You dont have javascript enabled! Please enable it!

হাতিয়া গণহত্যা (উলিপুর, কুড়িগ্রাম)

হাতিয়া গণহত্যা (উলিপুর, কুড়িগ্রাম) ১৩ই নভেম্বর সংঘটিত হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যায় সহস্রাধিক মানুষ শহীদ হন।
মুক্তিযুদ্ধকালে কুড়িগ্রাম জেলার ২টি মুক্তাঞ্চলে সহাস্রাধিক বর্গমাইল এলাকা হানাদারমুক্ত ছিল। মুক্তাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় বেসামরিক প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ-এর সহযোগিতায় এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীন ডাক, বিচার, রাজস্ব ও পুলিশ বিভাগ। এ কারণে কুড়িগ্রাম এবং এখানকার জনগণের প্রতি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিশেষ দৃষ্টি ছিল।
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে আর তাদের পেছনে রয়েছে ভারতীয় বাহিনী – এ রকম একটি খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর রাজাকারদের কাছ থেকে পাওয়ার পর পাকহানাদার বাহিনী হাতিয়া অপারেশনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৭ই এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ তুলে নিয়ে নিরাপদ অবস্থানে চলে গেলে এদিনই হানাদার বাহিনী কুড়িগ্রাম শহর দখল করে নেয় এবং নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে। ২৪শে এপ্রিল তারা উলিপুরে অনুপ্রবেশ করে এবং ডাকবাংলো, রেলস্টেশন, সার্কেল অফিস ও উলিপুর থানায় ক্যাম্প স্থাপন করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্বাধীনতাবিরোধী মুসলিম লীগ-জামায়াত চক্র। এরই ধারাবাহিকতায় হাতিয়া ইউনিয়নে ডা. বাবর আলীর নেতৃত্বে শান্তি কমিটি গঠিত হয়।
বিজয় অর্জনের মাত্র ৩২ দিন পূর্বে ১৩ই নভেম্বর (২৭শে রমজান, শনিবার) স্থানীয় দালাল গোলাম মাহবুব চৌধুরীর সহযোগিতায় এবং রাজাকার, আলবদর-আলশামসদের দেয়া তথ্য মোতাবেক হানাদার বাহিনী ৩ দিক থেকে ঘিরে হাতিয়ার নিরীহ-নিরস্ত্র অধিবাসীদের ওপর আক্রমণ চালায়। সেহেরির ঠিক পরপর মসজিদে চলছিল ফজরের আজানের ধ্বনি, নামাজ কেবল শুরু। এমন সময় গগণবিদারী আওয়াজে চমকে ওঠে গ্রামবাসী। কিছ বুঝে ওঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে হাতিয়া ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে। বাড়িঘরের সঙ্গে নিরীহ মানুষজন ও গরু-ছাগল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। নারী ও শিশু যারা ঘর থেকে বের হতে পারেনি, তারা আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। আর ঘর থেকে যারা বের হতে পেরেছে, তারা হানাদার বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায়। পুরো ইউনিয়নে হানাদার বাহিনী প্রায় ১০ ঘণ্টা নজিরবিহীন গণহত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এ গণহত্যায় শুধু পাকিস্তানি সৈন্যরাই নয়, জামায়াতের আধাসামরিক বাহিনী আলবদর, আলশামস ও রাজাকার বাহিনীও অস্ত্র চালায়। এ- সময় বিভিন্ন বয়সের নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়।
হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পাশে অনন্তপুর বাজারে শোভা পাচ্ছিল ৭০-এর নির্বাচনের পোস্টার। তা দেখামাত্রই তার প্রতি হানাদারারা গুলি ছুড়তে থাকে। অনন্তপুর বাজারে অগ্নিসংযোগকালে তারা বলতে থাকে – ‘জ্বালাও, আগ লাগাও, কাহাহে মুক্তি, খোঁজো’। এদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে বেঁচে যাওয়া বাবর আলীর বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো দেখতে পেয়ে হানাদাররা বঙ্গবন্ধুর ছবিতে গুলি করে, ছবি মাটিতে ফেলে বুট দিয়ে পদদলিত করে।
হানাদার বাহিনী হাতিয়া ইউনিয়নের বাগুয়া, অনন্তপুর, রামখানা, নয়াডোরা, নীলকণ্ঠ, দাগারকুঠি গ্রামসহ আশপাশের কলাকাটা, জলংগারকুটি ও ফকির মোহাম্মদ গ্রামে হামলা করে। দীর্ঘ অপারেশনের পর তারা অসংখ্য মানুষকে দাগারকুটি গ্রামের ধরলা নদীর তীরবর্তী একটি ডোবার কাছে নিয়ে এসে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। গণহত্যার পর কিছু লাশ আত্মীয়- স্বজনরা নিজনিজ বাড়িতে এবং কিছু লাশ স্থানীয়রা গণকবরে সমাহিত করে। তবে অধিকাংশ লাশই ধরলা নদীর পানিতে ভেসে যায়। এ গণহত্যায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আশ্রয় নেয়া ৪৭টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ শহীদ হন। দূর-দূরান্তের হওয়ায় সকল শহীদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে ৪১৩ জনের নাম-ঠিকানা জানা গেছে। তারা হলেন- হাতিয়া গ্রামের বাহের আলী (পিতা কচের আলী), আবুল হোসেন (পিতা খবির উদ্দিন), আনছার আলী (পিতা মতিউল্যা), কমর উদ্দিন ব্যাপারী (পিতা হাজী মেহের উল্যা), কোরবান আলী (পিতা দেয়ানতুল্যা ব্যাপারী), আব্দুর রহমান (পিতা রহমাতুল্যা ব্যাপারী), ১৭ দিনের একটি শিশু (পিতা আব্দুর রহমান), মোছা. মোনামাল (পিতা করিম উল্যা), সৈয়দ আলী (পিতা কছিম উদ্দিন), ফরজ উল্যা (পিতা কালে মাসুদ), ফারাজ উল্যা (পিতা নিশপতুল্যা), মহির আলী (পিতা ফরাজ উল্যা), এজাব উদ্দিন (পিতা ফরাজ উল্যা), বিবুরুদ্দি (পিতা ফরাজ উল্যা), চাঁদ মিয়া (পিতা সহির আলী), মজিবর রহমান (পিতা এবারতুল্যা), লতিফ (পিতা মসিজুদ্দিন); অনন্তপুর গ্রামের কাচুয়া শেখ (পিতা নেদা শেখ), নছিয়ত উল্যা (পিতা মানু উল্যা), আনছার উদ্দিন (পিতা মিছির উদ্দীন), আবদাল (পিতা মিছির উদ্দীন), চিনিরুদ্দিন (পিতা মিছির উদ্দীন), আমজাদ হোসেন (পিতা আমিন), ছপর উদ্দিন (পিতা আমিন), আজিমুদ্দীন (পিতা হারাধন), বাবুর উদ্দীন (পিতা আফান শেখ), কেরু মামুদ (পিতা আফান শেখ), আজি শেখ (পিতা ভাংটু শেখ), বাবর আলী (পিতা মতি শেখ), ধনিয়া (পিতা টোরা), পচু শেখ (পিতা ছমদ্দি), আব্দুল জলিল (পিতা হাবিবতুল্যা), আব্দুল জব্বার (পিতা হাবিবতুল্যা), ইউসুব (পিতা এছান), সমশের আলী (পিতা ভাসা মামুদ), ইব্রাহীম আলী (পিতা ভাসা মামুদ), ফকরদ্দিন (পিতা মালগস্তি), নবাব আলী (পিতা আব্দুল জলিল), ব্যাংগু শেখ (পিতা তছদ্দি শেখ), ইসলাম (পিতা বাছতুল্যা), ওয়াহেদ আলী (পিতা বাছতুল্যা), সেরু শেখ (পিতা হামেদ আলী), শহরউদ্দীন (পিতা আব্দুল), মেছের উদ্দীন, সবারত, আব্দুল আজিজ (পিতা আরজুদ্দিন), আব্দুল গফ্ফার (পিতা আরজুদ্দিন), আব্দুল লতিফ (পিতা আরজুদ্দিন), সাহাদুল শেখ (পিতা হাজারী মামুদ), বাবর উদ্দীন (পিতা সাহাদুল শেখ), বক্তার আলী (পিতা সাহাদুল শেখ), আব্দুস ছোবাহান (পিতা আলিমন), কাদের আলী (পিতা হেসকারী), ছাবেদ আলী (পিতা সরু শেখ), মোহাম্মদ আলী (পিতা পোয়াতু মিয়াজী), আবু বক্কর (পিতা কলে মামুদ), আজগার আলী (পিতা ফজল উদ্দিন), উমর আলী (পিতা মিছির উদ্দিন), আজাহার আলী (পিতা ফজল উদ্দীন ব্যাপারী), ভেদু শেখ (পিতা মিছির উদ্দীন), জবেদ আলী (পিতা আনছার উদ্দীন), খেরু শেখ (পিতা আনছার উদ্দীন), হজরত আলী (পিতা আশরাফ উদ্দীন), কাজিম উদ্দীন (পিতা বসারতুল্যা ব্যাপারী), কল্পনা বাসপো, ভবেশ বাসপো, ইব্রাহিম আলী, সমশের আলী (পিতা ভাসা মামুদ), আনছার মানু (পিতা আছর উদ্দীন ব্যাপারী), বাবু মিয়া (পিতা আফান তেলি), মহদ্দিন (পিতা অকদ্দি শিকারী), আফজাল হোসেন (পিতা হেদল শেখ), আজিত (পিতা বাংটু শেখ), বাবর আলী (পিতা মতি শেখ), মঙ্গল ঠাকুর (পিতা দেবেন ঠাকুর), আকবর আলী (পিতা আকদ্দিন সরকার), আলাউদ্দিন শেখ (পিতা আপতান), গেনছার আলী (পিতা সজর উদ্দীন), খচিয়ত উল্যা (পিতা জহির উদ্দিন), গহুল (পিতা টুংসু শেখ), কপদ্দিন (পিতা বৈরাগী), খয়বার আলী (পিতা পাগলা শেখ), আহম্মেদ আলী (পিতা রুমালু শেখ), কাচুয়া শেখ (পিতা পাগলা