You dont have javascript enabled! Please enable it!
সাবিত্রী (যুদ্ধশিশু ‘খ’)
 

সময়ের আগে যুদ্ধশিশু ‘খ’-এর জন্ম ঢাকা, বাংলাদেশের শিশু ভবনে ৮ জুলাই, ১৯৭২ সালে। তখন নবজাত শিশুটির ওজন ছিল ১.২ কেজি। কানাডীয় টিম যখন ঢাকাতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দত্তকের বিষয়ে আলাপ আলােচোনায় ব্যস্ত, ঐ সময়েই এ শিশুটির জন্ম হয়। শিশু ভবনের সন্নাসিনীরা শিশুটির নাম দিয়েছিলেন সাবিত্রী । শিশুটি এতই রােগা ছিল যে সবাই উকষ্ঠিত ছিলেন যে আরও একটি দিন সে বাঁচবে কিনা। অন্যান্য যুদ্ধশিশুদের বেলায় যেমন, সাবিত্রীর জন্মদাত্রী মাও তার জন্মের পর গােপনে চলে গিয়েছিলেন শিশুটিকে। পরিত্যাগ করে। আমরা চতুর্থ অধ্যায়ে দেখেছি, যে ১৫টি যুদ্ধশিশুকে কানাডা নেবার জন্য বাছাই করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে যুদ্ধশিশু ‘খ’ ছিল সবচেয়ে রােগা এবং দুর্বল স্বাস্থ্যের ।। ফেরিদের সঙ্গে যখন সে কানাডা পৌছায় তখন তার ওজন ৩ কেজির বেশি হয়নি।

ফেরিরা মেয়েটির নাম আনুষ্ঠনিকভাবে দত্তক গ্রহণের সময় একটু বদলেছেন। আমরা তাকে যুদ্ধশিশু ‘খ’ নামে ডাকব। হেলকে বলেন বাংলাদেশ থেকে কানাডা ফেরার সময় তাদের ভ্রমণ মনে রাখার মতাে দুশ্চিন্তা এবং উত্তেজনা দুয়েরই মিশ্রণ ছিল। হেলকে তার দুর্বল স্বাস্থের শিশুর জন্য বােতলে দুধ খাওয়ানাে সম্ভব হবে না বলে তার শিরার অভ্যন্তরে ফোটা। ফোঁটা তরল পুষ্টি সরবরাহ করার বন্দোবস্ত করেছিলেন। “এটা কেবল ওর সৌভাগ্য ‘খ’ পুরাে পথটা পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছিল,” হেলকে বলেন আজ অবধি সে সময়ের ঘটনাটি তিনি মনে রেখেছেন। ফেরিরা যখন টরন্টো পোঁছলেন, হেলকে শিশু মেয়েটিকে নিয়ে বিমানবন্দর থেকে সােজা বালিংটনের জোসেফ ব্রান্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। তার স্বামী শিশু ছেলে ‘ক’ কে নিয়ে একা বাড়ি গেলেন। দশদিন বয়সের শিশু ‘খ’ তার কানাডীয় জীবনের শুরুতে হাসপাতালের এক অপূর্ণকালিক যন্ত্রবিশেষে (incubator) শয্যাশায়ী অবস্থায় পুরাে এক সপ্তাহ কাটায়। তারপর তার স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হবার পর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা। হয়। সে সংকটময় সময়ে হেলকে নিজেও সান্নিপাতিক জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ঐ সময়ে। রবার্ট বাড়ির সবার দেখাশােনা করেন।
‘খ’ তার দত্তক নেবার কাহিনী জানতে পারে বেশ কম বয়সে । যেহেতু ফেরি পরিবারে আরও অনেক শ্বেতকায়, আন্তবর্ণীয়, এবং দৃশ্যমান সংখ্যালঘু সদস্য ছিল যারা দত্তকায়নের মাধ্যমে ফেরি পরিবারে আসে, তারা সবাই প্রথম থেকেই তাদের বৈচিত্রময় পরিবারের ইতিহাস জানত। তারা জানত যে তারা “এক বড় পরিবার। তবে একথাও ঠিক যে শিশুরা প্রায়শই ঝগড়া করত। কিন্তু সব মিলেমিশে তারা প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকত । ‘খ’ যখন প্রায় ১৩ বা ১৪ তখনই সে লক্ষ্য করে তাদের পাড়ার সবাই এবং সংবাদ মাধ্যম অনেকেই তাদের বহুজাতিক পরিবার সম্পর্কে নানা ধরনের প্রশংসনীয় আলাপ করতেন। এ বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষন এবং প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাই মূলত তাদের গােত্রবর্ণের” সমিতি সম্পর্কে অবহিত করে যার মধ্যে নিহত ছিল তাদের ভবিষ্যতের মন-মানসিকতা ও নানা বৈচিত্রের সচেতনতা। বন্ধুদের ব্যাপারে চোখ খুলে দিয়েছিল মেয়েবেলাতে। আর তারপর তাে কানাডীয় সমাজে আরও নানা বিশিষ্টতা দেখেছে এবং শিখেছে!
বার্লিংটন ফেয়ারভিউ এলিমেন্টারি স্কুল থেকে গ্রাজুয়েশনের পর ‘খ’ আর তার ভাই ক’ দুজনের মুসৌরি উডস্টক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ভারতের উত্তর প্রদেশে পড়তে যায়। সেখানে সে হাই স্কুলের বছরগুলাে (গ্রেইড ১২) শেষ করে। ঐ বছরগুলাে ১৯৮৭-১৯৯০ তার জীবনের অনেকগুলাে স্মরণীয় ঘটনা, এ চার বছর বাড়ির বাইরে কাটানাে, যদিও গ্রীষ্মের ছুটিতে প্রতিবারই বাড়ি আসা হতাে। উডস্টক ক্যাম্পাসে সে অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে যারা পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ভারতে পড়তে আসে। ঐ সময়ে ‘খ’ কখনাে তার জন্মদেশে (বাংলাদেশ) বেড়াতে যেতে চায়নি । সে যদি যেতে চেতাে, তার বাবা-মা একটা ট্রিপের ব্যবস্থা সহজে করতে পারতেন, কারণ ভারতে যাওয়া বা ভারত থেকে ফেরার সময় ঘুরানাে পথ নিয়ে একটা বিকল্প ব্যবস্থা যে কোনাে সময়ে করা সম্ভব হতাে। হেলকের ভাষ্যমতে এতে কোনাে ঝামেলাই হতাে না।
অন্য সব ভাইবােনের মতাে ‘খ’ স্বেচ্ছাশ্রমের কাজে মেয়েবেলা থেকেই আগ্রহী ছিল । উডস্টকে পড়াশােনার পুরাে চাপ সত্ত্বেও ‘খ’ তিব্বতী ছেলেমেয়েদের ইংরেজি শেখানাের। দায়িত্ব নিয়েছিল নিজের উদ্যোগে, যাতে তারা ভালাে করে ইংরেজি শিখে উডস্টক স্কুলে। ভর্তি হতে পারে। সে বছরগুলােতে ‘খ’ নিজেকে খেলাধুলায়ও ব্যস্ত রাখে, বিশেষ করে ট্রাক ও ফিল্ডে। ‘খ’ এর আরেকটা বৈশিষ্ট্য হলাে, সে স্কুলে খুব জনপ্রিয় মুখ ছিল, সকলেই ওকে। চিনত, কোনাে না কোনাে কারণে। তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছিল যখন ১৯৯০ সালে স্কুল। কনভােকেশনে সে প্রীতিসম্ভাষণ ও অভিবাদন করার জন্য নির্বাচিত হয়।
১৯৯০-১৯৯৩ এর বছরগুলােতে ‘খ’ অন্টেরিওর লন্ডনে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন। অন্টেরিওতে সমাজবিজ্ঞান ও অপরাধবিদ্য বিষয় নিয়ে পড়াশােনা করে। ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোতে পড়তে শুরু করে সােশাল সায়েন্সে চার বছরে বি,এ ডিগ্রি শেষ করে। ১৯৯৬ সালে বি,এ, ডিগ্রি লাভ করার পর সে ম্যানুলাইফ ইনসুর্যন্স-এ কাজ শুরু করে তার পছন্দের ক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্ট এবং ব্যাংকিং-এ দুবছর কাজ করার পর সে আবার পূর্ণ সময়ের জন্য স্কুলে ফেরত যায়। সে ইভেস্টমেন্ট এবং ব্যাংকিং-এ একসাথে অনেকগুলাে কোর্স নেয় তার জ্ঞানের পরিধি বাড়ানাের জন্য। বর্তমানে ‘খ’ টরন্টোর বেয় স্ট্রীটে একটি কানাডীয় বড়। ব্যাংকের ফাইনান্স শাখায় কর্মরত।
বন্ধু নির্বাচনে ‘খ’ সর্বদাই খােলাখুলি মত ব্যক্ত করে যে সে বহুজাতিক পটভূমির বন্ধুলাতেই বেশি আগ্রহী । মজার ব্যাপার হলাে, ক’-এর মতাে ‘খ’-ও বাংলাদেশি পটভূমির কাউকে খুঁজে বের করে আলাপ করতে আগ্রহবােধ করেনি কখনাে। টরন্টো এলাকায় বাঙালি কানাডীয়দের তাে অভাব নেই। এ ব্যাপারে ফেরিদের (মা-বাবার) মন্তব্য প্রণিধানযােগ্য। তাদের ভাষ্যমতে, যদিও ‘ক’ এবং ‘খ’ বাংলাদশে দুজন আলাদা মায়ের গর্ভে বড় হয়েছে। এবং ৪২ দিনের ছােট বড়, তবুও কোনাে কারণে তাদের দেখতে প্রায় একরকম লাগে। ‘খ’ যে ইচ্ছা করেই বাংলাদেশিদের সঙ্গে মিশেনি, ব্যাপারটা এমন না। সে আসলে বন্ধুত্ব করার মতাে কাউকে পায়নি। তবে এটা ঠিক যে সে তার জন্মদেশ সম্পর্কে বিশেষ টান অনুভব করেনি । আমরা সপ্তম অধ্যায়ে দেখব কেমন করে সে ক্যানাডপ্ট-এর গেট টুগেদারগুলােতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনি। তার মূল কারণ, ‘খ’ সবসময় নিজেকে অন্যান্য যুদ্ধশিশুদের
চেয়ে ভিন্ন ভেবেছে। একই বয়সের অন্য যারা এ রকম গেট টুগেদারে আনন্দের সাথে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক, ‘খ’ তাদের সাথে তত ঘনিষ্ঠ হয়নি বা হতে চায়নি। আশর্য হবার কিছু নেই, ‘খ’ এর কাছে বাংলাদেশ সর্বদাই একটি দুরের দেশ। সে বড় হয়েছে ফেরি দম্পতিকে তার একমাত্র বাবা-মা মেনেই। এ বিষয়ে ‘খ’ এর বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই যে যাদের সে তার মা-বাবা হিসাবে দেখে আসছে তারা তার সহজাত মা-বাবা নয় । যেটা সে অপছন্দ করে সেটা। হলাে এত বড় পরিবার কারণ তার সব বন্ধুবান্ধবের পরিবারই অনেক ছােট।
‘খ’ এর সাথে অন্যান্য যেসব যুদ্ধশিশু কানাডা আসে তাদের অনেকে তাদের জন্মদেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ রাখে। এমনকি অনেকে বাংলাদেশেও গিয়েছে । কিন্তু ‘খ’ এর ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশ ভিন্ন। তার জন্মবৃত্তান্ত, পরিত্যাগ এবং দত্তকায়নের বিষয়ে সে যতটুকু তার মাবাবার কাছ থেকে শুনেছে তার চেয়ে বেশি জানার আগ্রহবােধ করেনি। তার মনে কোনাে কৌতূহল তেমন নেই এর চেয়ে বেশি জানার। তাই বাংলাদেশ তার জীবনারম্ভের বিষয়টি তার কাছে অত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেনি। বলা যেতে পারে সেটা ঐতিহাসিক পাদটিকা হিসাবে। থাকলেও তার কোনাে আফসােস বা অসম্ভ্রষ্টবােধ নেই। সে তার কানাডীয় জীবন চালিয়ে যাচ্ছে আপন গতিতে।
বাইরে থেকে দেখতে শান্ত হলেও ‘খ’ ‘সব ফেরি ছেলেমেয়েদের তুলনায় সবচেয়ে ব্যস্ত সামাজিক জীবন কাটাত। এমনকি ‘খ’ এর বয়স যখন ১০ বছর এবং সে মাত্র গ্রেইড স্কুলে, তখন থেকেই তাকে তার নিজেরে সামাজিক কাজকর্মের ক্যালেন্ডার রাখতে হতাে, যা ঐ বয়সের ছেলেমেয়েদের সাধারণত লাগে না, বলেন হেলকে।” অল্প বয়স থেকে সে কানাডীয় সামাজিক জীবনে পুরােপুরিভাবে মিশে গিয়েছে। অন্যরা তাকে কীভাবে নিচ্ছে, তা নিয়ে সে কখনাে ভাবেনি।
ত্বকের রং-এর তফাৎ থাকলেও সে নিজেকে কানাডীয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবে না। এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই এ জন্য যে, সব আন্তবর্ণীয় ফেরি ছেলেমেয়েই নিজেদেরকে কানাডীয় হিসাবে গণ্য করেই বড় হয়েছে। ‘খ’ কখনাে কোনাে ধরনের দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েনি। তার জাতিগত বা ব্যক্তিগত পরিচয়ই বলা হােক না কেন, সে কখনাে এক মুহুর্তের জন্যও ভাবেনি যে সে কানাডীয় না । তারা সবাই কানাডীয় হিসাবে নানা জাতি ও গােষ্ঠী এবং বহুসংস্কৃতির ঐতিহ্যে লালিত হয়েছে। তারা মনে করে তারা কানাডীয় মালটিকালচারেলিজমের সহজবােধ্য উপাদান।
অন্যান্য যুদ্ধশিশুদের থেকে ‘খ’-এর ভিন্নতা বেশি লক্ষণীয়, যখন দেখা যায় যে সে বর্তমানকে নিয়েই আলােচোনা করে। কখনাে অতীত নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করে না। অতীত তার মনের ফ্রেমে কোনাে জায়গা করেনিতে পারেনি। তার জীবন বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে নিয়ে। অতীতকে সে অতীত হিসেবেই দেখে। দূরবর্তী নথিবদ্ধ ইতিহাস রক্ষিত আছে পারিবারিক গ্রন্থাগার ও আর্কাইভস-এ এবং কানাডা থেকে বহু দূরে অনাথ আশ্রমের নথিপত্রে। ব্যস্ এ পর্যন্তই।
‘খ’ এর সম্পর্ক তার মা-বাবা এবং তার ভাইবােনদের সঙ্গে শুরু থেকেই সহজাত, গভীর এবং সুদৃঢ়। কারাে সঙ্গে তার কোনাে বিষয়ে মতবিদ্বেষ নেই। ‘খ’ তার মায়ের প্রশংসা করে।
ওর মা যে লড়াইটা চালিয়ে গিয়েছিলেন ওদেরকে বাংলাদেশ থেকে কানাডা আনার জন্য, সেটা ভাবলে সে এখনও বিস্মিত হয় । সে ভেবে পায় না একটি অনাথ শিশুকে দত্তকায়নের মাধ্যমে কারাে বাড়িতে নিয়ে আসাটি কেন এত জটিল প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় সফল হবার জন্য তার বাবা-মাকে (এবং এফ এফ সি-র অন্যান্য সদস্যদের ) যে কত ঘাট পার হতে হয়েছে তা কোনাে ইয়ত্তা নেই। ‘খ’ তার বাবার কাছেও কৃতজ্ঞ। সে ভালোভাবেই অবগত যে তার বাবার চলমান সমর্থন তার মাকে দিয়ে যাওয়ায় গৃহস্থালিতে অনেক কিছুই তার মার। পক্ষে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
হেলকে ও রবার্ট সবসময়ই খােলাখুলি বলেছেন যে আত্মপরিচিতির ইসগুলি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলাে তারা পুরােপুরিভাবেই ছেলেমেয়েদের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন যেন তারা। নিজেরাই ওগুলাে যখন বুদ্ধি পরিপক্ক হবে, তখন সিজিল মিছিল করেনিতে পারবে । পরিবারের বৈচিত্র এত বেশি রকমে ছিল যে প্রত্যেক সদস্য ব্যাপারটার বাস্তবতা স্বীকারের। মাধ্যমে নিজেদের বৈচিত্রের তাৎপর্য উপলব্ধি করে প্রভূত মূল্য দেয়া শিখে বড় হয়ে ওঠে। বরাট ও হেলকে দুজনেই, ‘খ’ এর প্রশংসায় কোনাে কার্পণ্য করেননি।
এখনাে অবিবাহিত ‘খ’ টরন্টোতে বাস করে। সে তার অ্যাপার্টমেন্টে কয়েকটি প্রাণী পােষে, যারা ওর অবসর ভরিয়ে রাখে। জন্তু প্রেমিক ‘খ’ প্রাণীদের যত্ন করে, তার ঘরের গাছপালা ও লতাগুল্মের যত্ন নেয়, তার উদ্ভিদের সংগ্রহও উল্লেখযােগ্য । বাড়ি থেকে তার মা-বাবার বাড়ির দূরত্ব মাত্র এক ঘন্টার । তাই সে নিয়মিত বাড়িতে যায় বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে। সেখানে ভাইবােন ভাগ্না-ভাগ্নে কেউ না কেউ সবসময়ই রয়েছে । ‘খ’ এর আরেকটি লক্ষণীয়। দিক, সে কানাডীয় হিসাবে একা থাকাটাই পছন্দ করে।

সূত্র : ৭১-এর-যুদ্ধশিশু-অবিদিত-ইতিহাস-মুস্তফা-চৌধুরী

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!