১৯৭২ সালে অনিল কানাডা যাওয়ার পর আর বাংলাদেশে কখনাে আসেনি। ওর বয়স তখন আট সপ্তাহও পূর্ণ হয়নি, যখন সে প্রথম কানাডাতে যায়। অনিলের মতে, সে যে কখনাে বাংলাদেশে আর আসবে না এমন কথা সে বলতে রাজি না। যদিও সে কোনাে সফরের পরিকল্পনা করেনি এ যাবৎ, সে তেমন কোনাে সম্ভাবন আসবে সে এখনও জানে না, বাস্তববাদী অনিল এ ধরনের বাসনার নিবৃত্তির জন্য অন্য পথ । ধরতে দেরি করেনি।
অনিল নানা বিষয়ে কাজ করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। তার নিজের ভাষায়: “কানাডাতে আমার চারপাশের মানুষের জন্য আমি নানা সেবা ও শুভেচ্ছা যুগিয়ে আসছি” অনিল এখানেই থেমে থাকেনি। সে আরও বলে, “আমার পথ হলাে নারী ও পুরুষের সম্মান ও সম্পর্ককে রক্ষা করা এবং অন্যদের ওরকম করতে সহায়তা যােগাননা যদি তারা তৈরি থাকে । স্পষ্টভাবে বলতে গেলে আমি বলব, আমি নারী ও পুরুষকে যৌন আক্রমণাত্মক শারীরিক নিগ্রহ প্রতিরােধের প্রশিক্ষণ দিই। সে কারণে আমি নিজেকে Nemesis বা নিয়তি বলে পরিচয় দিয়েছি।
যৌন আগ্রাসনের অসহায় শিকার যারা, তাদের যাতে ভালাে হয়, সেরকম কিছু করার উপায় হিসাবে Martial Arts বা যুদ্ধশিল্প চর্চার সিদ্ধান্ত নেবার পর অনিল দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করে যে সত্যিকার অর্থে একটি কাজের মতাে কাজে হাত দিয়েছে। আবার, বিষয়টি যে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ সেটা উল্লেখ করতে না করতে অনিল অঙ্গুলিনির্দেশ করে বলে, “আমার জন্মের অর্থ জানার বহু আগে থেকে অথবা আমার জন্মদাত্রী মা এবং জন্মদাতা বাবার অতীত বিষয়ে জানার আগে আমি যুদ্ধশিল্প চর্চা শুরু করি। শুধু তাই নয়, আমি তখনই ধর্ষণ প্রতিরােধ বিষয়ক কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দিতে আরম্ভ করি । আমার সেরা শিক্ষকদের একজন Grascila Damewood এবং Dan Milliman, দুজনেই বলেছেন, “যা হবার তাই হবে।
দিনের শেষে, সব কিছু যখন বলা এবং করা শেষ, উদাসীন অনিল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের সম্পর্কে অনাগ্রহী । যদিও সে তার বাংলাদেশি শিকড় কখনাে অস্বীকার করে। ওর যদি কোনাে বাঙালির সঙ্গে দেখা হয়ে যায় খুব ভালাে। ব্যাপারটা হলাে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যদি তার সঙ্গে কোনাে বাংলাদেশি অথবা পাকিস্তানির দেখা হয় বা না হয়, তাতে তার কিছু আসে যায় না।
বাংলাদেশের ব্যাপারে অনিল তেমন আগ্রহী না হলেও মজার বিষয় যে, অনিলের নাম কেউ ভুল উচ্চারণ বা বানান করলে অনিলের মধ্যে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। আমরা লক্ষ্য করেছি, অনিল বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং যে দেশে সে জন্মেছিল সে জন্মভূমি হিসাবে। বাংলাদেশের বিষয়ে অতটা আবেগাপুত হয় না। কিন্তু সে নিশ্চিতভাবেই রেগে যায় যখন কেউ তাকে যে নামে অনাথ আশ্রমে সিস্টাররা ডাকতেন ওর মায়ের ভাষা অনুসরণ করে, ভুল উচ্চারণ করেন। মন ভােলা স্বভাবের মানুষ অনিল বলে, যখনই কউে তাকে পশ্চিমা উচ্চারণে অনিলের পরিবর্তে অ’নীল (0′ Neil) বলে ডাকে তখন সে দৃশ্যত বিরক্তবােধ করে। কেউ যদি তাকে সম্বােধন করে বা লেখে 0′ Neil মৌলিং হিসাবে Onil-এর পরিবর্তে তাতেও সে বিরক্ত হয়।
অনিলের মা-বাবা অনিল নামটি বাংলাদেশের অনাথ আশ্রম কর্তৃপক্ষের সম্মানেই রেখেছিলেন তার মধ্য নাম হিসেবে। তাই অনিলের নাম অন্যভাবে উচ্চারণ করলে বা লিখলে মৌলিংরাও আসবে সে এখনও জানে না, বাস্তববাদী অনিল এ ধরনের বাসনার নিবৃত্তির জন্য অন্য পথ । ধরতে দেরি করেনি।
অনিল নানা বিষয়ে কাজ করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। তার নিজের ভাষায়: “কানাডাতে আমার চারপাশের মানুষের জন্য আমি নানা সেবা ও শুভেচ্ছা যুগিয়ে আসছি” অনিল এখানেই থেমে থাকেনি। সে আরও বলে, “আমার পথ হলাে নারী ও পুরুষের সম্মান ও সম্পর্ককে রক্ষা করা এবং অন্যদের ওরকম করতে সহায়তা যােগাননা যদি তারা তৈরি থাকে । স্পষ্টভাবে বলতে গেলে আমি বলব, আমি নারী ও পুরুষকে যৌন আক্রমণাত্মক শারীরিক নিগ্রহ প্রতিরােধের প্রশিক্ষণ দিই। সে কারণে আমি নিজেকে Nemesis বা নিয়তি বলে পরিচয় দিয়েছি।
যৌন আগ্রাসনের অসহায় শিকার যারা, তাদের যাতে ভালাে হয়, সেরকম কিছু করার উপায় হিসাবে Martial Arts বা যুদ্ধশিল্প চর্চার সিদ্ধান্ত নেবার পর অনিল দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করে যে সত্যিকার অর্থে একটি কাজের মতাে কাজে হাত দিয়েছে। আবার, বিষয়টি যে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ সেটা উল্লেখ করতে না করতে অনিল অঙ্গুলিনির্দেশ করে বলে, “আমার জন্মের অর্থ জানার বহু আগে থেকে অথবা আমার জন্মদাত্রী মা এবং জন্মদাতা বাবার অতীত বিষয়ে জানার আগে আমি যুদ্ধশিল্প চর্চা শুরু করি। শুধু তাই নয়, আমি তখনই ধর্ষণ প্রতিরােধ বিষয়ক কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দিতে আরম্ভ করি । আমার সেরা শিক্ষকদের একজন Grascila Damewood এবং Dan Milliman, দুজনেই বলেছেন, “যা হবার তাই হবে।
দিনের শেষে, সব কিছু যখন বলা এবং করা শেষ, উদাসীন অনিল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের সম্পর্কে অনাগ্রহী । যদিও সে তার বাংলাদেশি শিকড় কখনাে অস্বীকার করে। ওর যদি কোনাে বাঙালির সঙ্গে দেখা হয়ে যায় খুব ভালাে। ব্যাপারটা হলাে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যদি তার সঙ্গে কোনাে বাংলাদেশি অথবা পাকিস্তানির দেখা হয় বা না হয়, তাতে তার কিছু আসে যায় না। বাংলাদেশের ব্যাপারে অনিল তেমন আগ্রহী না হলেও মজার বিষয় যে, অনিলের নাম কেউ ভুল উচ্চারণ বা বানান করলে অনিলের মধ্যে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। আমরা লক্ষ্য করেছি, অনিল বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং যে দেশে সে জন্মেছিল সে জন্মভূমি হিসাবে। বাংলাদেশের বিষয়ে অতটা আবেগাপুত হয় না। কিন্তু সে নিশ্চিতভাবেই রেগে যায় যখন কেউ তাকে যে নামে অনাথ আশ্রমে সিস্টাররা ডাকতেন ওর মায়ের ভাষা অনুসরণ করে, ভুল উচ্চারণ করেন। মন ভােলা স্বভাবের মানুষ অনিল বলে, যখনই কউে তাকে পশ্চিমা উচ্চারণে অনিলের পরিবর্তে অ’নীল (0′ Neil) বলে ডাকে তখন সে দৃশ্যত বিরক্তবােধ করে। কেউ যদি তাকে সম্বােধন করে বা লেখে 0′ Neil মৌলিং হিসাবে Onil-এর পরিবর্তে তাতেও সে বিরক্ত হয়।
অনিলের মা-বাবা অনিল নামটি বাংলাদেশের অনাথ আশ্রম কর্তৃপক্ষের সম্মানেই রেখেছিলেন তার মধ্য নাম হিসেবে। তাই অনিলের নাম অন্যভাবে উচ্চারণ করলে বা লিখলে মৌলিংরাও সত্যিকারভাবে বিরক্ত হতেন। যারা তার নাম বাংলা রেখেছিলেন অনিলের অসন্তোষ হয়তাে তাদের প্রতি সম্মান ও ভালােবাসারই প্রতিফলন। সে যা হােক, তার বাংলা নাম এবং আংশিক বাংলা অথবা পাকিস্তানি ঐতিহ্য সত্ত্বেও অনিল কানাডা ও কানাডীয়দের সঙ্গেই নিজেকে মেলাতে পছন্দ করে। অনিলের বক্তব্য হলােঃ “আমি সাধারণত বাংলা রীতিনীতি অথবা স্বাধীনতা উৎসব পালন করার বাস্তবতা থেকে বহু দূরে অবস্থান করি । তবে হ্যা, সে কানাডীয় জাতীয় উৎসব যেমন Canada Day (১ জুলাই), Remembrance Day (১১ নভেম্বর) ইত্যাদিতেও তেমন আগ্রহ নেয় না।
সম্প্রতি অনিল মেলিসা বার্টেলাে নামে এক ইতালীয় পশ্চাদপটের কানাডীয়ের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়। মেলিসার জন্ম টরন্টো শহরে । সে বড় হয়েছে বল্টন-এ টরন্টো’র। কাছের এক ছােট্ট শহরে। মেলিসা একজন নিবন্ধীকৃত নার্স, বর্তমানে সে একটি স্থানীয় হাসপাতালে ক্যান্সার কেয়ার ইউনিটে কাজ করে। ২০১২ সালে একটি বিশেষ পানঘরে তাদের প্রথম দেখা। সে দেখা থেকে তাদের কথাবার্তা বলা, আন্তরিকতা এবং প্রীতিপূর্ণ। সম্পর্ক। “যখন দেখলাম আমরা দুজনেই গভীরভাবে প্রেমে আসক্ত, আর কালক্ষেপণ না করে আমরা প্রচলিত আচার অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই ২০১৪ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি ।
অনিল টরন্টোয় বাস করে, তার মা-বাবা মিসিসাগায়। অনিল তার মা-বাবার কাছ থেকে কেবল একটি ফোন কলের দূরত্বে অবস্থান করে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, তার মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সর্বদাই তৈরি, যারা তাকে এবং তার ভাইবােনদের দারুণ ভালােবাসা ও সমর্থনপুষ্ট পরিবেশে বড় করেছেন। অনিল তার ভাইবােনদের সঙ্গে ভালােবাসার বাঁধনে আটকে রয়েছে, যদিও আজ তারা বড় হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ওদের গল্প। সবাই সে একই মায়ার বাঁধনে আটকে পড়া গল্পের মতাে। অনিল ওদের সঙ্গে প্রায়ই দেখা। করে এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সময় কাটায়।