বীর উত্তম হারুন আহমেদ চৌধুরী
হারুন আহমেদ চৌধুরী, বীর উত্তম (জন্ম ১৯৪৫) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৪৫ সালের ৬ই নভেম্বর নোয়াখালীর চিকন্দী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার আদিনাবাদ গ্রামে। তাঁর পিতা বিচারপতি আব্দুস সোবহান চৌধুরী ও মাতা
বেগম জাহানারা চৌধুরী। পিতার চাকরির কারণে তাঁকে বিভিন্ন জেলা শহরে পড়ালেখা করতে হয়। তিনি ১৯৬০ সালে যশোর জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৬২ সালে দিনাজপুর এস এন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৬৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি কাকুন পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৬ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে কমিশন প্রাপ্ত হন। একই বছর তিনি ঢাকার অদূরবর্তী জয়দেবপুরে ৫ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন। সেখান থেকে ঢাকার পিলখানায় ইপিআর-এ বদলি হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বে তাঁদের পুরো উইং পিলখানা থেকে চট্টগ্রামের কাপ্তাইতে মোতায়েন করা হয়।
ষাটের দশকের মাঝামাঝি কাকুন পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করার পরপর হারুন আহমেদ চৌধুরীর মনে গভীর পরিবর্তন আসে। পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে ভাষা, ভূ-প্রকৃতি, মানুষের চরিত্র, পোশাক- পরিচ্ছদ, খাদ্যাভাস সবকিছুতে ভিন্নতা বা বিপরীত বৈশিষ্ট্য তাঁর চোখে পড়ে। পাকিস্তান আর্মিতে বাঙালিদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ এবং দুই অংশের মধ্যে আঞ্চলিক বৈষম্য তাঁকে ভীষণভাবে পীড়িত ও ক্ষুব্ধ করে। এমনকি ইপিআর ও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অধিকাংশও ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি। তাঁর কাছে তখন থেকেই মনে হয়েছে, পাকিস্তান বাঙালিদের দেশ নয়, জিন্নাহ তাদের আদর্শও নয়। বাঙালিদের ন্যায্য দাবি আদায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন সংগ্রাম করে যাচ্ছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে। বাঙালিদের স্বার্থের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান অন্যান্য বাঙালি সৈনিকদের মতো হারুন আহমেদ চৌধুরীর অনুভূতিকেও গভীরভাবে স্পর্শ করে। তিনি ঢাকায় পোস্টেড থাকা অবস্থায় ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যাতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হয়। নির্বাচনের রায় অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবর্তে ইয়াহিয়ার সামরিক জান্তার ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ, আলোচনার নাম করে গোপনে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বাঙালিদের দমনের উদ্দেশ্যে জাহাজ ও প্লেনে করে অস্ত্র ও সৈন্য নিয়ে আসার ঘটনা ইত্যাদি ছিল সামরিক বাহিনীতে চাকরিরত বাঙালি সৈনিকদের জন্য অশনী সংকেতস্বরূপ। পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ৭১-এর মার্চ মাস জুড়ে বঙ্গবন্ধুর আহবানে পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনএর মধ্যে তিনি বাঙালির স্বতন্ত্র জাতিসত্ত্বা ও তাদের মধ্যে জাতীয় মুক্তির আকাঙ্ক্ষা লক্ষ করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ- সমগ্র বাঙালির মতো তাঁদের কাছেও ছিল পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। ভাষণ শুনে তাঁর তাৎক্ষণিক মনে হয়েছে, বাংলাদেশ হয়েই গেছে। এ-সময় কাপ্তাই থেকে হারুন আহমেদ চৌধুরী মাঝে-মধ্যে ছুটি নিয়ে চট্টগ্রামে ইপিআর- এর এডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম ও অন্যান্য বাঙালি অফিসারদের সঙ্গে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গোপন বৈঠকে মিলিত হতেন। তাঁদের বৈঠকে এও ঠিক হয় যে, বাঙালিরা আক্রান্ত হলে কিংবা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে হারুন আহমেদ চৌধুরী ট্রুপস নিয়ে কাপ্তাই থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে মুভ করবেন।
এমনি এক পটভূমিতে এলো ২৫শে মার্চ। এদিন রাতে অপারেশন সার্চলাইট নামে পাকিস্তানি হায়েনারা নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হারুন আহমেদ চৌধুরীর কাছে চট্টগ্রাম থেকে ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামের পক্ষে ইপিআর-এর জনৈক সৈনিক “ব্রিং সাম উড ফর মি’ সাংকেতিক কোড ব্যবহার করে ফোনে বার্তা পৌঁছান। হারুন আহমেদ চৌধুরী তখন কাপ্তাই-এ ইপিআর ১৭নং উইংয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড বা সহঅধিনায়ক ছিলেন। তখন তাঁর র্যাংক ছিল ক্যাপ্টেন। তাঁর অধিনায়ক ছিল পীর মোহাম্মদ নামে এক পাঞ্জাবি। ক্যাপ্টেন রফিকের বার্তা পেয়ে সঙ্গে- সঙ্গে তিনি পীর মোহাম্মদসহ সকল অবাঙালি অফিসার ও জওয়ানদের বন্দি করে উইংয়ের দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করেন। ২৫শে মার্চ রাতেই ট্রপস নিয়ে হারুন আহমেদ চৌধুরী চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ২৬শে মার্চ প্রত্যুষে সেখানে পৌঁছে কালুরঘাট ব্রিজের অদূরে পশ্চিম পাড়ে চট্টগ্রাম শহরের মেডিকেল কলেজ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ইপিআর সেনাদের বিভিন্ন পজিশনে মোতায়েন করে অবস্থান নেন। সেখানে অগ্রসরমাণ পাকসেনাদের সঙ্গে থেমে-থেমে তাঁর বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে তাঁর বাহিনী নিয়ে কালুরঘাট আসেন। সেখানে মেজর জিয়া, মেজর মীর শওকত আলী, ক্যাপ্টেন অলি, লেফটেন্যান্ট খালেকুজ্জামান, সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মাহফুজ, লেফটেন্যান্ট শমসের মবিন চৌধুরী প্রমুখের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে। তাঁরা ব্রিজের উভয় পাড়ে ট্রুপস মোতায়েন করেন। ২৭শে মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়া যখন বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বঙ্গবন্ধুর নামে পাঠ করছিলেন, তখন হারুন আহমেদ চৌধুরী ও অন্যান্য সেনা কর্মকর্তারা সেনাসদস্যদের নিয়ে বেতার কেন্দ্রের চতুর্দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী রচনা করেন। এরপর মেজর জিয়া মেজর মীর শওকত আলীসহ তাঁর ৮ম ইস্ট বেঙ্গলের কিছু সেনাসদস্যদের নিয়ে কক্সবাজারের দিকে যান এবং ৩১শে মার্চ পুনরায় স্বল্প সময়ের জন্য কালুরঘাটে ফিরে এসে কর্নেল অলিসহ পাবর্ত্য জেলার ভারত সীমান্তবর্তী রামগড়ে চলে যান। হারুন আহমেদ চৌধুরীসহ অন্যান্য সেনাকর্মকর্তারা ১১ই এপ্রিল কালুরঘাটের পতন না হওয়া পর্যন্ত সেখানে থেকে যান এবং পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১১ই এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কালুরঘাটের প্রতিরোধযোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলাসহ প্রচণ্ড আক্রমণ শুরু করে। কালুরঘাট ব্রিজের উভয় পাড়ে বাংকারে অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধযোদ্ধারা শত্রুবাহিনীর আক্রমণ মোকাবেলা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ব্রিজের পশ্চিম পাড়ে বাংকার থেকে বের হয়ে হারুন আহমেদ চৌধুরীর একটি ঘুনটি ঘর থেকে শত্রুপক্ষের অবস্থান দেখার চেষ্টাকালে হঠাৎ একঝাঁক গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। প্রায় একই সময় পার্শ্ববর্তী বাংকারে অবস্থানরত লেফটেন্যান্ট শমসের মবিন চৌধুরী তাঁর অবস্থান থেকে উঠে এসে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন এবং পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে বন্দি হন। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দুই ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ও হাসমী মোস্তফা কামাল (পরবর্তীতে উভয়ে আর্মিতে যোগ দিয়ে মেজর পদে উন্নীত হন) রক্তাক্ত অবস্থায় হারুন আহমেদ চৌধুরীকে ধরাধরি করে ব্রিজের পূর্ব পাড়ে এনে একটি ঘুনটি ঘরে শুইয়ে দেন। তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে তাঁরা এম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসে তাঁকে পটিয়ার একটি গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে এক গ্রামীণ ডাক্তার তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পটিয়ার ওপরও পাকিস্তানি বাহিনীর বিমান থেকে বোমা হামলা শুরু হলে ৮ম ইস্ট বেঙ্গলের তরিকুল নামে এক নায়েক হারুন আহমেদ চৌধুরীকে