You dont have javascript enabled! Please enable it!
ক্যাপ্টেন শমসের মুবিনের দৃষ্টিতে চট্টগ্রামের প্রতিরােধ
সাক্ষাৎকার ও ক্যাপ্টেন শমসের মুবিন চৌধুরী। ২০-১০-১৯৭৩ মার্চের ২২ তারিখে ক্যাপ্টেন হারুন (এসিস্ট্যান্ট উইং কমান্ডার, ইপিআর) কাপ্তাই থেকে এসে আমাকে বলল যে, আমাকে মেজর রফিকের (এডজুট্যান্ট, ইপিআর) বাসায় যেতে হবে। ২২শে মার্চ রাতে আমি, ক্যাপ্টেন হারুন, মেজর খালেকুজ্জামান, ক্যাপ্টেন অলি, মেজর রফিকের বাসায় গেলাম। | জনাব কায়সার এমপিএ এবং ডাক্তার মান্নান এই দু’জন আওয়ামী লীগ কর্মীও সেখানে ছিলেন। আমরা স্থির করলাম যে, এখানে আলাপ-আলােচনা করা নিরাপদ নয়, তাই আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলাম। যাবার সময় আমরা খুব সতর্ক ছিলাম যে কেউ আমাদের অনুসরণ করছে কিনা।  আমরা আওয়ামী লীগ কর্মীদের তাদের পরিকল্পনা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলাম। তাঁরা বললেন যে, শেখ সাহেব রাজনৈতিক সমাধানের আশা করছেন। আমরা বললাম যে, আমরা আপনাদের সাথে আছি। আপনাদের পক্ষ থেকে যদি ঠিক সময়ে কোন সাড়া বা আভাস পাই তাহলে আমরা কিছু একটা করতে পারি। | আমরা বুঝতে পারলাম যে তাদের কোন প্রস্তুতি নেই। আমরা বললাম যে, আমরা মানসিক দিক থেকে প্রস্তুত আছি। আপনারা ঢাকা থেকে খবরাখবর নিয়ে আগামীকাল আমাদের জানাবেন।
২৩শে মার্চ মেজর রফিক আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে বললেন। কিন্তু কিছু একটা হবে কিনা তিনি তখনও জানেন না। আমাদের আলাপ-আলােচনার কথা মেজর জিয়াউর রহমানকে জানালাম। তাঁকে আমরা আবার আশ্বাস দিলাম যে, আমরা সবসময় তার সাথে থাকব। এর আগে লেঃ মাহফুজকে পরিস্থিতি অবগত করানাের জন্য মেজর জিয়াউর রহমান আমাকে বলেছিলেন। আমি তাকে পরিস্থিতি বুঝিয়ে বললাম যে, আমাদেরকে পাকিস্তানীরা সন্দেহ ও অবিশ্বাসের চোখে দেখছে। আমরাও তাদেরকে বিশ্বাস করতে পারছি না। মেজর জিয়াউর রহমান বলেছেন যে ‘সিটিং ডাক’ -এর মতাে না থেকে নিরস্ত্র করতে আসলে তা প্রতিহত করবেন। মাহফুজ বলল যে, পরিস্থিতি এত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে কিনা? তারপর সে বলল, আচ্ছা ঠিক আছে। ২৪শে মার্চ মেজর রফিক আমাকে বলল যে, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তাদের কোন সিদ্ধান্ত এখনও আমাদেরকে জানাননি। ২৪শে মার্চ রাতে খবর পেলাম যে জনগণ রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করছে। এমভি সােয়াত’ থেকে অস্ত্রশস্ত্র খালাস করতে জনগণ বাধা দিচ্ছে।
জেটি থেকে সেনানিবাস পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে সেনাবাহিনীর লােকজন চলাফেরা করতে না পারে। এ খবরটা আমি জিয়াউর রহমান সাহেবকে পাঠালাম। আমাদের সৈনিকদের মাঝে একটা আতংক দেখতে পেলাম। কি হবে? কি করতে হবে না হবে? বাইরের ঘটনাবলীতে সৈনিকরাও যথেষ্ঠ উদ্বিগ্ন ছিল। আমি সারা রাত সজাগ ছিলাম। ২৪শে মার্চ পাকিস্তানসেনাবাহিনীর দু’জন মেজর জেনারেল চট্টগ্রামে ইবিআরসিতে এসেছিলেন। ঐ দিন জানতে পারলাম দু’জনের সাথে করে ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে (ইবিআরসি কমান্ডার মার্শাল ল’ এডমিনিসট্রেটর) ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ খবরটা জিয়াউর রহমানকে জানাই। আমাদের সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়া বললেন যে, ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়নি। তিনি বার বার বলছিলেন যে, ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। ব্রিগেডিয়ার মজুমদারের জায়গায় বিগ্রেডিয়ার আনসারীকে সামরিক প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়।
