সচিব |
সারণী ৩১ : আইন মন্ত্রণালয়
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
এ. হান্নান চৌধুরী | ৫৯১ | সচিব (দিনাজপুর যুদ্ধ এলাকায় অবস্থান) |
রবীন্দ্র কুমার বিশ্বাস | ৫৯৩ | উপ-সচিব |
শিলাব্রত বড়ুয়া | ৫৯৪ | উপ-সচিব |
সারণী ৩২ :পােষ্ট ও টেলিগ্রাফ বিভাগ
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
আব্দুল আজিজ | ৫৫৩ | ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা |
ইদরিস আলী | ৫৯৮ | স্টাফ অফিসার |
সারণী ৩৩ : শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগ
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
জগন্নাথ দে | ৫৫৫ | সহ-সচিব |
সারণী ৩৪ : বাংলাদেশ সরকারের জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদ |
আবু সাঈদ চৌধুরী | ১১৬৫ | দলপতি |
ফণী ভূষণ মজুমদার | ৩৮৮ | সদস্য |
সৈয়দ আব্দুস সুলতান | ৮৪ | সদস্য |
সিরাজুল হক | ১৩৪ | সদস্য |
ড. মফিজ চৌধুরী | ১৯ | সদস্য |
ডা. আসাবুল হক | ৭৬ | সদস্য |
ফকির শাহাবুদ্দিন আহমেদ | ৩৫৯ | সদস্য |
আব্দুস সামাদ আজাদ | ১২৯ | সদস্য |
এম. আর. সিদ্দিকী | ১৫৩ | সদস্য |
ড. এ. আর. মল্লিক | ১১৮৯ | সদস্য |
অধ্যাপক মােজাফফর আহমেদ | ৪৭২ | সদস্য |
রেহমান সােবহান | ১১৬৭ | সদস্য |
আবুল ফতেহ | ৬৩২ | সদস্য |
খুররম খান পন্নী | ৬৩৩ | সদস্য |
এম. এ. করিম | ৬৩৮ | সদস্য |
এ. এম. এ. মুহিত | ৬৪২ | সদস্য |
সারণী ৩৫:১৭ই এপ্রিল প্রবাসী সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | মন্তব্য |
সৈয়দ নজরুল ইলাম | ৯২ | উপরাষ্ট্রপতি |
তাজউদ্দিন আহমেদ | ১০৮ | প্রধান মন্ত্রী |
এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান | ১৩৫ | মন্ত্রী |
মনসুর আলী | ৫৯ | মন্ত্রী |
খন্দকার মােশতাক আহমেদ | ১৩৮ | মন্ত্রী |
অধ্যাপক মােঃ ইউসুফ আলী | ১৬ | স্বাধীনতার ঘােষণা পাঠকারী |
আব্দুল মান্নান | ৭১ | পরিচালক, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান |
এম. এ. জি. ওসমানী | ১২৫ | প্রধান সেনাপতি |
ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম | ৩৯ | – |
আব্দুস সামাদ আজাদ | ১২৯ | – |
ডা. আসাবুল হক | ৭৬ | – |
নূরুল কাদের খান | ৫০৪ | – |
তৌফিক এলাহী চৌধুরী | ৫১২ | – |
মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ | ১০৪৮ | অধিনায়ক, গার্ড অব অনার প্রদানকারী দল |
আবু ওসমান চৌধুরী | ৬৭৬ | নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত |
এ. আর. আজম চৌধুরী | ৭১৬ | – |
মুস্তাফিজুর রহমান | ৭০১ | – |
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ | ৭৩৬ | – |
পৃষ্ঠাঃ ৪৫
বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী সংগঠন
ক্ষমতা হস্তান্তরে পাকিস্তান সামরিক সরকারের এই টালবাহানা বাঙালী জনগােষ্ঠীর সাথে বাঙালী সেনা সদস্যদেরও বিচলিত করে। অজানা আতংকে সকলেই দিনাতিপাত করতে থাকে। এমন অবস্থায় এক অবশ্যম্ভাবী যুদ্ধের আভাসে কিছু বাঙালী অফিসার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে যােগাযােগ রক্ষা করার সর্বরকম প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। “রাজনৈতিক নির্দেশ ছাড়া সশস্ত্র বিপ্লব সম্ভব নয়” – এই বিশ্বাসে অফিসারগণ বিভিন্নভাবে দিক নির্দেশনা পেতে চেষ্টা করেন। উল্লেখযােগ্য সূত্রমতে ৭ই মার্চ ‘৭১ থেকে ২৫শে মার্চ ‘৭১ পর্যন্ত প্রায় ১১ জন সামরিক অফিসার শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডিস্থ বাসভবনে সরাসরি অথবা টেলিফোনে যােগাযােগ রক্ষা করতেন। সাধারণ সৈনিকগণ সশস্ত্র বিদ্রাহের জন্য ৭ই মার্চ থেকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন বলে ওয়াকিবহাল সূত্র থেকে জানা যায়।
আলােচনার আড়ালে পশ্চিমাঞ্চল থেকে অবাঙালী সেনাসদস্যদের ক্রমবর্ধিত সংখ্যায় আগমন কোন অবস্থাতেই সুস্থ পরিস্থিতির ইঙ্গিত বহন করে না—এই বিবেচনায় সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর সামরিক অফিসারদের সতর্ক দৃষ্টি অব্যাহত থাকে এবং তারা স্থানীয়ভাবে নিজ নিজ ইউনিটসহ সমমনাদের সাথে যােগাযােগ বৃদ্ধি এবং তা অক্ষুন্ন রাখতে সচেষ্ট থাকেন।
‘৭১ সালের ২৫শে মার্চের মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের জনগণের ওপর বর্বরােচিতভাবে অতর্কিত হামলা শুরু করে। এই আক্রমণ শুধু নিরস্ত্র জনগণ বা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতিই নির্দিষ্ট ছিল না, তারা সামরিক বাহিনীর বাঙালী সেনাদেরও নিরস্ত্র করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করে। এমতাবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তার খাতিরে হলেও সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর বাঙালী সদস্যদের পাকিস্তান শাসকগােষ্ঠীর বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেয়ার প্রয়ােজন অনিবার্য হয়ে পড়ে। রাজনৈতিকভাবে বাঙালী সৈনিকদের প্রতি সুস্পষ্ট পূর্ব নির্দেশনার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও সামরিক, আধা-সামরিক, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা পক্ষ ত্যাগ করে স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী ও জনগণের সহযােগিতায় স্থানীয়ভাবে নিজ নিজ মত করে প্রতিরােধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন। প্রায় সর্বত্রই স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন এ ব্যাপারে সহযােগিতায় এগিয়ে আসে। এভাবে প্রতিরােধের ধারাবাহিকতায় সমগ্র জাতি পাকিস্তানী শাসকগােষ্ঠী তথা অবাঙালীদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয় এবং ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী গড়ে উঠে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী চাকমা ব্যতীত বেশীর ভাগ উপজাতিও এই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।
৭১ সালের ২৫শে মার্চ থেকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রায় সকল বাঙালী ইউনিট সুযােগ মত নিজেদের প্রতিরক্ষায় পাকিস্তানী সেনা ইউনিট থেকে আপাতনিরাপদ দূরত্বের সন্ধান করতে থাকে। কোন কোন ইউনিট প্রাথমিক অবস্থাতেই বিদ্রোহের মাধ্যমে পক্ষ ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম ইপিআর, বাহিনীর বাঙালী সদস্যগণ ক্যাপ্টেন রফিকের নেতৃত্বে ২৫শে মার্চ রাত সাড়ে নয়টায় বিদ্রোহ ঘােষণা করে। উল্লেখ্য যে, ই. পি. আর. বাহিনীর অফিসারগণ ছিলেন মূলত সেনাবাহিনীর অফিসার যে কারণে সেনাবাহিনী ও ই. পি.আর. সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়ে কোথাও কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়নি।
প্রাথমিক অবস্থায় ই. পি. আর. ও সামরিক বাহিনী স্থানীয় ভিত্তিতে প্রতিরােধ গড়ে তােলে। ক্রমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণ তীব্র হয়ে উঠলে আঞ্চলিক ভিত্তিতে পক্ষত্যাগকারী সৈনিক, ই. পি. আর. ও সশস্ত্র ব্যক্তিদের একত্র করে সমন্বিতভাবে বৃহত্তর প্রতিরােধের প্রচেষ্টা নেয়া হয়। কিন্তু সীমিত অস্ত্র ও গােলাবারুদ বেশি দিন এই প্রতিরােধকে ধরে রাখতে পারেনি। নিরাপদ আশ্রয়, সুষ্ঠু সমন্বয় ও গােলা-বারুদের পর্যাপ্ততার সন্ধানে পুরাে বাহিনীকেই পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে অবস্থান নিতে বাধ্য করে। যেহেতু তখনও পর্যন্ত প্রতিরােধ যুদ্ধের কোন রাজনৈতিক বা সামরিক নির্দেশনা ছিল না, সেহেতু যে যেভাবে সম্ভব নিরাপদ আশ্রয় ও ভবিষ্যত কর্মপন্থা নিরূপণের জন্য পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে উপস্থিত হয়। বাংলাদেশের ভৌগােলিক সীমানার ৭০ ভাগের বেশি অংশ জুড়ে ভারতের অবস্থান। সঙ্গত কারণেই প্রায় সকলেই ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ক্যাপ্টেন হারুন আহমেদ চৌধুরী ১১ই এপ্রিল কালুরঘাট যুদ্ধে আহত অবস্থায় কিছু সৈন্যসহ বার্মায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের পার্শ্ব সীমানায় অন্য কোন দেশের অবস্থান থাকলে এই সেনাসদস্যরা সেখানেও অবস্থান গ্রহণ করতে ইতস্তত করতেন না।
প্রথমে ভারত সরকার মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে শরণার্থী হিসেবে স্থানান্তরিত পরিবারগুলােকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। এরই অংশ হিসেবে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা দিয়ে আশ্রয় শিবির প্রতিষ্ঠা করা হয়। সশস্ত্র ব্যক্তিবর্গ ভারতে প্রবেশ করতে শুরু করলে সমস্যার আন্তর্জাতিক গুরুত্ব অনুধাবন করে সশস্ত্র ব্যক্তিদের সুষ্ঠু সমন্বয়ের জন্য ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বি.এস.এফ.)-কে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সীমিত সাহায্য সশস্ত্র বাহিনীর মনােবলকে চাঙ্গা করতে ব্যর্থ হয়। সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ সদস্যগণ ৪ঠা এপ্রিল ‘৭১-এ তেলিয়াপাড়ায় মেজর খালেদ মােশাররফের অস্থায়ী দপ্তরে মিলিত হন। সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ সামগ্রিকভাবে বিদ্রোহ ঘােষণাকারী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৫টি ইউনিটসহ ই. পি.আর, পুলিশ, মুজাহিদ, আনসার ও ছাত্র সংগঠনগুলােকে এলাকাভিত্তিক সংগঠিত করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। সারা দেশের বাহিনীগুলাের বিদ্রোহের সঠিক চিত্র তাদের কাছে না থাকায় মােটামুটিভাবে সেনাবাহিনীর সিনিয়র অফিসারদের দায়িত্বে সমগ্র বাংলাদেশকে ৪টি অঞ্চলে বিভক্ত করে সমন্বিত যুদ্ধ প্রচেষ্টার উদ্যোগ নেয়া হয়। অঞ্চলগুলাে ছিল নিম্নরূপ:
১. চট্টগ্রাম অঞ্চল : মেজর জিয়াউর রহমান
২. কুমিল্লা অঞ্চল : মেজর খালেদ মােশাররফ
৩. সিলেট অঞ্চল : মেজর শফিউল্লাহ্
৪. যশাের অঞ্চল : মেজর আবু ওসমান চৌধুরী
সংসদ সদস্য কর্নেল (অব:) এম.এ.জি. ওসমানীর ওপর এই সময়ের পূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করে সকলেই তার অধীনে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য শপথ নেন। বাস্তবে এই অঞ্চলভিত্তিক বিভক্তি ও সমন্বিত যুদ্ধ প্রচেষ্টা প্রাথমিক অবস্থায় তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। কারণ ইতিমধ্যেই পক্ষত্যাগকারী সকল বাঙালী সেনা-অধিনায়ক নিজ নিজ সৈন্যসহ এলাকাভিত্তিক প্রতিরােধ গড়ে তুলেছিলেন। এভাবেই এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও পারস্পরিক সমন্বয়বিহীন অবস্থার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ অব্যাহত থাকে এবং এই অবস্থা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠনের পূর্ব পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন সেনা ইউনিটে চাকুরীরত এবং পূর্ব পাকিস্তানে ছুটি ভােগরত সামরিক বাহিনীর অফিসারগণ অধিকতর সংখ্যায় মুক্তিযুদ্ধে যােগদান করতে থাকেন। একই সাথে বিভিন্ন পেশাজীবী উর্ধ্বতন বেসামরিক কর্মকর্তাগণ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণে এগিয়ে আসেন এবং অনেকেই সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য হিসেবে যুদ্ধ পরিকল্পনায় অংশ নেবার গৌরব অর্জন করেন। যে সকল সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার ও সৈনিক অসহযােগ আন্দোলনের ধারাবাহিকতার সাথে যুক্ত ছিলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সমন্বিতকরণ প্রয়াসে তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বিমান ও নৌবাহিনীর পক্ষত্যাগী সদস্যগণও বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশ সরকারে যােগদানের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টর ও কার্যালয়ে সমন্বিত হন।
‘৭১ এর জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর নিম্নোক্ত অঞ্চলভিত্তিক যুদ্ধ অবস্থানে পাওয়া যায় :
ক. পার্বত্য চট্টগ্রাম : ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম– ই. পি.আর. ও অন্যান্য ;
খ. চট্টগ্রাম-ফেনী : মেজর জিয়াউর রহমান – ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ;
গ. কুমিল্লা অঞ্চল : মেজর খালেদ মােশাররফ – ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট;
ঘ. সিলেট (পূর্ব) : মেজর শফিউল্লাহ – ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ;
ঙ. সিলেট (উত্তর) :মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত- ই. পি.আর. ও অন্যান্য ;
চ. কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট : ক্যাপ্টেন নােয়াজেশ উদ্দিন – ই. পি. আর. ও অন্যান্য;
ছ. ঠাকুরগাঁও দিনাজপুর : মেজর নজমুল হক – ই. পি.আর. ও অন্যান্য ;
জ. সৈয়দপুর-পার্বতীপুর : ক্যাপ্টেন আনােয়ার হােসেন-৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
ঝ. নবাবগঞ্জ-রাজশাহী : ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী-ই পি.আর ও অন্যান্য ;
ঞ. কুষ্টিয়া-যশাের : মেজর আবু ওসমান চৌধুরী-ই. পি.আর. ও ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ;
ট. খুলনা-বরিশাল : ক্যাপ্টেন আব্দুল জলিল—সম্মিলত বাহিনী।
সামরিক বাহিনীর অফিসার কর্তৃক নিয়মিত ইউনিট ও আধা-সামরিক বাহিনীর সমন্বিত শক্তি ছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে স্থানীয়ভাবে বেশ কিছু বাহিনীর সশস্ত্র সংগঠন গড়ে ওঠে। যেমন :
ক. মানিকগঞ্জ এলাকা : ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল হালিম চৌধুরী;
খ. টাঙ্গাইল এলাকা : আব্দুল বাতেন ;
গ. ভালুকা-জয়দেবপুর এলাকা : সুবেদার মেজর আফসার উদ্দিন;
ঘ. বরিশাল এলাকা : হাবিলদার হেমায়েত উদ্দিন;
ঙ. সুনামগঞ্জ এলাকা : ক্যাপ্টেন (অব:) আব্দুল মােতালেব।
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে জুন ‘৭১-এ অনুষ্ঠিত মন্ত্রী সভার এক বৈঠকে যুদ্ধ পরিস্থিতির সার্বিক বিশ্লেষণ করে সুষ্ঠু প্রশাসনিক ব্যবস্থার অধীনে যুদ্ধ অঞ্চল গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং উক্ত লক্ষ্যে জরুরী ভিত্তিতে সমন্বয় সভা আয়ােজন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিবাহিনী প্রধান বা প্রধান সেনাপতি কর্নেল (অব:) এম.এ.জি. ওসমানীকে প্রয়ােজনীয় নির্দেশ প্রদান করা হয়।
‘৭১-এর ১১ই জুলাই মুজিবনগরে উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধাঞ্চল ও যুদ্ধ-কৌশল সম্বন্ধে বিস্তারিত আলােচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উপস্থিত কর্মকর্তাগণ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্যের শপথ নেন এবং কর্নেল (অব:) এম.এ.জি. ওসমানীর নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও আনুগত্য স্থাপন করেন। একই বৈঠকে কর্নেল আব্দুর রব সেনাপ্রধান ও গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ.কে. খন্দকার উপ-সেনাপ্রধান নিযুক্ত হন। বাংলাদেশের সমস্ত যুদ্ধাঞ্চলকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়। সিনিয়র অফিসারগণের মধ্যে যে যেখানে যুদ্ধরত ছিলেন তাকে সেই অঞ্চলেরই দায়িত্ব দেয়া হয় এবং তার অধীনস্থ এলাকায় অবস্থিত সমস্ত দল বা উপদলকে তার একক অধিনায়কত্বে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফলে সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসংগঠিত যুদ্ধ-কৌশল অবলম্বন ও পরিচালনা আগের তুলনায় অধিকতর সুষ্ঠুভাবে গড়ে তােলার সম্ভাবনা নিশ্চিত করা যায়। এই বৈঠকে মুক্তিবাহিনীর পাশাপাশি নিয়মিত বাহিনী গঠন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। মুক্ত এলাকায় কর্তৃত্ব গ্রহণ ও সমন্বিত পরিকল্পনা মাফিক আক্রমণ কৌশল অবলম্বনের জন্য এই নিয়মিত বাহিনী গঠনের প্রয়ােজনীয়তা তখন ছিল সময়ের উপলব্ধি। মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ই. পি.আর. আনসার, মুজাহিদ, পুলিশ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক-স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে এই ব্রিগেড গঠনের প্রস্তাব পেশ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তিনটি ব্রিগেড গঠন করে জেড ফোর্স, কে ফোর্স ও এস ফোর্স নামে নামকরণ করা হয়।
১০ নং সেক্টরকে একটি বিশেষ সেক্টর হিসেবে সংগঠিত করা হয়। এই সেক্টরের কোন ভৌগােলিক সীমারেখা ছিল না। সদর দপ্তর কর্তৃক বিশেষভাবে প্রণীত রণকৌশল বাস্তবায়ন এই সেক্টরের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রধান সেনাপতি নিজেই এই সেক্টরের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতেন। এই সেক্টরের অধীনে বিশেষ নৌ-কমান্ডাে ও প্রধান সেনাপতির বিশেষ দল গঠন করা হয়। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই গেরিলা দল প্রয়ােজন অনুযায়ী সেক্টরগুলাের নেতৃত্বে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে।
২১শে নভেম্বর ৭১ বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ সিদ্ধান্তে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সমন্বয়ে মিত্র বাহিনীর যৌথ কমান্ড গঠন করা হয় এবং সমগ্র যুদ্ধ এলাকাকে পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে মােট ৪টি যুদ্ধাঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। মুক্তিবাহিনীর ১০টি সেক্টর ও নিয়মিত বাহিনীর ৩টি ব্রিগেডকে এই ৪টি অঞ্চলের যৌথ কমান্ডে সমন্বিত করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন পর্যন্ত এই কমান্ড কার্যকর ছিল।
সারণী ৩৬:সশস্ত্র বাহিনী সদর দপ্তর : মুজিবনগর
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
এম.এ. জি. ওসমানী | ৮২১ | কর্নেল | প্রধান সেনাপতি | বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী |
আব্দুর রব | ৮২৩ | লে. কর্নেল | সেনাপ্রধান | পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত |
এ. কে. খন্দকার | ৭৮৩ | গ্রুপ ক্যাপ্টেন | উপ-সেনাপ্রধান ও বিমান বাহিনী প্রধান | প্রশিক্ষণ ও অপারেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত |
শামছুল হক | ১২৮৪ | লে. কর্নেল | ডাইরেক্টর জেনারেল | মেডিকেল সার্ভিস |
এ.আর. চৌধুরী | ৮৩৭ | লে. কর্নেল | স্টাফ অফিসার | পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত |
শামছুল আলম | ১২৮৫ | মেজর | স্টাফ অফিসার | মেডিকেল সার্ভিস |
আবু ওসমান চৌধুরী | ৬৭৬ | মেজর | স্টাফ অফিসার | লজিস্টিক সার্ভিস |
হাবিবুল্লা বাহার | ৬৭৮ | মেজর | স্টাফ অফিসার | সিগন্যাল সার্ভিস |
খুরশীদ উদ্দিন আহমেদ | ১২৮৬ | ক্যাপ্টেন | স্টাফ অফিসার | মেডিক্যাল সার্ভিস (পূর্বাঞ্চল) |
ফাত্তাহ চৌধুরী | ৮২৮ | মেজর | স্টাফ অফিসার | নিয়ােগ শাখা |
শওকত আলী | ৮২৫ | ক্যাপ্টেন | স্টাফ অফিসার | অর্ডিন্যান্স শাখা |
শামছুল আলম | ৭৯৩ | ফ্লা. অ. | স্টাফ অফিসার | বিমান বাহিনী শাখা |
এ.টি.এম. সালাহউদ্দিন | ৬৮৯ | ক্যাপ্টেন | ভারপ্রাপ্ত অফিসার | সামরিক গােয়েন্দা বিভাগ |
এনামুল হক | ৭৫০ | ক্যাপ্টেন | স্টাফ অফিসার | যানবাহন |
মােস্তফা কামাল | ৭৫১ | ক্যাপ্টেন | স্টাফ অফিসার | যানবাহন |
শেখ কামাল | ৮৬৫ | লে. | এ.ডি.সি | প্রধান সেনাপতি |
দেওয়ান গাউস আলী * | ৯৯৪ | অফিসার ক্যাডেট | ব্যক্তিগত সহকারী | প্রধান সেনাপতি |
সারণী ৩৭ : সেক্টর–১: সদর দপ্তর– হরিণা : গঠনের তারিখ–১২ জুলাই ‘৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
রফিকুল ইসলাম | ৬৮৮ | মেজর | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
সাখাওয়াৎ হােসেন খান | ৮০৪ | ফ্লা. অ. | এ্যাডজুটেন্ট | সদর দপ্তর |
এনামুল হক চৌধুরী | ৭০৩ | ক্যাপ্টেন | স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
এ.কে.এম. ইসহাক | ১২৫২ | প্রকৌশলী | স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
রেজাউল হক | ১৩০০ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
আব্দুল হান্নান | ৪৭৪ | রাজনীতিবিদ | সংগঠক | সেক্টর এলাকা |
আতাউর রহমান কায়সার | ১৫৯ | এম.এন.এ. | সাংগঠনিক সমন্বয়কারী | সেক্টর এলাকা |
নূরুল ইসলাম চৌধুরী | ১৫৮ | এম.এন.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | চট্টগ্রাম অঞ্চল |
ফয়েজুর রহমান | ৪৬২ | এম. পি.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | চট্টগ্রাম অঞ্চল |
মােশারাফ হােসেন | ৪৫০ | এম. পি.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | চট্টগ্রাম অঞ্চল |
সামছুল হুদা | ৭১৪ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ঋষিমুখ ৪.১১.৭১ পর্যন্ত |
এ. ওয়াই. মাহফুজুর রহমান | ৭৩৩ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ঋষিমুখ |
রকিবুল ইসলাম | ৯০৩ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মিরেশ্বরাই |
ফজলুর রহমান ফারুক | ৯০৬ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মনুঘাট/ঋষিমুখ |
মুনছুরুল আমিন | ৮৬৮ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | শ্রীনগর |
শওকত আলী | ৯১৪ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | নাজিরহাট- ফটিকছড়ি |
হারুন আহমেদ চৌধুরী | ৬৯২ | ক্যাপ্টেন | – | ১১.৪.৭১ যুদ্ধে আহত, ডিসেম্বরে যুদ্ধে যােগ দেন |
ঝুলন কান্তি পাল * | ৯৭৭ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. সাব-সেক্টর | ফটিকছড়ি |
আব্দুল হামিদ * | ৯৮৭ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. সাব-সেক্টর | মিরেশ্বরাই |
মীর মাহামুদুল হক | ৮১৩ | এম. এফ. | সাব-সেক্টর | শ্রীনগর |
সেক্টর এলাকা : চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা, মহুরী নদীর পূর্ব পাড় পর্যন্ত
সারণী ৩৮ : সেক্টর–২ : সদর দপ্তর–মেলাঘর : গঠনের তারিখ–১২ জুলাই ‘৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
খালেদ মােশাররফ | ৬৭৫ | লে. কর্নেল | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর (২১.১০.৭১পর্যন্ত) |
এ.টি.এম. হায়দার ** | ৭১০ | মেজর | ভারপ্রাপ্ত অফিসার | সদর দপ্তর |
মমিন উদ্দিন আহমেদ | ১২৬৫ | প্রকৌশলী | স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
নাজিম উদ্দিন আহমেদ | ১২৮১ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
আকতার আহমেদ | ১২৮৩ | ক্যাপ্টেন | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
মেওয়া বিল্লা | ৬১৪ | বেসামরিক | হিসাবরক্ষক | সদর দপ্তর |
খােরশেদ আলম | ১৩৫ | এম. এন. এ. | অন্যতম সংগঠক | সদর দপ্তর |
আব্দুর রশীদ ইঞ্জিনিয়ার | ৪১৮ | এম. পি. এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | কুমিল্লা অঞ্চল |
নূরুল হক | ১৪৭ | এম. এন. এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | নােয়াখালী অঞ্চল |
আইন উদ্দিন | ৬৯৯ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | গঙ্গাসাগর |
আব্দুল গফফার হালদার | ৭৩২ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মন্দবাগ |
মাহাবুবুর রহমান | ৭৪৪ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | নির্ভয়পুর |
আব্দুস সালেক চৌধুরী | ৬৯৫ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বালিদানদী |
জাফর ইমাম | ৭২১ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | রাজনগর |
ফজলুল কবির | ৭৫৫ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ধনপুর |
আব্দুল হালিম চৌধুরী | ৮৩১ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মানিকগঞ্জ |
শওকত আলী | ৮২৫ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ফরিদপুর অংশ |
হুমায়ুন কবির | ৮৪২ | |||
দিদারুল আলম | ৮৩৮ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | গঙ্গাসাগর |
কামাল উদ্দিন আহমেদ | ৭৯৮ | ফ্লা. লে. | – | সদর দপ্তর |
জিল্লুর রহমান * | ৯৩৩ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
আনােয়ারুল হক ভূঁইয়া* | ৯৩৮ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
একরামুল হক খন্দকার | ৯৩৯ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
এম. সােলায়মান * | ৯৪৩ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
আব্দুল কাদের * | ৯৪৮ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
জাহাঙ্গীর ওসমান * | ৯৫০ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
মমিনুল হক * | ৯৫২ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
মীরন হামিদুর রহমান * | ৯৫৫ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
আকবর ইউসুফ * | ৯৩২ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
হাফিজুল্লাহ * | ৯৩৫ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
এম. মাহমুদুল মাসুদ * | ৯৫৮ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
জালালউদ্দিন সিদ্দিকী * | ৯৫৯ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
এস.এম. হাবিবুল্লা * | ৯৬২ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
রেজাউর রহমান * | ৯৭৫ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | কুমিল্লা অঞ্চল |
কামরুল হক স্বপন * | ৯৭৩ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | ক্র্যাক প্লাটুন ঢাকা অঞ্চল |
আনিসুর রহমান * | ৯৭৪ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
কাজী কামাল উদ্দিন * | ৯৭৯ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | ক্র্যাক প্লাটুন ঢাকা অঞ্চল |
সেক্টর এলাকা : নােয়াখালী জেলা, কুমিল্লা জেলার অংশ, ঢাকা শহর ও ফরিদপুর জেলার পূর্বাংশ
সারণী ৩৯ :সেক্টর– ৩ : সদর দপ্তর– মনতলা (সিলেট) গঠনের তারিখ : ১২ জুলাই ‘৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
কে.এম.শফিউল্লাহ | ৬৭৩ | লে.কর্নেল | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত |
এ. এন. নূরুজ্জামান | ৮২৬ | মেজর | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর |
সৈয়দ মােহাম্মদ ইব্রাহিম | ৭৫৭ | লে. | এ্যাডজুটেন্ট | সদর দপ্তর |
নূরুদ্দিন মাহমুদ কামাল | ৫৮২ | বেসামরিক | স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
মােহাম্মদ আলকাস | ১৩৯৪ | রাজনীতি | সহকারী স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
আশিক আহমেদ | ১৩৯৫ | বেসামরিক | সহকারী স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
আহমেদ আলী | ১২৮৮ | লে. | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
এম.এ.মাহি | ৬১৫ | বেসামরিক | হিসাব কর্মকর্তা | সদর দপ্তর |
খােরশেদ আলম | ১৩৫ | এম. এন. এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | কুমিল্লা অঞ্চল |
রমিজ উদ্দিন আহমেদ | ৪২০ | এম. পি. এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | – |
লুৎফুল হাই সাচ্চু | ৪১২ | এম. পি. এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চল |
এজাজ আহমেদ চৌধুরী | ৭৩৭ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বাঘাই বাড়ী |
মতিউর রহমান | ৭১৯ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | হাতা কাটা |
আব্দুল মতিন | ৭০৪ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | সিম্লা |
এ. এস. এম. নাছিম | ৬৯১ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | পঞ্চবটী |
সুবিদ আলী ভূঁইয়া | ৭০৭ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মনতলা |
গােলাম হেলাল মাের্শেদ খান | ৭৪৬ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | কলকলিয়া |
সাদেক হােসেন | ৭২৫ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বামুটীয়া |
নাসির উদ্দিন | ৭৫০ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | – |
শামছুল হুদা বাচ্চু | ৯০৮ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বিজয় নগর |
মুনসুরুল ইসলাম মজুমদার | ৮৭৪ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | কালাছড়া |
সেক্টর এলাকা : কুমিল্লা জেলার অংশ, সিলেট জেলার অংশ, কিশােরগঞ্জ মহকুমা ও ঢাকা জেলার উত্তর অংশ।
সারণী ৪০ : সেক্টর– ৪ : সদর দপ্তর– খােয়াই, গঠনের তারিখ : ১২ জুলাই ‘৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
চিত্ত রঞ্জন দত্ত | ৬৭১ | লে. কর্নেল | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
এ.টি.এম. আতাউর রহমান | ৭৯৯ | ফ্লা. লে. | স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
মােস্তাকিম চৌধুরী | ১২৪ | এম. এন. এ. | রাজনৈতিক সংগঠক | সেক্টর এলাকা |
আজিজুর রহমান | ৪০৪ | এম. পি. এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সিলেট অঞ্চল |
মাহবুবুর রব সাদী | ১৩৯৭ | রাজনীতিবিদ | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | জালালপুর |
আব্দুর রব | ৭০৬ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বড়পুঞ্জি |
শরিকুল হক ডালিম | ৭২৭ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | কুকিতল (আহত) |
নূরুল কাদের | ৭৯২ | ফ্লা. লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | কুকিতল |
এ. এম. খায়রুল আনাম | ৭২৯ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | কমলপুর |
জাহিরুল হক খান | ৯০০ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | আমলাসিদ |
আলী ওয়াকিউজ্জামান | ৮৯৭ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | কৈলাশ শহর |
নিরঞ্জন ভট্টাচারিয়া | ৮৯৯ | লে. | সহ-অধিনায়ক সাব-সেক্টর | কমলপুর |
দোস্ত মােহাম্মদ শিকদার | ৮০৯ | লে. | সহ-অধিনায়ক সাব-সেক্টর | কুকিতল |
আব্দুল জলিল | ৮৯১ | লে. | সহ-অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বড়পুঞ্জি |
এম.এম.কে. জালালাবাদী | ৯১৩ | লে. | সহ-অধিনায়ক সাব-সেক্টর | কমলপুর |
চৌধুরী মােহাম্মদ আলী * | ৯৪৯ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. সাব-সেক্টর | আমলাসিদ |
মােক্তাদীর আলী * | ৯৫৬ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. সাব-সেক্টর | – |
জীবন কানাই দাস * | ৯৬১ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. সাব-সেক্টর | – |
চন্দ্র কান্ত দাস * | ৯৬৫ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. সাব-সেক্টর | – |
আব্দুল মােক্তাদীর * | ৯৯৫ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. সাব-সেক্টর | – |
সেক্টর এলাকা : সিলেট জেলার অংশ
সারণী ৪১ : সেক্টর– ৫: সদর দপ্তর– শিলং (বিধান চন্দ্র হাউস) : গঠনের তারিখ১২ জুলাই ‘৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
মীর শওকত আলী | ৬৭৪ | লে: কর্নেল | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
এ.কে.এম. ফজলুর রহমান | ৭৮৯ | ফ্লা. লে. | এ্যাডজুটেন্ট | সদর দপ্তর |
মােহাম্মদ মােস্তফা | ১৩৯৬ | বেসামরিক | স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
নজরুল হক | ১২৯০ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
আব্দুল হক | ১২৮ | এম.এন.এ. | রাজনৈতিক সংগঠক | সেক্টর এলাকা |
আব্দুর জহুর মিয়া | ৩৯৩ | এম.পি.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সিলেট অঞ্চল |
দেওয়ান ওবায়দুর রাজা চৌধুরী | ১৩০ | এম.এন.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সিলেট অঞ্চল |
নাজির হােসেন | – | সুবেদার | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মুক্তাপুর |
বি.আর. চৌধুরী | – | সুবেদার | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ডাউকি |
এ. এস. হেলাল উদ্দিন | ৭৫২ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | শেওলা |
কয়েস চৌধুরী | ৪৭৭ | রাজনীতিবিদ | সংগঠক সাব-সেক্টর | ভােলাগঞ্জ |
এ. এন. এম. আলমগীর | ১২৪৩ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ভােলাগঞ্জ |
তাহের উদ্দিন আখুঞ্জি | ৮৯৮ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ভােলাগঞ্জ |
আব্দুল মােত্তালিব | ৮২৯ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বালাট |
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত | ৩৯০ | এম.পি.এ. | সংগঠক সাব-সেক্টর | বাড়ছড়া |
মাহফুজুর রহমান ভূইয়া | ৮৪৭ | ফ্লা. লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বাড়ছড়া ১ম |
মুসলেম উদ্দিন | ৬৮৬ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বাড়ছড়া ২য় |
আব্দুর রউফ | ৮৬৬ | লে. | সহ-অধিনায়ক সাব-সেক্টর | শেওলা |
মাহাবুবুর রহমান | ৮৯৩ | লে. | সহ-অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ভােলাগঞ্জ |
এম.এম. খালেদ | ৯০১ | লে. | সহ-অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ভােলাগঞ্জ |
সরিত কুমার লালা | ১২৪৪ | লে. | সহ-অধিনায়ক সাব-সেক্টর | সুনামগঞ্জ |
পার্থ সারথী রায় | ১২৪৫ | লে. | সহ-অধিনায়ক সাব-সেক্টর | সিলেট |
সেক্টর এলাকা : সিলেট জেলার অংশ, আজমীরিগঞ্জ ও লাখাইর পশ্চিম অঞ্চল
সারণী ৪২ : সেক্টর– ৬ : সদর দপ্তর– পাটগ্রাম, রংপুর : গঠনের তারিখ– ১২ জুলাই ‘৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
এম.কে. বাশার | ৭৮৪ | উইং কমান্ডার | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
আব্দুল মতিন চৌধুরী | ৮৭৬ | লে. | এ্যাডজুটেন্ট | সদর দপ্তর |
মােশায়েব উদ্দিন | ১৩১৭ | ক্যাপ্টেন | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
মতিউর রহমান | ১০ | এম.এন.এ. | রাজনৈতিক সংগঠক | সেক্টর এলাকা |
ফজলুল করিম | ১৯৪ | এম.পি.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | দিনাজপুর অঞ্চল |
নজরুল হক | ৭০৯ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ভজনপুর |
সদর উদ্দিন | ৭৮৫ | স্কো. লিডার | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ভজনপুর |
মতিউর রহমান | ৭৪৫ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | পাটগ্রাম |
নােয়াজেস উদ্দিন | ৬৯৬ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | সাহেবগঞ্জ |
কিউ.এম.এম. দেলওয়ার হােসেন | ৭৪৩ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মােঘলহাট |
ইকবাল রশীদ | ৭৯৭ | ফ্লা. লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | চিলাহাটী |
সুলতান শাহরিয়র রশীদ খান | ৭৩৫ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | দেবনগর |
মােহাম্মদ আব্দুল্লাহ | ৮৮৮ | লে. | কোম্পানী কোম্পানী | এম.এফ. কোম্পানী |
মাসুদুর রহমান | ৮৯৬ | লে. | কোম্পানী কোম্পানী | এম.এফ. কোম্পানী |
আশফাকুস সামাদ | ৯১৬ | লে. | কোম্পানী কোম্পানী | এম.এফ. কোম্পানী |
আব্দুস সালাম * | ৯৩৬ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. সাব-সেক্টর | সাহেবগঞ্জ |
আশরাফউদ্দৌলা * | ৯৫৭ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. | মােগলহাট |
খুরশীদ আলম বাসুনীয়া * | ৯৬০ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. | রংপুর অঞ্চল |
আমিনুল ইসলাম * | ৯৬৪ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. | রংপুর অঞ্চল |
মফিজুর রহমান * | ৯৬৯ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. | দিনাজপুর অঞ্চল |
মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ * | ৯৯০ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. | রংপুর অঞ্চল |
সৈয়দ আবুল বাসার * | ৯৭২ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. | চিলাহাটি অঞ্চল |
মােতাহার হােসেন * | ৯৮৪ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. | পাটগ্রাম অঞ্চল |
ফিরােজুর রহমান * | ৯৮৫ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. | – |
আব্দুল জলিল * | ৯৯৬ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. | – |
সেক্টর এলাকা : রংপুর জেলা, দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা।
সারণী ৪৩ : সেক্টর – ৭: সদর দপ্তর– তরঙ্গপুর : গঠনের তারিখ– ১২ জুলাই ‘৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
নাজমুল হক | ৬৯৩ | মেজর | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর (শহীদ আগস্ট ’৭১) |
কাজী নূরুজ্জামান | ৮৩২ | লে. কর্নেল | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর সেপ্টেম্বর- ডিসেম্বর |
মফিজ উদ্দিন আহমেদ | ১৩৯১ | শিক্ষক | প্রশাসনিক অফিসার | সদর দপ্তর |
মােজাম্মেল হােসেন | ১৩৯২ | ব্যবসায়ী | স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
মকসুল হােসেন চৌধুরী | ১২৯৮ | মেজর | ইনডাকশন অফিসার | সদর দপ্তর |
মােহাম্মদ আজাদ * | ১৩১৬ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
অধ্যাপক আবু সাঈদ | ২৮ | এম.এন.এ. | রাজনৈতিক সংগঠক | সেক্টর এলাকা |
আজিজুর রহমান | ৩১ | এম.এন.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | পাবনা অঞ্চল |
মুজিবর রহমান আক্কেলপুরী | ২০ | এম.এন.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | পাবনা অঞ্চল |
সৈয়দ হায়দর আলী | ২২৯ | এম.পি.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সিরাজগঞ্জ অঞ্চল |
তাহেরুল ইসলাম খান | ২০৭ | এম.পি.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | – |
গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী | ৬৮৫ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | লালগােলা |
ওয়াহিদুর রহিম | ৭৮৬ | স্কো. লিডার | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মেহেদীপুর |
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর | ৭৪৯ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মেহেদীপুর শহীদ |
আব্দুল আওয়াল চৌধুরী | ৯১০ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মেহেদীপুর |
মােহাম্মদ ইদ্রিস | ১২৫০ | কৌশলী | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | হামজাপুর |
আব্দুর রশীদ | ৭১১ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | শেখপাড়া |
রফিকুল ইসলাম | ৯০৫ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ভােলা হাট |
মােয়াজ্জেম হােসেন | – | সুবেদার | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | আদিনাবাদ |
বজলুর রশীদ | ৭৭২ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | এম.এফ. কোম্পানী |
মােহাম্মদ সাইফুল্লা | ৭৭৩ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | এম.এফ. কোম্পানী |
আব্দুল কাইয়ুম খান | ৮৫০ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | এম.এফ. কোম্পানী |
আমিনুল ইসলাম | ৮৮৫ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | এম.এফ. কোম্পানী |
কায়সার হক | ৯১৯ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | এম.এফ. কোম্পানী |
এ.এল.এম. ফজলুর রহমান * | ৯৪২ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
এ.বি. তাজুল ইসলাম * | ৯৪৫ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
মােশাররফ হােসেন * | ৯৮৬ | অফিসার ক্যাডেট | এম. এফ. | – |
মিজানুর রহমান | ১৩৩১ | চিকিৎসক | সাব-সেক্টর | মেহেদীপুর |
সেক্টর এলাকা: রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়া জেলা।
সারণী ৪৪ : সেক্টর – ৮ : সদর দপ্তর– কল্যাণী : গঠনের তারিখ– ১২ জুলাই ৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
আবু ওসমান চৌধুরী | ৬৭৬ | মেজর | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর আগস্ট পর্যন্ত |
আবুল মনজুর | ৬৭৭ | লে. কর্নেল | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর সেপ্টেম্বর- ডিসেম্বর |
জামাল উদ্দিন আহমেদ | ফ্লা. লে. | এ্যাডজুটেন্ট | সদর দপ্তর | |
শামছুদ্দিন আহমেদ | ৮৪৫ | মেজর | স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
মুজিবর রহমান | ৬৮০ | আইনজীবী | স্টাফ অফিসার (অব:) | সদর দপ্তর |
মােহাম্মদ সাদেক | ১২৯৬ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
আজিজুর রহমান আক্কাস | ৪০ | এম.এন.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর এলাকা |
আব্দুর রউফ চৌধুরী | ২৪১ | এম.পি.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর এলাকা |
আসাবুল হক | ২৪৫ | এম.পি.এ. | রাজনৈতিক সংগঠক | সেক্টর এলাকা |
রাজা মিয়া | ৪৮২ | রাজনীতিবিদ | সাংগঠনিক সহকারী | কুষ্টিয়া অঞ্চল |
তৌফিক এলাহী চৌধুরী | ৫১২ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | শিকারপুর ১ম |
অলিক কুমার গুপ্ত | ৮৬৯ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | শিকারপুর ২য় |
মাহবুব উদ্দিন আহমেদ | ১০৪৮ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | সাতক্ষীরা |
মােস্তাফিজুর রহমান | ৭০১ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বানপুর |
এ. আর. আজম চৌধুরী | ৭১৬ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বেতাই (লাল বাজার) |
খন্দকার নাজমুল হুদা | ৮২৭ | মেজর | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বয়রা |
আব্দুল হালিম | ৭৭০ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বেনাপােল ১ম |
তৌফিক এলাহী চৌধুরী | ৫১২ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বেনাপােল ২য় |
শফিকুল্লা | ৬২৩ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | হাকিমপুর |
এ.টি.এম. সালাউদ্দিন | ৬৮৯ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ভােমরা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত |
এ.টি.এম. আব্দুল ওহাব | ৭৩১ | ক্যাপ্টেন | যুদ্ধ এলাকা | মাগুরা |
আবুল কালাম | ৮০৫ | ফ্লা. লে. | – | – |
খদকার নূরুন্নবী | ৮৭২ | লে. | সাব-সেক্টর | বেতাই |
মােহাম্মদ মােস্তফা | ৮৮২ | লে. | সাব-সেক্টর | বেনাপােল |
এম. এইচ. সিদ্দিকি | ১২৪২ | লে. | সাব-সেক্টর | সাতক্ষীরা |
আক্তার হােসেন | ৮৩৯ | লে. | সাব-সেক্টর | ভােমরা |
রওশন ইয়াজদানী ভূঁইয়া* | ৯৩০ | ক্যাডেট অফিসার | এম. এফ. | সদর দপ্তর |
মােহাম্মদ জাহাঙ্গীর | ৮৪০ | লে. | সাব-সেক্টর | শিকারপুর |
সেক্টর এলাকা : যশাের জেলা, কুষ্টিয়া জেলা, ফরিদপুর ও খুলনা জেলার অংশ।
সারণী ৪৫ : সেক্টর – ৯ : সদর দপ্তর – হাসনাবাদ : গঠনের তারিখ – ১২ জুলাই ’৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
মােঃ জলিল মিয়া | ৭০০ | মেজর | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
ফজলুল হক | ২৮৯ | ফ্লাইট সার্জেন্ট | এ্যাডজুটেন্ট | সদর দপ্তর |
মফিজুর রহমান | ১৩৯৮ | ব্যবসায়ী | স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
ওবায়দুর রহমান মােস্তফা | ১৩৯৯ | আইনজীবী | সহকারী স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
মােহাম্মদ শাহাজাহান | ১৩১০ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
আব্দুল গফুর | ৫৩ | এম.এন.এ. | রাজনৈতিক সংগঠক | সেক্টর এলাকা খুলনা |
নূরুল ইসলাম মঞ্জুর | ৬০ | এম.এন.এ. | রাজনৈতিক সংগঠক | সেক্টর এলাকা বরিশাল |
সুলতান উদ্দিন আহমেদ | ৮৫৯ | নেভী | ইনডাকশন অফিসার | বাকুন্দিয়া ইনডাকশন শিবির |
নূরুল হুদা | ৮৩৪ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক বেজ ক্যাম্প | হিংগলগঞ্জ |
মাহফুজ আলম বেগ | ১০১৯ | নেভী | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | শমশেরনগর |
মােহাম্মদ শাহজাহান | ১৪০০ | শিক্ষক | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | দেবহাটা কলারােয়া |
এ.এস.এম. সামছুল আরেফিন | ৭৭১ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | খুলনা সুন্দরবন |
এ.এইচ. জিয়াউদ্দিন | ৭৬৩ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | পিরােজপুর অঞ্চল |
শাহজাহান ওমর | ৭৪১ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বরিশাল |
মেহেদী আলী ইমাম | ৮৩২ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | পটুয়াখালী |
ডাঃ মুনছুর আলী | ২৬৬ | এম.পি.এ. | তের খােদা | |
ফোহাম উদ্দিন আহমেদ | ১৪০৭ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | তের খােদা |
মইনুল ইসলাম | ৮৭৭ | লে. | সাব-সেক্টর | হিংগলগঞ্জ |
আহসান উল্লাহ | ৮৭৯ | লে. | সাব-সেক্টর | হিংগলগঞ্জ |
শচীন কর্মকার | ৯০৯ | অফিসার ক্যাডেট | সাব-সেক্টর | হিংগলগঞ্জ |
শাহ আলম তালুকদার * | ৯৪০ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. সাব-সেক্টর | বরিশাল |
আতাউর রহমান * | ৯৬৭ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. সাব-সেক্টর | শমশেরনগর |
জামশেদ হােসেন * | ৯৫৩ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. সাব-সেক্টর | হিংগলগঞ্জ |
লিয়াকত আলী খান * | ৯৫১ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. সাব-সেক্টর | হিংগলগঞ্জ |
আসাদুল হক * | ৯৬৩ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. সাব-সেক্টর | হিংগলগঞ্জ |
ইছা গাজী * | ৯৬৬ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. সাব-সেক্টর | হিংগলগঞ্জ |
রফিকুল ইসলাম | ১৩১২ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সাব-সেক্টর খুলনা |
মুজিবুর রহমান | ১৩৫৬ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সাব-সেক্টর বরিশাল |
সাইদুল হােসেন | ১৩০৯ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সাব-সেক্টর বরিশাল |
সেক্টর এলাকা : বরিশাল, পটুয়াখালী জেলা, খুলনা জেলার সাতক্ষীরা-যশাের রাস্তা পর্যন্ত
সারণী ৪৬ : সেক্টর – ১১ : সদর দপ্তর – মহেন্দ্রগঞ্জ : গঠনের তারিখ–১২ জুলাই ‘৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
আবু তাহের | ৬৭৯ | লে. কর্নেল | সেক্টর অধিনায়ক | সদর দপ্তর (১৪.১১.৭১ পর্যন্ত) |
আব্দুল আজিজ ** | ৭১৫ | ক্যাপ্টেন | ভারপ্রাপ্ত অফিসার | সদর দপ্তর (১৫.১২.৭১ পর্যন্ত) |
হামিদুল্লাহ খান ** | ৭৮৮ | ফ্লা. লে. | ভারপ্রাপ্ত অফিসার | ময়মনসিংহ ১৬.১২.৭১ হতে |
আব্দুল মান্নান | ৭৫৬ | লে. | এ্যাডজুটেন্ট | সদর দপ্তর |
মােহাম্মদ আলী | ১২৫১ | প্রকৌশলী | স্টাফ অফিসার | সদর দপ্তর |
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ | ১৩১৪ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
তাহেরুল ইসলাম | ২০৭ | এম.এন.এ. | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সেক্টর এলাকা |
লতিফ মির্জা | ৪৮৪ | রাজনীতিবিদ | রাজনৈতিক সমন্বয়কারী | সিরাজগঞ্জ অঞ্চল |
হামিদুল্লাহ খান | ৭৮৮ | ফ্লা. লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মানকারচর |
আব্দুল আজিজ | ৭১৬ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মহেন্দ্রগঞ্জ |
আবুল হাসেম | – | – | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | পুরাখাসিয়া |
সৈয়দ কামাল উদ্দিন | ৯১৫ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | ঢালু |
মতিউর রহমান | ৭১৯ | ক্যাপ্টেন | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | মহেশখােলা |
আসাদুজ্জামান | ৮৯২ | লে. | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | বাগমারা |
কাদের সিদ্দিকী | ১৪৬৫ | ছাত্রনেতা | অধিনায়ক সাব-সেক্টর | টাঙ্গাইল |
খায়রুল আলম | ৮১০ | লে. | সাব-সেক্টর | মহেন্দ্রগঞ্জ |
তাহের আহমেদ | ৮৮১ | লে. | সাব-সেক্টর | ঢালু |
শামছুল আলম | ৮৮৭ | লে. | – | – |
মিজানুর রহমান মিয়া | ৮৮০ | লে. | – | – |
ফজলুল হক * | ৯৪৫ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. | – |
আকতারুজ্জামান * | ৯৬৮ | অফিসার ক্যাডেট | এম.এফ. | – |
সেক্টর এলাকা ঃ টাঙ্গাইল জেলা ও ময়মনসিংহ জেলা (কিশােরগঞ্জ মহকুমা বাদে)।
সারণী ৪৭ : জেড. ফোর্স : ব্রিগেড সদর দপ্তর—তেলঢালা : গঠনের তারিখ–৭ জুলাই ‘৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
জিয়াউর রহমান | ৬৭২ | লে. কর্নেল | ব্রিগেড অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
অলী আহমেদ | ৭২৩ | ক্যাপ্টেন | বি.এম. | সদর দপ্তর |
সাদেক হােসেন | ৭২৫ | ক্যাপ্টেন | ডি-কিউ | সদর দপ্তর |
আব্দুল হালিম | ৭৩০ | ক্যাপ্টেন | সিগন্যাল অফিসার | সদর দপ্তর |
আব্দুল হাই মিয়া | ১২৯৯ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
ক. ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (আমবাসিয়া) | ||||
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ | ৭৩৬ | ক্যাপ্টেন | ভারপ্রাপ্ত অফিসার | মার্চ-জুলাই ‘৭১ |
মঈনুল হােসেন চৌধুরী | ৬৮৩ | মেজর | অধিনায়ক | জুলাই-আগস্ট ‘৭১ |
জিয়াউদ্দিন | ৬৯৭ | মেজর | অধিনায়ক | আগস্ট ডিসেম্বর |
লিয়াকত আলী খান | ৭৯৪ | ফ্লা. লে. | এ্যাডজুটেন্ট | সদর দপ্তর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) |
মুজিবর রহমান ফকির | ১২৮৯ | লে. | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
মাহাবুবুর রহমান | ৭১৭ | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | এ- কোম্পানী (শহীদ ৮.১২.৭১) |
লিয়াকত আলী খান | ৭৯৪ | ফ্লা. লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | এ- কোম্পানী |
হাফিজউদ্দিন আহমেদ | ৭৩৬ | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | বি- কোম্পানী |
আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী | ৭৬১ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | সি- কোম্পানী ১ম |
এস.এইচ.বি. নূর চৌধুরী | ৭৪০ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | সি- কোম্পানী ২য় |
সালাউদ্দিন মমতাজ | ৭৩৪ | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | ডি- কোম্পানী (শহীদ ৩১.৭.৭১পর্যন্ত) |
বজলুল গণি পাটোয়ারী | ৭১৩ | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | ডি -কোম্পানী |
ওয়াকার হাসান | ৮১৪ | লে. | কোম্পানী অফিসার | এ- কোম্পানী |
আনিসুর রহমান | ৮৪১ | লে. | কোম্পানী অফিসার | – |
খ. ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (ছাতক অঞ্চল) | ||||
আনােয়ার হােসেন | ৭২৮ | ক্যাপ্টেন | ভারপ্রাপ্ত অফিসার | মার্চ – জুন ৭১ |
শাফায়েত জামিল | ৬৮২ | অধিনায়ক | জুলাই-ডিসেম্বর ‘৭১ | |
ওয়াছিউদ্দিন | ১৩১৫ | চিকিৎসক | মেডিক্যাল অফিসার | সদর দপ্তর |
আনােয়ার হােসেন | ৭২৮ | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | এ- কোম্পানী |
আকবর হােসেন | ৭০২ | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | বি- কোম্পানী |
মহসীন উদ্দিন আহমেদ | ৬৯০ | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | সি- কোম্পানী |
এস. আই. বি. নূরুন্নবী খান | ৭৫৩ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | ডি -কোম্পানী |
মঞ্জুর আহমেদ | ৮৮৪ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | এম.এফ. কোম্পানী |
ফজলে হোসেন | ৮০৪ | লে. | কোম্পানী অফিসার | – |
গ. ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (সিলেট অঞ্চল) | ||||
এ.জে.এম. আমিনুল হক | ৬৮৭ | মেজর | অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
খালেকুজ্জামান চৌধুরী | ৬৯৪ | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | এ- কোম্পানী |
আমিন আহমেদ চৌধুরী | ৭০৮ | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | বি- কোম্পানী (আহত ৩.৮.৭১) |
সাদেক হােসেন | ৭২৫ | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | বি- কোম্পানী (৫.৮.৭১ থেকে) |
মােদান্সের হােসেন খান | ৭৭০ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | সি- কোম্পানী |
মাহাবুবুল আলম | ৭৬৯ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | ডি – কোম্পানী |
ইমদাদুল হক | ৭৬৮ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | কোম্পানী (শহীদ) |
অলিউল ইসলাম | ৯১২ | লে. | কোম্পানী অফিসার | – |
মুনিবুর রহমান | ৮৬৭ | লে. | কোম্পানী অফিসার | – |
কে. এম. আবু বকর | ৮৭৮ | লে. | কোম্পানী অফিসার | – |
ঘ. ২য় ফিল্ড ব্যাটারী আর্টিলারী | ||||
খন্দকার আব্দুর রশীদ | ৭১২ | মেজর | ভারপ্রাপ্ত অফিসার | – |
রাশেদ চৌধুরী | ৭৩৯ | ক্যাপ্টেন | অফিসার | – |
সাজ্জাদ আলী জহির | ৭৬৭ | লে. | অফিসার | – |
ঙ. জেড. ফোর্স সিগন্যাল কোম্পানী | ||||
আব্দুল হালিম | ৭৩০ | ক্যাপ্টেন | ভারপ্রাপ্ত অফিসার | – |
এই ইউনিট পরবতীতে ১০১ সিগন্যাল কোম্পানী হিসেবে সংগঠিত হয়।
সারণী ৪৮ :কে. ফোর্স : ব্রিগেড সদর দপ্তর – আগরতলা : গঠনের তারিখ – ১৪ অক্টোবর ‘৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
খালেদ মােশাররফ | ৬৭৫ | লে: কর্নেল | ব্রিগেড অধিনায়ক | সদর দপ্তর
আহত ২১.১০.৭১ |
সালেক চৌধুরী ** | ৬৯৫ | মেজর | ভারপ্রাপ্ত অফিসার | সদর দপ্তর অক্টোবর-ডিসেম্বর |
আব্দুল মতিন | ৬৮৪ | মেজর | বি.এম. | সদর দপ্তর |
আব্দুল খালেক মােল্লা | ৭৫৪ | ক্যাপ্টেন | ডি. কিউ. | সদর দপ্তর |
শহিদুল ইসলাম | ৭২৪ | ক্যাপ্টেন | সিগন্যাল অফিসার | সদর দপ্তর |
আখতার আহমেদ | ১২৮৩ | ক্যাপ্টেন | মেডিক্যাল অফিসার | সদর দপ্তর |
ক. ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট : সদর দপ্তর–কোনাবন | ||||
আব্দুল গফফার হালাদার | ৭৩২ | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
এ. কে. ফজলুল কবির | ৭৫৫ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
মমতাজ হাসান | ৮৭৫ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | এ- কোম্পানী |
ফজলুর রহমান | ৮৯৫ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | বি- কোম্পানী |
মােস্তাফা কামাল হাসমি | ৮৭৩ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | সি- কোম্পানী |
জামিল উদ্দিন আহসান | ৮৯৯ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | ডি – কোম্পানী |
খ. ৯ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট : সদর দপ্তর–কসবা | ||||
এম. আইন উদ্দিন | ৬৯৯ | মেজর | অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
ফরহান উদ্দিন | ১৩০২ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
হারুনুর রশীদ | ৭৫৮ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | এ- কোম্পানী |
আশরাফ হােসেন | ৭১৮ | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | বি- কোম্পানী |
খন্দকার আজিজুল ইসলাম | ৯১৮ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | সি- কোম্পানী (শহীদ) |
শাহারিয়র হুদা | ৭৯০ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | ডি – কোম্পানী |
গ. ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট : সদর দপ্তর–রাজনগর | ||||
জাফর ইমাম | ৭২১ | মেজর | অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
শহিদুল ইসলাম | ৭২৪ | ক্যাপ্টেন | সহ-অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
ইসরারুল হক | ১২৯২ | চিকিৎসক | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
ইমামুজ্জামান | ৭৫৯ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | এ- কোম্পানী |
সৈয়দ মিজানুর রহমান | ৮৬৪ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | বি- কোম্পানী |
দীদার আতােয়ার হােসেন | ৮৬৩ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | সি- কোম্পানী |
মােখলেসুর রহমান | ৭৩৮ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | ডি – কোম্পানী |
ঘ. ১ম মুজিব ব্যাটারী আর্টিলারী | ||||
আব্দুল আজিজ পাশা | ৭২২ | ক্যাপ্টেন | ভারপ্রাপ্ত অফিসার | – |
আনােয়ারুল আলম | ৭২০ | ক্যাপ্টেন | অফিসার | – |
বজলুল হুদা | ৭৬২ | লে. | অফিসার | – |
ঙ. কে. ফোর্স, সিগন্যাল কোম্পানী | ||||
শহিদুল ইসলাম | ৭২৪ | ক্যাপ্টেন | ভারপ্রাপ্ত অফিসার | অতিরিক্ত দায়িত্ব |
এই ইউনিট পরবর্তীতে ১০২ সিগন্যাল কোম্পানী হিসেবে সংগঠিত হয়।
সারণী ৪৯ : এস. ফোর্স : ব্রিগেড সদর দপ্তর–হাজামারা : গঠনের তারিখ– সেপ্টেম্বর ‘৭১
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
কে. এম. শফিউল্লাহ | ৬৭৩ | লে. কর্নেল | ব্রিগেড অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
আজিজুর রহমান | ৭২৬ | ক্যাপ্টেন | বি.এম. | সদর দপ্তর |
আবুল হােসেন | ৭৪৮ | ক্যাপ্টেন | ডি.কিউ. | সদর দপ্তর |
আব্দুর রউফ | ৭৯১ | ফ্লা. লে. | সিগন্যাল অফিসার | সদর দপ্তর |
মােকতার কামাল চৌধুরী | ১২৯৪ | ক্যাপ্টেন | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
ক. ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট | ||||
মইনুল হােসেন চৌধুরী | ৬৮৩ | মেজর | অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
সাঈদ আহমেদ | ৮৬২ | লে. | এ্যাডজুটেন্ট | সদর দপ্তর |
আবুল হােসেন | ১২৮৭ | লে. | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
মতিউর রহমান | ৭০৫ | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | এ- কোম্পানী |
আই এফ. বদিউজ্জামান | ৭৬৫ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | বি- কোম্পানী (শহীদ ৫.১১.৭১) |
সেলিম কামরুল হাসান | ৯১৭ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | বি- কোম্পানী (শহীদ জানুয়ারী ’৭২) |
সৈয়দ মােহাম্মদ ইব্রাহিম | ৭৫৭ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | সি- কোম্পানী |
গােলাম হেলাল মাের্শেদ খান | ৭৪৬ | ক্যাপ্টেন | কোম্পানী অধিনায়ক | ডি – কোম্পানী |
আনিসুল হাসান | ৮৮৬ | লে. | কোম্পানী অফিসার | এ- কোম্পানী |
খ. ১১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, সদর দপ্তর– মুকুন্দপুর | ||||
এ.এস.এম. নাছিম | ৬৯১ | মেজর | অধিনায়ক | সদর দপ্তর
(আহত) |
আব্দুল মতিন | ৭০৪ | মেজর | অধিনায়ক | সদর দপ্তর |
মঈন উদ্দিন আহমেদ | ১৩১৪ | ক্যাপ্টেন | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
আব্দুর রহমান | ১২৯৫ | লে. | মেডিকেল অফিসার | সদর দপ্তর |
শামছুল হুদা বাচ্চু | ৯০৮ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | এ- কোম্পানী |
সুবিদ আলী ভূঁইয়া | ৮৭১ | মেজর | কোম্পানী অধিনায়ক | বি- কোম্পানী |
নজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া | ৭০৭ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | সি- কোম্পানী |
নাছির উদ্দিন | ৭৬০ | লে. | কোম্পানী অধিনায়ক | ডি – কোম্পানী |
আবুল হােসেন | ৮৮৩ | লে. | কোম্পানী অফিসার | – |
গ. এস. ফোর্স সিগন্যাল কোম্পানী (হাজামারা) | ||||
আব্দুর রউফ | ৭১১ | ফ্লা. লে. | ভারপ্রাপ্ত অফিসার | সদর দপ্তর |
এই ইউনিট পরবর্তীতে ১০৩ সিগন্যাল কোম্পানী হিসেবে সংগঠিত হয়।
* যুদ্ধ এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে সামরিক একাডেমীতে গমন।
** সদর দপ্তর থেকে নিয়ােগ প্রাপ্ত নন, স্থানীয় অফিসাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দায়িত্ব গ্রহণ।
যুব প্রশিক্ষণ শিবির
মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণেচ্ছু ব্যক্তিদের সুষ্ঠুভাবে সামরিক প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার জুন মাসের মাঝামাঝি ‘যুব শিবির নিয়ন্ত্রণ পরিষদ’ গঠন করে।
বাংলাদেশের সীমান্ত বরাবর ভারতীয় ভূখণ্ডে কমবেশী ১১০ টি অভ্যর্থনা শিবির গড়ে তােলা হয়। এই শিবিরগুলােতে বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের প্রাথমিক আশ্রয় দেয়া হতাে এবং তাদের নির্দিষ্ট শিবিরে পৌছানাের ব্যবস্থা করা হতাে। একই সঙ্গে শরণার্থীদের মধ্য থেকে যুবক ও ছাত্র বাছাই করে যুব শিবির নিয়ন্ত্রণ পরিষদের কর্মকর্তারা তাদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রেরণের ব্যবস্থা করতেন। আগস্টের শেষদিকে মােটামুটিভাবে উপযুক্ত স্থান নির্বাচনের মাধ্যমে যুব প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তােলা হতে থাকে। সেনা, ই. পি. আর. ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে প্রশিক্ষক দল গঠন করে পূর্ণ মাত্রায় সামরিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা প্রদান করা হয়। এই শিবির পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রয়ােজনীয় নির্দেশ পত্র জারী করেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষাবধি যুব প্রশিক্ষণ শিবিরের সংখ্যা পঁয়ত্রিশে দাঁড়ায়। এখানে প্রায় আশি হাজার ছাত্র ও যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রেরণ করা হয়।
অবশ্য বাংলাদেশ সরকারের হিসাবমতে ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ৮০ হাজার মুক্তিযােদ্ধাসহ কমবেশী ১,৫০,০০০ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) সশস্ত্র মুক্তিযােদ্ধা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।
সারণী ৫০ : যুব নিয়ন্ত্রণ পরিষদ ও প্রশিক্ষণ বাের্ড
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি/পদ | মন্তব্য |
অধ্যাপক ইউসুফ আলী | ১৬ | সংসদ সদস্য | চেয়ারম্যান | কেন্দ্রীয় কমিটি |
ড. মফিজ চৌধুরী | ১৯ | সংসদ সদস্য | সদস্য | কেন্দ্রীয় কমিটি |
গৌরচন্দ্র বালা | ২০৩ | সংসদ সদস্য | সদস্য | কেন্দ্রীয় কমিটি |
নূরুল কাদের খান | ৫০৪ | সি.এস.পি, (অতিরিক্ত দায়িত্ব) | মহাপরিচালক | কেন্দ্রীয় কমিটি |
এস. আর. মির্জা | ৮৪৬ | বিমান বাহিনী | পরিচালক | সদর দপ্তর |
অধ্যাপক নূরুল ইসলাম | – | – | পরিচালক | সদর দপ্তর |
ড. আবু ইউসুফ | – | পরিচালক | সদর দপ্তর | |
ড. এ. এ. কোরায়েশী | – | পরিচালক | উত্তর অঞ্চল | |
এম. বকিত উল্লাহ | ৬২৪ | অধ্যক্ষ | পরিচালক | পশ্চিম অঞ্চল-১ |
এম. করিম উদ্দিন আহমেদ | ৬২৫ | সহ-অধ্যক্ষ | পরিচালক | পশ্চিম অঞ্চল-২ |
আহমেদ রেজা | ৮৪৩ | বিমান বাহিনী | পরিচালক | সদর দপ্তর |
নূর মােহাম্মদ চৌধুরী | ১২৬৯ | নির্বাহী প্রকৌশলী | সহকারী পরিচালক | পশ্চিম অঞ্চল |
আবদুস সামাদ | ৪৮১ | আইনজীবী | সহকারী পরিচালক | পশ্চিম অঞ্চল |
জেমস বসু | – | – | কর্মকর্তা | কেন্দ্রীয় কার্যালয় |
সারণী ৫১ : স্বাধীনতা যুদ্ধে যুব প্রশিক্ষণ শিবিরসমূহ
পদবী | নাম |
১. বড়মােড়া যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | মােঃ জালালউদ্দিন আহমেদ, এম. পি.এ. |
খ. সহকারী প্রধান | রাজা মিয়া, এম. পি.এ. |
গ. সুপারভাইজার | এ. চৌধুরী |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | এম. এ. হামিদ |
চ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | বেলায়েত হােসেন |
ছ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | এম. এ. মজিদ |
জ. চিকিৎসক | ডাক্তার মাহবুবুল আলম |
ঝ. সহকারী চিকিৎসক | শহীদুল্লাহ |
২. চোত্তাখােলা যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | খাজা আহমেদ, এম. এন. এ. |
খ. সহকারী প্রধান | এ. বি. এম. তালেব আলী, এম. এন. এ. |
গ. সুপারভাইজার | নূরুল হুদা |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | মিজানুর রহমান |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | মাহাবুবুল আলম |
চ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | আব্দুর রহমান |
ছ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | সিরাজ উদ্দিন আহমেদ |
জ.শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | সিদ্দিক আহমেদ |
ঝ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | সাইফুল্লাহ |
ঞ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | এস. আই. আজিজুর রহমান |
ট. ছাত্র প্রতিনিধি | হাফিজ আহমেদ |
ঠ. চিকিৎসক | জুলফিকার ইসলাম |
ড. মােট শিক্ষার্থী | ৪০০ জন |
৩. বারানগর যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | অধ্যাপক আব্দুর রউফ |
খ. সহকারী প্রধান | অধ্যাপক ইউসুফ |
গ. সুপারভাইজার | আব্দুল হাকিম |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | সৈয়দ মতিউল ইসলাম ভূঁইয়া |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | আব্দুল আউয়াল |
চ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | আব্দুর রাজ্জাক |
ছ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | অধ্যাপক আবুল হাসান |
জ. ছাত্র প্রতিনিধি | আব্দুল মজিদ চৌধুরী |
ঝ. চিকিৎসক | গােলাম মােস্তাফা |
ঞ. সহকারী চিকিৎসক | সিকান্দার হায়াত |
ট. মােট শিক্ষার্থী | ১০০০ জন |
৪. হরিণা যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | এম. এ. মান্নান |
খ. সহকারী প্রধান | মােশাররফ হােসেন, এম. এন. এ. |
