You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.05.14 | হেলেঞ্চা গণহত্যা (বাকেরগঞ্জ, বরিশাল) - সংগ্রামের নোটবুক

হেলেঞ্চা গণহত্যা (বাকেরগঞ্জ, বরিশাল)

হেলেঞ্চা গণহত্যা (বাকেরগঞ্জ, বরিশাল) সংঘটিত হয় ১৪ই মে। এতে ৩০ জন নিরীহ গ্রামবাসী শহীদ হন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৫ কিমি উত্তরে গারুড়িয়া ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বহমান তুলাতলী নদীর পাড়ে হেলেঞ্চা নামক স্থানটি অবস্থিত। ঘটনার দিন পাকসেনারা বরিশাল থেকে গানবোটে করে স্থানীয় রাজাকার বারেক মোল্লা এবং ইসহাক হাওলাদারের দেখানো পথে গারুড়িয়ায় প্রবেশ করে। প্রবেশকালে তারা বেবাজ, ডিংগার হাট, হেলেঞ্চা ও গারুড়িয়া গ্রামে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা গ্রামের প্রায় ৩০ জন নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে হেলেঞ্চায় লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি হরে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। এ গণহত্যায় বি এম একাডেমির বিজ্ঞান বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী অমৃত হালদার তার ছোটভাই দুলাল হালদারকে নিয়ে বাড়ির পাশের ডোবায় পালিয়ে থেকেও রক্ষা পায়নি। হানাদার বাহিনী মুকুন্দ লাল সেন মনু এবং তাঁর পুত্র খায়রাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদল সেনকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে লাশ নদীর পাড়ে ফেলে রাখে।
হেলেঞ্চা গণহত্যায় শহীদ ৩০ জনের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- মুকুন্দ লাল সেন মনু (৭০) (পিতা রাম কুমার সেন; ব্যবসায়ী), বাদল সেন (৫০) (পিতা মুকুন্দ লাল সেন; প্রধান শিক্ষক খায়রাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়), অমৃত হালদার (১৮) (পিতা শ্যামলাল হালদার, বেবাজ, কলকাঠী; ছাত্র), দুলাল হালদার (১২) (পিতা শ্যামলাল হালদার, বেবাজ, কলকাঠী; ছাত্র), রাখাল চন্দ্র বিশ্বাস (৫৫) (হেলেঞ্চা; ব্যবসায়ী), গোপাল চন্দ্ৰ মিস্ত্রি (৫০) (হেলেঞ্চা; ব্যবসায়ী), অশ্বিনী মালাকার (৬০) (পিতা জোগেন মালাকার; ব্যবসায়ী), বিজিন্দ্র বৈষ্ণব (৩৫) (পিতা সুখরঞ্জন বৈষ্ণব; ব্যবসায়ী), শঙ্কর (৪০) (বেবাজ; শ্রমিক), নিরু সিকদার (৩৫) (বেবাজ; শ্রমিক), রাধা হালদার (৪০) (ডিংগার হাট; ব্যবসায়ী) ও কেষ্ট হালদার (৩২) (ডিংগারহাট; শ্রমিক)। [মনিরুজ্জামান শাহীন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড