১৬ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- কুষ্টিয়া
ভেড়ামারায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকবাহিনীর তীব্র সংঘর্ষ হয়। পাকবাহিনীর প্রবল আক্রমণে সুবেদার মোজাফফর তাঁর বাহিনী নিয়ে পিছু হটেন। পাকবাহিনী কুষ্টিয়া দখল করে এবং ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়ে সারা শহরে পাকসেনারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিবাহিনীর সদর দফতর চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরে স্থানান্তরিত হয়। রাতে আবার মেহেরপুর থেকে ভৈরব নদীর অপর পারে ইছাখালী বিওপিতে সদর দফতর স্থানান্তর করা হয়। এখান থেকে ভারতীয় বিওপির দূরত্ব মাত্র ৬০০ গজ। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক প্রেস রিলিজে জানায় তাদের বাহিনী ভারতীয় প্রচার মাধ্যমে কথিত স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া দখল করে নিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা দখল নিতে তাদের একটি গুলিও খরচ হয়নি। তারা শহর ঘুরে ফিরে দেখে সেখানে কথিত বাংলাদেশ সরকারের কোন চিহ্ন দেখতে পায়নি।
নোটঃ মেজর ওসমান সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে অবস্থান করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তার স্ত্রী বাধ সাধেন। তিনি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে মেজর ওসমানকে থাকতে বাধ্য করেন।