২৫শে মার্চ ব্রিগেডিয়ার আনসারী আমাদের সিওকে নির্দেশ দিলেন যে, আমরা যেন ব্যারিকেড পরিস্কার করি। অল ব্যারিকেডস মাস্ট বি ক্লিয়ারড এ্যাট এনি কস্ট’—এটা ব্রিগেডিয়ার আনসারীর ম্যাসেজ ছিল। এ্যাট এনি কস্ট’ শব্দটার উপর আমাদের সিও খুব এ্যামফ্যাসিস করছিলেন। ষােলশহর রেলক্রসিং-এর উপর ওয়াগন দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছিল। ঐ ব্যারিকেড সরাতে পুরাে একটা কোম্পানী ডিটেইল করা হল। সুবেদার খালেককে বললাম যে, এ ট্রেনের ওয়াগন যেন বিকেল চারটার আগে সরানাে না হয়। কমান্ডিং অফিসার আমাদের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে ডেকে ঐ ওয়াগনগুলাের চাকা ব্রেক ভাঙ্গতে শুরু করলেন। জনসাধারণ খুব হৈ-হুল্লোড় করছিল। বিকেল পর্যন্ত ঐ ব্যারিকেড সরানাে হল। বায়েজীদ বােস্তাম পর্যন্ত সমস্ত ব্যারিকেড পরিস্কার করতে নির্দেশ দেয়া হল। আমরা আশা করছিলাম যে আওয়ামী লীগ হাই কমান্ড থেকে কোন নির্দেশ পাব। আমি মেজর রফিকের সাথে টেলিফোনে যােগাযােগ করি। তিনিও বললেন যে, কোন নির্দেশ তিনিও পাননি। তবে তিনিও প্রস্তুত আছেন। | আমরা ব্যারিকেড পরিস্কার করতে গেলাম।
২৫শে মার্চ রাত ৯টা নাগাদ সমস্ত ব্যারিকেড পরিস্কার করা হল। জনসাধারণ আমাদেরকে খুব বাধা দিচ্ছিল। আপনারা এসব করবেন না। আপনাদেরই ক্ষতি হবে। জনসাধারণ এসব বলছিল। আমরা বললাম যে, আমাদের ইচ্ছায় আমরা কিছু করছি না। আমরা শুধু নির্দেশ পালন করছি। তদুপরি অন্য কোন নির্দেশও আমরা পাচ্ছি না। কমান্ডিং অফিসার যে কোন উপায়ে হােক ব্যারিকেড ক্লিয়ার করার নির্দেশ দিচ্ছিলেন। | ষােলশহর থেকে বায়েজীদ বােস্তাম পর্যন্ত ডিউটি দেবার জন্য আমাদের উপর নির্দেশ দেয়া হল। আমরা যখন ডিউটি করছিলাম তখন বালুচ রেজিমেন্টের ৫টা গাড়ি আমাদের সামনে দিয়ে ক্যান্টনমেন্টের দিকে চলে গেল। ঐসব গাড়িতে গােলাবারুদ-এমুনিশনও ছিল। রাত সাড়ে এগারােটায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়ার সাথে দেখা হয়। তিনি আমাকে মেজর জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রাম পাের্ট-এ ডিউটি করতে খবর দিতে বললেন। তিনি জিয়াউর রহমানের স্ত্রীকে বলতে বললেন যে, ভয়ের কোন কারণ নেই। জিয়াউর রহমান ২৬শে মার্চ সকালে চলে আসবে।
রাস্তায় ছেলেরা একটা গর্ত করেছিল। সেই গর্তটা ভরাট করতে আমাকে বলা হল। আমি জিয়াউর রহমানের স্ত্রীকে এ খবর বললাম। জিয়াউর রহমানকেও এ খবর জানালাম। রাত বারােটায় আমি ষােলশহর ক্যন্টনমেন্টের গেটে গেলাম। সেখানে গিয়ে গুলির আওয়াজ শুনতে পেলাম। বৃষ্টির মতাে গুলি হচ্ছিল। ক্যাপ্টেন অলিকে টেলিফোনে জানালাম যে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে ভীষণ গােলাগুলি হচ্ছে। আমি বুঝতে পারি না। সেখানে ঠিক কি হচ্ছে। ক্যাপ্টেন অলি আমাকে সঠিক খবর নেবার চেষ্টা করতে বললেন এবং তাকে জানাতে বললেন। এমন সময় কিছু বাঙালি সৈন্যকে গেটের দিকে আসতে দেখলাম। তারা আমাকে বললেন যে, স্যার, বেলুচ রেজিমেন্ট আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং আমাদের অনেককে মেরে ফেলেছে। কর্নেল এমআর চৌধুরীকেও (ইবিআর সি চীফ ইন্ট্রাক্টর) মেরে ফেলেছে। কর্নেল এম আর চৌধুরীকেও ওঠালাম এবং আমার সাথে মােলশহরে এইটথ বেঙ্গলে নিয়ে এলাম।
এইটথ বেঙ্গলে-এ এসে শুনলাম যে, সমস্ত পশ্চিম পাকিস্তানী অফিসারদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেজর জিয়াউর রহমানের নির্দেশে এটা করা হয়েছে। মেজর জিয়াউর রহমানের সাথে আমার দেখা হয়। এখন থেকে তিনিই হচ্ছেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার। তিনি আরাে বললেন যে, গােলাগুলির খবর তিনি শুনেছেন। এ খবর শােনার পর তিনি ব্যাটালিয়ন-এর কমান্ডিং অসিফসার লেঃ কর্নেল জানজুয়া সহ অন্যান্য পশ্চিম পাকিস্তানী অসািরদের গ্রেফতার করেছেন। পরে ওদের সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছিল। তারপর মেজর জিয়াউর রহমান আমাকে ব্যাটালিয়ন-এর সবাইকে এক জায়গায় একত্রিত করতে বলল। তারপর মেজর জিয়াউর রহমান টেবিলের উপর উঠে বক্তৃতা করলেন। তিনি বললেন, আজ থেকে আমি অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার। আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার সংকল্প ঘােষণা করলাম। আমি এবং আমার নির্দেশেই সবকিছু চলবে। আপনারা সবাই আমার সাথে থাকবেন। এখন এখানে থাকা আমাদের জন্য নিরাপদ নয়। আমরা সবাই কালুরঘাটের দিকে যাবে, সেখানে গিয়ে আমরা সবকিছু রিঅর্গানাইজ করব এবং আমাদের পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করব।’ ২৬শে মার্চ ভােরে আমরা কালুরঘাটের আর একটু দূরে গিয়ে পৌঁছলাম। সেখানে আমরা বিশ্রাম নিলাম এবং রিঅর্গানাইজেশন করলাম। ২৬শে মার্চ এভাবে কেটে গেল।
২৭শে মার্চ সন্ধ্যার সময় মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে গেলেন এবং ভাষণ দিলেন। ভাষণে তিনি বললেন যে, আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে লিপ্ত আছি। আপনারা যে যেখানে আছেন, সামরিক ও বেসামরিক লােকজন, যেন আমাদের সাথে সহযােগিতা করেন। সবাইকে অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তান হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে বললেন। তিনি বিশ্বের শান্তিকামী দেশগুলর সাহায্য এবং সহযােগিতা কামনা করলেন। দেশবাসীকে স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করতে বললেন। ২৮শে মার্চ সারা দিন আমি ঐ ভাষণ বেতার কেন্দ্র থেকে পড়ি। চট্টেশ্বরী রােড অপারেশন ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমাদের এ্যাম্বুশ করেছিল। আমরা ১০ জন ছিলাম। আমরা ওদের এ্যামবুশ কাউন্টার করেছিলাম। ২৯শে মার্চ আসকের দীঘি অপারেশন ঃ প্রায় ১২ ঘন্টা এখানে পাকিস্তান সেনাবহিনীর সাথে আমাদের গােলাগুলি বিনিময় হয়।