গ. সুপারভাইজার | জিতেন্দ্র প্রসাদ নাথ |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | আজিজুল হক চৌধুরী |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | অধ্যাপক নূর মােহাম্মদ |
চ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | অধ্যাপক নূরুল আফসার |
ছ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন |
জ. ছাত্র প্রতিনিধি | আবু মােহাম্মদ হাশেম |
ঝ. চিকিৎসক | একলাস উদ্দিন |
ঞ. সহকারী চিকিৎসক | মােঃ হামিদুল্লাহ |
ট. মােট শিক্ষার্থী | ১০০০ জন |
৫. উদয়পুর যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | ক্যাপ্টেন এম এস আলী, এম. এন. এ. |
খ. সহকারী প্রধান | আবদুল্লাহ আল-হারুন, এম. এন. এ |
গ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | অধ্যাপক মিহির কুমার দত্ত |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | অধ্যক্ষ গােপাল চন্দ্র দাস |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | অধ্যাপক রেজা-উল- রসুল চৌধুরী |
চ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | আব্দুল বারী খান |
ছ. চিকিৎসক | এস. এল. দে |
জ. মােট শিক্ষার্থী | ১৫০০ জন |
৬. হাপানিয়া যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | আলী আজম, এম. এন. এ. |
খ. সহ-শিবির প্রধান | আজিজুল হক |
গ. সুপারভাইজার | নাগির হােসেন |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | অধ্যাপক হারুনুর রশীদ |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | গােলাম নূর |
চ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | সিরাজ উদ্দিন |
ছ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | ইয়াকত আলী |
জ. মােট শিক্ষার্থী | ৭০০ জন |
৭. দুর্গা চৌধুরী পাড়া যুব শিবির (বিজনা) | |
ক. শিবির প্রধান | সৈয়দ ইমদাদুল বারী, এম. পি. এ. |
খ. সহ-শিবির প্রধান | লুলু মিয়া |
গ. সুপারভাইজার | আব্দুর রউফ |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | সামসুল হুদা |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | দেওয়ান খান খাদেম |
চ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | সরােয়ার জাহান |
ছ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া |
জ. মােট শিক্ষার্থী | ৫০০ জন |
৮. হাসানিয়া যুব শিবির (তিতাস) | |
ক. শিবির প্রধান | কাজী আফসার উদ্দিন আহমেদ, এম. পি. এ. |
খ. সহ-শিবির প্রধান | আব্দুল হালিম |
গ. সুপারভাইজার | হাবিবুর রহমান |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | রনজিৎ চন্দ্র সাহা |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | মােঃ ইসহাক |
চ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | বাচ্চু সরকার |
ছ. ছাত্র প্রতিনিধি | মােঃ ইদ্রিস |
জ. চিকিৎসক | শান্তিরঞ্জন সাহা |
ঝ. চিকিৎসক | আমজাদ হােসেন |
ঞ. সহকারী চিকিৎসক | বিল্লাহ মঙ্গল ভৌমিক |
ট. মােট শিক্ষার্থী | ৮০০ জন |
৯. হাফানিয়া যুব শিবির (ব্রহ্মপুত্র) | |
ক. শিবির প্রধান | আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া, এম. এন. এ. |
খ. সহ-শিবির প্রধান | কুতুবুদ্দিন |
গ. সুপারভাইজার | আব্দুল বারী |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | আবু বকর |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | সিদ্দিকুর রহমান |
চ. মােট শিক্ষার্থী | ৪০০ জন |
১০. হাপানিয়া যুব শিবির (যমুনা) | |
ক. শিবির প্রধান | শরিফ উদ্দিন আহমেদ, এম. পি. এ. |
খ. সহ-শিবির প্রধান | সাইদুর রহমান |
গ. সুপারভাইজার | আব্দুস সাত্তার |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | মুনীর উদ্দিন |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | অধ্যাপক গৌরাঙ্গ প্রসাদ |
চ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | সিদ্দিকুর রহমান |
ছ. ছাত্র প্রতিনিধি | শহিদুল ইসলাম |
জ. চিকিৎসক | আবদুস সামাদ |
ঝ. চিকিৎসক | হরি প্রসাদ দাস |
ঞ. মােট শিক্ষার্থী | ৪৫০ জন |
১১. দুগা চৌধুরী পাড়া যুব শিবির (ইছামতি) | |
ক. শিবির প্রধান | জালাল উদ্দিন আহমেদ, এম, পি, এ. |
খ. সহ-শিবির প্রধান | সুভাষ চন্দ্র দাস |
গ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | ডি. এ. কাইয়ুম |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | মােঃ আলী |
ঙ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | এ কে এম সালাউদ্দিন |
চ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | সুনীল চন্দ্র দেব |
ছ. ছাত্র প্রতিনিধি | দেওয়ান মােঃ ইব্রাহিম |
জ. মােট শিক্ষার্থী | ৪৫০ জন |
১২. দুগা চৌধুরী পাড়া যুব শিবির (গােমতী–২) | |
ক. শিবির প্রধান | আমির হােসেন, এম. পি. এ. |
খ. সহ-শিবির প্রধান | হিরন্ময় দত্ত |
গ. সুপারভাইজার | সৈয়দ আব্দুল কাফী |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | শামসুদ্দিন আহমেদ |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | শামসুর রউফ |
চ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | আফজাল খান |
ছ. শরীর চর্চা শিক্ষক | ফিরােজ আহমেদ |
জ. ছাত্র প্রতিনিধি | সিদ্দিকুর রহমান |
ঝ. মােট শিক্ষার্থী | ৬০০ জন |
১৩. নরসিংগড় যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | দেওয়ান আবুল আব্বাস, এম. এন. এ. |
খ. সুপারভাইজার | শামসুল হক |
গ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | অধ্যক্ষ আবু মাহমুদ |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | কাজী নূরুল হক |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | এস এম ভূঁইয়া |
চ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | জয়নুল আবেদিন |
ছ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | ফিরােজ আহমেদ সরকার |
জ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | এম. আর. বাতেন |
ঝ. ছাত্র প্রতিনিধি | রফিকুল হক |
ঞ. চিকিৎসক | মতিন ভূঁইয়া |
ট. সহ-চিকিৎসক | এম. আর. চৌধুরী |
ঠ. মােট শিক্ষার্থী | ৮০০ জন |
১৪. হাতিমারা যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | আবুল বাশার |
খ. সহ-শিবির প্রধান | মাহমুদ হাসান |
গ. সুপারভাইজার | আলী তাহের মজুমদার |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | জহিরুল হক চৌধুরী |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | আজগর হােসেন |
চ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | আব্দুল মান্নান |
ছ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | আব্দুল মালেক |
জ. ছাত্র প্রতিনিধি | ইমাম আবু জাহিদ আলিম |
ঝ. চিকিৎসক | লুৎফুল কবির |
ঞ. সহ-চিকিৎসক | আনিসুজ্জামান |
ট. মােট শিক্ষার্থী | ১০০০ জন |
১৫. রাজনগর যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | মােঃ হানিফ, এম. এন. এ. |
খ. সহ-শিবির প্রধান | বিসমিল্লাহ, এম. পি.এ. |
গ. সুপারভাইজার | ফারুক হােসেন চৌধুরী |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | আবুল কাশেম চৌধুরী |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | আব্দুল হক চৌধুরী |
চ. ছাত্র প্রতিনিধি | মােঃ শাহজাহান |
ছ. চিকিৎসক | কে. ইমরুল হক |
জ. মােট শিক্ষার্থী | ১০০০ জন |
১৬. কৈলেশ্বর যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | মানিক চৌধুরী, এম. এন. এ. |
খ. সহ-শিবির প্রধান | তৈয়েবুর রহমান, এম. পি.এ. |
গ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | অধ্যাপক ফয়েজুর রহমান |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | গিয়াস উদ্দিন মনীর |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | মুজিবুর রহমান |
চ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | সিকান্দার আলী |
ছ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | আব্দুল গফুর |
জ. ছাত্র প্রতিনিধি | আব্দুল ওয়াদুদ |
ঝ. মােট শিক্ষার্থী | ৩০০ জন |
১৭. করিমগঞ্জ যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | আব্দুল মােমিন |
খ. সহ-শিবির প্রধান | তােজাম্মেল আলী |
গ. সুপারভাইজার | আব্দুল জব্বার |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | পরিষদ কুমার পাল |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | আফসার মিয়া |
চ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | আব্দুল করিম চৌধুরী |
ছ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | আব্দুল হক |
জ. ছাত্র প্রতিনিধি | এ. খালেক চৌধুরী |
ঝ. চিকিৎসক | মােকাদ্দেস আলী |
ঞ. মােট শিক্ষার্থী | ৫০০ জন |
১৮. শিলচর যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | সাইয়েদুর রহমান চৌধুরী |
খ. সহ-শিবির প্রধান | অধ্যাপক মােহাম্মদ চৌধুরী |
গ. সুপারভাইজার | গােপাল চন্দ্র দে |
ঘ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | মােঃ সাইফুল্লাহ |
ঙ. ছাত্র প্রতিনিধি | দুলাল চন্দ্র চৌধুরী |
চ. মােট শিক্ষার্থী | ৪৫০ জন |
১৯. শ্রীনগর যুব শিবির | |
ক. শিবির প্রধান | খয়েরুদ্দিন আহমেদ, এম. পি. এ. |
খ. সহ-শিবির প্রধান | মির্জা ফিরােজ আহমেদ |
গ. সুপারভাইজার | মােহাম্মদ মােস্তাফা |
ঘ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | মােশাররফ হােসেন |
ঙ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | আলী আহমেদ মাস্টার |
চ. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক | মােজাফফর আহমেদ |
ছ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | খােরশেদ আলম |
জ. শরীর চর্চা প্রশিক্ষক | ইমদাদ আহমেদ |
ঝ. ছাত্র প্রতিনিধি | দিলীপ কুমার চৌধুরী |
ঞ. সহকারী চিকিৎসক | মােঃ মুজিবুল হক |
ট. মােট শিক্ষার্থী | ৬০০ জন |
বাংলাদেশ হাসপাতাল
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ‘বাংলাদেশ হাসপাতাল’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আহত মুক্তিযােদ্ধাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়ােজনে এই হাসপাতাল ২ নং সেক্টরে গড়ে তােলা হয়।
১০ই মে ‘৭১ আগরতলাস্থ সােনামুড়া বন বিভাগের বিশ্রামাগারে ক্যাপ্টেন আখতার আহমেদের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিকভাবে এই হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। এর নাম দেয়া হয় ‘বাংলাদেশ ফোর্সেস হাসপাতাল’। ভারতীয় বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শ্রী নরেশ ভট্টাচার্য এই হাসপাতাল সংগঠনে প্রচুর সাহায্য করেন।
প্রথম পর্যায়ে মে মাস নাগাদ সীমান্ত সংলগ্ন কুমিল্লার নয়া বাজারস্থ পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এই হাসপাতালের জন্য প্রয়ােজনীয় চিকিৎসার যন্ত্রপাতি কৌশলে সংগ্রহ করা হয়।
পৃষ্ঠাঃ ৭৫
এই সময় ক্যাপ্টেন আখতারের স্ত্রী খুকু আহমেদ, সাঈদা কামাল, সুলতানা কামাল, মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ডালিয়া, শামসুদ্দিন ও এ. কিউ. এম. মাহমুদ এই হাসপাতালে যােগদান করেন।
হাসপাতালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ২৭শে জুলাই ‘৭১ এই হাসপাতালটিকে সীমান্ত থেকে অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী এলাকা আগরতলার দারােগা বাগিচায় স্থানান্তরিত করা হয়।
আগস্ট মাসে সেক্টর অধিনায়ক লে. কর্নেল খালেদ মােশাররফের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকার এই হাসপাতালটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট হন এবং প্রাথমিকভাবে পঞ্চাশ হাজার টাকা মঞ্জুরীসহ ৪জন প্রকৌশলীকে এই হাসপাতাল পুনর্গঠনে প্রেরণ করেন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ২৬শে আগস্ট ‘৭১ আগরতলার সন্নিকটে শ্রী হাবুল ব্যানার্জীর বাগানে এই হাসপাতাল পুনরায় স্থানান্তরিত করা হয় এবং বাঁশ ও চাটাই দিয়ে এর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। এই হাসপাতালে দুই শ শয্যার স্থান সংকুলান করা হয়েছিল। এই সময় এই হাসপাতালে লন্ডনে প্রশিক্ষণরত ডাক্তার জাফরউল্লা চৌধুরী, ডাক্তার মবিন ও চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়নরত বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী যােগদান করে হাসপাতালের কর্ম ক্ষমতা বাড়তে সক্ষম হন। তখন থেকে এই হাসপাতালটি ‘বাংলাদেশ হাসপাতাল’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
‘বাংলাদেশ হাসপাতাল’- এর পরিকল্পনা, পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য দপ্তর ও ভারতীয় রেডক্রস এবং বেগম সাজেদা চৌধুরী ও বেগম রাফিয়া আক্তার ডলির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত নার্সিং শিবিরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৬ জন সেবিকা উল্লেখযােগ্য ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও এই হাসপাতালের জন্য স্থানীয় সমাজসেবী শ্রী হাবুল ব্যানার্জী, আগরতলা জি. বি. হাসপাতালের চিকিৎসক জনৈক ডা. রায় চৌধুরী, শিক্ষা বিভাগের পরিচালক জনৈক ডা. চ্যাটার্জী ও ঐ বিভাগের উপ-পরিচালক শ্রী কে. পি. দত্তের সাহায্য ও সহযােগিতা বিশেষভাবে উল্লেখের দাবি রাখে।
সারণী ৫২ : বাংলাদেশ হাসপাতাল, আগরতলা
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | পদবী | নিযুক্তি | মন্তব্য |
খালেদ মােশাররফ | ৬৭৫ | লে. কর্নেল | অধিনায়ক সেক্টর২- | প্রধান সংগঠক |
আবুল হাসেম | – | – | – | – |
নূরুল হুদা | ১২৩৩ | প্রকৌশলী | তত্ত্বাবধায়ক | প্রকৌশল বিভাগ |
মাহাবুবুল আলম | ১২৩৪ | প্রকৌশলী | তত্ত্বাবধায়ক | প্রকৌশল বিভাগ |
তাজুল ইসলাম | ১২৩৫ | প্রকৌশলী | তত্ত্বাবধায়ক | প্রকৌশল বিভাগ |
শাহাবুদ্দীন ভূঁইয়া | ১২৩৬ | প্রকৌশলী | তত্ত্বাবধায়ক | প্রকৌশল বিভাগ |
হাফিজুল আলম | ১২৩৯ | প্রকৌশলী | প্রশাসনিক অফিসার | প্রশাসনিক বিভাগ |
সাদেকুর রহমান | ৬১৩ | ব্যাংক কর্মকর্তা | কর্মকর্তা | হিসাব বিভাগ |
শওকত আলী | – | সুবেদার মেজর | কর্মকর্তা | প্রশাসনিক বিভাগ |
আব্দুল মান্নান | – | সুবেদার | কর্মকর্তা | প্রশাসনিক বিভাগ |
আখতার আহমেদ | ১২৮৩ | ক্যাপ্টেন | সংগঠক চিকিৎসক | চিকিৎসা বিভাগ |
নাজিম উদ্দিন আহমেদ | ১২৮১ | চিকিৎসক | সংগঠক চিকিৎসক | চিকিৎসা বিভাগ |
জাফর উল্লাহ চৌধুরী | ১২৭৯ | চিকিৎসক | সংগঠক চিকিৎসক | চিকিৎসা বিভাগ |
এম. এ. মবিন | ১২৮০ | চিকিৎসক | সংগঠক চিকিৎসক | চিকিৎসা বিভাগ |
সেতারা বেগম | ১২৮২ | ক্যাপ্টেন | চিকিৎসক | চিকিৎসা বিভাগ |
এ.কে.এম শামসুদ্দীন | ১৩৩৯ | মেডিকেল ছাত্র | চিকিৎসক | চিকিৎসা বিভাগ |
এ.কিউ.এম. মাহমুদ | ১৩৪০ | মেডিকেল ছাত্র | চিকিৎসক | চিকিৎসা বিভাগ |
মােরশেদ চৌধুরী | ১৩৪১ | মেডিকেল ছাত্র | সহকারী চিকিৎসক | চিকিৎসা বিভাগ |
কিরণ চন্দ্র দেবনাথ | ১৩৪২ | মেডিকেল ছাত্র | সহকারী চিকিৎসক | চিকিৎসা বিভাগ |
লুৎফর রহমান | ১৩৪৩ | মেডিকেল ছাত্র | সহকারী চিকিৎসক | চিকিৎসা বিভাগ |
জুবায়ের | ১৩৪৪ | মেডিকেল ছাত্র | সহকারী চিকিৎসক | চিকিৎসা বিভাগ |
আবুল কাশেম | ১২৯৭ | মেডিকেল ছাত্র | সহকারী চিকিৎসক | দন্ত বিভাগ |
ডালিয়া সালাউদ্দিন | ১৮৫১ | মেডিকেল ছাত্রী | সহকারী চিকিৎসক | চিকিৎসা বিভাগ |
জাকিয়া খাতুন | ১৮৬৫ | শিক্ষিকা | সহকারী (প্রশাসনিক) | সেবা বিভাগ |
খুকু আহমেদ | ১৮৭৫ | গৃহিণী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
সাঈদা কামাল (টুলু) | ১৮৩৫ | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
সুলতানা কামাল (লুলু) | ১৮৩৮ | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
আসমা আলম | ১৮৭০ | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
রেশমা আলম | ১৮৭১ | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
অনুপমা দেবনাথ | ১৮৪৭ | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
মিনু বিল্লাহ | ১৮৪৯ | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
গীতা মজুমদার (চক্রবর্তী) | ১৮৮১ | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
ইরা কর | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
গীতা কর | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
নীলিমা (বৈদ্য) | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
পদ্মা রহমান | ১৮৮৮ | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
বাসনা | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
শেফালী | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
শােভা | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
লক্ষ্মী | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
অনিলা | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
যুথিকা | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
আলাে রাণী | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
আরতী | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
কল্পনা রাণী দেব | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
শ্যামা | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
অঞ্জলি | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
মধুমিতা | – | ছাত্রী | সহকারী | সেবা বিভাগ |
বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গেরিলা দল
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পাক সেনা ও সহযােগী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের উল্লেখযােগ্য গুরুত্বপূর্ণ শহর ও বন্দর এলাকায় অপারেশন চালানাের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গেরিলা বাহিনী গঠন করা হয়। এই বাহিনী গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য অফিস-আদালতের কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করা, বন্দর এলাকায় অচলাবস্থা সৃষ্টি করা, যােগাযােগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা, বিদ্যুৎ সংযােগ বিচ্ছিন্ন করা, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা ও জনমনে ভীতি সঞ্চার করে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলসহ বিদেশী সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই দলগুলাে উপরােক্ত লক্ষ্যে অত্যন্ত সার্থকভাবে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখে। এই সব দল কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলােতে সামগ্রিক অচলাবস্থা সৃষ্টিসহ নৌপথে বৈদেশিক যােগাযােগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত করতেও অনেকাংশে সক্ষম হয়। এই বাহিনীগুলােকে প্রধানত ২নং ও ১০নং সেক্টরের অধীনে সংগঠিত ও বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রয়ােজন অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় প্রেরণ করা হয়। বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য যে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় অচলাবস্থা সৃষ্টি করার জন্য ২নং সেক্টরের অধীনে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘ঢাকা গেরিলা বাহিনী’ গঠন করা হয়, যাদের মধ্যে ক্র্যাক প্লাটুন অন্যতম। ১০নং সেক্টরের অধীনে প্রধান সেনাপতির ‘বিশেষ বাহিনী’ ও ‘নৌ-কমান্ডাে’ সংগঠিত করা হয়। এই নৌ-কমান্ডােগণ বিভিন্ন সেক্টরের অধীনে অবস্থিত নদী বন্দর এলাকায় প্রায়শ আঘাত হেনে পাকিস্তানী নৌ-যােগাযােগ বাবস্থা অনেকাংশে অচল করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও সারা দেশব্যাপী এই সমস্ত অকুতােভয় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গেরিলা যােদ্ধারা সফলভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্ম সম্পাদনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। বৈদেশিক মিশন ও বার্তা সংস্থা তাঁদের এই সকল অপারেশনকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে প্রচার করে।
নৌ–কমান্ডাে
মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র অধ্যায়ের সাংগঠনিক পর্যায়ে যােগাযােগ ব্যবস্থার প্রধানতম মাধ্যম নৌ-বন্দরগুলাের কার্যকারিতা বন্ধ করার লক্ষ্যে নৌ-কমান্ডাে গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পাকিস্তান নৌবাহিনীর বেশ কিছু সংখ্যক নাবিক ফ্রান্স থেকে সপক্ষ ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলে বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে এই নৌ-কমান্ডাে গঠন ও প্রশিক্ষণ দানে নিয়ােজিত করেন। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ছাত্র ও যুবকদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই দল মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযােগ্য ভূমিকা রাখে।
২৭শে মে ‘৭১ ভারতের পলাশীতে ৮ জন নৌবাহিনীর নাবিকসহ ৩৫৭ জনের একটি দলের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এই প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের সহযােগিতা বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। প্রায় ৬০০ জন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নৌ-কমান্ডাে চট্টগ্রাম ও মংলা সামুদ্রিক বন্দরসহ নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, গােয়ালন্দ ও খুলনা নৌবন্দরের কর্মক্ষমতা হ্রাস করতে সক্ষম হয়।
পৃষ্ঠাঃ ৭৮
সারণী ৫৩ : বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নৌ–কমান্ডাে
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | যুদ্ধপূর্ব পদবী/পেশা |
মােঃ শাহজাহান সিদ্দিকী | ১৬০৯ | ছাত্র |
ফারুক-ই-আজম | ১৫৮৬ | ছাত্র |
খােরশেদ আলম | ১৬৫৬ | – |
নূরুল হক | ১৬৭৮ | ছাত্র |
ইমদাদ হােসেন | ১৫৩০ | ছাত্র |
এম. এস. মাওলা | ১৬৭৯ | – |
মতিউর রহমান | – | ছাত্র |
শাহজাহান কবির | ১৫৬৮ | ছাত্র |
মমিন উল্লা পাটোয়ারী | ১৫৬৯ | ছাত্র |
ডা. শাহ আলম | ১৫৭০ | ছাত্র |
মােজাহার উল্লাহ | ১৫৭১ | ছাত্র |
এইচ. এস. জিলানী | ১৬৫৭ | – |
সেলিম বাঙালী | ১৬৫৮ | – |
অনিল বরণ রায় | ১৫৩১ | ছাত্র |
রশীদ আহমেদ | ১৬৫৯ | – |
আব্দুর রহমান | ৬৬০ | – |
সালেহ আহমেদ | ১৬৬১ | – |
এম.এ. বাশার | ১৬৬২ | – |
মােহাম্মদ হােসেন (ফরিদ) | ১৫৭২ | চাকুরী |
বদিউল আলম শাহ | ১৬১০ | – |
আবু তাহের | ১৬৬৩ | – |
আবু তাহের খন্দকার | ১৬৬৪ | – |
বশীর উল্লাহ | ১৬৬৫ | – |
আব্দুস সামাদ, বি.এড. | ১৬১১ | – |
আব্দুর রহিম | ১৫৭১ | ছাত্র |
ফজলুল কবীর | ১৬১৩ | – |
জয়নাল আবেদীন (কাজল) | ১৫৭৩ | ছাত্র |
আবুল বাশার | ১৬১৪ | – |
দেলওয়ার হােসেন | ১৬১৫ | – |
সেলিম ভূঁইয়া | ১৬৪২ | – |
অলিউল্লা হাওলাদার | ১৬৪৩ | – |
বােরহান উদ্দিন আহমেদ | ১৫৭৪ | ছাত্র |
হাবিবুল হক (খােকন) | ১৫৩২ | ছাত্র |
মােশাররফ হােসেন | ১৬১৬ | – |
এমদাদুল হক | ১৬১৭ | ছাত্র |
সাজেদুল হক (চুন্নু) | ১৫৭৫ | ছাত্র |
সামছুদ্দিন (সামু) | ১৬৪৪ | – |
আব্দুল কাদির | ১৬৪৫ | – |
হেদায়েত উল্লাহ | ১৬৬৬ | – |
আব্দুল মজিদ | ১৬১৮ | – |
বাচ্চু মিয়া পাটোয়ারী | ১৬৮১ | – |
জসিমুদ্দিন | ১৫৭৬ | ছাত্র |
এমদাদ হােসেন মতিন | ১৫৭৭ | ছাত্র |
আবুল কাসেম | ১৬৪৬ | – |
মীর মােস্তাক হােসেন (রবি) | ১৫৭৮ | ছাত্র |
মতিউর রহমান | ১৬৮০ | – |
আজিজুল আলম | ১৫৩৩ | ছাত্র |
আবুল হােসেন | – | – |
বজলুর রহমান | ১৫৩৪ | ছাত্র |
আব্দুল খালেক | ১৬৮৩ | – |
শমসের আলী | ১৫৩৫ | ছাত্র |
রফিকুল ইসলাম | ১৬১৯ | – |
বশীর আহমেদ | ১৬৪৮ | – |
জহুরুল হক | ১৬৮৪ | – |
আব্দুর রহিম | ১৬১২ | – |
আবু বকর সিদ্দিকী | ১৬২০ | – |
কাজী মাহবুব আহমেদ | ১৬২১ | – |
অরুণ কুমার ভট্টাচার্য | ১৫৩৬ | ছাত্র |
গােলাম রব্বানী | ১৬৪৮ | – |
আব্দুস সাত্তার | ১৫৩৭ | – |
আব্দুল ওয়াহেদ | ১৬২২ | – |
ইলিয়াস খন্দকার | ১৬২৩ | – |
নজরুল ইসলাম | ১৬২৪ | – |
গােলাম কুদুস মজুমদার | ১৬২৫ | – |
ফররুখ আহমেদ | ১৬২৬ | – |
আবু মূসা চৌধুরী | ১৫৩৮ | ছাত্র |
তােফাজ্জেল হােসেন | ১৬৬৭ | – |
সালাউদ্দিন আহমেদ | ১৪৭১ | – |
রফিকুল ইসলাম (বাবলা) | ১৫৩৯ | – |
শ্যামল কুমার কর্মকার | ১৬৬৮ | – |
শাহজাহান | ১৬৬৯ | – |
দেওয়ান আবুল বাশার | ১৬২৭ | – |
নূরুল ইসলাম | ১৬২৮ | ছাত্র |
হাসান আলী | ১৬৭০ | – |
মাহবুবুর রহমান | ১৬৪৯ | – |
আলফাজ উদ্দিন | ১৫৪০ | ছাত্র |
মজিবর রহমান | ১৫৪১ | ছাত্র |
আব্দুল কুদ্স | ১৫৪২ | ছাত্র |
ডা. শেখ মাহফুজুল হক | ১৫৪৩ | ছাত্র |
বিধান চন্দ্র | ১৪৭৩ | – |
ইমদাদুল হক | ১৫৪৪ | ছাত্র |
এস. জসীম উদ্দিন | ১৬২৯ | – |
জি. এম. আব্দুর রশীদ | ১৫৪৫ | – |
মােহাম্মদ আলফাজ | ১৬৭১ | – |
খলুিলর রহমান | ১৫৪৬ | ছাত্র |
সত্যেন চন্দ্র | ১৪৭৪ | – |
বিশ্বনাথ কর্মকার | ১৫৪৭ | ছাত্র |
আব্দুর রাজ্জাক | ১৬৩১ | – |
জায়েদুল রসুল বাবু | ১৫৪৮ | ছাত্র |
মােহাম্মদ খসরু | ১৫৮০ | ছাত্র |
আমির হােসেন | ১৬৩২ | ছাত্র |
এস. এম. আলম | ১৬৫১ | – |
সিরাজুল ইসলাম | ১৫৮১ | ছাত্র |
ফজলুল হক | ১৬৫৩ | – |
মােস্তাফিজুর রহমান | ১৬৫৪ | – |
এস. এম. হােসেন | ১৬৫৫ | – |
আফতাব উদ্দিন | ১৫৪৯ | ছাত্র |
সিরাজুল ইসলাম | ১৬৫২ | – |
আব্দুল গফুর | ১৫৮২ | ছাত্র |
মােহাম্মদ আমজাদ হােসেন | ১৫৫০ | ছাত্র |
সেলিম (কোকিল) | ১৫৮৩ | ছাত্র |
শামসুল হক | ১৫৮৪ | ছাত্র |
অরুণ কুমার মুখার্জি | ১৪৮০ | – |
জহুরুল হক খােকা | ১৫০৮ | – |
শেখ মহসিন আলী | ১৫১৫ | – |
ক্র্যাক প্লাটুন
ঢাকা শহর ও তার চারপাশে পাক বাহিনীর ওপর চোরাগােপ্তা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আক্রমণের লক্ষ্যে বিশেষভাবে ট্রেনিংপ্রাপ্ত যে কয়টি গেরিলা দল তৈরি করা হয়, সেগুলাের মধ্যে ক্র্যাক প্লাটুন একটি। এই দল ২ নম্বর সেক্টরের বিচক্ষণ যােদ্ধা মেজর হায়দারের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে। শত্রুকে সর্বদা ভীত-সন্ত্রস্ত ও বিশ্রামহীন রাখা ও সংগ্রামী জনতার মনোবলকে দৃঢ় রাখবার জন্যই এই বাহিনী সৃষ্টি করা হয়।
এই বাহিনী সফলভাবে চোরাগােপ্তা আক্রমণের মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন অফিসআদালতসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়মিতভাবে বিঘ্নিত করে। যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করাসহ যােগাযােগ ব্যবস্থা নিয়মিতভাবে অকেজো করে দেয়। ক্র্যাক প্লাটুন সদস্যরা সফলভাবে ঢাকা ও ঢাকার চারপাশে বিভিন্ন যুদ্ধ পরিচালনা করে।
ক্র্যাক প্লাটুনের কয়েকটি উল্লেখযােগ্য অপারেশন :
১. হােটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে হ্যান্ড গ্রেনেড ও এক্সপ্লোসিভ চার্জ;
২. ৫ টি ১১ কেভি পাওয়ার স্টেশন আক্রমণ ও এক্সপ্লোসিভ চার্জ ;
৩. যাত্রাবাড়ী ব্রীজে এক্সপ্লোসিভ চার্জ;
৪. হামিদুল হক চৌধুরীর প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রীতে এক্সপ্লোসিভ চার্জ ;
৫. বিডিআর গেট/ ধানমণ্ডি আক্রমণ ;
৬. ভােগ দোকান ও কয়েকটি পেট্রোল পাম্পসহ বিভিন্ন স্থানে গ্রেনেড চার্জ ;
৭. ঢাকার সন্নিকটে মাদারটেক ও ত্রিমােহনীতে পাকিস্তান আর্মিকে হত্যা;
৮. বৈদ্যের বাজার ও রূপগঞ্জ থানা দখল এবং থানায় অবস্থানরত সমস্ত ইপি কাফ ও রাজাকারসহ পুলিশদের হত্যা। ২৬শে আগস্ট আড়াই হাজার থানা দখল এবং সাতজন পাক আর্মি ও ইপিকাফ হত্যা।
সারণী ৫৪ :ক্রাক প্লাটুন
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | যুদ্ধপূর্ব পদবী/পেশা |
হাবিবুল আলম | ১৫১৭ | ছাত্র |
জিয়া উদ্দিন আলী আহমেদ | ১৫১৮ | ছাত্র |
মােফাজ্জেল হােসেন (মায়া) | ১৫১৯ | ছাত্র |
কাজী কামাল উদ্দিন | ১৫২০ | ছাত্র |
কামরুল হক স্বপন | ১৫২১ | ছাত্র |
ফতেহ আলী চোধুরী | ১৫২২ | ছাত্র |
শাহাদাৎ চৌধুরী | – | – |
মাসুদ সাদেক (চুন্নু) | ১৫২৩ | চাকুরী |
আব্দুস সামাদ | ১৫২৪ | ব্যবসায়ী |
শহীদুল্লাহ খান বাদল | ১৫৫১ | ছাত্র |
আবু সাঈদ খান | ১৫৮৭ | কর্মকর্তা |
গােলাম দস্তগীর গাজী | ১৫৫২ | ছাত্র |
খালেদ | ১৫৮৯ | ছাত্র |
হানিফ | ১৫৮৮ | মেকানিক |
শফি ইমাম (রুমি) | ১৫২৫ | ছাত্র |
হালিম চৌধুরী (জুয়েল) | ১৫৫৩ | ছাত্র |
বদিউল আলম (বদি) | ১৫৯০ | ছাত্র |
আলতাফ মাহমুদ | ১৫৫৪ | বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার |
আব্দুল বাকের | ১৫৯১ | ছাত্র |
সেকেন্দার হায়াৎ | ১৫৯২ | ছাত্র |
আব্দুল হাফিজ | ১৫৯৩ | ছাত্র |
আজাদ | ১৬৩৪ | চাকুরী |
মােক্তার আহমেদ | ১৫৫৫ | ব্যবসায়ী |
মােহাম্মদ জিন্নাহ | ১৫৫৬ | ব্যবসায়ী |
নজরুল ইসলাম | ১৫৫৭ | ব্যবসায়ী |
হেলাল উদ্দিন | ১৫৫৮ | ব্যবসায়ী |
নীলু | ১৫৯৪ | ছাত্র |
পলু | ১৫৯৫ | ছাত্র |
সিরাজ | ১৬৩৫ | ছাত্র |
রুনু | ১৫৯৬ | ছাত্র |
ড. তারিক মাহফুজ | ১৫৫৯ | ছাত্র |
মজিবর রহমান | ১৫৯৭ | ছাত্র |
আব্দুর রশীদ | ১৫৯৮ | সর্দার |
নীলু-২ | ১৬৭২ | – |
কামাল | ১৬৩৬ | চাকুরী |
বকুল | ১৫৯৯ | ছাত্র |
এ.এফ. এম.এ. হ্যারিস | ১৫৬০ | ছাত্র |
হিউবার্ট এ. রােজারিও | ১৫২৬ | ছাত্র |
মানু | ১৫৬১ | ছাত্র |
ভুলু | ১৬৩৭ | ছাত্র |
উলফাত | ১৫৬২ | ছাত্র |
মাসরুর আলী খান | ১৫৬৩ | ছাত্র |
আতিক | ১৬০০ | ছাত্র |
ওয়াছেফ | ১৬৩৮ | ছাত্র |
মােহাম্মদ শহীদ (মওলানা) | ১৬০১ | ছাত্র |
মানিক | ১৫৬৪ | ছাত্র |
মাহফুজুর রহমান (আমান) | ১৬৩৯ | ছাত্র |
ড. শেলী | ১৬০২ | ছাত্র |
কাসেম আনসারী | ১৫৬৬ | ছাত্র |
টুলটুল | ১৬০৩ | ছাত্র |
হেলাল উদ্দিন | ১৫৫৮ | ব্যবসায়ী |
শরীফ | – | – |
কুদ্দুস | ১৬৪১ | ছাত্র |
ঢাকা গেরিলা (দক্ষিণ)
ঢাকা শহরে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ঢাকার দক্ষিণে অপর একটি গ্রুপ গঠিত হয়। ‘৭১ সালের ২৫শে মার্চ আজিমপুর এলাকার কিছু ছাত্র ও যুবক পাক বাহিনীর ওপর আক্রমণের জন্য বিশেষ ট্রেনিং গ্রহণ করে ঢাকায় তাদের যুদ্ধ কার্যক্রম শুরু করে। এই দলের দলপতি আদিলের নামেই এই বাহিনী পরিচিত ছিল। এই গ্রুপ ঢাকা শহরে সফলভাবে কিছু যুদ্ধ পরিচালনা করে।
আদিল গ্রুপের কয়েকটি উল্লেখযােগ্য অপারেশন:
১. ‘৭১-এর নভেম্বরের শেষের দিকে নিউ মার্কেটের কোণায় অবস্থিত পেট্রোল পাম্প উড়িয়ে দেয়া;
২. আর্মি রিক্রুটমেন্ট অফিসে গ্রেনেড চার্জ;
৩. পাকিস্তান টিভি ব্যক্তিত্ব ফজলে লােহানীর ওপর গ্রেনেড চার্জ।
সারণী ৫৫ : ঢাকা গেরিলা (দক্ষিণ)
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | যুদ্ধপূর্ব পদবী/পেশা |
আদিল খান (টুটুল) | ১৫২৮ | ছাত্র |
এস. এ. খুরশীদ রেজা (টুলু) | ১৫২৭ | ছাত্র |
সানি | ১৬০৪ | ছাত্র |
ফারুক | ১৬০৫ | ছাত্র |
মােঃ শামসুল আলম | – | – |
ডব্লিউ. আই. ভুইয়া | ১০৩৭ | সৈনিক পাকিস্তান নেভী |
মােঃ মুজিবুল হক | ১৪১৮ | কর্মকর্তা |
রবিন | ১৬০৬ | ছাত্র |
বারী | ১৬০৭ | ছাত্র |
মাসুদ | ১৬০৮ | ছাত্র |
জুবায়ের মঞ্জুর (তাপস) | ১৫২৯ | ছাত্র |
ঢাকা গেরিলা (উত্তর)
৭১-এর মার্চে পাক বাহিনীর অতর্কিত হামলায় ঢাকা শহরের কিছু ছাত্র-যুবক পশ্চিম দিনাজপুরের বালুঘাটে একত্র হয়। সেখানে তারা ৪৫ দিনের একটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। ইতিমধ্যে ২নং সেক্টরের সেক্টর প্রধান মেজর খালেদ মােশাররফ এদের কথা জানতে পারেন। ঢাকা শহরে বসবাসকারী বলে তিনি তাদেরকে তাঁর সেক্টরের অধীনে এনে আরও কিছু ঢাকাবাসী ছাত্র-যুবককে তাদের সঙ্গে দলভুক্ত করেন এবং ১৫ দিনের একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ দেন। অতঃপর এই বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ঢাকার উত্তরে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রেরণ করা হয়। ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই দলটি বিভিন্ন উল্লেখযােগ্য যুদ্ধ পরিচালনা করে এবং ঢাকার পাক বাহিনীকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে তােলে। ঢাকা গেরিলা (উত্তর) দলের কয়েকটি উল্লেখযােগ্য অপারেশন :
১. কাকরাইল মােড়ের পেট্রোল পাম্প ধ্বংস করা;
২. সিঙ্গাইর থানা এলাকার কাছাকাছি একটি গ্রামে অপারেশনের মাধ্যমে ১৪ জন পাক সেনার একটি খাদ্য বহনকারী দলকে হত্যা করা ;
৩. নভেম্বরের দিকে পল্টনে দুইটি পাক লরীর মাঝখানে একটি হাইজাককৃত গাড়ীতে বিস্ফোরক রেখে অগ্নিসংযােগের মাধ্যমে ১৬ জন পাক সেনাকে হত্যা করা;
৪. শাহবাগস্থ রেডিও পাকিস্তান দপ্তরে গ্রেনেড চার্জ;
৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেনেড চার্জ।
সারণী ৫৬: ঢাকা গেরিলা (উত্তর)
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | যুদ্ধপূর্ব
পদবী/পেশা |
|
নাসির উদ্দিন ইউসুফ | ১৬৩৩ | ছাত্র | সংগঠক |
রাইসুল ইসলাম আসাদ | ১৫৬৭ | ছাত্র | |
শাহাবুদ্দিন | ১৫৮৫ | ছাত্র | |
মানিক | – | – | প্লাটুন অধিনায়ক |
শফিকুল ইসলাম স্বপন | ১৬৭৪ | – | |
ওয়াজেদ হাকিম | – | সুবেদার | গ্রুপ অধিনায়ক |
আশরাফ আলী | ১৬৭৫ | – | |
ফেরদৌস | ১৬৭৬ | – | |
মাহবুব আলী | ১৬৭৭ | – |
বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বি.এল.এফ)
মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবার আশংকাকে বিবেচনায় রেখে বাঙালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী অগ্রসর ছাত্র নেতৃবৃন্দ সমন্বয়ে রাজনৈতিক সশস্ত্র দল গঠনের পরিকল্পনা নেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ
পৃষ্ঠাঃ ৮৫
দীর্ঘায়িত হলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে জনসংযােগ হারাতে পারে এমন বিবেচনায় এই দল গঠন করা হয়। সে ক্ষেত্রে এই দলের কাজ হবে জনগণকে সম্পৃক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যকে সামনে এগিয়ে নেয়া। উপরােক্ত লক্ষ্য নিয়ে জেলাভিত্তিক স্ব স্ব জেলার ছাত্র-যুব নেতৃবৃন্দকে সংগঠিত করে গঠন করা হয় ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স’, সংক্ষেপে যা বি. এল. এফ. নামে পরিচিত।
প্রাথমিকভাবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা এই বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বে আসীন হন। প্রচলিত পদ্ধতিতে ভারত সরকারের সহযােগিতায় ভারতের তান্দুয়া ও জাফলং-এ দু’টি পৃথক প্রশিক্ষণ শিবির প্রতিষ্ঠা করে আনুমানিক ৪ হাজার ছাত্রতরুণ-যুবককে এই বাহিনীর সদস্য হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
বি.এল. এফ.-কে অক্টোবর মাস নাগাদ ১০টি যুদ্ধ সেক্টর এলাকায় সমন্বিত যুদ্ধ পরিকল্পনায় সংযুক্ত করা হয়। এঁরা প্রধানত শিক্ষিত ও রাজনৈতিক ভাবধারায় অপেক্ষাকৃত অগ্রসর হওয়ায় এবং স্ব স্ব এলাকায় পরিচিতি ও প্রভাব থাকায় তাদের পক্ষে প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করে সুপরিকল্পিত যুদ্ধ পরিচালনা অপেক্ষাকৃত সহজতর ছিল।
সারণী ৫৭: বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | যুদ্ধপূর্ব
পদবী/পেশা |
|
শেখ ফজলুল হক মনি | ১৪১৯ | যুব নেতা | সমন্বয়কারী পূর্ব অঞ্চল |
সিরাজুল আলম খান | ১৪২০ | ছাত্র নেতা | সমন্বকারী উত্তর অঞ্চল |
আব্দুর রাজ্জাক | ১৪২১ | ছাত্র নেতা | সমন্বয়কারী পশ্চিম অঞ্চল |
তােফায়েল আহমেদ | ১৪২২ | ছাত্র নেতা | সমন্বয়কারী দক্ষিণ অঞ্চল |
আ.স.ম. আব্দুর রব | ১৪২৩ | ছাত্র নেতা | পূর্ব অঞ্চল |
আব্দুল কুদুস মাখন | ১৪২৪ | ছাত্র নেতা | পূর্ব অঞ্চল |
মনিরুল ইসলাম | ১৫২৫ | ছাত্র নেতা | উত্তর অঞ্চল |
কাজী আরেফ আহমেদ | ১৪২৬ | ছাত্র নেতা | দক্ষিণ অঞ্চল |
সৈয়দ আহমেদ | ১৪২৮ | ছাত্র নেতা | পশ্চিম অঞ্চল |
আব্দুল মান্নান চৌধুরী | – | শিক্ষক | পূর্ব অঞ্চল |
শাহজাহান সিরাজ | ১৪২৯ | ছাত্র নেতা | প্রশিক্ষণ শিবির |
হাসানুল হক ইনু | ১৪৩০ | ছাত্র নেতা | প্রশিক্ষণ শিবির |
নূরুল ইসলাম | ১৪৩১ | ছাত্র নেতা | প্রশিক্ষণ শিবির |
মােস্তফা এলাহী | ১৪৩২ | ছাত্র নেতা | প্রশিক্ষণ শিবির |
কামরুজ্জামান টুকু | ১৪৩৩ | ছাত্র | প্রশিক্ষণ শিবির |
আব্দুস সালাম | ১৪৩৪ | ছাত্র | খুলনা জেলা |
জাহিদুর রহমান | ১৫৩৫ | ছাত্র | খুলনা জেলা |
শেখ আব্দুল কাইয়ুম | ১৪৩৭ | ছাত্র | খুলনা জেলা অঞ্চল |
হুমায়ূন কবীর বালু | ১৪৩৮ | ছাত্র | খুলনা জেলা অঞ্চল |
মাহাবুবুল আলম হিরণ | ১৩৩৯ | ছাত্র | খুলনা জেলা অঞ্চল |
মােশাররফ হােসেন | ১৪৪০ | ছাত্র | খুলনা জেলা অঞ্চল |
হেকমত আলী ভূঁইয়া | ১৪৪১ | ছাত্র | খুলনা জেলা অঞ্চল |
শেখ শহীদুল হক | ১৪৪২ | ছাত্র | খুলনা জেলা অঞ্চল |
শাহাদাৎ হােসেন বাচ্চু | ১৪৪৩ | ছাত্র | পাইকগাছা থানা অঞ্চল |
রফিকুল ইসলাম | ১৪৪৪ | ছাত্র | পাইকগাছা থানা অঞ্চল |
আখতারুজ্জামান মণ্ডল | ১৪৪৫ | ছাত্র | কুড়িগ্রাম অঞ্চল |
আব্দুল কুদ্স | ১৪৪৬ | ছাত্র | রাজশাহী অঞ্চল |
মাহফুজুর রহমান | ১৪৪৭ | ছাত্র | রাজশাহী অঞ্চল |
সরদার আব্দুল খালেক | ১৪৪৮ | ছাত্র | রাজশাহী অঞ্চল |
আব্দুল করিম | ১৪৪৯ | ছাত্র | রাজশাহী অঞ্চল |
মাহমুদুল হক চুন্নু | ১৪৫০ | ছাত্র | রাজশাহী অঞ্চল |
মজিবর রহমান রেজা | ১৪৫১ | ছাত্র | নাটোর অঞ্চল |
সেলিম চৌধুরী | ১৪৫২ | ছাত্র | নাটোর অঞ্চল |
জালাল আহমেদ | ১৪৫৩ | ছাত্র | নওগা অঞ্চল |
আক্তার আহমেদ সিদ্দিকী | ১৪৫৪ | ছাত্র | নওগা অঞ্চল |
মঈন উদ্দিন আহমেদ মন্ডল | ১৪৫৫ | ছাত্র | নবাবগঞ্জ অঞ্চল |
অপিল উদ্দিন | ১৪৫৬ | ছাত্র | রংপুর অঞ্চল |
জয়নুল আবেদীন | ১৪৫৭ | ছাত্র | নীলফামারী অঞ্চল |
নজরুল ইসলাম | ১৪৫৮ | ছাত্র | লালমনিরহাট অঞ্চল |
তাজুল ইসলাম | ১৪৫৯ | ছাত্র | নীলফামারী অঞ্চল |
এ.এইচ. সালাহউদ্দিন মাহমুদ | ১৪৬১ | ছাত্র | কক্সবাজার অঞ্চল |
গােলাম রাব্বানী | ১৪৬২ | ছাত্র | কক্সবাজার অঞ্চল |
খােন্দকার মােঃ খুররম | ১৪৬৩ | ছাত্র | এলাকা শেরপুর (শ্রীবর্দী) |
মােশতাক আহমেদ তারা | ১৪৬৪ | ছাত্র | শেরপুর- জামালপুর অঞ্চল |
টাঙ্গাইল মুক্তিবাহিনী
মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইল এলাকায় বিশেষভাবে সংগঠিত হয় টাঙ্গাইল মুক্তিবাহিনী। স্থানীয়ভাবে সংগঠিত এই বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। স্থানীয় কলেজের ছাত্র আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস.এম. হলের ভি.পি, আনােয়ারুল আলম শহীদ এই বাহিনী সংগঠনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন স্থানীয় জনগণের সাথে সুষ্ঠু যােগাযােগ রাখার জন্য ‘রণাঙ্গন’ নামে একটি হাতে লেখা সাপ্তাহিক পত্রিকা টাঙ্গাইল মুক্তিবাহিনীর মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হতাে। এই বাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামাে ও নিয়ােজিত ব্যক্তিবর্গের তালিকা ও সাপ্তাহিক রণাঙ্গনের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের তালিকা উপস্থাপন করা হলাে। এই বাহিনী ‘কাদের বাহিনী’ নামে সবিশেষ পরিচিত।
পৃষ্ঠাঃ ৮৭
সারণী ৫৮ : টাঙ্গাইল মুক্তিবাহিনী
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | যুদ্ধপূর্ব পদবী/পেশা | মন্তব্য |
আব্দুল কাদের সিদ্দিকী | ১৪৬৫ | ছাত্র | অধিনায়ক |
আনােয়ারুল আলম শহীদ | ১৪৬৬ | ছাত্র | সাব-অধিনায়ক |
হামিদুল হক | ১৪৬৭ | ছাত্র | |
এনায়েত করিম | ১৪৬৮ | ছাত্র | |
মােয়াজ্জেম হােসেন খান | ১৪৬৯ | ছাত্র | |
ড. নূরুন্নবী | ১৪৭০ | ছাত্র | |
ডা. শাহাজাদ চৌধুরী | ১৪৭২ | ছাত্র | |
আব্দুল বাসেদ সিদ্দিকী | ৩০১ | সংসদ সদস্য | উপদেষ্টা |
আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী | ৩০২ | সংসদ সদস্য | উপদেষ্টা |
আলী আজগর খান দাউদ | ১৪৭৫ | ছাত্র | |
শওকত মােমেন শাহজাহান | ১৪৭৬ | ছাত্র | |
বুলবুল খান মাহবুব | ১৪৭৭ | ছাত্র | |
খােরশেদ আলম (আর. ও. সাহেব হিসেবে পরিচিত) | ১৪৭৮ | শ্রমিক | |
নূরুল ইসলাম | ১৪৮১ | ব্যবসায়ী | |
ইদ্রিস আলী | ১৪৮২ | স্থানীয় নেতা | |
আজিজুল ইসলাম তরফদার (আজিজ বাঙ্গাল) | ১৪৮৩ | ছাত্র | |
আব্দুল কুদ্দুস | ১৪৮৪ | ছাত্র | |
ফজলুর রহমান | ১৪৮৫ | সৈনিক | |
নাজিয়ূর রহমান পিন্টু | ১৪৮৬ | ছাত্র | |
আব্দুল হাকিম | ১৪৮৭ | কমান্ডার | |
লােকমান হােসেন | ১৪৮৮ | হাবিলদার | |
হাবিবুল হক বেনু | ২৪৮৯ | চাকুরী | |
আবদুল লতিব | ১৪৯০ | ছাত্র | |
খােরশেদ আলম তালুকদার | ১৪৯১ | ব্যবসায়ী | |
মনিরুল ইসলাম মনি | ১৪৯২ | সৈনিক | |
মতিউর রহমান | ১৪৯৩ | আনসার | |
ফেরদৌস আলম রঞ্জু | ১৪৯৪ | ছাত্র | |
আলমগীর | ১৪৯৫ | ছাত্র | |
আব্দুল গফুর | ১৪৯৬ | ছাত্র | |
নবী নেওয়াজ | ১৪৯৭ | নায়েক সুবেদার | |
মােকছেদ আলী | ১৪৯৮ | আনসার | |
হুমায়ুন | ১৪৯৯ | ছাত্র | |
বায়েজীদ আলম | ১৫০০ | ছাত্র | |
লুৎফর রহমান | ১৫০১ | ছাত্র | |
আজাদ কামাল | ১৫০২ | শ্রমিক | |
আনিসুল ইসলাম | ১৫০৩ | ছাত্র | |
আব্দুর রাজ্জাক | ২৫০৪ | ছাত্র | |
ডঃ আব্দুর রাজ্জাক | ১৫০৫ | ছাত্র | |
আমজাদ হােসেন | ১৫০৬ | শিক্ষক | |
আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকী | ১৫০৭ | শিক্ষক | |
ফারুক আহমেদ | ১৫০৮ | – | |
নূরুল ইসলাম সৈয়দ | ১৫০৯ | – | |
রফিক আজাদ | ১৫১০ | অধ্যাপক | রণাঙ্গন পত্রিকায় যুক্ত |
মাহবুব সাদিক | ১৫১১ | অধ্যাপক | |
মােহাম্মদ আবদুল্লাহ | ১৫১২ | ছাত্র | |
সােহরাব আলী খান আরজু | ১৫১৩ | ছাত্র নেতা | |
বুলবুল খান মাহবুব | ১৫১৪ | ছাত্র নেতা | |
আজিজ বাঙ্গাল | ১৫১৬ | ছাত্র নেতা | |
রাহিমা সিদ্দিকী | ১৫১৬ | ছাত্রী | রণাঙ্গন পত্রিকায় কর্মরত |
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। এই বেতার কেন্দ্র এ দেশের আপামরজনগণকে মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় উজ্জীবিত করে রাখে এবং মুক্তিযােদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার অন্যতম উৎসমূল হিসেবে পরিগণিত হয়। ফলে সঙ্গত কারণেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধের ‘দ্বিতীয় ফ্রন্ট’ এবং অনুষ্ঠানের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ‘শব্দ সৈনিক’ হিসেবে জনগণের শ্রদ্ধা অর্জন করেন।
সূচনাপর্বে ২৬শে মার্চ ‘৭১ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র পাকিস্তান সরকারের সামরিক নির্দেশাবলী প্রচার বন্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযােগিতায় কতিপয় বেতারকর্মী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এই ক্ষুদ্র বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের কাছে বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার একটি দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। ঐ পর্যায়েই ২৬শে মার্চ ‘৭১ দুপুর ২টা ০৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে প্রেরিত বার্তা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি জনাব আব্দুল হান্নানের কণ্ঠে এই বেতার কেন্দ্র থেকে পঠিত হয়। ঐ দিনই সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে সংশ্লিষ্ট বেতারকর্মীরা বেতার কেন্দ্রটিকে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে নামকরণ করেন এবং নব উদ্যমে কার্যক্রম শুরু করেন।
জন প্রতিরােধ দ্রুত জনযুদ্ধে রূপ নিতে শুরু করে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও বিদ্রোহ করে ঐ জনযুদ্ধে অংশ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। ২৭শে মার্চ ’৭১ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রতিরােধ যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সেনাবাহিনীর সবচেয়ে সিনিয়র অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান এই বেতার কেন্দ্র থেকে সেনা বিদ্রোহের সংবাদ স্বকণ্ঠে প্রচার করেন। এই ঘােষণাটি বারবার প্রচারিত হওয়ায় দেশে-বিদেশে সশস্ত্র বিদ্রোহের খবর ছড়িয়ে পড়ে এবং জনসাধারণ ঐ সংবাদটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে।
এই বেতার ঘােষণার ফলে দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধে যােগদানকারী অন্যান্য ইউনিটের সমন্বয় সাধন করা সহজতর হয়। এই সময় বেতার কেন্দ্রটির নাম পরিবর্তন করে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ নামকরণ করা হয়। এই বেতার কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও রাতে ৩টি করে অধিবেশন প্রচারিত হতে থাকে।
৩০শে আগস্ট ‘৭১ ২টা ৩০ মিনিটে পাকিস্তান বিমান বাহিনী বেতার কেন্দ্রটির ওপর আক্রমণ চালালে নিরাপত্তা ও কৌশলগত কারণে বেতার কেন্দ্রের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মিগণ একটি এক কিলােওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সমিটার সঙ্গে নিয়ে রামগড়ে অবস্থান নেন।
৩রা এপ্রিল ‘৭১ আগরতলা থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। এটি ছিল এই কেন্দ্রের সবচেয়ে বিপদসঙ্কুল সময়। অগােছালাে অবস্থায় শুধু ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যই এ সময় অনুষ্ঠান প্রচার করা হতাে।
এই কেন্দ্র থেকেই বাংলাদেশের নব গঠিত সরকারের প্রধান মন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের ভাষণ ১০ই এপ্রিল ৭১ প্রথমবারের মত বহির্বিশ্বে প্রচারিত হয়। মুজিবনগর সরকার নিজস্ব পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্রের গুরুত্ব অনুধাবন করে ভারত সরকারের সহযােগিতায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জন্য প্রয়ােজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করেন। প্রাপ্ত যন্ত্রপাতি দিয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ২৫শে মে ৭১ মুজিবনগর হতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যক্রম শুরু করে, যা ২রা জানুয়ারী ৭২ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
পৃষ্ঠাঃ ৯০
এখানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রশাসনিক কাঠামাে, বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারী ব্যক্তি, নাট্যকার, শিল্পী, গীতিকার, সুরকার প্রভৃতির বিস্তৃত পরিচয় দেবার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।
সারণী ৫৯: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ
নাম | পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং | যুদ্ধপূর্ব পদবী/পেশা | মন্তব্য |
আবদুল মান্নান | ৭১ | ভারপ্রাপ্ত এম.এন.এ. | জাতীয় সংসদ সদস্য |
জিল্লুর রহমান | ৯১ | সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ | জাতীয় সংসদ সদস্য |
মােহাম্মদ হুমায়ুন খালেদ | ৭৩ | সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ | জাতীয় সংসদ সদস্য |
তাহের উদ্দিন ঠাকুর | ১৩১ | সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ | জাতীয় সংসদ সদস্য |
আনােয়ারুল হক খান | ৫৭৭ | সদস্য-সচিব উপদেষ্টা পরিষদ | সরকারী কর্মকর্তা |
আমিনুল হক বাদশা | ১৩৭৮ | সংগঠক | সাংবাদিক |
ফজলুল হক ভূঁইয়া | অফিস সুপারিনটেনডেন্ট | – | |
অনিল কুমার মিত্র | – | কর্মকর্তা, হিসাব বিভাগ | – |
আশরাফ উদ্দিন | – | স্টেনােগ্রাফার, প্রশাসনিক বিভাগ | – |
লীনা রাণী চক্রবর্তী | — | সহকারী দলিল রক্ষক, প্রশাসনিক বিভাগ | – |
এ.কে. শামসুদ্দিন | – | অফিস সহকারী, প্রশাসনিক বিভাগ | – |
আনােয়ারুল আবেদীন | – | অফিস সহকারী, প্রশাসনিক বিভাগ | – |
শামসুল হুদা চৌধুরী | ১১৩৯ | সংগঠক, প্রশাসন, অনুষ্ঠান বিভাগ | – |
আশফাকুর রহমান খান | ১১৪০ | সমন্বয়কারী, সংগীতানুষ্ঠান, অনুষ্ঠান বিভাগ | |
মেজবাহউদ্দিন আহমেদ | ১১৪১ | প্রযােজক, নাটক ও সাহিত্য বিভাগ | |
টি. এইচ. শিকদার | ১১৪২ | পরিচালক, অগ্নিশিখা ও রক্ত স্বাক্ষর | লেখক, নাটক ও গীতিনকশা |
তাহের সুলতান | ১১৪৩ | প্রযােজক, সঙ্গীতানুষ্ঠান, অনুষ্ঠান বিভাগ | |
মােস্তফা আনােয়ার | ১১৪৪ | পরিচালক, অগ্নিশিখা | লেখক ও প্রবন্ধ পাঠক |
আবদুল্লাহ আল-ফারুক | ১১৪৫ | যােজক, সাক্ষাৎকার ও প্রামাণিক অনুষ্ঠান, অনুষ্ঠান বিভাগ | |
মাে: ফারুক | ১১৪৬ | প্রযােজক, সােনার বাংলা, অনুষ্ঠান বিভাগ | শাহজান ফারুক |
নজরুল ইসলাম অনু | ১১৪৭ | – | অনু ইসলাম |
আশরাফুল আলম | ১১৪৮ | পরিচালক, অগ্নিশিখা ও রক্ত স্বাক্ষর | লেখক ও প্রবন্ধ পাঠক |
কামাল লােহানী | ১৩৬৩ | ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা, সংবাদ বিভাগ | লেখক ও প্রবন্ধ পাঠক |
জাহিদ সিদ্দিকী | – | ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা, উর্দু বিভাগ | লেখক ও প্রবন্ধ পাঠক |
আলমগীর কবীর | ১৩৮৬ | সংগঠক, ইংরেজী অনুষ্ঠান | অনুষ্ঠান বিভাগ |
আলী যাকের | ১৬৯৮ | প্রযােজক, ইংরেজী সংবাদ | সংবাদ বিভাগ |
সৈয়দ হাসান ইমাম | ১৬৮৮ | সংগঠক, নাট্য বিভাগ | |
রণেন কুশারী | ১১৫৪ | প্রযােজক, নাট্য বিভাগ | |
বেলাল মােহাম্মদ | ১১৫২ | দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, অনুষ্ঠানসূচী প্রণয়ন | স্ক্রীপ্ট রাইটার |
সমর দাস | ১১৫৬ | প্রযােজক, সঙ্গীতানুষ্ঠান | |
শহীদুল ইসলাম | ১১৬০ | লেখক সােনার বাংলা ও প্রতিধ্বনি অনুষ্ঠান বিভাগ | |
এ.কে.এম. শামসুদ্দীন | ১১৬১ | উপস্থাপক অনুষ্ঠান, উপস্থাপনা বিভাগ | |
আলী রেজা চৌধুরী | ১১৬৩ | পাঠক, বাংলা সংবাদ সংবাদ বিভাগ | |
মঞ্জুর কাদের বাবুল (বাবুল আখতার) | ১১৪৯ | পাঠক, বাংলা সংবাদ সংবাদ বিভাগ | |
পারভীন হােসেন | ১৮৬৭ | পাঠক, ইংরেজী সংবাদ | সংবাদ বিভাগ |
ফিরােজ ইফতিখার | ১৭২৬ | পাঠক, ইংরেজী সংবাদ | (পাকিস্তানে সেনা বাহিনীর আত্মসমপর্ণের সংবাদ পাঠক) |
আমীর হােসেন (আলী) | – | পর্যালােচক, বাংলা সংবাদ, সংবাদ বিভাগ | |
নাসরিন আহমেদ শিলু (জেরিন আহমেদ) | ১৮৩৭ | পাঠিকা, ইংরেজী সংবাদ, সংবাদ বিভাগ | |
সালেহ আহমেদ (হাসান ইমাম) | ১৬৮৮ | পাঠক, বাংলা সংবাদ | ২৫শে মে ‘৭১ প্রথম বাংলা সংবাদ পাঠক |
সাদেকীন | ১১৫০ | লেখক, বিশ্ব জনমত, পর্যালােচনা বিভাগ | |
নূরুল ইসলাম সরকার | ১১৫৭ | পাঠক, বাংলা সংবাদ, সংবাদ বিভাগ | |
মােস্তাফিজুর রহমান (গামা) | ১১৫৩ | প্রযােজক, সােনার বাংলা অনুষ্ঠান | লেখক ও পাঠক কাঠগড়ার আসামী |
মােতাহার হােসেন | ১১৬২ | উপস্থাপক, বাংলা অনুষ্ঠান, উপস্থাপনা বিভাগ | |
মহসীন রেজা | ১১৫৮ | ঘােষক, অনুষ্ঠানসূচী, উপস্থাপনা বিভাগ | |
আবু ইউনুস | ১১৫৯ | ঘােষক, অনুষ্ঠানসূচী | অনুষ্ঠানপত্র বিলির দায়িত্বপ্রাপ্ত |
মুনসুর মামুন | ১১৫১ | সম্পাদক, ইংরেজী সংবাদ, সংবাদ বিভাগ | |
আবুল কাসেম সন্দ্বীপ | ১২২৬ | সম্পাদক, বাংলা সংবাদ, সংবাদ বিভাগ | |
সুব্রত বড়ুয়া | – | সম্পাদক, বাংলা সংবাদ, সংবাদ বিভাগ | |
মৃণাল কুমার রায় | ১৩৭৯ | সম্পাদক, ইংরেজী বিভাগ, সংবাদ বিভাগ | |
রঞ্জিত পাল চৌধুরী | ১৩৬৯ | সম্পাদক, ইংরেজী বিভাগ, সংবাদ বিভাগ | |
জালাল উদ্দিন | ১৩৮০ | সম্পাদক, ইংরেজী বিভাগ, সংবাদ বিভাগ | |
এজাজ হােসেন | – | মনিটর , বেতার সংবাদ, সংবাদ বিভাগ | |
হাবিব উদ্দিন (মনি) | – | সচিব, অনুষ্ঠান বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ | |
এয়ার মাহমুদ | ১১৫৫ | – | |
সৈয়দ আব্দুল শাকের | ১২৫৫ | প্রধান প্রকৌশলী, প্রকৌশল বিভাগ | দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা |
রাশেদুল হাসান | ১২৫৬ | প্রকৌশলী, প্রকৌশল বিভাগ | |
মােমেনুল হক চৌধুরী | ১২৫৭ | প্রকৌশলী, প্রকৌশল বিভাগ | |
আমিনুর রহমান | ১২৫৮ | প্রকৌশলী, প্রকৌশল বিভাগ | |
প্রণব চন্দ্র রায় | ১২৫৯ | প্রকৌশলী, প্রকৌশল বিভাগ | |
রেজাউল করিম চৌধুরী | ১২৬০ | প্রকৌশলী, প্রকৌশল বিভাগ | |
হাবিবুল্লাহ চৌধুরী | ১২৬১ | প্রকৌশলী, প্রকৌশল বিভাগ | |
এ.এম. শরফুজ্জামান | ১২৬২ | প্রকৌশলী, প্রকৌশল বিভাগ | |
শামসুল হক | ১২৬৩ | প্রকৌশলী, প্রকৌশল বিভাগ | |
এম.আর. আকতার মুকুল | ১৩৬০ | লেখক ও পাঠক, চরমপত্র ও ওরা রক্তবীজ | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
বুলবন ওসমান | ১১৮৪ | পাঠক, অন্য স্বদেশ ঘুরে এলাম, মুক্তাঙ্গন | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
ড. মযহারুল ইসলাম | ১২০৪ | লেখক ও পাঠক, দৃষ্টিপাত, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু | চেনাকণ্ঠ হিসেবে পরিচিত |
বেগম মুশতারী শফী (উম্মে কুলসুম) | ১২৮৫ | লেখিকা ও পাঠক, রণাঙ্গনে বাংলার নারী ও দেশ গঠনে নারীর ভূমিকা | পাক্ষিক অনুষ্ঠান |
আসাদ চৌধুরী | ১২১৭ | লেখক ও পাঠক, মােদের গরব মােদের আশা, মৃত্যুহীন প্রাণ ও কবিতা | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
সৈয়দ আলী আহসান | ১১১১ | লেখক ও পাঠক, ইসলামের দৃষ্টিতে | পাক্ষিক অনুষ্ঠান |
আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী | ১৩৮১ | লেখক ও পাঠক, দেয়ালের লিখন | পাক্ষিক অনুষ্ঠান |
অনুপম সেন | ১১৯৬ | লেখক ও পাঠক, বাংলাদেশের হৃদয় হতে | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
ফয়েজ আহমেদ | ১৩৬২ | লেখক, পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
জহির রায়হান | ১৬৮৫ | লেখক ও পাঠক, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ | |
ড. এ. আর. মল্লিক | ১১৮৯ | লেখক ও পাঠক, মানবাধিকার ও বাংলাদেশ | |
আব্দুল মান্নান (আহমেদ রফিক) | ৭১ | পাঠক, শেখ মুজিবের বিচার প্রহসন | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
আব্দুল গাফফার চৌধুরী | ১৩৬১ | লেখক, শেখ মুজিবের বিচার প্রহসন | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
কল্যাণ মিত্র | লেখক, জল্লাদের দরবার (নাটক) | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান | |
আব্দুল হাফিজ | ১২০৭ | লেখক, দৃষ্টিপাত | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
আবু সুফিয়ান | ১২১৪ | লেখক ও পাঠক, অভিজ্ঞতার আলােকে | – |
বদরুন্নেছা আহমেদ | ১৬৩ | পাঠিকা, শেখ মুজিবের বিচার প্রসঙ্গ | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
সিকান্দার আবু জাফর | – | লেখক ও পাঠক, অভিযােগ ও লিফলেট | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
শওকত ওসমান | ১৬৮৪ | লেখক, ইয়াহিয়া জবাব দাও | পাক্ষিক অনুষ্ঠান |
কামাল লােহানী | ১৩৬৩ | পাঠক, পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
ড. আনিসুজ্জামান | ১১৯০ | লেখক ও পাঠক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাংস্কৃতিক পটভূমি | |
মাে: আবু জাফর (জাফর সাদেক) | ১১৯২ | লেখক ও পাঠক, যুদ্ধই একমাত্র পথ | |
মােস্তাফিজুর রহমান | ১১৫৩ | পাঠক, কাঠগড়ার আসামী | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
গাজীউল হক | ৬২৮ | লেখক ও পাঠক, রণাঙ্গনের চিঠি | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী | ১৩২১ | লেখক ও পাঠক, স্বাস্থ্যের কথা | – |
আইভি রহমান | ১৮৪৪ | লেখিকা ও পাঠিকা, চৌদ্দই আগস্টের স্মৃতি | – |
অসিত রায় চৌধুরী | ১২১৫ | লেখক ও পাঠক, স্বদেশ সকাল ও রক্ত স্বাক্ষর | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
আমিনুল হক বাদশা | ১৩৭৮ | পর্যালােচক, বিশ্ব জনমত | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
আবুল তােয়াব খান | ১৩৮৪ | লেখক, পিন্ডির প্রলাপ ও দৃষ্টিকোণ | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
নির্মলেন্দু গুণ | ১৩৬৬ | লেখক ও পাঠক, বাংলাদেশের পুনর্গঠন | – |
প্রণব চৌধুরী | – | পাঠক, সত্যের ঝংকার | – |
সাধন কুমার ধর | ১৩৮৫ | পাঠক, পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ | |
মুসা সাদেক (মাে: মুসা) | ১৩৮৯ | লেখক ও পাঠক, ঘুরে এলাম রণাঙ্গন | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
রনেশ দাস গুপ্ত (জামিল শরাফী) | ১৩৮৮ | লেখক ও পাঠক, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সূর্য সেনের স্মৃতি | – |
জাহিদ সিদ্দিকী | – | লেখক ও পাঠক, আজ মৃত পাকিস্তানের জন্মদিন | উর্দু কথিকা |
বদরুল হাসান | ১২১৬ | লেখক ও পাঠক, বেঈমানের দলিল | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
মহাদেব সাহা | ১৩৭৩ | লেখক ও পাঠক, বিশ্ব বিবেক ওবাংলাদেশ | – |
আলমগীর কবীর | ১৩৮৬ | পর্যলােচনা, ইংরেজী সংবাদ | – |
আলী যাকের (আবু মােহাম্মদ আলী) | ১৬৯৮ | লেখক ও পাঠক, নেকেড টুথ | ইংরেজী সংবাদ পর্যালােচনা |
আশরাফুল আলম | ১১৪৮ | পাঠক, দর্পণ | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
মুস্তফা আনােয়ার | ১১৪৪ | লেখক ও পাঠক, মুক্তিযােদ্ধার ডাইরী থেকে | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
মেজবাহউদ্দিন আহমেদ | ১১৪১ | লেখক ও পাঠক, ইবলিশের মুখােশ | – |
মলয় ভৌমিক | – | পাঠক, জনতার সংগ্রাম | – |
শহীদুল ইসলাম | ১১৬০ | লেখক ও পাঠক, সােনার বাংলা ও প্রতিধ্বনি | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
মাহবুব তালুকদার (কামাল মাহবুব) | ১১৯৯ | লেখক ও পাঠক, মানুষের মুখ | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
মেহের খন্দকার (সেলিনা খন্দকার) | ১৮৬৯ | পাঠিকা, আমাদের মুক্তি সংগ্রাম ও মহিলা | – |
বুলবুল মহলানবীশ | ১৮৫৯ | পাঠিকা, বাংলার মুখ | – |
সাদেকীন | ১১৫০ | লেখক ও পাঠক, পত্র-পত্রিকার মন্তব্য ও বাংলার মুখ | – |
আমীর হােসেন | ১৩৭৭ | – | |
রনজিৎ পাল চৌধুরী | ১৩৬৯ | লেখক ও পাঠক, এবার মায়ের পূজোয় আমরা | দুর্গা পূজা অনুষ্ঠান |
তপন ভট্টাচার্য (তপন মাহমুদ) | ১৭২২ | লেখক ও পাঠক, রণাঙ্গন ঘুরে এলাম | ধারাবাহিক অনুষ্ঠান |
সলিমুল্লাহ | ১৩৬৮ | লেখক ও পাঠক, প্রবন্ধ | – |
নূরুল হক | – | পাঠক, প্রতিনিধির কণ্ঠ | সম্পাদকীয় অভিমত উপাক্ষিক |
আবুল কাশেম সন্দ্বীপ | ১২২৬ | লেখক ও পাঠক, প্রবন্ধ সম্পাদকীয় ও অভিমত | পাক্ষিক অনুষ্ঠান |
বিপ্রদাস বড়ুয়া | – | লেখক ও পাঠক, জনতার সংগ্রাম সহকারী পরিচালক বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ঔপন্যাসিক ও ছােট গল্প লেখক | |
গণেশ ভৌমিক (খাজা সুজন) | – | গীতিকার | হস্তরেখাবিদ |
আব্দুল জলিল মিন্টু | – | লেখক, জীবন্তিকা | |
জাহাঙ্গীর আলম | – | লেখক ও পাঠক, কয়েকটি ছবি ও একটি ইতিহাস | |
হাসান মুরশিদ (গােলাম মুরশিদ) | – | – | |
রফিক নওশাদ | ১২১৯ | লেখক ও পাঠক, কবিতা | |
বিপ্লব দাস | – | লেখক ও পাঠক, মুক্তাঞ্চল | |
সবুজ চক্রবর্তী | – | – | |
মিজানুর রহমান | – | লেখক ও পাঠক, কবিতা | |
আল মাহমুদ | ১৩৬৫ | লেখক ও পাঠক, কবিতা | |
মােহাম্মদ রফিক | ১৮৮৮ | লেখক ও পাঠক, হে স্বদেশ ও হে আমার বাংলাদেশ | |
শামীম চৌধুরী | – | লেখক ও পাঠক, বাংলাদেশ ও গেরিলা | |
শাহজাহান ফারুক | ১১৪৬ | প্রযােজক, জল্লাদের দরবার | নাট্যানুষ্ঠান |
আবদুল্লাহ আল ফারুক | ১১৪৫ | লেখক ও পাঠক, কবিতা | |
দীলিপ কুমার ধর | – | লেখক, রণ দামামা | |
মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী | তেলাওয়াত ও তরজমাকারী পবিত্র কুরআন | ||
মওলানা খায়রুল ইসলাম যশােরী | তেলাওয়াত ও তরজমাকারী পবিত্র কুরআন | ||
মাওলানা ওবায়দুল্লা জালালাবাদী | – | তেলাওয়াত ও তরজমাকারী পবিত্র কুরআন | |
ডেভিড প্রণব দাস | – | তেলাওয়াত ও তরজমাকারী পবিত্র বাইবেল | |
জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস | – | তেলাওয়াত ও তরজমাকারী পবিত্র গীতা | |
বিনয় কুমার মণ্ডল | – | তেলাওয়াত ও তরজমাকারী পবিত্র গীতা | |
রণবীর বড়ুয়া | – | তেলাওয়াত ও তরজমাকারী পবিত্র ত্রিপিটক | |
হরলাল রায় | ১৬৯৯ | সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও সংগঠক | |
আব্দুল গনি বুখারী | ১৭০০ | সংগীতশিল্পী | |
আব্দুল জব্বার | ১৭০১ | সংগীতশিল্পী ও সুরকার | |
তােরাব আলী শাহ | ১৭০২ | সংগীতশিল্পী | |
মােহাম্মদ শাহ বাঙ্গালী | ১৭০৩ | সংগীতশিল্পী | |
অজিত রায় | ১৭০৪ | সুরকার ও শিল্পী, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক | |
অনুপ কুমার ভট্টাচার্য | ১৭০৫ | সংগীতশিল্পী | |
আপেল মাহমুদ | ১৭০৬ | সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক | |
রথীন্দ্রনাথ রায় | ১৭০৭ | সংগীতশিল্পী (ভাওয়াইয়া) | |
ডা. অরূপ রতন চৌধুরী | ১৩১৮ | সংগীতশিল্পী | |
মফিজ আংগুর | ১৭০৯ | সংগীতশিল্পী | |
মনজুর আহমেদ | ১৭১০ | বাদ্যযন্ত্রী ও সংগীতশিল্পী | |
সর্দার আলাউদ্দিন আহমেদ | ১৭১১ | সংগীতশিল্পী | |
কাদেরী কিবরিয়া | ১৭১২ | সংগীতশিল্পী | |
রফিকুল আলম | ১৭১৩ | সংগীতশিল্পী | |
মলয় কুমার গাঙ্গুলী | ১৭১৪ | সংগীতশিল্পী | |
মান্না হক | ১৭১৫ | সংগীতশিল্পী | |
এম. এ. মান্নান | ১৭১৬ | সংগীতশিল্পী | |
শাহ আলী সরকার | ১৭১৭ | সংগীতশিল্পী | |
মােশারাফ হােসেন | ১৭১৮ | সংগীতশিল্পী | |
শহীদ হাসান খান | ১৭১৯ | সংগীতশিল্পী | |
মনােরঞ্জন ঘােষাল | ১৭২০ | সংগীতশিল্পী | |
প্রবাল চৌধুরী | ১৭২১ | সংগীতশিল্পী | |
তপন মাহমুদ | ১৭২২ | সংগীতশিল্পী | |
মনােয়ার হােসেন খান | ১৭২৩ | সংগীতশিল্পী | |
মােশাদ আলী | ১৭২৪ | সংগীত শল্পী পুঁথি পাঠ | |
মােকছেদ আলী সাঁই | ১৭২৫ | সংগীতশিল্পী | |
ইদ্রমােহন রাজবংশী | ১৭২৭ | সংগীতশিল্পী | |
হযরত আলী | ১৭২৮ | সংগীতশিল্পী | বেঈমানের জারী |
লাকি আকন্দ | ১৭২৯ | সংগীতশিল্পী | |
কামাল উদ্দিন আহমেদ | ১৭৩০ | সংগীতশিল্পী | |
ফকির আলমগীর | ১৭৩১ | সংগীতশিল্পী | |
আবু নওশের | ১৭৩২ | সংগীতশিল্পী | |
মলয় দস্তিদার | ১৭৩৩ | সংগীতশিল্পী | |
অনিল দে | ১৭৩৪ | সংগীতশিল্পী | |
সুকুমার বিশ্বাস | ১৭৩৫ | সংগীতশিল্পী | |
মহিউদ্দিন খােকা | ১৭৩৬ | সংগীতশিল্পী | |
তিমির নন্দী | ১৭৩৭ | সংগীতশিল্পী | |
অজয় কিশাের রায় | ১৭৩৮ | সংগীতশিল্পী | |
এম. এ. খালেক | ১৭৩৯ | সংগীতশিল্পী | |
তরুণ রায় | – | সংগীতশিল্পী | |
কে.সি. রায় | – | সংগীতশিল্পী | |
কল্যাণী ঘােষ | ১৮৮৯ | সংগীতশিল্পী | |
নাসরিন আহমেদ শিলু | ১৮৩৭ | সংগীতশিল্পী | |
রুপা খান (ফরহাদ) | ১৮৫৫ | সংগীতশিল্পী | |
মালা খান (খুররম) | ১৮৩৬ | সংগীতশিল্পী | |
নমিতা ঘােষ | ১৮৫৬ | সংগীতশিল্পী | |
স্বপ্ন রায় | ১৮৯২ | সংগীতশিল্পী | |
রমা ভৌমিক | ১৯০৩ | সংগীতশিল্পী | |
উমা চৌধুরী (খান) | ১৯০৫ | সংগীতশিল্পী | |
মাধুরী আচার্য | ১৮৭৮ | সংগীতশিল্পী | |
বুলবুল মহলানবীশ | ১৮৫৯ | সংগীতশিল্পী | |
শীক্ত মহলানবীশ | ১৮৩৪ | সংগীতশিল্পী | |
লায়লা জামান | ১৮৫৮ | সংগীতশিল্পী | |
মিতালী মুখার্জী | ১৯০২ | সংগীতশিল্পী | |
শাহীন মাহমুদ | ১৮৪০ | সংগীতশিল্পী | |
সৈয়দা নাজনীন নীনা | ১৮৪১ | সংগীতশিল্পী | |
অরুণা সাহা | ১৯১৪ | সংগীতশিল্পী | |
জয়ন্তী লালা (ভুইয়া) | ১৯০০ | সংগীতশিল্পী | |
ডালিয়া নওশীন | ১৮৬০ | সংগীতশিল্পী | |
শেফালী ঘােষ | ১৮৯০ | সংগীতশিল্পী | |
ঝর্ণা ব্যানার্জী | ১৯০৬ | সংগীতশিল্পী | |
দীপা ব্যানার্জী | – | সংগীতশিল্পী | |
লীনা দাস | ১৯০৮ | সংগীতশিল্পী | |
সাকিনা বেগম | ১৮৯৫ | সংগীতশিল্পী | |
অর্চনা বসু | ১৯১৮ | সংগীতশিল্পী | |
ফ্লোরা আহমেদ | ১৮৮৩ | সংগীতশিল্পী | |
রানা হায়দার | ১৯১৯ | সংগীতশিল্পী | |
সমর দাস | ১৭৬৫ | সুরকার, সংগীত পরিচালক | |
সুবল দত্ত | ১৭৬৬ | সংগীত প্রযােজক | |
অজিত রায় | ১৭০৪ | সংগীত প্রযােজক | |
বাবুল দত্ত | ১৭৬৭ | সংগীত প্রযােজক | |
গােপী বল্লব বিশ্বাস | ১৭৬৮ | বাদ্যযন্ত্রী | |
পরিতােষ সাহা | ১৭৬৯ | বাদ্যযন্ত্রী | |
অবিনাশ শীল | ১৭৭০ | বাদ্যযন্ত্রী | |
অরুণ গােস্বামী | ১৭৭১ | বাদ্যযন্ত্রী | |
হীরেন চন্দ্র লাহিড়ী | ১৭৭২ | বাদ্যযন্ত্রী সেতার | |
বাসুদেব সাহা | ১৭৭৩ | বাদ্যযন্ত্রী বাঁশী | |
সুনীল গােস্বামী | ১৭৭৪ | বাদ্যযন্ত্রী | |
তড়িৎ হােসেন খান | ১৭৭৫ | বাদ্যযন্ত্রী | |
মদন মােহন দাস | ১৭৭৭ | বাদ্যযন্ত্রী | |
সুজেয় শ্যাম | ১৬৯৪ | সুরকার | |
রংগলাল দেব চৌধুরী | ১৭৭৮ | সংগীত প্রযােজক | |
রূমু খান | ১৭৭৯ | বাদ্যযন্ত্রী গীটার | |
প্রণােদিত বড়ুয়া | ১৭৮০ | কর্মকর্তা | |
সৈয়দ হাসান ইমাম | ১৬৮৮ | নাট্য বিভাগ | |
আব্দুল জব্বার খান | ১৬৮৩ | নাট্যকার ও প্রযােজক | |
মামুনুর রশীদ | ১৬৮৬ | নাট্যকার ও পরিচালক | |
তােফাজ্জেল হােসেন | – | প্রযােজক নাটক | |
রাজু আহমেদ | ১৬৮৭ | নাট্যকার ও পরিচালক | |
নারায়ণ ঘােষ মিতা | ১৬৯০ | প্রযােজক নাটক | |
সুভাষ দত্ত | ১৬৯১ | নাট্যশিল্পী | |
মাযহারুল ইসলাম | – | নাট্যশিল্পী | |
সৈয়দ দীপেন | – | নাট্যশিল্পী | |
সৈয়দ মােহাম্মদ চান (চাদ প্রবাসী) | – | নাট্যশিল্পী | |
আজমল হুদা মিঠু | ১৬৯৩ | নাট্যশিল্পী | |
ফিরােজ ইফতেখার | ১৭২৬ | নাট্যশিল্পী | |
গােলাম রব্বানী | ১২৩৭ | নাট্যশিল্পী | |
নাজমুল হােসেন | – | নাট্যশিল্পী | |
আতাউর রহমান | ১৬৯৫ | নাট্যশিল্পী | |
রাশেদুর রহমান প্রধান | – | নাট্যশিল্পী | |
রাজু আহমেদ | ১৬৮৭ | নাট্যশিল্পী | |
জহুরুল হক | – | নাট্যশিল্পী | |
রুনু আহমেদ | – | নাট্যশিল্পী | |
প্রসেনজিত বােস | – | নাট্যশিল্পী | |
সুমিতা দেবী | ১৯২০ | নাট্যশিল্পী | |
লায়লা হাসান | ১৮২৮ | নাট্যশিল্পী | |
ডা. কাজী তামান্না | ১৮২৭ | নাট্যশিল্পী | |
বুলবুল মহলানবীশ | ১৮৫৯ | নাট্যশিল্পী | |
মাধুরী চট্টোপাধ্যায় | ১৯১৬ | নাট্যশিল্পী | |
নন্দিতা চট্টোপাধ্যায় | ১৯২১ | নাট্যশিল্পী | |
অমিতা বসু | ১৮৫৭ | নাট্যশিল্পী | |
নাছরিন আহমেদ | ১৮৩৭ | নাট্যশিল্পী | |
তাজিন মােরশেদ | ১৮৭৪ | নাট্যশিল্পী |
পৃষ্ঠাঃ ৯৯