চকোরিয়ায় মালুমঘাট খ্রিস্টান মিশনারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার অলসনের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক তাঁর (হারুন আহমেদ চৌধুরী) পরিচিতি গোপন রেখে তাঁকে চিকিৎসা দেন। কিন্তু পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়ার প্রয়োজন হলে এবার তিনি কক্সবাজারের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা শমসের আলম চৌধুরী (কোর্টবাজার, উখিয়া)-র গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নেন। শমসের আলম চৌধুরীর স্ত্রী নুর নাহার বেগম চৌধুরী মাতৃস্নেহে তাঁকে সেবাশুশ্রূা দেন। একদিন স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তিনি তাঁকে এই বলে অনুরোধ করেন যে, মৃত্যু হলে তাঁর একগুচ্ছ মাথার চুল ও পরিহিত বস্ত্র ঢাকায় তাঁর মায়ের কাছে যেন পৌঁছে দেয়া হয়।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড বৃদ্ধি পেলে শমসের আলম চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হারুন আহমেদ চৌধুরী বহুকষ্টে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার)-য় চলে যান। সেখানে কক্সবাজার থেকে ৭০-এ জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট নুর আহমেদ-এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে। বার্মায় অবস্থানকালে তাঁরা মংডু এলাকায় শরণার্থী ক্যাম্পে থাকতেন। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠলে নভেম্বরে শেষদিকে হারুন আহমেদ চৌধুরী টেকনাফ হয়ে কক্সবাজারে ফিরে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের কয়েক দিন পূর্বে ভারতীয় মিত্রবাহিনী-র সঙ্গে যুক্ত হন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান ও নিজ জীবনকে বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হারুন আহমেদ চৌধুরীকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। এছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে বঙ্গবন্ধু স্বাক্ষরিত এক পত্রের সঙ্গে পাঁচশত টাকার একটি চেক তাঁর নামে প্রেরণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু তাঁর পত্রে লেখেন, “প্রিয় ভাই, আপনি দেশপ্রেমের সুমহান আদর্শ ও প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ-মাতৃকার মুক্তি সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে পাক-হানাদার দস্যুবাহিনীর হাতে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এই দুঃসাহসিক ঝুঁকি নেয়ার জন্যে আপনাকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আপনার মতো নিঃস্বার্থ দেশ-প্রেমিক বীর সন্তানরাই উত্তরকালে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের নিশ্চয়তায় এক অত্যুজ্জ্বল আদর্শ হিসেবে প্রেরণা যোগাবে। শেখ মুজিব।’ ১৯৭৭ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেজর, ১৯৮১ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল, ১৯৮৫ সালে কর্নেল, ১৯৮৬ সালে ব্রিগেডিয়ার এবং ১৯৮৭ সালে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন। তিনি বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড, কমান্ডিং অফিসার, আর্মি হেডকোয়ার্টার্সে মিলিটারি সেক্রেটারি এবং কুমিল্লায় ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এক পর্যায়ে তাঁর চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। সে অবস্থায় প্রথমে লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে সামরিক এটাসি, এরপর দীর্ঘদিন তিনি জিম্বাবু ও যুগোশ্লাভিয়ায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষে মালদ্বীপের হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তিনি সেনাবাহিনীতে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ২০০০ সালে অবসরে যান। তাঁর স্ত্রীর নাম নিঘাত মোমতাজ চৌধুরী। এ দম্পতির দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। [হারুন-অর-রশিদ]
তথ্যসূত্রঃ লেখকের সঙ্গে ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মহাখালী ডিওএইচএস বাসভবনে মেজর জেনারেল হারুন আহমেদ চৌধুরীর সাক্ষাৎকার।
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড