হোয়ানক পুঁইছড়া ও দেবাঙ্গাপাড়া গণহত্যা (মহেশখালী, কক্সবাজার)
হোয়ানক পুঁইছড়া ও দেবাঙ্গাপাড়া গণহত্যা (মহেশখালী, কক্সবাজার) সংঘটিত হয় ৬ই মে। এতে হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁইছড়ায় ৩-৫ জন এবং দেবাঙ্গাপাড়ায় ১০ জনের অধিক লোক শহীদ হন।
স্থানীয় রাজাকার- ও শান্তি কমিটির সদস্যরা তাদের ইচ্ছামতো বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে-গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু সম্প্রদায় ও স্বাধীনতাকামী লোকজনের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং তাদের হত্যা করা। হানাদার বাহিনী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁইছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে যোগেন্দ্র চন্দ্র দে (পিতা সতীশ চন্দ্র দে) ও হিমাংশু বিমল দে-কে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। এখানকার হত্যাকাণ্ডে আরো কয়েকজন শহীদ হন। তাদের সকলের পরিচয় জানা যায়নি।
একই দিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা বড় মহেশখালী ইউনিয়নের দেবাঙ্গাপাড়ায় আক্রমণ চালায়। তারা বড় মহেশখালীতে পৌঁছে আওয়ামী পরিবারের সদস্য জলিল বকসুর পুত্র আবুল খায়ের ও আবুল খায়েরের পুত্র মোহাম্মদ জাফর আলমকে গুলি করে হত্যা করে। আবুল খায়েরের কন্যা নুর আয়েশা বেগম পাকিস্তানি বাহিনীর পাশবিক নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন। এ-সময় রহনদার (পিতা জাহা বকসু) এবং মোজাহের মিয়ার ছোট্ট মেয়ে শামসুন নাহারকেও নরপশুরা হত্যা করে। দেবাঙ্গাপাড়ায় হানাদাররা ১০ জনের অধিক মানুষকে হত্যা করে। গণহত্যায় প্রফুল্ল পাল টুনু পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে আহত হন। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড