অপারেশন চকবাজার
প্রত্যয়ী ওরা। অন্ধকারের জঠর চিরে স্বাধীনতার লাল টুকটুকে সূর্য ছিনিয়ে আনতে ছুটছে সামনে। প্রত্যাশা ট্রেনিং, চাই অস্ত্রের ট্রেনিং। মরণ পণ ওদের। ভেতাে বাঙালি ক্ষেপেছে। তুলে নিয়েছে অস্ত্র। পূর্ণ বঙ্গভূমি আজ বর্বরপাক হানাদারদের ছােয়ায় অপবিত্র। তাই তাে ক্ষেপেছে পাগলী মায়ের দামাল সন্তানরা। উদ্দেশ্য, চরম শিক্ষা দেয়া। হায়নার হিংস্র ছােবলে নিসর্গের রূপ বদলেছে। প্রকৃতির চলমানতা আর নেই। সর্বত্রই কবরের নীরবতা। এ নীরবতা ভেঙ্গে ধূমকেতুর মতাে বিস্ফোরিত হয়েছে মুক্তির সৈনিকদের অস্ত্র। শুরু করেছে হানাদারদের বিরুদ্ধে অভিযান। বীর প্রসবিনী চট্টগ্রাম বীর সন্তানদের ছোঁয়ায় কেঁপে উঠেছে। সেই সব মৃত্যুঞ্জয়ী বীরদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা। সবার চোখে মুখে প্রতিশােধের স্পৃহা। ছুটছে পাহাড়ী পথ বেয়ে। ওদের পথ দেখিয়ে দিচ্ছে গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষ। সুদীর্ঘ পথ এগুতে হয় রাতের আঁধারে। সূর্যের আলাে ফুটে ওঠার পর নিতে হয় বিশ্রাম। এভাবে তিনরাত হেঁটে ওরা এসেছে মীরশ্বরাই। ভারতীয় সীমান্তের পাহাড়ী পথ অতিক্রম করে ওরা ক্লান্ত কিন্তু মনােবল দৃঢ়। ভাবছে কী করে হানাদার বেষ্টিত চট্টগ্রাম শহরে পৌছা যায়। ইতিমধ্যে তাদের অত্যাচার, বর্বরতা সভ্যতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। পথে পথে বসেছে চেক পােষ্ট। সন্দেহ হলেই ধরে নিয়ে যাচ্ছে—পাঠিয়ে দিচ্ছে পরপারে। তরুণদের মাঝে এ নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই। বসেছে বৈঠক মীরশ্বরাইয়ের গােপন শেল্টারে। উদ্দেশ্য কি করে হানাদার বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে অস্ত্র, গােলাবারুদ চট্টগ্রাম শহরে পৌছানাে যায়। অনেক আলাপ-আলােচনা হল। অবশেষে একটি অভিনব কৌশল অবলম্বনে সবাই একমত হল। মীরশ্বরাইয়ের মিঠাছরা বাজার। প্রতিসপ্তাহে দু’দিন বসে। স্থানীয় যুবকদের সহযােগিতায় মুক্তিযােদ্ধা দুই তরুণ এলেন বাজারে। ক্রয় করলেন পঁচিশটি বড় সাইজের মিষ্টি কুমড়া। এগুলাে নিয়ে আসা হল গােপন শেল্টারে।
স্থানীয় একজন যুবক খুব সুন্দর করে মিষ্টি কুমড়াগুলােকে সুড়ঙ্গের মতাে করে ভিতরের জিনিষগুলােকে বের করে আনলেন। অত্যন্ত সুকৌশলে পঁচিশটি গ্রেনেড ও দু’টি রিভলবার মিষ্টি কুমড়াগুলাের ভিতরে ঢুকানাে হল। ভিতরে খরকুটা এমনভাবে দেয়া হল যেন একটি গ্রেনেড অন্যটির সাথে ধাক্কা না খায়। তারপর বস্তার ভেতর মিষ্টি কুমড়াগুলাে ঢুকিয়ে আনা হলাে মিঠাছরা বাজার সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে। বাস এল। কন্ট্রাক্টর অন্যান্যের সাথে মিষ্টি কুমড়ার বস্তাটি ছাদে তুলে যত্ন সহকারে রাখলেন। মুক্তিযােদ্ধা তরুণরা বস্তাটি বাসে তুলে দিয়ে সরে পড়লেন। যাত্রীর ছদ্মবেশে মুক্তিযােদ্ধা নুরুল আমিন বাসে উঠলেন। নুরুল আমিনের বয়স কম। সাইজেও ছােট। তখনও নবম শ্রেণীর ছাত্র। তাকে দেখলে মনে হবে না সে একজন মুক্তির সৈনিক। দেখতে হাবাগােবা কিন্তু অসম্ভব সাহসী ও দৃঢ়চেতা। বাসে ওঠার পূর্বেই সতীর্থরা সব বুঝিয়ে দিয়েছে। বলা হয়েছে যদি পথে মিষ্টি কুমড়াগুলাে ধরা পড়ে সে যেন এগুলাের মালিকানা দাবী না করে। সহযােদ্ধা অন্যরা পরবর্তী যে কোন বাসে চট্টগ্রাম শহরের গােপন শেল্টারে পৌছে যাবে। বাস ছেড়ে দিল। অদূরে দাঁড়ান দলনেতা জাহাঙ্গীর আলম চোখের ইশারায় শেষ নির্দেশ দিলেন। বাসে বসে নুরুল আমি দলনেতার চোখের ইশারা বুঝে নিয়ে পাল্টা চোখের ইশারা ছুড়ে মারলেন দলনেতার প্রতি। অনেক যাত্রীর মাঝে নুরুল আমিন যাত্রী বেশে। জানালা দিয়ে দেখছে সবুজাভ ধানক্ষেত, প্রাকৃতিক দৃশ্য, সবুজ শ্যামল প্রান্তর। মুখাবয়ব কঠিন হল। মনের কোণে জেগে উঠল বর্বর হানাদার নিধনের স্পৃহা। বাসে অনেক মানুষ। কারাে মুখে কথা নেই।
শুধু বাস চলার শব্দ। ভয়ে সবাই অস্থির। পাক হানাদারদের অত্যাচার গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষদের নির্জীব করে দিয়েছে। হঠাৎ ড্রাইভারের কড়া ব্রেক। হুমড়ি খেয়ে পড়ল সবাই। কি হল ভাবতেই দেখা গেল রাস্তায় দাঁড়িয়ে দু’জন খান সেনা। হাত উঁচিয়ে গাড়ি থামানাের নির্দেশ দিল। গাড়ি থামল। একজন উঠে এল গাড়ীর ভিতরে চেক করতে। অন্যজন গেল ছাদে। নুরুল আমিনের বুক ধুক ধুক শুরু করল কিন্তু মুখে তা প্রকাশ পেল না। ছাদে রক্ষিত অন্যান্য মালামাল দেখে সেনাটি মিষ্টি কুমড়ার বস্তাটি ওলট পালট করে দেখে নিচে নেমে এল। দু’জন গাড়ি থেকে নেমে ড্রাইভারের নিকট এল। ড্রাইভার ছােট একটি খাম একজন সেনার হাতে তুলে দিল। কি দিল কেউ বুঝতে পারেনি। গাড়ি ছেড়ে দিল। কিছুদূর যেতেই বাস ড্রাইভার সহকারীকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলল, কুড়ি টাকা দিয়েছি। প্রত্যেক বাস এবং ট্রাক থেকে ওরা বিশ টাকা করে নেয় অবৈধ ভাবে। পাড়ি এল চট্টগ্রাম শহরে। ভাগ্য ভাল পথে আর কোন চেক হয়নি। গাড়ি এসে থামল আলকরণের মােড়ে ধূম বাস স্ট্যান্ডে। যাত্রীরা সবাই যার যার পথে চলে গেল। নুরুল আমিন একপাশে দাড়িয়ে দেখছে কেউ ফলাে করছে কিনা। এ রকম কোন লক্ষণ না পেয়ে এগিয়ে এল ঠেলা গাড়ি স্ট্যান্ডের দিকে। একটি ঠেলা ঠিক করল বাদুরতলা পর্যন্ত। নুরুল আমিন ঠেলা গাড়ির চালককে মালের গন্তব্যের ঠিকানা লিখে দিয়ে নিরাপদ দূরত্ব থেকে ফলাে করল। ঠেলা চালক মিষ্টি কুমড়ার বস্তা তুলে নিলেন ঠেলায়।
চলছেন কোতয়ালীর সামনের রাস্তা দিয়ে। রাস্তার এদিকে-ওদিক পাকসেনাদের পদচারণা। কারাে ঠেলার দিকে খেয়াল নেই। নুরুল আমিন নিরাপদ দূরত্বে থেকে চলছে ঠেলার পেছন পেছন। তার চোখে-মুখে উত্তেজনা। কারণ তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে শহরে এসেছে প্রথম অস্ত্রের চালান। তাও আবার হানাদার বাহিনীর চোখের সামনে দিয়ে। প্রায় একঘন্টা পথ চলার পর ঠেলা এসে পৌছল বাদুরতলার ডাঃ মােশারফ হােসেনের বাসভবনের সামনে। লােক চক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার বস্তাটি বাড়ির ভিতরে নেয়া হল। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পথে অন্যান্য মুক্তিযােদ্ধারা শহরে পৌছে গেছে। এ মুক্তির সৈনিকরা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। এপ্রিল ‘৭১-এ পাকবাহিনী চট্টগ্রাম শহর দখল করে। শুরু করে দেয় হত্যাযজ্ঞ। ক্ষুব্ধ বিক্ষুব্ধ তরুণরা দল বেঁধে সীমান্ত পেরিয়ে চলে যান ভারতে। উদ্দেশ্য দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করার জন্য প্রয়ােজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ। ভারতের হরিণা ক্যাম্পে গঠিত হল সুইসাইড স্কোয়ার্ড। প্রথম প্রপে ট্রেনিং হল দশ জনের। সাত দিনের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ। শেখানাে হল গ্রেনেড চার্জ, রিভিলবার চালান ও গেরিলা কৌশল। এ দশজন সুইসাইড স্কোয়ার্ডের মুক্তির সৈনিককে পাঁচজন পাঁচজন করে দু’গ্রুপে ভাগ করে শহরে পাঠান হল। এ দু’গ্রুপের কাজ হল চট্টগ্রাম শহরে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে স্বাধীনতাকামী মানুষের মাঝে চেতনা ও সাহস ফিরিয়ে আনা।
মানুষ যেন বুঝতে পারে মুক্তিযােদ্ধারা সাময়িক নীরব হয়েছে—স্তব্ধ হয়ে যায়নি। তারা যুদ্ধ প্রস্তুতিতে রয়েছে। এ দু’দলের মূল কাজ হল Hit and run. ক্যাপ্টেন সাত্তারের দলে ছিলেন সর্বজনাব তােফাজ্জল, জিন্টু, নুরুল হকসহ আরাে একজন। তাঁর নাম পাইনি। জাহাঙ্গীর আলমের দলে ছিলেন সর্বজনাব ইউসুফ, নুরুল আমিন, আবু সৈয়দ, আইয়ুব। দু’গ্রুপের এ দশজন লেঃ মাহফুজের নিকট থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে এসেছে ভারতের হরিণা থেকে। দু’চারদিন চট্টগ্রাম শহরে ঘুরে গােপন শেল্টার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্যারেড মাঠের পূর্ব পাশে চুনার গােডাউনের উপরের তলাকে। ইতিমধ্যে মুক্তিযােদ্ধা ক’জন বুঝে নিয়েছে মানুষের অবস্থা। সকলে স্বাধীনতার প্রত্যাশী। কিন্তু মুক্তিযােদ্ধাদের কোন কার্যক্রম শহরে নেই। তাই অনেকে হতাশ। ঠিক হল দু’একদিনের মধ্যে অপারেশন শুরু করতে হবে। গণমানুষকে মুক্তিযােদ্ধাদের সম্বন্ধে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। বীর প্রসবিনী চট্টগ্রাম তখনও শান্ত। জনপদ প্রান্তর ঝিমিয়ে গেছে। নেই প্রাণের স্পন্দন। স্থবিরতা নেমেছে নিসর্গ জুড়ে। মার্চ একাত্তর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত যে প্রাণ চাঞ্চল্য ছিল হানাদার বাহিনী শহর দলখ করার পর সবই হয়েছে স্থবির।
থেমে গেছে পাখির কলকাকলী। শহরের সর্পিল পথগুলােতে দেখা যায় না মিছিল, শােনা যায় না শ্লোগানের শব্দ। শকুন সময় সব কেড়ে নিয়েছে। সর্বত্রই হানাদার বাহিনীর পদচঞ্চল পরশ। তাদের হিংস্র বর্বরতায় নগরবাসী অতিষ্ঠ। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলাে তখনও পরিণত হয়েছে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। যাঁরা এতদিন মুক্তির মিছিলে ছিল তাদের অনেককে হত্যা করা হয়েছে। যারা বেঁচে রয়েছেন তাঁরা ছুটছেন স্বাধীনতার সােনালী সূর্যকে ছিনিয়ে আনার প্রত্যাশায়। চট্টগ্রামের সর্বত্রই পিন পতন নীরবতা। এ নীরবতাকে ভাঙ্গতে শপথ নিয়েছে মুক্তির সৈনিকরা। ঘােষণা দিয়েছে, আমার দেশকে স্বাধীন করব আঠারােই মে, একাত্তর, শুক্রবার। সকাল দশটা। ঝলমলে সকাল। রাস্তার উপর দাড়িয়ে এক তরুণ, চেহারায় মলিনতার ছাপ। চকবাজার লেবার শেডের দিকে তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। এদিক-ওদিক পায়চারী করছে। তরুণটির বয়স বিশ কি বাইশ। শক্ত সমর্থ গঠন। পরনে লুঙ্গি ও ফুল হাতার শার্ট গায়ে। তাকে লেবার শেডের লেবার ছাড়া অন্য কিছু ভাবা যায় না। লেবারদের দলের মধ্যে ঢুকে এর সাথে, ওর সাথে কথা বলছে যেন বাইর থেকে লেবার ছাড়া অন্য কিছু কেউ ভাবতে না পারে। এমনি সময় প্রতিদিনের মতাে এল সেই জীপটি। চারজন পাকসেনা নেমে এল জীপ থেকে। নেমেই এদিক-ওদিক চোখ বুলাল। মনে হল সব কিছুই স্বাভাবিক। পাকসেনাদের তিনজন আশেপাশের দোকান থেকে কি কি যেন ক্রয় করল। দাম দেয়নি। এক দোকানী দাম চাইলে তাকে রাইফেলের বাট দিয়ে আঘাত করল। তারা এসে বসল জীপের মধ্যে। তরুণটি নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে কোমরে হাত দিয়ে অস্তিত্ব অনুভব করল রিভলবারের ও গ্রেনেডের। এভাবে কেটে গেল প্রায় পনেরাে মিনিট। তরুণটি এতক্ষণে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। লেবার শেডের পিছনে গিয়ে কোমর থেকে খুলে নিল একটি গ্রেনেড।
সাথে গ্রেনেডের পিন। এবার সবার অলক্ষ্যে এগিয়ে এল গাড়ির কাছে। পাকসৈনিকরা তখনও গাড়ির ভিতরে গল্পে মেতে রয়েছে। তরুণটি গাড়ির দু’হাতের মধ্যে এসে গেল। কেউ কিছু বুঝার আগেই ছুড়ে মারল গ্রেনেডটি। গাড়ির ভিতরে পড়ে সেটি বিকট শব্দে ফেটে গেল। ধূয়ায় ছুটোছুটি যে যেদিকে পারছে। প্রায় ঘন্টাখানেক পর এল একদল খানসেনা। ছিন্ন ভিন্ন। জীপের ভেতরে থেকে তিনজনের লাশ নিয়ে তারা চলে গেল। গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তরুণ সূর্যসৈনিক গ্রুপ লিডার জাহাঙ্গীর আলম সুকৌশলে লােক চক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে চলে আসেন দক্ষিণ বাকলিয়া হাসান নওশাদ নামক এক বন্ধুর বাড়িতে। তাকে সাথে নিয়ে আসেন ওসমানিয়া গ্লাস ফ্যাক্টরীর পাশে কালা মিয়া সওদাগরের বাড়িতে। সেখানকার শেল্টার দাতা নূর মােহাম্মদ হাসান পারভেজসহ জুমার নামাজ পড়ে ফিরেন প্যারেডের কোনে গােপন শেল্টারে।
এ অপারেশনই চট্টগ্রামের মুক্তিযােদ্ধাদের প্রথম গেরিলা অপারেশন। বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ল চকবাজার অপারেশনের কথা। স্বাধীনতাকামী জনতা আনন্দিত হল। প্রাণের স্পন্দন ফিরে এল চট্টগ্রামবাসীর। স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতারকেন্দ্র থেকে চকবাজার
অপারেশনের কথা প্রচার হল। এ অপারেশনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম শহর রণাঙ্গনে মুক্তিযােদ্ধাদের পদচারণা শুরু হল। দু’দলের আজ অনেকেই নেই। কেউ গেছেন ফাঁসির কাষ্ঠে। আর যাঁরা রয়েছেন তাঁদের অনেকে পড়ে রয়েছেন অনাদর অবহেলায় অস্পৃশ্য হয়ে। আসুন সকলে মিলে জাতীয় বীরদের খুঁজে বের করে তাদের নামে সংগ্রামের গাঁথা রচনা করি। [ বিঃ দ্রঃ মুক্তিযােদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমের দলের যােদ্ধা নুরুল আমিন তৎকালীন পাকসরকারের দোসর আজান পত্রিকার অফিসে গ্রেনেড ছোড়েন। জাহাঙ্গীর আলম পরে দেরাদুনে চলে যান উন্নত ট্রেনিং গ্রহণে। তারপর মুক্তিযােদ্ধাদের প্রশিক্ষক হয়েছিলেন। পরে অটোনা ক্যাম্প ও উদয়পুর ক্যাম্পে উন্নত ট্রেনিং শেষ করেন কৃতিত্বের সাথে । নভেম্বরে তিনি ফটিকছড়িতে প্রবেশ করেন এবং ডিসেম্বরে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। (সূত্র : রণাঙ্গনে সূর্য সৈনিক, সাখাওয়াত হােসেন মজনু)
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের দু’শো রণাঙ্গন – মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি সম্পাদিত