৩০শে মার্চ বাকুলীয়া গ্রাম অপারেশন ও এখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দু’টো গেরিলা কমান্ডােকে হত্যা করা হয়। এপ্রিল মাসের ১১ তারিখে কালুরঘাট ব্রীজ অপারেশন চালানাে হয়। এখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমাদের আক্রমণ করে। এই যুদ্ধে আমি গুরুতররূপে আহত হই। আমি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ি। তারপর আমাকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়। বন্দি শিবিরে রাখা হয় এবং অশেষ নির্যাতন চালানাে হয়। প্রত্যহ আমাকে মারধর করা হত। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে আমাকে রাখা হয়। আমার সাথে আরাে অনেক বন্দি ছিল। এদের কাউকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জুন মাস পর্যন্ত আমার উপর অত্যাচার চলে। নভেম্বর মাসে আমার বিরুদ্ধে চার্জশীট আনা হয়। বলা হয়েছিল আমাকে কোর্ট মার্শাল করা হবে। কিন্তু ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে পাকবাহিনী আত্মসম্পণ করে। আমি মুক্ত হয়ে যাই।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য যে, কালুরঘাটে এসে আমরা শপথ গ্রহণ করলাম। শপথ বাক্য পাঠ করেছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। এমন কি যদি প্রয়ােজন হয়, দেশের জন্য আমরা প্রাণ দেব। আমাদের ব্যাটালিয়নের হেডকোয়ার্টার ছিল গ্রামে। ৩০শে মার্চ বাকুলিয়া গ্রামে অপারেশন চালিয়ে আমরা দু’টো কামন্ডােকে হত্যা করি। চকবাজারে আমরা প্রতিরক্ষা ব্যুহ্য তৈরি করেছিলাম। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে আমরা পিছু হটে যাই। চট্টগ্রাম কালুরঘাটের যুদ্ধ ঃ ১১ই এপ্রিল সকাল ৮টার সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভীষণ আর্টিলারি ফায়ার শুরু করে। আমি এবং মেজর হারুন আমাদের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করছিলাম। আমদের সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় ৩৫জন। ওদের সংখ্যা ছিল ১০০-এরও উপর। আমাদের একজন সিপাহী এই যুদ্ধে মারা যায়। মেজর হারুন ব্রীজের উপর আহত হন। আহত হবার পর অতি কষ্টে তাঁকে পুলের অপর দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে পিছু হটতে নির্দেশ দিলাম। আমাকে একজন সৈন্য চলে যেতে বলল। আমি বললাম যে, তােমরা যাও, আমি আসছি। আমি রয়ে গেলাম। হঠাৎ আমি নিজেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক ঘেরাও অবস্থায় দেখলাম। অন্য সবাই পুলের অপর পারে চলে যেতে সক্ষম হয়। আমি ট্রেঞ্চ থেকে বের হয়ে চারদিকে চাইনিজ স্টেনগান দিয়ে গুলি ছুঁড়তে শুরু করলাম। চোখের সামনে তিনজন পাকিস্তানী সৈন্যকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখলাম।
তারপর একটা গুলি এসে আমার কোমরে লাগে এবং আমি গুরুতররূপে আহত হয়ে পুলের উপর পড়ে গেলাম। আমি ভাবতে লাগলাম যে শত্রুরা আমাকে ধরে ফেলবে। আমি ওদের হাতে ধরা পড়ার চেয়ে আত্মহত্যা করে মৃত্যুকে শ্রেয় বলে স্থির করলাম। কিন্তু স্টেনগানটা দূরে ছিল তাই এটা সম্ভব হল না। আমি ভাবছিলাম ওরা আমাকে ধরে মেরে ফেলবে কিন্তু শত্রুরা আমাকে ধরে নিয়ে যায় এবং বন্দি করে রাখে। তারপর আমাকে ঢাকা পাঠিয়ে দেয়। স্বাক্ষর ও শমসের বাংলাদেশ আর্মি। (সূত্র : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র, নবম খণ্ড)

সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের দু’শো রণাঙ্গন – মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!