শেখ), মোহাম্মদ আলী (পিতা মেছের আলী), পয়জার আলী (পিতা ওছমান আলী), বানু শেখ (স্বামী বাবর আলী), বক্তার আলী (পিতা রজব আলী), সংসার আলী (পিতা ঠাকাল), আব্দুল জব্বার (পিতা কছিমুদ্দীন), আকবর আলী (পিতা কছিমুদ্দীন), মোন্তাজ আলী (পিতা বেংগু), এমাজ (পিতা নজি বুড়া), মণ্ডল শেখ (পিতা জহদ্দিন শেখ), তছলিমুদ্দীন (পিতা তয়েন উদ্দীন), তহফেল হক (পিতা তয়েন উদ্দীন), মোজাম্মেল হক (পিতা তয়েন উদ্দীন), আব্দুস ছাত্তার (পিতা ছলিমুদ্দীন), মজা শেখ (পিতা পাগলা), মোজাম্মেল মুন্সী (পিতা খাদিম শেখ), এশার আলী (পিতা খাদিম শেখ), কাশেম আলী (পিতা খাদিম শেখ), মহাদ্দিন (পিতা অমতুল্যা), ইবরা শেখ (পিতা শলক ব্যার), আজিমুদ্দীন (পিতা গেন্দলা শেখ), আব্বাস (পিতা গেন্দলা শেখ), আব্দুল জব্বার (পিতা ওছমান), মেরে বিবি (পিতা ছমত শেখ), গোলজার (পিতা শহর মিস্ত্রি), আল্লী শেখ (পিতা করমত উল্যা), আমুদ্দি (পিতা তছদ্দি), লাল মিঞা (পিতা হারুন মিঞা), ওহাব আলী (পিতা আব্দুল বারী), শহর উদ্দীন (পিতা ভোলা শেখ), শহর মামুদ (পিতা আব্দুল জব্বার), ভেলকু মামুদ (পিতা নাছির মামুদ), জেলাদ্দি (পিতা আলাদ্দি), আশারু শেখ (পিতা বেতারু শেখ), আব্দুল বাকী (পিতা আব্দুল হাদি), ফয়জার (পিতা জয়নাল), নজির হোসেন (পিতা আলেমামুদ), ঝড় শেখ (পিতা হাজারী মামুদ), খাদিম মামুদ (পিতা হাজারী মামুদ), মনিম (পিতা জহদ্দি), মামুন (পিতা রহিম উদ্দিন), শুটক (পিতা মেহের পাগলা), ছাত্তার আলী, খায়রুল (পিতা আব্দুর রেজ্জাক), মানিক মিয়া (পিতা ধনিয়া), কাশেম পাগলা (পিতা পাগলা ব্যাপারী), তরিক উদ্দিন (পিতা যতির উদ্দিন), বরকত (পিতা জেলাদ্দি), তছর মিয়া (পিতা আজুদ্দি), আশরাফুল (পিতা আব্দুল গনি), মজুর উদ্দীন (পিতা আব্দুল), হেলাল (পিতা আজিজল), মতিউল্যা (পিতা জোনাবদ্দি), নাজির (পিতা জোনাবদ্দি), হেসফারী (পিতা জালাল উদ্দীন), হেদল (পিতা জালাল উদ্দীন), নাসির উদ্দীন (পিতা অহদ্দি শেখ), রেজাউল (পিতা বদিউজ্জামান); বকসীগঞ্জের শান্ত রবিদাস (পিতা ভবেশ রবিদাস), আবু বক্কর (পিতা শরিয়ত উল্ল্যা), রহিম উদ্দীন (পিতা ইমির উদ্দিন), অছির উদ্দিন (পিতা নেছাব উদ্দিন), ফয়েজ উদ্দিন (পিতা নছির উদ্দিন), নেলচ মামুদ (পিতা তকের মামু), মজাহার আলী (পিতা এছানউদ্দীন), কপিল উদ্দিন (পিতা আনুর তেলী), হাফেজ (পিতা চেচারু শেখ), বাবর উদ্দীন (পিতা ছেপের উদ্দীন), কাচুয়া শেখ (পিতা ছেপের উদ্দীন), মজিবর রহমান (পিতা এছাম তেলী), মহুবর রহমান (পিতা এছাম তেলী), জমিলা খাতুন (স্বামী বাবর উদ্দীন), ফজরন বিবি (স্বামী ফয়েজ উদ্দিন), আবুদর রহামন (পিতা আপেল উদ্দীন), ছাহাবুদ্দিন (পিতা ইচির উদ্দীন), কাচুয়া শেখ (পিতা বছির উদ্দীন), এলাহি বক্স (পিতা ছৈছুদ্দিন), গাছুল শেখ (পিতা টসকু শেখ), কপুর উদ্দিন (পিতা বৈরাগী শেখ), যতিব আলী (পিতা পাগলা শেখ), খয়বার আলী (পিতা পাগলা শেখ), আহাম্মদ (পিতা উমালু শেখ), খচিয়ত উল্যা (পিতা জহির উদ্দিন), গ্যানছার আলী (পিতা সজা মামুদ), আকবর আলী (পিতা অকাদি সরকার), উজির আলী (পিতা শোলকা চৌকিদার), আমুদ্দিন (পিতা এছান শেখ), আলিমুদ্দীন (পিতা আজিমুদ্দীন), আফাজ উদ্দিন (পিতা আজিমুদ্দীন), আমিন, শহর মৌলভী, ছোট কাচুয়া (পিতা নেছা আলী), নেস মামুদ (পিতা হারাধন), আমজাদ (পিতা আজুদ্দি), হোসেন (পিতা সমির উদ্দীন), নেছাব উদ্দীন (পিতা কেতাব উদ্দীন), হারান শেখ (পিতা করিমুল্যা), হযরত আলী (পিতা খয়বর আলী); চর বান্ডালের মজির উদ্দীন (পিতা নেকাত উল্যা), আব্দুল জলিল (পিতা মেজার আলী), হারুন (পিতা আব্দুর রহিম), কোথাত উল্যা শেখ (পিতা হায়দার আলী), আব্দুল গফুর (পিতা বছির উদ্দীন), মাদারী শেখ (পিতা হাজারী মামুদ), বেলাল হোসেন (পিতা কদিমল হক), সুকালু মামুদ (পিতা তকের মামুদ), কালা মামুদ (পিতা ইচির উদ্দীন), সোনাবুদ্দী (পিতা সেতর শেখ), লুতফর রহমান (পিতা তকের আলী); সোনারার পাড়ের নিয়ামত আলী (পিতা বছির মামুদ), অছিয়ত উল্যা (পিতা ফেতরু শেখ), জোনাবদ্দি (পিতা পেতরু শেখ), বাছদ্দি শেখ (পিতা জেলাল উদ্দীন), মনিরা শেখ (স্বামী ধান মামুদ), শরিতুল্যা (পিতা ফুলমামুদ), উজির আলী (পিতা সোনা শেখ); নীলকণ্ঠের মজিবর রহমান (পিতা আলেফ উদ্দীন), আমিন উদ্দীন (পিতা জেনাতুল্যা), নজিম (পিতা ফজর চাটু), দুরলব, নেছাবুদ্দিন (পিতা কলমুদ্দী), ক্যাসক মনি শেখ (পিতা টুনী মামুন), নৈমুদ্দীন (পিতা খৈমুদ্দীন), আবুল হোসেন (পিতা আমুদ্দীন), আলিফ উদ্দীন (পিতা আব্দুল), আজুদ্দিন (পিতা বাসু বুড়া), নছিমন ( স্বামী আজুদ্দি), মেহেরজন (স্বামী এয়াজুদ্দিন); রামখানার খতবুদ্দিন, জয়েন উদ্দীন (পিতা ময়েন উদ্দিন), আব্দুল হাফিজ (পিতা আছান আকন্দ ব্যাপারী), কান্দরা মামুদ (পিতা বেংগু ফকির), আনছার (পিতা বেংগু ফকির), ইয়াকুব (পিতা মিয়াউদ্দিন), পয়জার (পিতা আফান শেখ), ফজল শেখ (পিতা হাসু শেখ), ছপিয়ল (পিতা জহির উদ্দীন), আজিজল হক (পিতা মহিম), বনিরুদ্দীন (পিতা নজিবুদ্দীন), গহুর দেওয়ানী (পিতা নসির উদ্দীন), কনছার (পিতা মতি শেখ), টেপরী বেগম, মগহুর উদ্দীন, আবুল হোসেন (পিতা কেরামত আলী), হাবিবুর রহমান (পিতা নজিবুদ্দীন), আব্দুল হাকিম (পিতা বাছের শেখ), পাগলা শেখ (পিতা কাঞ্চিয়া), করিম বক্স (পিতা ওছমান), রোস্তম আলী (পিতা করিম বক্স), আব্দুর রহমান (পিতা ওছমান), এজা শেখ, মেহেরউল্যা (পিতা গমির উদ্দীন), কাচু শেখ (পিতা জব্বার শেখ), আকবর শেখ (পিতা মেহের উল্যা), মাছু শেখ (পিতা মেহের উল্যা), আজুরুদ্দীন, আব্দুস ছাত্তার (পিতা বাছের শেখ), কাশেম (পিতা মহিজ), মজিবর (পিতা মিছুদ্দীন), মজাহার (পিতা জহুদ্দীন), শুটকু (পিতা বেড়া ভাঙ্গা), হোসেন (পিতা ওছমান), লাল মিয়া (পিতা আজুরুদ্দীন), ছপর মৌলভী (পিতা এচান তেলি), আমজাদ আলী (পিতা আমিন উদ্দীন), আমিন উদ্দীন (পিতা হেদল শেখ), আজিমুদ্দিন (পিতা হারাধন মামুদ), আলিমুদ্দিন (পিতা আজিমুদ্দিন), আব্দুল জলিল (পিতা হায়পুদ্দিন ভেলকা), নেস মামুদ (পিতা হারাধন), ধনিয়া শেখ (পিতা টোরা শেখ), বাবর আলী (পিতা টোরা শেখ), আজি শেখ (পিতা ভাংটু শেখ), আবদাল হোসেন (পিতা মিছির উদ্দিন), চিনি শেখ (পিতা আজিজল শেখ), নছিয়তুল্যা (পিতা মাদু শেখ), কাচুয়া শেখ (পিতা নেদা তেলি); সাতভিটার হায়দার আলী (পিতা ওসমান আলী), আব্দুল করিম (পিতা আব্দুল রহমান), সোলেমান (পিতা লোকমান), এমদাদুল হক (পিতা ফরিদুল হক), জাহিদুল (পিতা ফরমান আলী), ওয়ালীউর (পিতা কাসেম আলী), মাহতাব আলী (পিতা আব্দুল মজিদ); নাচের ভিটার সোচা শেখ (পিতা বৈরাগী শেখ), বোচা শেখ (পিতা বৈরাগী শেখ), বাবর উদ্দিন (পিতা বৈরাগী শেখ), আব্দুল জলিল (পিতা বোচা শেখ), হামেদ আলী (পিতা পেদাল শেখ), বানছার (পিতা যোদ শেখ), আনছার (পিতা যোদ শেখ), মেজার উদ্দীন (পিতা আছদ্দি), পাগলা (পিতা জোনাবদ্দি); চর বাগুয়ার মনিরা শেখ (পিতা আবুল কাসিম), নাল বাবু (পিতা কছের মামদ), নাছিম উদ্দীন (পিতা আব্দুস ছাত্তার), আপাস শেখ (পিতা কালু শেখ), আব্দুর রশিদ (পিতা আব্দুল করিম), ইকবাল (পিতা খচর মামুদ), তমিজ উদ্দীন (পিতা সোনা উল্যা), গোলাপ উদ্দীন (পিতা নাজিম উদ্দীন), হবিবর রহমান (পিতা মামদ্দি), একাব্বর আলী (পিতা ছমত উল্যা), মোবারক আলী (পিতা ওসমান আলী), আলিম উল্যা (পিতা তকের মামুদ), কাজেম আলী (পিতা কছিম উদ্দীন), কেছাব উদ্দিন (পিতা হামু শেখ), মামুদ আলী (পিতা অকর উদ্দিন); নয়াডারার আকতার হোসেন (পিতা গাছলু শেখ), বাহাউল্লা (পিতা খতি মিয়াজি), আকবর আলী (পিতা গেন্দলা শেখ), ভোলা শেখ (পিতা সাজিম তেলি), আব্দুল (পিতা সাজিম তেলি), ছমচল (পিতা সাজিম তেলি), এছাহাক (পিতা সাজিম তেলি), ফুকতুল শেখ (পিতা ছফর উল্যা), নকর আলী (পিতা কছের আলী); কুটির পাড়ার বাহার আলী (পিতা খয়বর আলী), জব্বার আলী (পিতা জহদ্দি শেখ), আজাহার আলী (পিতা মনিয়া শেখ), মহিয়ার রহমান (পিতা মানিক শেখ), দুকু শেখ (পিতা আমুদ্দি শেখ), জয়নুদ্দি (পিতা ছব্বার আলী), মংলা শেখ (পিতা আজিম উদ্দীন); চাকি পাড়ার বাবর উদ্দীন (পিতা নাছির মামুদ), আব্দুর রহমান (পিতা আব্দুর মজিদ), আলাল হক (পিতা গোলজার), মজিফ উদ্দীন (পিতা দছিম উদ্দীন), আব্দুল করিম (পিতা আব্দুল আজিজ), ওনাবদ্দি (পিতা মজির উদ্দীন), তকের মামুদ (পিতা আলা বখস), নাজমুল (পিতা হায়দার আলী), কেতরু (পিতা আজিজল); চণ্ডিপুর গ্রামের জহির উদ্দীন (পিতা জয়নাল উদ্দীন), গোলাপ উদ্দিন (পিতা জয়নাল উদ্দীন), নায়েব আলী (পিতা আলাল হক), ছকমল হোসন (পিতা আইজুদ্দি), আব্দুর রশিদ (পিতা আব্দুর রহমান), নজর আলী (পিতা ওসমান আলী), এরশাদুল হক (পিতা জমির উদ্দীন), জালাল উদ্দীন (পিতা মোবারক আলী); বকসী পাড়ার মনদ্দি (পিতা আজিমউদ্দীন), আজিম উদ্দীন (পিতা নছের মামুদ), নলকু মিঞা (পিতা আব্দুল মালেক), হযরত আলী (পিতা বেলাল শেখ), নাজিম উদ্দীন (পিতা জামাল উদ্দিন), আম্বার আলী (পিতা খয়বার আলী), মোস্তফা (পিতা রহিমুদ্দীন); ভাটিগ্রামের টোনেয়া শেখ (পিতা খাদু মামুদ), আকালু শেখ (পিতা খোশ মামুদ), তমিজ উদ্দিন (পিতা পরবাসু), আছর উদ্দিন (পিতা টোনেয়া শেখ), দারোগ আলী (পিতা বছদ্দিন তেলী), আমাদ্দিন (পিতা শুগরু শেখ), মজিবর রহমান (পিতা শুগরু শেখ); সরকারি গ্রামের উমর আলী (পিতা জয়নাল শেখ), বাবর আলী (পিতা জয়নাল শেখ), মোহাম্মদ আলী (পিতা হাসেম আলী), উমালু শেখ (পিতা হজ্জদি শেখ), মতিয়ার রহমান (পিতা নজদ্দি শেখ); মধ্যগ্রামের মমর উদ্দিন (পিতা জয়নাল শেখ), জমির উদ্দিন (পিতা ছৈমুদ্দিন), এমরান আলী (পিতা জয়নাল শেখ); হাপার ভিটার মিজানুর রহমান (পিতা ছমত উল্যা), লোকমান (পিতা নাজিম উদ্দিন), আমিনুল ইসলাম (পিতা কাবু মামদ), সমশের আলী (পিতা কলিম উদ্দিন), আতাউর রহমান (পিতা বছিয়ত উল্যা); টোগরাইহাটের এশার আলী (পিতা জহদ্দি শেখ), ভেলকা শেখ (পিতা আজিম উদ্দীন), আসাদুল (পিতা শহর আলী), ময়েন উদ্দীন (পিতা বারু শেখ); মাঝিপাড়ার নওশাদ আলী (পিতা আকুলা শেখ), মমেনা খাতুন, উজির আলী, বিসাময়ী দাস, জোমা দাস, শামুক বর্মণ (পিতা মাধাই বর্মণ), সালেয়া শেখ (স্বামী জনাদ্দি শেখ), মানিক মিঞা (পিতা অমূল্য শেখ), হোসেন আলী (পিতা মনাদ্দি শেখ); গোয়াল পাড়ার হায়দার আলী (পিতা মো. ফরমান আলী), আব্দুল আজিজ (পিতা মোহাম্মদ আলী), আব্দুল জব্বার (পিতা হামিদ আলী) মোজাম্মেল ( পিতা আব্দুর রহিম); কালিগঞ্জের রিয়াজুল হক (পিতা কছদ্দি শেখ), ফরমান আলী (পিতা হোসেন আলী), সিদ্দিকুর রহমান (পিতা তমিজ উদ্দিন); আঠার পাইকরের আব্দুর রহমান (পিতা জমির উদ্দীন), আজর উদ্দীন (পিতা ভেলু মামুদ); জলঙ্গার কুটির সমশের আলী (পিতা আ. মালেক), একাবর আলী (পিতা বাবর আলী); বৈরাগীর হাটের বাহাদ্দি শেখ (পিতা খয়বার আলী); হাতিয়া ভবেশ গ্রামের আব্দুল জব্বার (পিতা অহর উদ্দিন); কাশিপুরের তোফায়েল হক (পিতা কেচু মামুদ); মিতাইকরের এজাজল হক (পিতা ফলো মামুদ), রহিজ উদ্দীন (পিতা ফলো মামুদ); বালাবাড়ীর দেওয়ান আলী (পিতা তরিকুল হক); কাজিগ্রামের রফিকুল ইসলাম (পিতা জমির উদ্দীন), ফজলু শেখ (পিতা একাব্বর আলী); বোতলার আজিজল (পিতা বছির উদ্দীন); ফুতুল্যার চাঁদ মিঞা (পিতা জহদ্দি), মতিউল্যা (পিতা কলমদ্দি শেখ), উমর আলী (পিতা কাসেম আলী); গুজিমারীর কছিমুদ্দীন (পিতা জেনাত উল্লা), এয়াজউদ্দি (পিতা জেনাত উল্লা); চর গুজিমারীর আমুদ্দিন (পিতা এচান তেলি); আইরকুঠির আফাজ উদ্দী (পিতা ছপর মৌলভী); শ্যামপুরের হাফেজ উদ্দিন (পিতা পরবাসু); হিজলী গোপ পাড়ার আব্দুর রহমান (পিতা আরিফ উদ্দিন); মাঝের চরের শরফেন বেওয়া (পিতা ধনাই), আব্দুল জব্বার (পিতা অহদ্দি শেখ); গাইবান্ধা জেলার ভরতখালীর বাছের আলী (পিতা জালাল উদ্দীন), ফুলছড়ির হাবিবুল্যা (পিতা জামাল উদ্দীন), সেকেন্দার আলী (পিতা মজিবর রহমান), তছের আলী (পিতা ফারাজ উদ্দীন), আলা বক্স (পিতা জয়নাল); বোনার পাড়ার মঙ্গল ঠাকুর (পিতা দেবেন ঠাকুর); চাঁদপুর জেলার হারুন মিঞা (পিতা ফয়জার আলী), এলাহি বক্স (পিতা ফয়জার আলী); রংপুর জেলার বদরগঞ্জের ইসমাইল হোসেন (পিতা তোজাম্মেল), জহুরুল হক (পিতা ফরমান আলী); সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচির নজরুল ইসলাম (পিতা হযরত আলী), হেলাল মিঞা (পিতা কাসেম আলী), দেলবর হোসেন (পিতা ছটকু মামুদ), মতিন মিঞা (পিতা ছেফাত উল্লাহ)। হাতিয়া গণহত্যায় হানাদার বাহিনীর গুলিতে সেদিন আহত হন অনন্তপুরের ফয়েজউদ্দিন, বাবর উদ্দিন, কাদিম শেখ, কুড়ার পাড়ের কামাল হোসেন, বামনীর মুখের জহির উদ্দিন প্রমুখ। হাতিয়া গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে দাগারকুটিতে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে। এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৩ই নভেম্বর হাতিয়া শহীদ দিবস পালিত হয়। [এস এম আব্রাহাম লিংকন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!